বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। আসসালামুআলাইকুম । সবাইকে আমার আন্তরিক প্রীতি, সম্মান, শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জ্ঞাপন করছি। আশাকরি আল্লাহ্র অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন।
একটা সময় ছিলো মানুষের মনের ভাব প্রকাশের কোনো উপায় ছিলো না। মানুষ তখন বনে বাদরে থাকতো, কোনো ভাষা ছিলো না। আস্তে আস্তে মানুষের অসীম ক্ষমতা ব্যবাহার করে সবই অর্জন করে নিচ্ছে। যতই অর্জিত হচ্ছে ততোই মনে হচ্ছে কতকিছু আজও অধরা। আসুন পরিচয় হয় মানব সভ্যতার সূচনালগ্নের এক ভাষার সাথে।
হায়ারোগ্লিফ এক ধরনের লিখন পদ্ধতি। যার আবিস্কার হয়েছে প্রাচিন মিসরে। তাই প্রাচীন মিশরীয় লিখন পদ্ধতিকে বলা হয় হায়ারোগ্লিফ। তবে হায়ারোগ্লিফ নামটা গ্রীকদের দেওয়া যার অর্থ “পবিত্র লিপি”
মিশরীয় হায়ারোগ্লিফ লিপি তৈরি হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৮ম সহস্রব্দের মাঝামাঝি সময়ে। সম্ভবত ৩৭০০ খ্রিষ্ট পূর্ব এবং ৩৪০০ খ্রিষ্ট পূর্বে প্রথম ফারাও মেনিসের (ফেরাউন) শাসনামলে হায়ারোগ্লিফ লিপি তৈরি করা শেষ হয়।
৩০০০খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে মিশরীয়রা মনের ভাব প্রকাশের জন্য ২৪টি হায়ারোগ্লিফ চিহ্ন বা বর্ণমালা ব্যবহার করা শুরু করেন। এই ২৪টি চিহ্নের সাহায্যে তারা প্রত্যেকটি মানুষের স্বরের এক একটি ব্যাঞ্জনধ্বনি প্রকাশ করতো।
হায়ারোগ্লিফগুলো বাম থেকে ডানে, ডান থেকে বামে এবং উপর থেকে নিচে সাজানো হয়। রাজকীয়, ধর্মীয় বিষয় এবং মন্দির ও পিরামিডের দেয়ালের লেখার জন্যই মূলত হায়ারোগ্লিফ লিপির ব্যবহার করা হতো। এজন্য হায়ারোগ্লিফ এর আকৃতিগত গঠন অনেক সুন্দর। কিন্তু এখনও হায়ারোগ্লিফ লেখার ১০০% অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি।
ভাষাকে ল্যেখ্য রূপ দানের ক্ষেত্রে হায়ারোগ্লিফই হল প্রথম এই ধারণা পোষন করে আসছেন ভাষা গবেষকগণ।
কষ্ট করে আমার এই টিউনটি দেখার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি আপনাদের ভালবাসায় সিক্ত ও পরিতৃপ্ত। আপনাদের ব্যাপক সাড়া আমার নিত্যদিনের প্রেরণা।
আমি মোঃ আসিফ- উদ-দৌলাহ্। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 115 টি টিউন ও 1147 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মা ও বাংলা ভাষার কাঙ্গাল
অসাধারন টিউন।প্রত্যাগমনকে স্বাগত জানাচ্ছি।