হ্যালো টেকটিউনস কমিউনিটি, কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালোই আছেন। আমি আজকে আপনাদের অসাধারণ ক্রিয়েটিভ কিছু টপিকস তুলে ধরবো, যা হয়তো আপনিও জানেন কিন্তু এই সৃজনশীলতাকে কীভাবে আপনি শখের পাশাপাশি নিজের জীবনের কিছু কাজে লাগাতে পারেন সেটি উঠানোই আমার কাজ।
ক্রিয়েটিভ কাজ মানুষ ভালোবেসে করে, এটা জোর পূর্বক কেউ করতে পারে না বা করাতে পারে না। ক্রিয়েটিভ কাজ অনেকটা মানুষ শখের বসে করে, কিন্তু একটু চিন্তা ভাবনা করে আগালে এটি একজনের মেইন ইনকাম সোর্স হতে পারে বা মেইন ইনকামের সাথে একটু সহযোগিতা করতে পারে। আজকের এই টিউনের উদ্দেশ্যও তাই।
ক্রিয়েটিভ জব আপনি শখ থেকে কাজে পরিনত করতে পারেন। বাড়ি বসে ক্রিয়েটিভ কাজ এটা উন্নত বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়। বাড়ি বসে ক্রিয়েটিভ কিছু করলে আপনি এক্সট্রা কিছু টাকা পাবেন, যেটা আপনাকে মেইন ইনকামে বেশ সহযোগিতা করবে। তাছাড়া আপনি চাইলে এটা আপনার অন্য অনেক সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। ঠিক এরকম কিছু ক্রিয়েটিভ কাজ যদি আপনি জানেন এবং সেই সাথে আপনি চান যে এটা আপনার বাড়ি থেকে ছোট বিজনেস হয়ে উঠুক, সেই জন্যই আমার আজকের এই ভিন্ন আয়োজন। আপনার এই ক্রিয়েটিভ কে আরও একটু বাড়িয়ে নিন এই কয়েকটি কাজের সোর্স জেনে। আসুন তাহলে শুরু করি।
আপনি যদি স্পেশালভাবে ম্যাথ বা ইংরেজি বা অন্য কোন বিষয়ে জানতে খুব আগ্রহী হন এবং সেই বিষয়ে নিজেও ভালো জানেন, তাহলে এই জন্মগত শখটাকে আপনি নিজের কাজে লাগাতে পারেন। আপনি আপনার এলাকার স্টুডেন্টদেরকে সাহায্য করতে পারেন। তারা আপনার কাছ থেকে শিখবে এবং তার বিনিময়ে আপনি হালকা কিছু ইনকাম সোর্সও পেয়ে যাবেন। তাতে আপনার জানার আগ্রহ, সৃজনশীলতা সাথে এক্সট্রা কিছু সম্মানও আসবে।
আপনি যদি প্রফেশানাল বিষয়ে দক্ষ হন, যা অনেকের দরকার তাহলে আপনি এই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কিছু মানুষকে হেল্পও করতে পারেন। এই দক্ষতা হয়তো আপনাকে নতুন করে অন্যদেরকে চেনাতে পারে এবং আপনি হয়তো ভালো কিছু ইনকামও করতে পারবেন।
আপনি যদি শখের বসে গার্ডেন করেন তাহলে এটাকে একটু পরিকল্পনা করে আপনি নিজের কাজে লাগাতে পারেন। আপনি আপনার বাড়ির চারপাশে কিছু ফুল, শাক-সবজি বা অন্য কিছু চাষ করে সেটা নিজের বাড়ির কাজে লাগানোর সাথে সাথে আপনি নিজেদের ছোট বিজিনেস দাঁড় করাতে পারেন। আপনি পরিকল্পনা করে সারা বছর এটি করতে পারেন নির্বিঘ্নে।
আমাদের সকলের প্রায় মিউজিকের প্রতি দুর্বলতা আছে। আর সেই সাথে যদি আপনি একটু গাওয়ার প্রতি আগ্রহী থাকেন তাহলে একটু ভালো করে প্র্যাকটিস করে সেটা মিডিয়া এবং অন্য অকেশনে সেটা কাজে লাগিয়ে নিজের সুনাম, সাথে কিছু ইনকামও ঘরে আনতে পারেন। এক সময় এটি আপনাকে আরও বড় সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।
ফুড রিজার্ভেশন খুব সহজ কাজ নই। এটা সবাই ভালোভাবে করতে পারে না। একটু নিয়ম অনুসারে ফুড সংরক্ষণ করতে পারলে এটা ভালো ফল দেয়। যদি আপনি এই ফুড রিজার্ভেশন ভালো জানেন, তবে পরিচিত অনেককে পাবেন যারা এই কাজ শেখার জন্য খুব আগ্রহী। তাদের আপনি এই প্রশিক্ষণ দিয়ে বেশ কিছু টাকা নিজের ইনকামে যোগ করতে পারেন।
আপনার যদি ভালো পেইন্টিং দক্ষতা থাকে তবে আপনি এই দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারেন। আপনি নিজে পেইন্টিং করতে পারেন বাড়ি বসে, সেই সাথে মানুষকে শেখাতেও পারেন। যেটা আপনাকে টাকা-সম্মান সবই দিবে। আর্ট বাচ্চা এবং বয়স্ক সবারই খুব আগ্রহের বিষয়।
আপনার যদি ভালো যোগাযোগ দক্ষতা থাকে তবে আপনি অনলাইন টিউটোরিং এর কাজ করতে পারেন। অনলাইন এখন শেখার এবং শেখানোর বড় মাধ্যম। সেহেতু আপনি যদি ভালো অনলাইন এক্সপার্ট হন এবং সেই সাথে মানুষকে শেখাতে ভালবাসেন সেহেতু এই দক্ষতাকে কাজে লাগান এবং সেটা আপনার বড় একটা ক্ষেত্র হয়ে বাসায় বসে কাজের অপশন হিসাবে।
আপনি কি আপনার এলাকা বা পার্শ্ববর্তি এলাকা নিয়ে খুব ভালো জানেন। সেখানকার রেস্টুরেন্ট, খেলার মাঠ, স্কুল-কলেজ বা অন্য অনেক বিষয়। তাহলে আপনি অনলাইনে গাইডিং করতে পারেন ঘরে বসে। অনেকে এটার জন্য খুব খোঁজা-খোঁজা করে। বিশেষ করে যারা ঐ এলাকায় নতুন। আপনি তাদের নির্দিষ্ট খরচের মাধ্যমে গাইড করতে পারেন। এটা অনেক বড় সুযোগ হতে পারে আপনার জন্য।
টেকনোনোলজি এখন বড় একটা ক্ষেত্র হয়ে আছে। জীবনের সব কাজে এখন এর ব্যাপক ব্যবহার। স্মার্টফোন থেকে শুরু করে বাসার কম্পিউটার সব জায়গায় এটা খুব প্রয়োজন। সেহেতু আপনি যদি টেকনোলজির ছোট খাটো বিষয়ে খুব এক্সপার্ট হন, তাহলে আপনি এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাসায় বসে যতোটুকো পারেন মানুষকে হেল্প করতে পারেন। যেটা আপনাকে কিছু প্রফিট নিয়ে আসবে।
ডিজাইনের অনেক সুযোগ আছে বর্তমান যুগে। আপনি যদি ভালো ডিজাইন করতে পছন্দ করেন। তাহলে বিভিন্ন ডিজাইন সেল করে, আবার ডিজাইন শিখায়ে অনেক ভালো আয় করতে পারেন। তাছাড়া অনেক বেশি মানুষকে এই পেশায় নিয়েও আসতে পারেন। জীবনের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে এই ডিজাইন জড়িত। সেহেতু ঘরে বসে কাজের ক্ষেত্রে এটা আপনার জন্য বড় একটা অপশন।
আমি আপনাকে বলবো না, এইগুলোই শুধু ক্রিয়েটিভ কাজ, আরও অনেক কাজ পাবেন যা আপনি বাড়ি বসে আপনার শখের সাথে সাথে করতে পারবেন। যা হয়তো আপনাকে আরও একটু লাভবান করবে। যেকারনে শুরু করে দিননা আজকে থেকে। খুঁজে বের করুন আপনি কি পারেন, আর কীভাবে আগাবেন। আশা করি সফল হবেন।
টেকটিউনস বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ টেকনোলজি নেটওয়ার্ক। আপনার যদি ক্রিয়েটিভ লেখালিখির প্রতি দারুণ অভিজ্ঞতা থাকে, আপনি যদি দারুণ সব প্রযুক্তি বিষয়ক ফিচার আর্টিকেল করতে পারেন তাহলে আপনি বাংলা ভাষার এই সর্বশ্রেষ্ঠ টেক পোর্টালে গর্বিত সুপ্রিম টিউনার হিসেবে কাজ করতে পারেন। টেকটিউনস সুপ্রিম টিউনার হিসাবে কাজ করলে আপনার বাংলাদেশের বড় বড় টেকম্যানের সাথে কাজের সুযোগ থাকবে। তাছাড়া এক্সট্রা কিছু সম্মানিও পাবেন আপনি। আমি মনে করি কম সময়ে ক্রিয়েটিভ কিছু করার এটা একটা দারুণ সুযোগ।
টেকটিউনস সুপ্রিম টিউনার হিসাবে আবেদন করতে পারবেন এখান থেকে।
আপনাদের আরও কিছু পছন্দের সৃষ্টিশীল কাজের ঘটনা থাকলে আমাকে জানাতে ভুলবেন না, আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি আইটি সরদার। Web Programmer, iCode বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 261 টি টিউন ও 1750 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 22 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি ইমরান তপু সরদার (আইটি সরদার),পড়াশুনা করেছি কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে; পেশা কন্টেন্ট রাইটার এবং মার্কেটার। লেখালেখি করি নেশা থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৩ থেকে। লেখালেখির প্রতি শৈশব থেকেই কেন জানি অন্যরকম একটা মমতা কাজ করে। আর প্রযুক্তি সেটা তো একাডেমিকভাবেই রক্তে মিশিয়ে দিয়েছে। ফলস্বরুপ এখন আমার ধ্যান, জ্ঞান, নেশা সবকিছু...
Awesome 🙂