আসুন নিজেই বানাই চমৎকার বনসাই [পর্ব-০৮] :: প্রাকৃতিক উদ্ভিদ দ্বারা বনসাই তৈরি ও চারা উত্তলন প্রক্রিয়া।

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই? আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

নানা ব্যস্ততার কারনে আপনাদের মাঝে বহুদিন আসা হয়নি। আসলে টিটি প্রতিদিন ব্রাউজ করা হয় তবে টিউন করা হয়নি। আমারআগামী 20/4/2016 তারিখ হতে অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষা। তাই এখনও আসার কোন কারন ছিল না। তবে ভালো লাগছিল না।  তাই ভাবলাম একটা পর্ব লিখে ফেলি। এখন হতে সময় পেলে মাঝে মাঝে লিখব। আর 4/6/2016 এর পর নিয়মিত হব ইনসাল্লাহ। আমার জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন যাতে ভালোভাবে গ্রাজুয়েশনটা সম্পন্ন করতে পারি।

যাইহোক কাজের কথায় আসি, গত সপ্তম পর্বে আলোচনা করেছিলাম গ্রাফটিং এর মাধ্যমে বনসাই চারা উৎপাদন নিয়ে। আর তার ধারাবাহিকতায় আজ আলোচনা করব প্রাকৃতিক উদ্ভিদ দ্বারা বনসাই তৈরি ও চারা উত্তলন প্রক্রিয়া নিয়ে। পুরো বিষয়টা বিস্তারিত আলোচনা্ করব ইনসাল্লাহ।

যেহেতু অনেকদিন পর নতুন পর্ব লিখছি তাই নিচে আগের পর্বের লিংক গুলো দিলাম। যাতে নতুনরা বুঝতে ও দেখতে পারেন।

আসুন নিজেই বানাই চমৎকার বনসাই [পর্ব-০১] :: বনসাই পরিচিতি

আসুন নিজেই বানাই চমৎকার বনসাই [পর্ব-০২] :: বনসাই এর প্রকারভেদ চমৎকার সব ছবি সহ

আসুন নিজেই বানাই চমৎকার বনসাই [পর্ব-০৩] :: বনসাই এর জন্য উপযুক্ত গাছ নির্বাচন

আসুন নিজেই বানাই চমৎকার বনসাই [পর্ব-০৪] :: টব সংগ্রহ ও টবের মাটি তৈরি

আসুন নিজেই বানাই চমৎকার বনসাই [পর্ব-০৫] :: বনসাই ট্রেনিং এর জন্য উদ্ভিদ উৎপাদন প্রক্রিয়া

আজ এই ধারাবাহীকের ৮ম পর্বে আপনাদের দেখাব কি করে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ দ্বারা বনসাই তৈরি ও চারা উত্তলন পকরা হয়।  তাহলে চলুন শুরু করা যাক...

প্রাকৃতিক পরিবেশে জন্মানো উদ্ভিদ হতেও ভালো মানের বনসাইতৈরি করা যায়। তবে েএ প্রক্রিয়ায় সময় একটিু বেশি লাগে। আর এভাবে প্রাকৃতিক কোন গাছকে বনসাই বানাতে আপনাকে যতেষ্ট সচেতন থাকতে হবে। আর হ্যা কারো ক্ষতি করে চারা সংগ্রহ করবেন না। প্রকৃতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে টিকে থাকা কষ্ট, সহিঞ্চু গাছ, যাদের যথেষ্ট বয়স হয়েছে অথচ তেমন বাড় হয়নি, এমন ধরনের গাছ বনসাই করার জন্য উপযুক্ত। এসব গাছ পোড়া অট্টালিকা, ভাঙ্গা প্রাচীর, পাথুরে জমি অথবা পাহাড়ী এলাকায় পাহাড়ের খাদে জন্মে থাকে। এরা ঠিকমত খাদ্য আহরণ করতে না পারায় কিছুটা বামনত্ব লাভ করে। সাধারনত এমন ধরনের গাছ বনসাই করার জন্য সবথেকে বেশি ভালো হয়।

চারা উত্তলনের সময়ঃ

পত্রঝড়া উদ্ভিদের জন্য সাধারনত শরৎ কাল হতে বসন্ত কাল পর‌্যন্ত চাড়া উত্তলনের সবথেকে উপযুক্ত সময়। কারন এসময় উদ্ভিদের বৃদ্ধি অনেকটা বন্ধ থাকে। তাই এসময় উদ্ভিদ সংগ্রহ করলে ক্ষতি কম হয়্। তবে হ্য আপনি যদি অন্য যেকোন সময় চারা উত্তলন করতে চান তো করতে পারেন। কিন্তু সেজন্য আপনাকে গাছে প্রথমেই এ্যন্টিট্রান্সপিরেন্ট স্প্রে করতে হবে। এটি আপনি কোন নার্সারিতে বললেই পাবেন। অথবা যদি এটা না পান তবে আগেই গাছের অর্ধেক পাতা কেটে ফেলুন। তবে হ্য স্প্রে করাই বেশি ভালো।

আর চীরসবুজ গাছ যেগুলো সেগুলো সংগ্রহের জন্য সাধারনত শীত ও বসন্তকাল বেশি উপযোগী।

এবার চলুন দেখেনেয়াযাক একটি আদর্শ বনসাই চারার যে প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যগুলি থাকবেঃ

  •  ভাল মূল ভিত্তি আছে এমন গাছ।
  •  সুন্দর Trunk-base আছে।
  •  স্বাভাবিক সৌন্দর্য (Natural beauty) আছে।
  •  গাছের বাকলে বয়সের ছাপ আছে।
  •  মূল কান্ডে কোন দাগ থাকবে না।
  •  মূল কাণ্ডের সুন্দর Taper থাকবে।
  •  প্রচুর ডালপালা আছে এবং ডালগুলিতে প্রচুর পাতা আছে।
  •  গাছে পোকার আক্রমন থাকবে না।
  • গাছ একেবারে সু বা রোগা হবে না।
  • প্রকৃতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে টিকে থাকা কষ্ট সহিঞ্চু গাছ।
  • যাদের যথেষ্ট বয়স হয়েছে অথচ তেমন বাড় হয়নি।

চারা সংগ্রহের পদ্ধতিঃ

চারা সংগ্রহের জন্য ছোট খুন্তি ব্যবহার করতে পারেন। আর প্রাথমিক ভাবে চাড়া লাগানোর জন্য একটা মাঝাড়ি আকারের মাটির পাত্র বা স্বল্প দামি টব নিতে পারেন। চারা তোলার আগে স্প্রে যুক্ত বোতল দিয়ে পাতায় ও শাখায় পানি স্প্রে করবেন। তারপর গাছকে কেন্দ্র করে গাছের আকার অনুসারে পরিমানমত দূরত্ব বজায় রেথে বৃত্তাকারে মাটি খুরে চাড়া উত্তলন করবেন। লক্ষ রাখবেন চারার মূল যেন কোন অবস্থাতেই ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। তাই চারা তোলার সময় ধিরে ও সতর্কতার সাথে কাজ  করবেন। চারা তোলার পর যত দ্রুত সম্ভত তা পাত্রে বা টবে লাগাবেন। লক্ষ রাখবেন মূলের মাটির অদ্রতা বা ভেজা ভা্ব যেন নষ্ট না হয়। কোন কারনে পাত্রে চারা লাগাতে দেড়ি হলে মূলের মাটি পলিব্যাগ দিয়ে মুড়িয়ে রাখবেন।

লক্ষকরুনঃ

  • চারা উত্তলনের সময় এর নিচের আবর্না ও অন্য কোন উদ্ভিদ থাকলে তা পরিস্কার করুন।
  • চারার অপ্রয়োজনীয় শাখা গুলো চারা তোলার আগেই কেটে বাদ দিয়ে দিন।চাইলে দু এক দিন আগেই কেটে ফেলতে পারেন।
  • চারার চারপশে যে বৃত্তাকার যায়গা খুরবেন তা আহেই চিহ্নিত করে নিন।
  • বৃত্তের ব্যাস হবে গাছ যতটুকু লম্বা তার তিন ভাগের এক ভাগ। তাহলে মূল ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
  • চিহ্নিত অংশ ধীরে ধীরে খনন করুন যাতে গাছের গোড়ার মাটি কোন ভাবে ভেঙে না যায়। দরকার হলে গাছের গোরার মাটি কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে দিতে থাকুন।
  • খেরার সময় চারায় পানি স্প্রে করতে থাকুন যাতে চারা ঢলে না পড়ে।
  • সাবধানে নারাচারা করবেন যাতে চারার গোড়ার মাটি ভেঙে না যায়।

ব্যাস্ততার কারনে প্রয়োজনীয় চিত্র গুলো দিতে পারলাম না। তবে কারও বুঝতে সমস্যা হলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন। ভালো থাকুন।

আর হ্য অবশ্যই কপিপেস্ট বর্জন করুন

ফেসবুকে আমাকে পাবেন এখানে

Level 0

আমি শাকিল আহম্মেদ শিমুল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 46 টি টিউন ও 122 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি শাকিল আহম্মেদ শিমুল। আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ ।..তবে মনের ভুলে মাঝে মাঝে কিছু অসাধারন কাজ অবস্য করে ফেলি। তবে তা কি ভাবে করি নিজেই জানিনা। নতুন প্রযুক্তির প্রতি আমার প্রবল আকর্ষন নবাগত যে কোন প্রযুক্তিই ভালোলাগে তাই সারা জীবন কাটাতে চাই প্রযুক্তির সাথে।...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

এক কথায় চমৎকার ভাই!!