গেজেট চাই গেজেট চাই বলে এখন ও যারা আন্দোলন এর কথা বলছেন,পরীক্ষা আবার বর্জন এর কথা ভাবছেন,তারা কি ২০০৮ এ পাশ হওয়া গেজেট টা অন্তত একবার পরে দেখেছেন?
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর সংজ্ঞায় ২০০৮ এর গেজেট এ কোনও অসংগতি আছে কি?
যদি না থাকে,তবে আমাদের পদমর্যাদা কমে গেছে,আমরা তৃতীয় শ্রেণীতে নেমে গেছি এই টাইপের হাস্যকর গুজব কোথায় পেলেন?...
এখন কেও কেও তুমুল রেগে গিয়ে আমাকে প্রশ্ন করতে পারে, তাহলে সুপারভাইজার এর সংজ্ঞা দিয়ে গেজেট এ কি বোঝানো হয়েছে?
আমি বলছি- এটা কোনও পেশা নয়,২০০৮ এর গেজেট এ সুপারভাইজার শব্দটার পর “পেশাজীবী” উল্লেখ নেই,তাই এটা শুধুমাত্র সিভিল এবং আর্কিটেকচার টেকনোলজির ছাত্রদের চাকরীর একটা পদ মাত্র,যার অর্থ পর্যবেক্ষক... কি বুঝতে সমস্যা হচ্ছে?
পদ আর পেশার পার্থক্য আরও পরিষ্কার ভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে বলছি-
ধরুন আপনি কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি পেলেন
কিংবা কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে চাকরি পেলেন...
তখন আপনাকে ডাকা হবে -অপারেটর অমুক রহমান, কিংবা প্রোগ্রামার তমুক রহমান নামে... মানে আপনার চাকরীর পদ অনুযায়ী
এর মানে কি এই আপনি ইঞ্জিনিয়ার থেকে অপারেটর হয়ে গেছেন?কিংবা এই পদের কারন এ আপনার সার্টিফিকেট এর মান কমে গেছে? তখন আন্দোলন করবেন- পরীক্ষা দেবো না, অপারেটর/প্রোগ্রামার হবো না? এই টাইপের?আন্দোলন করলে ব্যাপার টা হাস্যকর হবে না?
এই ভয়ানক হাস্যকর কাজটাই আমরা করেছি,বলেছি- সুপারভাইজার হবো না, পরীক্ষা দেবো না...
একটু বুদ্ধিমান যারা,তারা এখন মেধা খাটিয়ে প্রশ্ন করতে পারে- আমরা যেহেতু প্রকৌশলীর সংজ্ঞায় নেই,তাই আমরা তৃতীয় শ্রেণীতে নেমে গেছি।
আমি উত্তর দিচ্ছি – ঠিকি তো আছে,আমরা মূল প্রকৌশলী নই, আমরা তো ডিপ্লোমা-প্রকৌশলী,মানে ডিপ্লোমাধারী রা শুধুমাত্র (IDEB) এর সদস্য। এটা তো নতুন কিছু নয়। জন্মলগ্ন থেকেই আমরা দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা।
আর অন্যদিকে প্রকৌশলীর সংজ্ঞায় তাদের কেই রাখা হয়েছে- প্রকৌশল বিশ্ব-বিদ্যালয় হতে যারা স্নাতক ও ডিগ্রিধারী এবং (IEB) এর সদস্য।এরা প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা।
তাহলে আমরা কিভাবে ডিপ্লোমা কমপ্লিট করেই দাবি করি- আমরা প্রকৌশলীর সংজ্ঞায় থাকবো? প্রকৌশলীর সংজ্ঞায় থাকার দাবি মানেই, প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হওয়ার দাবি। এই দাবি তো কোনও সরকার ইহজীবনেও মিটাতে পারবে না...
এটা তো জানা কথাই যে একমাত্র বি এস সি কমপ্লিট করার পরেই আমরা মূল প্রকৌশলী বা IEB এর সদস্য হতে পারব।
অনেক কেই প্রশ্ন করতে শুনেছি- তাহলে সরকার আগেই জানালো না কেনও আমাদের পদমর্যাদা কমেনি? আর সুপারভাইজার ও বানানো হয়নি?
আমি বলছি- সরকার এর শিক্ষাসচিব থেকে শিক্ষা মন্ত্রি পর্যন্ত নিজের মুখে বলেছে- আমাদের পদমর্যাদা কমানো হয়নি,আমরা যেনও গুজব এ কান না দেই ইত্যাদি ইত্যাদি।
এইসব খবর টিভিতে নিজের চোখে দেখেছি, নিজের কানে শুনেছি... কিন্তু তখন বোঝতে পারিনি, আজ যখন বোঝলাম অনেক দেরি হয়ে গেছে, সেশন জট এ তো পড়েই গেছি, ইয়ার লস এর ও সম্ভাবনা প্রবল।
আরেকটি দাবি ছিলও পেশাজীবীদের বেতন-বৈষম্য নিয়ে, একেই বলে যার বিয়ে তার খবর নাই,পাড়া- পড়শির ঘুম নাই। এই দাবিতে আন্দোলন তো পেশাজীবীরা করবে... কই আজ পর্যন্ত একজন পেশাজীবীকেও তো দেখলাম না মাঠে নামতে
মাঠে নামছে সাধারন ছাত্ররা,আহত হচ্ছে,গ্রেপ্তার হচ্ছে... নিহত ও হয়েছে শুনেছি।
আইডিইবি যদি আমাদের ভালই চাইতো, তবে অবশ্যই নিজেদের বেতন বৃদ্ধির দাবি করে রাস্তায় নামিয়ে দিত না।
শুধুমাত্র হাতে গোনা দুই-তিনটা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ভর্তির সুযোগ আছে।
তারা চাইতে পারতো আমরা যেনও দেশের সকল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির আবেদন করতে পারি।
তারা এটা চায় নি, তারা চায় আমরা ডিপ্লোমা করে আইডিইবি এর সদস্য হয়েই বসে থাকি, কখনই যেনও বি এস সি করে (IEB) এর সদস্য না হতে পারি।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে সব যদি ভুয়া দাবি হয়?তাহলে সরকার গেজেট ঠিক করার প্রতিশ্রুতি কেনও দিলো?
আমি বলছি- গেজেট এ যদিও কোনও ভুল নেই, তবুও গেজেট নিয়ে অনেক ভুল বোঝা বুঝি হয়েছে,ছাত্ররা না বুঝেই আন্দোলন করেছে, গুজব সৃষ্টি করেছে... সরকার এই কারনেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে,যেনও ভবিষ্যতে গেজেট নিয়ে ভুলেও এই ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি না হয়। সেটাই সংশোধনী হবে।
অনেক কথা বলে ফেলেছি, এখন নতুন রুটিন হলে পরীক্ষা বর্জন করবেন না দেবেন, আপনার ব্যাপার... আমি কিন্তু পরীক্ষা দিবো, অবশ্যই দিবো।
অনেকেই কল দিয়ে ২০০৮ এর গেজেট টা চাচ্ছেন, তাদের জন্য -
@@ গেজেট ২০০৮.... @@
প্রকাশ করা হয়েছে বৃহস্পতিবার, মে ২৯,২০০৮
এই গেজেট এ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে মোট ৯২ টি সংঙ্গা দেওয়া হয়েছে
এর মধ্যে (৩১) নং এ দেওয়া হয়েছে “ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর” সংঙ্গা ।
সংঙ্গাটা হলঃ- “ডিপ্লোমা প্রকৌশলী” অর্থ ঐ পেশাজীবি বাক্তি যিনি স্বীকৃত কোন পলিটেকনিক বা কারিগরী ইনস্টিটউট হইতে প্রকৌশল বিষয়ে ডিপ্লোমাধারী ও ইনস্টিটউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ এর সদস্য, এবং বিধি ৪১ অনুযয়ী তালিকাভু্ক্ত।
ডিপ্লোমা সম্পর্কে আর একটি সংঙ্গা দেওয়া হয়েছে (৩০) নং এ তা হচ্ছে…
সংঙ্গাটা হলঃ- ”ডিপ্লোমা স্হপতি” অর্থ ঐ পেশাজীবি বাক্তি যিনি স্বীকৃত কোন পলিটেকনিক বা কারিগরী ইনস্টিটউট হইতে স্হাপত্য বিষয়ে ডিপ্লোমাধারী ও ইনস্টিটউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াস বাংলাদেশ এর সদস্য, এবং বিধি ৪১ অনুযয়ী তালিকাভু্ক্ত।
আর প্রকৌশলীর সংঙ্গা দেওয়া হয়েছে (৪১) নং এ ….
সংঙ্গাটা হলঃ- ”প্রকৌশলী” অর্থ যিনি প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রীপ্রাপ্ত ও ইনস্টিটউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (IEB) এর সদস্য, এবং বিধি ৪১ অনুযয়ী তালিকাভু্ক্ত।
(৯০) নং এ দেওয়া আছে “সুপারভাইজার” এর সংঙ্গা…
সংঙ্গাটা হলঃ- “সুপারভাইজার” অর্থ কোন ইমারত নির্মান কাজ তত্ত্বাবধানের জন্য বিদি ৪১ অনুযয়ী তালিকাভু্ক্ত ব্যক্তি যিনি স্বীকৃত কোন পলিটেকনিক বা কারিগরী ইনস্টিটউট হইতে প্রকৌশল বা স্থাপত্য(Architechure) বিষয়ে ডিপ্লোমাধারী এবং সংশিষ্ট ইনস্টিটউটের সদস্য।
আরও কিছু নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে, যোগাযোগ করতে পারেন-
রুদ্র
[email protected]
মুনির
০১৬৭৫২০৬০৪৮,সিএমটি,মপই
মাহফুজ
০১৭৫৩৭৮৯৭৪৯,সিএমটি,মপই
বাবু
০১৭৩৪৯০৭০৯৪
আমি Rudra karan। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
@Spirit of truth: Brother apni ato number ar adddress dilen keno? Discussion er jonno? Answer please.