মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক হিসাব বিজ্ঞানঃ পর্ব(২) – সম্পদ এবং দায়ের ধরন

আসসালামুআলাইকুম শুরু করছি ৯ম -১০ম এবং উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর জন্য হিসাব বিজ্ঞান। আমি শুধু এখানে হিসাব বিজ্ঞানের কিছু কৌশল এবং টিপস নিয়ে আলোচনা করব । কেউ যদি আমার সাথেই সব গুলো পর্ব শেষ করতে পারেন আমি আশা করব আপনি
হিসাব বিজ্ঞানে যত কাঁচাই থাকুন ইনশাল্লাহ আর সমস্যা থাকবেনা।
আজকে আমি আলোচনা করব সম্পদ এবং দায়ের ধরন । গত পর্বে দেখিয়েছি সম্পদ এবং দায় কোন গুলো।
সম্পদ (A)- কোন ব্যবসায় পরিচালনা করতে হলে অবশ্যই সম্পদের প্রয়োজন রয়েছে সাধারণত ব্যবসায়ে তিন ধরনের সম্পদ থাকে
১)স্থায়ী সম্পদ
২) বিনিয়োগ
৩) চলতি সম্পদ

১)স্থায়ী সম্পদ- যে সকল সম্পদ মুনাফা অর্জনের জন্য বারবার ব্যবহার করা হয় অই সকল সম্পদ হল স্থায়ী সম্পদ। এই ধরনের সম্পদ হতে এক বছরের বেশি সময় ধরে সুবিধা পাওয়া যায়। সাধারণত মূলধন বা দীর্ঘ মেয়াদী উৎস থেকে প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা স্থায়ী সম্পদ অর্জন হয়। এই স্থায়ী সম্পদ কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা- ক) অবচয় যোগ্য খ) অবলোপন যোগ্য

ক) অবচয় যোগ্য - এই ধরনের সম্পদ ক্রমাগত ব্যবহারে ফলে এটি ক্ষয় প্রাপ্ত হয় বা মুল্য হ্রাস পায়। এই মুল্য হ্রাস পাওয়া কে অবচয় বলে। এই ধরনের সম্পদ হল- খুচরা যন্ত্রাংশ, মোটর গাড়ী, আসবাবপত্র, কলকব্জা ও যন্ত্রপাতি,দালানকোঠা,অফিসসরঞ্জাম, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ইত্যাদি।
খ) অবলোপন যোগ্য - এই ধরনের সম্পদ ও ব্যাবহারের ফলে মুল্য হ্রাস পায় তবে এই ধরনের সম্পদের মধ্যে ইজারা সম্পত্তি ব্যাতিত বাকী গুলো দেখা বা ধরা ছোঁয়া যায় না । এই ধরনের সম্পদ হল- ইজারা সম্পত্তি ,প্রাথমিক খরচাবলী, সুনাম,বিলম্বিত বিজ্ঞাপন, শেয়ার অবলেখকের ব্যয়/ শেয়ার দালালি খরচ, ডিবেঞ্চার অবলেখন ব্যয়, ঋনপত্র অবহার,ট্রেডমার্ক ইত্যাদি।
২) বিনিয়োগ- ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে ঋন দিলে বা টাকা লাগালে তা ব্যবসায়ের জন্য বিনিয়োগ এই ধরনের সম্পদ হল- বিনিয়োগ, % বিনিয়োগ,প্রদত্ত ঋন, প্রদত্ত কর্জ, লগ্নি( ডেবিট পাশের)% লগ্নি ইত্যাদি,
৩) চলতি সম্পদ-এই ধরনের সম্পদের নিয়মিত হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে এবং এই ধরনের সম্পদ হতে এক বছরের কম সুবিধা পাওয়া যায়। এই ধরনের সম্পদ হলে- নগদ, নগদ তহবিল/ নগদ উদ্ধৃত্ত, ব্যাংক জমা, প্রাপ্য বিল, বিবিধ দেনাদার/প্রাপ্য হিসাব , মজুদপন্য/সমাপনী মজুদ,যাবতীয় অগ্রিম ব্যয় যেমন- অগ্রিম বাড়ি ভাড়া, অগ্রিম বিমা সেলামী, অগ্রিম কর ইত্যাদি যাবতীয়। বকেয়া আয় যেমন- বকেয়া/অনাদায়ী বিনিয়োগের সুদ, বকেয়া প্রাপ্ত ভাড়া, বকেয়া সঞ্চয় পত্রের সুদ,

দায়(L) - প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তির বিপরীতে অথবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট দেনা থাকলে সেটা দায়। দায় সাধারণত দুই ধরনের
১)দীর্ঘ মেয়াদী দায়
২) চলতি দায়

১)দীর্ঘ মেয়াদী দায়- যে সকল দায় দীর্ঘ মেয়াদের জন্য গ্রহন করা হয় তাকে দীর্ঘ মেয়াদী দায় বলে । এই ধরনের দায় সাধারণত ১ বছরের মধ্যে পরিশোধ করা হয়না। এই ধরনের দায়ের মধ্যে রয়েছে-বন্ধকী ঋন/ ঋন/ ব্যাংক ঋন/ %ঋন/ %ব্যাংক ঋন,
প্রদেয় বন্ড ইত্যাদি।
২) চলতি দায়- এই ধরনের দায় সাধারণত স্বল্প সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা হয়। চলতি দায় দ্রুত পরিবর্তনশীল।এই ধরনের দায় কে ক্ষনস্থায়ী দায় বলা হয়। এই ধরনের দায়ের মধ্যে রয়েছে- ব্যাংক জমাতিরিক্ত, বিবিধ পাওনাদার, প্রদেয় বিল,ব্যাংক ওডি( ওভার ড্রাফ্‌ট),যাবতীয় বকেয়া খরচ/ ব্যয় সমূহ যেমন- বকেয়া বেতন, বকেয়া মজুরি, বকেয়া ভাড়া, বকেয়া ঋনের সুদ, বকেয়া ব্যাংক জমাতিরিক্তের সুদ, যাবতীয় ইত্যাদি, অগ্রিম আয় সমূহ যেমন- অগ্রিম শিক্ষানবিশ সেলামী, অগ্রিম বাড়ি ভাড়া প্রাপ্ত ইত্যাদি

দেখা হবে আগামী পর্বে অন্য কোন বিষয় নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। আমার এই লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয় এখানে
লেখাটি বোঝতে সমস্যা হলে আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন ফেইসবুকে
ধন্যবাদ। 🙂

Level 0

আমি মোঃরকিবুল ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 21 টি টিউন ও 80 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

valo laglo

khub sundor tune. songe achi, haraben na