আসসালামুআলাইকুম শুরু করছি ৯ম -১০ম এবং উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর জন্য হিসাব বিজ্ঞান। আমি শুধু এখানে হিসাব বিজ্ঞানের কিছু কৌশল এবং টিপস নিয়ে আলোচনা করব । কেউ যদি আমার সাথেই সব গুলো পর্ব শেষ করতে পারেন আমি আশা করব আপনি
হিসাব বিজ্ঞানে যত কাঁচাই থাকুন ইনশাল্লাহ আর সমস্যা থাকবেনা।
গত পর্বে আমরা সম্পদ ও দায়ের ধরন নিয়ে আলোচনা করেছি। আজ আলোচনা করব আয় এবং ব্যয়ের ধরন নিয়ে। এই আয় ও ব্যয়ের ধরন আর্থিক অবস্থার বিবরণীতে বিশেষ ভাবে কাজে লাগবে।
আয়(R)- ব্যবসায়ের বিভিন্ন ধরনের আয় হতে পারে , আয় কে প্রধানত ২ ভাগে ভাগ করা যায় ১)পরিচালন আয়। ২) অপরিচালন আয়।
১)পরিচালন আয়- যে সকল আয় করার উদ্দেশ্যে ব্যবসায় পরিচালনা করা হয় সে সকল আয় কে পরিচালন আয় বলে । পরিচালন আয় কে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায় - ক)প্রত্যক্ষ পরিচালন আয় খ) পরোক্ষ পরিচালন আয়
ক)প্রত্যক্ষ পরিচালন আয়- এই ধরনের আয় হল পন্য বিক্রয় ও সেবা আয়,
খ) পরোক্ষ পরিচালন আয় - এই ধরনের আয় হল কমিশন প্রাপ্তি, বাট্রা প্রাপ্তি(নগদ), চালানি কারবারের লাভ, পুরাতন কুঋন সঞ্চিতি।
২) অপরিচালন আয়- এই ধরনের আয় ব্যবসায় পরিচালনের বাইরে হয় ,এই ধরনের আয়ের মধ্যে রয়েছে- স্থায়ী সম্পদ বিক্রয় হতে মুনাফা, ডেবিট উদ্ধৃত্তের সুদ/সম্পদের সুদ,বিনিয়োগের সুদ, লগ্নির সুদ, সঞ্চয়পত্রের সুদ, আমানতের সুদ, ব্যাংজমার সুদ, প্রদত্ত ঋনের সুদ, ক্রয় কৃত ঋনপত্রের সুদ, সরকারী বন্ডের সুদ, সুদ আয়, উত্তোলনের সুদ, শিক্ষানবিশ সেলামী, প্রাপ্ত ভাড়া,উপ ভাড়া, উপভাড়া প্রাপ্তি।
ব্যয় (E)- ব্যবাসায় পরিচালনা কিংবা কাচামাল ক্রয় ইত্যাদি সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যয় হতে পারে। ব্যয় কে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা- ১)পরিচালন ব্যয় ২) অপরিচালন ব্যয়
১)পরিচালন ব্যয়- ব্যবসা পরিচালনা করতে যে সকল ব্যয় হয় সে সকল ব্যয় কে পরিচালন ব্যয় বলে পরিচালন ব্যয় কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা- ক)প্রত্যক্ষ পরিচালন ব্যয় খ) পরোক্ষ পরিচালন ব্যয়
ক)প্রত্যক্ষ পরিচালন ব্যয়-এই ধরনের ব্যয় পন্য ক্রয় কিংবা উৎপাদনের সাথে সরাসরি সমস্পৃক্ত থাকে এই ধরনের ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে-
ক্রয়, মজুরি/ মজুরি ও বেতন, ক্রয় পরিবহন/আন্তপরিবহন/অন্তর্মুখী পরিবহন/ পন্য আনয়ন খরচ/পরিবহন/বহন খরচ, জাহাজ ভাড়া/জলযান ভাড়া, ডক চার্জ, পন্য খালাস খরচ,শুল্ক/আমদানি শুল্ক/আবগারি শুল্ক/নগর শুল্ক, বিশেষ প্যাকিং খরচ, কুলির খরচ, কারখানার ভাড়া, কারখানার কর ও বিমা, গ্যাস, জ্বালানি ও শক্তি, বিদ্যুৎ ও শক্তি, আলো ও তাপ,কারখানার যাবতীয় খরচ।
খ) পরোক্ষ পরিচালন ব্যয় -এই ধরনের ব্যয় পন্য ক্রয় কিংবা উৎপাদনের সাথে সরাসরি সমস্পৃক্ত থাকে না তবে বিক্রয় ও বন্টনের সাথে থাকে। এই ধরনের ব্যয়ের মধ্যে হল-বেতন, বেতন ও মজুরি, বিজ্ঞাপন, প্যাকিং খরচ, রপ্তানিশুল্ক, বিক্রয় প্রতিনিধির কমিশন, ভ্রমন খরচ, প্রদত্তবাট্রা/মঞ্জুরিকৃত বাট্রা/বাট্রা প্রদান/বাট্রা(ডেবিট), বাজারজাত করন খরচ/বিপনন খরচ, চালানি কারবারের ক্ষতি, ভাড়া/প্রদত্ত ভাড়া, টেলিফোন খরচ, ইন্টারনেট খরচ,যাতায়াত খরচ, যোগাযোগ খরচ, বিমা খরচ, অফিসের ভাড়া/ অফিসের যাবতীয় খরচ, কর ও অভিকর, সাধারন খরচ,মনিহারি/ছাপা ও মনিহারি, পরিচালকের ফি, বোনাস, মহার্ঘ ভাতা ইত্যাদি।
২) অপরিচালন ব্যয়- ব্যবসায় পরিচালনার বাইরেও কিছু খরচ হয় এই ধরনের খরচ কে অপরিচালন ব্যয় বলে । এই ধরনের ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে- স্থায়ী সম্পদ বিক্রয় জনিত ক্ষতি, কমিশন খরচ, প্রদত্ত কমিশন, কমিশন প্রদান, ব্যাংক চার্জ, ঋনের সুদ/বন্ধকী ঋনের সুদ, মূলধনের সুদ, শিক্ষানবিশ ভাতা, বিবিধ ক্ষতি, দুর্ঘটনা জনিত ক্ষতি, আগুনে বিনষ্ট পন্য ইত্যাদি
উপরোক্ত আয় ব্যয় গুলো যদি ভালো ভাবে আয়ত্ব করা যায় তাহলে আর্থিক বিবরনী অনেকটা সহজ হবে। দেখা হবে আগামী পর্বে অন্য কোন বিষয় নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। আমার এই লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয় এখানে
লেখাটি বোঝতে সমস্যা হলে আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন ফেইসবুকে
ধন্যবাদ। 🙂
আমি মোঃরকিবুল ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 21 টি টিউন ও 80 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
thanks. I hope, you will complete your topic accordingly