দেশে সম্প্রতি পেপ্যাল-জুম নিয়ে ‘বিতর্ক ও প্রশ্নবাণে’ জর্জরিত তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মঙ্গলবার রাতে আবিদ হাসানের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাতকারে দেশে পেপ্যাল-জুমের সত্য-অসত্য, প্রচার-অপপ্রচার নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন তিনি।
আবিদ হাসান : বৃহস্পতিবার ফ্রিল্যান্সার সম্মেলনে পেপ্যাল সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নিয়ে ‘পেপ্যাল-জুম’ ব্যাপক বির্তক শুরু হয়েছে। এই বিতর্ক কীভাবে দেখছেন?
জুনাইদ আহমেদ পলক : আমরা বলছি ১৯ অক্টোবর ফ্রিল্যান্সার সম্মেলনে পেপ্যালের সার্ভিস লঞ্চ হচ্ছে। এটা নিয়ে কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই। পেপ্যাল সেবার কয়েকটি ধাপ আছে-ইনবাউন্ড, আউটবাউন্ড এবং ওয়ালেট। এখন ইনবাউন্ট সার্ভিসটা চালু হচ্ছে। ১০৩টা দেশের মতো বাংলাদেশেও এটি চালু হচ্ছে।
আমরা পেপ্যালের সঙ্গে গত ৩ বছর ধরে যোগাযোগ করছিলাম। প্রথমে ২০১৫ তে আমাদের জুমের সঙ্গে বৈঠক হয়। ২০১৬ তে জুম-সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট টু অ্যাকাউন্টি লেনদেন হয়। তারপরে ২০১৬ তে পেপ্যালের সঙ্গে জুম একীভূত হওয়ার ফলে এখন পেপ্যালের এক্সপ্রেস সার্ভিসের মাধ্যমে বাংলাদেশে পেপ্যালের ওয়ালেট হতে ইনবাউন্ড সার্ভিসটা চালু হতে যাচ্ছে।
ইউরোপ-আমেরিকাসহ ২৯টি দেশে পেপ্যালের যে পুর্ণাঙ্গ সার্ভিস আছে সেখানেও কিন্তু প্রথমে ইনবাউন্ড সার্ভিসটি চালু হয়েছে তারপর ওয়ালেট চালু হয়েছে। আমাদের দেশেও পেপ্যালের এই সার্ভিসটির টেস্ট ট্রানজিকশন হচ্ছে। ১৯ অক্টোবর এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। পেপ্যালের সার্ভিসটিরই কিন্তু এখন সোনালী রুপালীসহ ৯ টি ব্যাংকে ট্রানজিকশন হচ্ছে। এই লেনদেনের সব রের্কড কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সবার কাছে রয়েছে।
আবিদ হাসান : তাহলে এই বিতর্ককে কি বিভ্রান্তি বা অপপ্রচার হিসেবে দেখছেন?
জুনাইদ আহমেদ পলক : এটি অপপ্রচার। এই পেপ্যালের কথা শুনছি ১০ বছর ধরে। কিন্তু পেপ্যালের কোনো অগ্রগতি কোনো ধাপ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে অতীতের কোনো সরকারকে দেখিনি।
অনেকেই স্যোশাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় সমালোচনা করার চেষ্টা করছেন, বিতর্ক করার চেষ্টা করছেন। এটা মেনে নিতে হবে যে, আজ হতে ৮ বছর আগে দেশে জুম-পেপ্যাল কোনো কিছুরই অস্থিত্ব ছিল না, ন্যাশনাল পেইমেন্ট গেটওয়ে সুইচ ছিল না, মোবাইল ব্যাংকিং ছিল না। শেখ হাসিনার সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে এই ডিজিটাল ট্রানজিকশনের পথ সুগম করেছে।
যারা সমালোচনা করার তারা সমালোচনা করবে আমরা কাজ করে যাবো। অতীতেও দেখেছি যখন বিনা পয়সায় সাবমেরিন ক্যাবলের যুক্ত হওয়ার অফার ছিল তখন কারও বোঝার ভুলে তা সম্ভব হয়নি। দেখেছি কিভাবে মোবাইল মনোপলি দিয়ে ১০ বছর বাংলাদেশের মোবাইল বিপ্লব হতে বাংলাদেশকে দূরে রাখা হয়েছে। ৯৮ সালে যখন হাইটেক পার্ক শুরু করা হয়েছি তখন তা কিন্তু ২০০১- ২০০৬ পর্যন্ত কন্টিনিউ হয়নি। শেখ হাসিনার সরকার এসে নতুন করে এই পার্ক করেছে।
আবিদ হাসান : বির্তকে মূল বিষয় হচ্ছে, বৃহস্পতিবার যা উদ্বোধন করা হবে তা জুম আর জুম আগেই ছিল। এটি নতুন করে উদ্বোধনের কি আছে? কিন্তু কাগজে-কলমে আমরা জেনেছি যে এদিন পেপ্যাল সেবা লঞ্চ হবে। এই পেপ্যাল সেবায় নতুন কি আছে, যে সুবিধা আগে জুমে ছিল না বা বাংলাদেশের মানুষ পেত না ?
জুনাইদ আহমেদ পলক : যারা সমালোচনা করছেন যে-এর আগে জুম ছিলই তাহলে এখন নতুন কী আসলো? এর আগে জুমের কোনো প্লার্টফর্মের মাধ্যমে ই-ওয়ালেট থেকে টাকা পাঠানো যেত না। পেপ্যালের সঙ্গে কোনো ইন্টিগ্রেশন ছিল না বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকের। জুম সার্ভিস এবং পেপ্যালের এক্সপ্রেস সার্ভিস দুটি তো ভিন্ন জিনিস।
পেপ্যালকে একধাপ এগিয়ে এনেছি। প্রথমে আমরা জুমের ব্যাংক টু ব্যাংক ট্রানজিকশনে গিয়েছিলাম। প্রথম স্টেপে জুমের সঙ্গে বাংলাদেশের যে ট্রানজিকশনটা হয়েছে সেখানে পেপ্যালের ওয়ালেটের সঙ্গে কোনো ইন্টিগ্রেশন ছিল না। এ কারণে সে সময় এটির কোনো আনুষ্ঠানিকতা করা হয়নি।
তারপরে পেপ্যাল যখন বাংলাদেশের মার্কেট সার্ভে করে তারা যখন দেখেছে এটা একটা ইমার্জিং মার্কেট তখনই তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এখন আপনি যখন যাবেন পেপ্যালের ওয়েবসাইটে, আপনি আমেরিকার একজন ক্লাইন্টকে যখন বলবেন যে আপনার পেপ্যাল ই-ওয়ালেট থেকে আমার সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান। ওই ক্লাইন্ট তখন যাবেন। পেপ্যালের ই-ওয়ালেট হয়ে ওয়েবসাইটে গিয়ে বাংলাদেশ অপশনটা পাবেন। বাংলাদেশের অপশনে গিয়ে সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকাটা পাঠিয়ে দিতে পারবেন। আর ৪০ মিনিটে টাকাটা চলে আসবে বাংলাদেশের গ্রাহকের কাছে। এটা আগে সম্ভব ছিল না। আমারা ১৯ তারিখে সেটা দেখাবো যে কিভাবে এই টাকাটা ট্রান্সফার হয়।
সাম্প্রতিক যুক্ত হওয়া বাংলাদেশসহ ১০৩টা দেশে পেপ্যাল ইনবাউন্ড সার্ভিস দেয়। ২০৩টা দেশে তাদের কোনো কোনো সার্ভিস আছে আর ২৯টা দেশে পেপ্যালের পুর্ণাঙ্গ সার্ভিস আছে।
আবিদ হাসান : পরিষ্কার করে বললে পেপ্যাল এক্সপ্রেস সার্ভিসই নতুন সেবা হিসেবে চালু হচ্ছে যা আগে ছিল না, তাই কি?
জুনাইদ আহমেদ পলক : আগেই বলেছি যে বাংলাদেশে জুম-পেপ্যাল কোনো কার্যক্রমই ছিল না। সেটা আমরাই জুম হতে শুরু করি। আগে ইউএসের একটি ব্যাংক হতে বাংলাদেশের একটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো যেত। কিন্তু বাংলাদেশের একজন ফ্রিল্যান্সারের কাছে ইউএসের একজন ক্লাইন্ট পেপ্যাল ওয়ালেট হতে টাকা পাঠাতে পারতো না। কারণ পেপ্যাল ওয়ালেট হতে টাকা বাংলাদেশ রিসিভ করে না। এর আগে কোনো ফ্রিল্যান্সার পেপ্যালের ওয়ালেট হতে পাঠানো টাকা তার অ্যাকাউন্টে নিতে পারতো না। তাকে যেতে হতো অন্যকোনো প্লাটফর্মে, দেশের বাইরে তার বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়ের কাছে। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে পেপ্যালের এই ধরণের কোনো সমঝোতা বা চুক্তি ছিল না। কিন্তু পেপ্যাল জুম নিয়ে নেয়ার পর পেপ্যালেরই একটি সার্ভিস এক্সপ্রেস এখন চালু করছি আমরা।
আবিদ হাসান : পেপ্যাল এক্সপ্রেসে আরও কোনো সুবিধা?
জুনাইদ আহমদে পলক : ১৯ তারিখে ধরেন কিছু মানুষজন যুক্ত হবে পেপ্যালের এই নেটওয়ার্কে। তবে আমার আশা খুব দ্রুতই এটি বাড়তে থাকবে। এর ফলে দেশের ৫ লাখ ফ্রিল্যান্সার উপকৃত হবে। সরাসরি তারা খুব অল্প খরচে মানে এক হাজার ডলার পর্যন্ত আনতে তাদের ৪ দশমিক ৯৯ ডলার খরচ হবে। আর ১ হাজার হতে ১০ হাজার পর্যন্ত এক টাকাও খরচ হবে না। এর ফলে লিগ্যাল চ্যানেলে খুব অল্প খরচে বাংলাদেশে টাকাটা আসবে।
আবিদ হাসান : আপনি বলছেন পেপ্যাল নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে। তাহলে এর জন্য কাউকে বা কোনো গোষ্ঠীকে দায়ী করছেন?
জুনাইদ আহমেদ পলক : আমি লক্ষ্য করছি গত ৭দিন ধরে বিভিন্ন গোষ্ঠী এমনভাবে অপপ্রচার করছে যে, পেপ্যাল বাংলাদেশে আসলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। অথচ দেখুন এখানে ১৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স একটা সিকিউর চ্যানেলে মানুষ আনা শুরু করবে।
আর এর ফলে কিছু মানুষ ক্ষতিগ্রস্থও হবে। এরা অবৈধ ও প্রশ্নবিদ্ধ লেনদেনের একটি চক্র। এই ক্ষতিগ্রস্থ গোষ্ঠীই একটা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। পেপ্যালকে বারবার হিট করছে তাদের বিভিন্ন সাইটে গিয়ে বিভিন্নভাবে ইমেইল পাঠিয়ে।
আমরা পেপ্যালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং পেপ্যাল অফিসিয়ালিও যেটুকু সার্ভিস এখন আসবে সেটুকুও আমাদের কাছে ক্লিয়ার করেছে। আর এটি তো মুখের কথা নয়। এটির জন্য আমাদের অনেকবার মিট করতে হয়েছে, চুক্তি হয়েছে।
১৯ তারিখ পেপ্যালের এক্সপ্রেস সার্ভিসটা চালু হচ্ছে। পেপ্যালের সঙ্গে বাংলাদেশের ইন্টিগ্রেশন হচ্ছে। পেপ্যালের একটি সার্ভিসের প্রথম ধাপ ইন্ট্রোডিউস হতে যাচ্ছে। যে যেভাবেই বলুক আজ হোক, কাল হোক সত্য অবশ্যই বিজয়ী হবে। অতীতে বারবার ষড়যন্ত্র,অপপ্রচার হয়েছে কিন্তু দিনশেষে সত্যটাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পেপ্যাল নিয়ে আমরা খুবই আগ্রহী এবং আমরা মনেপ্রাণে চাই পেপ্যাল ধাপে ধাপে বাংলাদেশে তাদের সব সার্ভিসগুলো দেবে।
আবিদ হাসান : পেপ্যালের অন্য দুটি সেবা আউটবাউন্ড ও ই-ওয়ালেট তাহলে কবে নাগাদ চালু হবে? যখন বলা যাবে বাংলাদেশে পেপ্যালের পুর্ণাঙ্গ সেবা চালু আছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক : আমরা আশা করছি বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু পলিসি ইন্টিগ্রেশনের ফলে খুব দ্রুতই বাকি সুবিধাগুলো আউটবাউন্ড, ই-ওয়ালেট সেগুলোও পাব।
এখন আমাদের প্রয়োজন হচ্ছে প্রথমে ইনবাউন্ড ফ্যাসিলিটিসটা দেওয়া। পেপ্যালের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকেও ইকেওয়াইসি পলিসি অ্যাডাপ্ট করা নিয়ে আলোচনা-ডায়ালগ চালিয়ে যাচ্ছি। এই ইকেওয়াইসি হলে পেপ্যালের আউটবাউন্ড ও ওয়ালেট চালু সহজ হয়।
আবিদ হাসান : পেপ্যাল সেবা উদ্বোধনে পেপ্যালের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত থাকছেন কি?
জুনাইদ আহমেদ পলক : ১৪ অক্টোবরের আগে তারা আসতে পারতেন আবার ২০ তারিখের পরে আসতে পারবেন। কারণ তাদের ২০ তারিখে কোয়াটার্লি রিপোর্ট দিতে হয়। সে কারণে তাদের ভাইস-প্রেসিডেন্ট পর্যায়ে বা উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তারা বেশ অ্যাঙ্গেজ থাকবেন।
তবে পেপ্যালের লোকাল পার্টনার হিসেবে নয়টি ব্যাংকের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে থাকছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক তো থাকছেই, তারা এর সহ-আয়োজক। আমরা প্রত্যাশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পেপ্যালের একটি প্রতিনিধি দল কিংবা কোনো প্রতিনিধি বাংলাদেশে আসবেন আমাদের পরবর্তী যে পদক্ষেপগুলো আছে সেগুলো কীভাবে শুরু করা যায় তা নিয়ে। এটা চলমান প্রক্রিয়া, গত সপ্তাহে সোনালী ব্যাংকের একটি টিম আমেরিকা সফর করে আসছে।
আমরা যোগাযোগ নিয়মিত। আমাদের যোগাযোগ স্যানফ্রানসিসকোর সিলিকন ভ্যালির অফিসের সঙ্গে। সেখান হতে যখন যেটুকু অ্যাপ্রুভাল পাচ্ছি আমরা সেটুকুই বলছি। এখন বির্তক বা সমালোচনা যে যাই বলুক আমরা কিন্তু আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং পেপ্যালের সঙ্গে আমাদের সংযোগ ও সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে চাই।
কোনোভাবেই কারও কোনো উস্কানিতে বিভ্রান্ত হতে চাই না। কারণ এটা দেশের বৃহত্তর স্বার্থের ব্যাপার। অনলাইন ট্রানজিকশনে বিশ্বে পেপ্যাল এক নম্বর। বাংলাদেশে ধাপে ধাপে এদের সবগুলো সার্ভিস চালু করা আমাদের প্রথম গুরুত্ব।
এবার আসি মুল প্রসঙ্গে –
পেপ্যাল একটি স্বাধীন, সতন্ত্র বহুজাতিক বহুমাত্রিক অনলাইন ওয়ালেট ভিত্তিক অর্থ লেনদেনকারী কোম্পানী। নিঃসন্ধেহে এ ধরনের সেবা আমাদের দেশের মেধাভিত্তিক জাতি গঠনে, অনলাইন শ্রমিক বা অনলাইন ব্যবসা সম্প্রসারণে খুবই কার্যকরী। কিন্তু আমার কাছে এটা কোনভাবেই বোধগম্য নয় যে, দেশের সবচেয়ে মেধাবী, সৃজনশীল মানুষগুলি তথ্য প্রযুক্তিতে আউটসোর্সিং বা ফ্রীল্যান্সিং কাজ করে তারা কেন কোন টিউমেন্ট করার আগে একটু গবেষণা করেন না?
পেপ্যাল চাইলেই বাংলাদেশে সব ধরনের সেবা চালু করতে পারে না, আর তারা চাইলেও পৃথীবির কোন উন্নয়নশীল দেশ অনূমোদন দিতে পারে না, সে কারনেই পেপ্যাল মাত্র ২৯টা দেশে কাজ করে বাকি ১০৩টা দেশে শুধু মানী উইথড্রো ফেসিলেটি দেয় যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জুমের মাধ্যমে দিতে পারছে, বাকি ৯৬ টা দেশ থেকে শুধু একাউন্ট খুলা যায় লিমিটেড সার্ভিস দিয়ে আপনাকে অবশ্যই ইউএস ইস্যুইং ব্যাংক বা কার্ড দিয়ে একটীভ করতে হবে।
তাছাড়া পেপ্যাল একটি দেশে আসার ক্ষেত্রে তার বিজন্যাস কেস, রিস্ক,ইনফ্রা, আরওআই হিসাব করে। আমাদের ব্যাংকিং ইনফ্রা রেডি থাকতে হবে তার সাথে অবশ্যই ব্যবহারকারীদেরও। বাংলাদেশে আজ প্রায় ৮ বছর আগে প্রথম অনলাইন ট্রাঞ্জেকশন করেছিলাম, এখনো শুনি ৯৭% মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা করে ক্যাশ-অন ডেলিভারীতে, এখনো ২% ব্যবহারকারীও ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে না, ইণ্টার-ব্যাংক ফান্ড ট্রান্সফার নেই, তাহলে কেন পেপ্যালরা সব সেবা নিয়ে আসবে? এটা একটা ইকো-সিস্টেম সরকার এমন কিছূ নেই যে করে নাই। পেপ্যালের ওয়ালেট সেবা আনতে গেলে ই-কেঅয়াইসি লাগবে তার জন্য ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ লাগবে, সবগুলি বাংক কে বিইএফটিনের সাথে কোর-ব্যাংকিং সিস্টেম রিয়েলটাইম কানেক্ট করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা কাস্টমার দের রেডি হতে হবে, কারন ক্রেতা যদি না থাকে তাহলে কেন পেপ্যাল সব ধরনের সেবা অফার করবে? আবার বলছি –পেপ্যাল কি সেবা দিবে কবে আসবে তা তাদের প্রাতিস্টানিক সিদ্ধান্ত, এখানে সরকারের কোন দক্ষতা বা অদক্ষতার কোন প্রমান রাখে না। সরকার তা পলিসির যা যা দরকার সম্ভাব্য সব করেছে।
জুম আর প্যাপাল এক নয় বা কেউ বলছেওনা যেহেতু দুটি আলাদা এনটিটী কিন্তু জুম নিঃসন্দেহে পেপ্যাল সেবা। কারন পেপ্যাল জুমকে নভেম্ভর ২০১৫ সালে একুইজেশন করার পর একমাত্র জুমকে অথরাইজ করেছে প্যাপাল একাউন্ট লগিন করে ফান্ড ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছানো। বাংলাদেশের অনেক ফ্রীলেন্সার মার্কেটপ্ল্যাসের বাহিরে কাজ করেন, যেখানে মার্কেটপ্ল্যাসগুলিতে উচ্চ ফী ধার্য করা হয়ে থাকে ব্যাতিরেকে ২০-৩০%, এখন জুম থাকার ফলে ইউএসের ক্লায়েন্টরা খুব সহজেই প্যাপাল ব্যবহার করে প্রথমবারের মত ফ্রীল্যান্সারদের কাছে ৪০-৫০ মিনিটের মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফার করে নিয়ে আসতে পারবে।
এত কম সময়ে সেবাটি পোঁছে দিতে পারাই এই পেপ্যাল জুমের সকিয়তা।
পরিশেষে বলতে চাই, আমাদের ক্রেতাদের প্রস্তুতি থাকেল প্যাপালের সব সেবা আস্তে আস্তে সব আসবে, বাংলাদেশ কেন পৃথিবীর কোন এমারজিং দেশ সব সেবা দিতে পারবে না বা পারেও নি। এতে ব্যাপক মুদ্রা পাচার হয়ে যাবে অনলাইন/অফলাইনে, দয়া করে গবেষণা করে দেখুন – প্রতিবেশী বড় বড় দেশগুলি কতগুলি প্যাপালের সেবা দেয় আমাদের প্রয়োজন ছিল প্যপালের বিশেষ এই সেবাটি তার জন্য। বিশ্বে ফ্রীল্যান্সারের সবচেয়ে বড় দেশ ভারতেও শুধু টাকা উত্তোলন সুবিধাটুকু দেয়া হয়েছে, এর আগেতো এটাও ছিল না। সবার কাছে অনুরোধ বিবেচনার সাথে টিউমেন্ট এবং মতামত দিন।
আমি Fahim Sarkar। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
onek pritkhi celam paypal jonno, kinto asar gora bali, amder ke digital bas delen ojaed & polok, onara jane na paypal ki jinis, age onader shikte hobe, tara moey kore sabek sorasto montri shara khaton blecelen faceook bongo bondur sopno celo