হ্যাকার শব্দ টা শুনলেই আমাদের সামনে একটা মুখস পড়া মুখ ভেসে উঠে , না ? আসলে মুখ টা যার, সে কোনকালেই হ্যাকার ছিলো না, যাহোক যে ফেইস টা আমরা দেখি ফেইস টা এনোনিমাসের অফিশিয়াল বা সবথেকে বেশী ব্যাবহৃত দেখা যায় এমন চিহ্ন। আমি জানি অনেকেই এ নিয়ে হয়তো জানেন, লিখেছেন ও অনেকে। বাট আমি এই আর্টিকেল টাকে ইউনিক বলবো , ভেতর থেকে লেখা ভাবতে পারেন। আপনাদের কিছু ভুল ধারনা থেকেও সরানো দরকার।
ওকে, খুলে বলতে গেলে অ্যানোনিমাস একটা হ্যাক্টিভিস্ট মানে, হ্যাকার দের গ্রুপ । এখানে একটু ছোট্ট কথা আছে, অ্যানোনিমাস আসলে একটা গ্রুপ বলে আমরা জানলেও আসলে অ্যানোনিমাস কোন গ্রুপ না, এটা একটা মতবাদ বা বিশ্বাস। একজন অ্যানোনিমাস হ্যাকার নিজেকে এই দলের একজন সদস্যা ভাবেন, এবং কোন রকম লাভের চিন্তা না করেই কাজ করে যান নিজের অবস্থান থেকে ।
মুল একটা মতবাদ বলতে গেলে বিপদে পড়তে হবে। খুলেই বলা যাক, অ্যানোনিমাস অন্যায় সহ্য করে না, অ্যানোনিমাস প্রতিবাদ করে, অ্যানোনিমাস ওপেন ওয়ার্লড এর সপক্ষে, অ্যানোনিমাস মানুষের প্রাইভেসী তে বিশ্বাস করে। অ্যানোনিমাস যুদ্ধ করে সত্যের পক্ষে।
ধরা যাক কোন একটা কম্পানী কোনভাবে দুর্বল কোন গ্রুপ বা খোদ একটা দেশের সাথে অন্যায় করতেছে, তারা অফকোর্স অ্যানোনিমাসের চোখে অপরাধী। আমি আরেকটু ক্লিয়ার করে বলি, তাহলে বুঝবেন,
গেলবার বিশ্বকাপ ফুটবল হলো ব্রাজিলে , তাই না ? তো ব্রাজিলের মানুষ নিজেদের হাজার হাজার সমস্যায় বাচে না, খুব বেশী অভাবে বাস করে, তাদের দিকে সরকারের লক্ষ্য নাই, এদিকে বিশ্বকাপের জন্য বিলিওন বিলিওন ডলার খরচ করে ফেললো। ব্যাপার টা অ্যানোনিমাসের কাছে অন্যায় মনে হলো, সো প্যারা খাওয়া শুরু করলো ব্রাজিলের প্রতিটা সরকারী সাইট, খোদ ফিফার সাইট, সুধু তাই না, যেই যেই কম্পানী সেবার স্পন্সর ছিলো সবাই ফেস করলো অ্যানোনিমাস কি জিনিষ।
সোজা উত্তর , হ্যাক করে। ডীডস করে একটা সাইট বন্ধ করে দেয়া আসলে প্রথম ধাপ। অ্যানোনিমাস হ্যাকার রা নিজেদের যায়গায় সেরাদের একেকজন বলেই জানি। তারা গোপন ক্লাসিফাইড তথ্য ফাস করে দেয়, ইভেন জুলিয়াস এ্যাসাঞ্জ নাম টা তো চেনেন, অ্যানোনিমাস এর পুর্ন সাপোর্ট ছিলো তার উপর। তিনি গ্রেপ্তার হবার প্রতিবাদ এ এনোনিমাস যা করছে তাও মনে হয় এ লাইনের সবাই জানেন।
অ্যানোনিমাস ওপেন সোর্স সবকিছুকেই প্রমোট করে, লিনাক্সের মত ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম গুলোকে সবসময় ই নানা ভাবে সাপোর্ট দিয়ে আসছে এণোনিমাস। ইভেন নিউবি হ্যাকার দের অতি ফেভারেট টুল LOIC বা Low Orbit Ion Cannon অ্যানোনিমাসের এক প্রগ্রামার এর করা।
আর সবথেকে বড় যেটা করা, প্রতিটা অন্যায়ে রাস্তায় নেমে আসে এনোনিমাস,
প্রতিবার ই কজন করে জেল খাটে, থেমে যায় না, গলার আওয়াজ কমিয়ে দেয় না।
কেউ জানে না, সোজা উত্তর টাই দিলাম। পুরো দুনিয়াব্যাপী ছরিয়ে আছে এদের মেম্বার, তাদের সংখ্যা লাখের উপরে। যারা ধরা পড়েন তাদের কাছ থেকেও তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায় না। কারন টা সিম্পল তারা নিজেরাও জানেন না আসলে এ গ্রুপ টার মুল টা কোথায়।
আর এ পর্যন্ত যতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, দেখা গেছে সবাই ই মেম্বার, কারো প্ররচোনায় না, অন্যায় মনে হবায় নিজ অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করেছেন সবাই।
আবার সিম্পল উত্তর, কেউ না। এজন্য আমাদের দেখতে হবে এদের অফিশিয়াল লোগোর দিকে।
দেখেন মানুষ টার কোন মাথা নাই। বুঝে গেছেন মানে টা ? অ্যানোনিমাস এর কোন নেতা নাই, এখানে সবাই নেতা, সবাই যুদ্ধের ডাক দিতে পারেন। অন্যদের কাছে যৌক্তিক মনে হলে কাধে কাধ মেলান। এভাবেই গ্রুপ টা কাজ করে।
আরো লিখবো, অনেক দিন লেখি না, কেমন যেনো হচ্ছে লেখা। পরের পর্বে আরো চরম কিছু তথ্য থাকবে আশা করতেছি, সে পর্যন্ত ধন্যবাদ।
মুল লেখার সোর্সঃ অ্যানোনিমাস, সৌজন্যে ফাজলামী ডট কম
আমি শিমুল শাহরিয়ার। Founder, WebSea Internet Solutions, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 90 টি টিউন ও 497 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ব্র্যান্ড কনসাল্টেন্ট, ফুলস্ট্যাক ডেভেলপার/ডিজাইনার। আমাকে পাওয়া যাবে @ https://ShimulShahriar.com
অনেকদিন পরে দেখলাম আপনারে techtunes এ !!