কেমন আছেন সবাই? আজকে আবার একটা জনসচেতনতা মূলক টিউন করব। আমি বাস্তব জীবনে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হই সেগুলোই শুধু আপনাদের সাথে শেয়ার করি যেন এরকম সমস্যায় আপনাদেরকে না পরতে হয়। আজকের বিষয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, আমার লেখা পড়ে হয়তো আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে না কিন্তু যেদিন এরকম অবস্থায় আপনি পড়বেন তখনি এর গুরুত্ব বুঝবেন।
মনের ভাব প্রকাশ করাকে ভাষা বলে। ভাষা আবার অনেক ধরনের হয়, আপনি ইচ্ছা করলে ৩ টা পদ্ধতিতে আপনার মনে ভাব প্রকাশ করতে পারেন।
১) কথা বলার মাধ্যমে
২) লিখার মাধ্যমে
৩) ইশারা ইঙ্গিতের মাধ্যমে।
এখন আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় যে মনের ভাব প্রকাশের উত্তম মাধ্যম কোনটি তাহলে আপনি হয়তো বলবেন চিঠি। কারন ছোট বেলায় বইয়ে পড়েছি যে চিঠি হচ্ছে মনের ভাব প্রকাশের সবচেয়ে ভালো উপায়। কিন্তু এখন যুগ পাল্টে গেছে, চিঠি কেউ লিখে না তার বদলে ফেসবুক, Whatsapp, Viber এ চ্যাট করে মানুষ। চ্যাট করতে গিয়ে মিসকমিউনিকেশন বেশি হয়। ভুলবুঝাবুঝি হয় কারন অল্প একটু লিখলে মনের ভাব ঠিক মত প্রকাশ হয় না। আমি নিজে এই জিনিসটার অভিজ্ঞতা পেয়েছি, সেই উদাহরণটা দিচ্ছি।
ফেসবুকে একটা ছেলে আমাকে মাঝে মাঝে মেসেজ দিতো, আমার ছোট তাই আমাকে ভাইয়া বলে ডাকে। কিছু জিনিস নিয়ে ওকে আমি হেল্প করেছি তাই ছেলেটা মনে মনে আমাকে ভালো বড় ভাই ধরে নিয়েছে। একদিন হটাৎ আমাকে বলল ভাইয়া আমি আপনাদের গ্রামের বাড়িতে পানি দেখতে যাবো। আমার গ্রামের বাড়ি হাউড় অঞ্চলে তাই। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারন ওর মেসেজটার রিপ্লাই দিতে পারি নি আমি। রাত ছিল তাই ঘুমিয়ে পড়েছি, পরদিন ঢুকে দেখি সে আমাকে যাতা বলেছে। আমি নাকি কৃপণ ও আমার বাড়িতে যেতে চেয়েছে এই জন্য আমি মেসেজের রিপ্লাই না দিয়ে বের হয়ে গেছি। আমিত পুরা অবাক হয়ে গেলাম। অনেক রাগ হইসে পড়ে আমিও ছেলেটাকে অনেক ঝাড়ি দিলাম। পড়ে ছেলেটা আমাকে ফোন দিয়ে বলছে ভাইয়া আমি আপনার সাথে ফান করেছি আর আপনি সিরিয়াস হয়ে গেলেন? আমাকে সে সরি বলেছে আমিও সরি বলেছি।
একটা ছোট কাজ করলে এই মনমালিন্যটা হত না সেটা হল ছেলেটা যদি "আমি কৃপণ" এই মেসেজটার শেষে একটা ইমো লাগিয়ে দিতো। উদাহরণ সরূপ এটা (:P)। ইমো গুলো বানানো হয়েছে যেন মিসকমিউনিকেশন না হয়। মনে ভাব ভালো করে প্রকাশ করার জন্যই এই ব্যাবস্থা কিন্তু অনেকেই আছে যারা এগুলোর ব্যবহার করে না।
আমার মতে সবাইকে ইমো (ইমোটিকন) ব্যবহার করা উচিৎ। আমার মত এরকম অবস্থায় না পড়লে হয়তো এটার গুরুত্ব বুঝবেন না। আপনার ভার্চুয়াল জগতের যোগাযোগ যেন সচ্ছল হয় এই জন্যই পোস্টটি লিখেছি।
যারা ইমো চেনেন না কিংবা অল্প কয়েকটা চেনেন তারা এখান থেকে দেখে আসুন।
চ্যাটে অনেকে বড় শব্দ গুলোকে ছোট করে লেখে সময় বাচাতে। এটা করবেন কেবল মাত্র আপনি যদি মনে করেন যে আপনি এটার অভ্যাস ত্যাগ করতে পারবেন। অন্যথায় পরীক্ষার খাতায়ও সংক্ষিপ্ত মেরে আসবেন 😛
আশা করি পোস্টটি আপনাদের কাজে লাগবে। দয়া করে বিষয়টা হেলায় ফেলে দিবেন না কারন বাস্তবতার সামনে পড়লে এর গুরুত্ব বুঝবেন কিন্তু কিছুই করার থাকবে না। হয়তো আপনার অনেক ভালো সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যাবে।
ভালো লাগলে মেনে চলার চেষ্টা করবেন না টিউন ভালো না লাগলে বরাবরের মত আমাকে দৌড়ানি দিতে পিচপা হবেন না (আমারে পাইলে তো) 😛 😀 😛
আমি সোহাগ মিয়া। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 82 টি টিউন ও 694 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 32 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমার নাম সোহাগ। টেকনোলজির প্রতি চরম আকর্ষণ থাকা সত্ত্বেও পড়েছি বিজনেস নিয়ে। একটু একটু গাইতেও পারি, মাঝে মাঝে গীটার বাজাই। এক কথায়, টেকনোলজির সাথে প্রেম করি আর গানকে বিয়ে করেছি :D । আমার ইউটিউব চ্যানেল। আমার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমার ব্লগে। আমার গাওয়া গানগুলো শুনতে ভিসিট করুন: গানের ইউটিউব...
ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।