লার্ন ইংলিশ , লার্ন উইথ ফান !
সকলকে সালাম, অনেক অনেক শুভেচ্ছা, ভালোবাসা দিয়ে শুরু করছি আজকের এই পর্ব ! প্রায় ২ সপ্তাহ পরে এই পোস্ট –প্রথমেই এই দেরীর জন্য আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । আসলে কাজের চাপের মধ্যেও যেটুকু সময় পাই , তার মধ্যেই লিখতে হচ্ছে । যাই হোক কাজের কথায় আসি । আজকে আমরা শুরু করব- ইংরেজির অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ একটি বিষয় – সিনোনিম ও অ্যান্টোনিমে । শুধু কম্পিটিভ এক্সাম বলে নয় , ইংরেজি লেখা বা কম্পোজিসনের ক্ষেত্রেও এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে । আর এমন কোনো এক্সম নেই যেখানে এই সিননিম বা অ্যান্টোনিমের উপরে কোনো প্রশ্ন থাকে না । আর এটা বলতে কোন দ্বিধা নেই আমরা অনেকেই প্রবল উৎসাহ নিয়ে অনেকবারই হয়তো শুরুও করেছি – কিন্তু মূল সমস্যা যেটা হয় সেটা হল –
১। ইংরেজির শব্দ গুলির ইউসেজ আমাদের বাংলা শব্দের মত নয় । এর ভিন্ন ভিন্ন শব্দগুলির মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন অর্থের পার্থক্য ।
২। প্রচুর মুখস্ত করার পর একদিক থেকে আমরা মুখস্ত করি আর আরেক দিক থেকে ক্রমাগত ভুলতে শুরু করি ।
তাহলে উপায় ? আমি আমার মত করে একটা প্র্যাকটিকাল অ্যাপ্রোচ এর উদাহরন দিতে পারি । আমার মনে হয় আমরা যদি এই ভাবে একটু পরিশ্রম করে একটু একটু করে অভ্যেস করতে থাকি – তাহলে আশা করা যায় দুই থেকে তিন মাসের মধেই পুরোটা না হলেও প্রায় ৮০% শব্দ , যেগুলি মূলত পরীক্ষায় লাগে , সেগুলিকে রপ্ত করে ফেলতে পারব ।
পদ্ধতি ঃ- আমরা সাধারনত কিভাবে সিনোনিম , অ্যান্টোনিম পড়ি ? যেকোন স্ট্যন্ডার্ড বই থেকে প্রথমেই A দিয়ে ১০০-১৫০ Bদিয়ে ১০০-১৫০ C দিয়ে ১৫০-২০০ এই ভাবে ......ওয়ার্ড মুখস্ত করি অথবা লিখে লিখে মুখস্ত করি । আমি বলছি না পদ্ধতি টা সঠিক নয় । অনেকেরই এতেই সুবিধা । কিন্তু আমি বলব একটু কষ্ট করে যদি প্রথমেই চোখ কান বন্ধ করে মুখস্ত শুরু না করে একবার শব্দ গুলিকে জাস্ট রিডিং মেরে রাখা । এর পর শব্দ গুলিকে একটু গোষ্ঠী বদ্ধ করা । যেমন গরুর গোয়ালে গরু থাকে , ছাগলের গোয়ালে ছাগল , মহিষের গোয়ালে মহিষ , ঠিক সেই রকম ওয়ার্ড গুলিকে আমাদের গোয়ালে আলাদা আলাদা করে নিলে , প্রথম পর্যায়ে একটু খাটনি হবে ঠিকই কিন্তু পরে অনেক সুবিধা হয়ে যাবে । কোন কোন শব্দ গুলিকে আমরা গোষ্ঠী বদ্ধ করব । শব্দ গুলিকে যে ডাইরেক্ট সিনোনিম বা অ্যান্টোনিম হতে হবে তা নয় । বরং যে সকল শব্দ গুলির অর্থ মোটা মুটি ভাবে কাছা কাছি তাদের কে এক সঙ্গে নিয়ে এক এক দিন একটা করে শব্দ ( এখানে নাউন ফর্ম বা ভার্ব ফর্ম আলাদা করে না নিয়ে একসাথে রাখলেও চলবে) নিয়ে আলোচনা করতে হবে ও সেগুলিকে রপ্ত করার চেষ্টা করতে হবে ।
২। দেখা যাবে একই ধরনের শব্দ গুচ্ছ কে আমরা যদি আলাদা আলাদা করে নিই তাহলে একটা শব্দ দিয়েই হয়তো ৩০-৪০ ওয়ার্ড তৈরী করে নিতে পারবে ।
৩। এরপর শব্দ গুলি সমার্থক হলেও তাদের মধ্যে অর্থের যে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে সেগুলি মনে রাখতে সহজ হবে ।
৪। একদিনে প্রবল উৎসাহ নিয়ে প্রচূর শব্দ অভ্যাস না করে , রুটিন করে অন্যান্য পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে প্রতিদিন একটা করে শব্দ নিয়ে নিজেকে তৈরী করুন ।
সে শব্দের সকল সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দের সংকলনগুলিকে বার বার করে লিখে অভ্যেস করুন ।
৫। ডিকশনারির কোনো বিকল্প নেই – তাই একটু কনফিউশন হলেই ডিকশনারি কনসাল্ট করুন ।সেখানে ইউসেজ সমন্ধেও ও ভাল একটা ধারনা তৈরী হবে ।
৬। যতই পদ্ধতি অবলম্বন করুন না কেন , যদি বোকার মত চোখ কান বুজে আমরা মুখস্ত শুরু করি তাহলে কয়েক দিন পরেই দেখবেন ভুলতে শুরু করেছেন ।তাই ফ্রেঞ্জিড ক্র্যামিং বা বোকার মত মুখস্ত বন্ধ করুন । প্রতিটি ওয়ার্ড শেখার পর পরই সেগুলিকে দিয়ে একটি করে সেন্টেন্স লেখার চেষ্টা করুন । সেন্টেন্সে ব্যবহার করতে পারলেই শব্দ গুলি মনে থাকবে অনেক দিন । একটা উদাহরন দিই- candid মানে অকপট , আমরা যদি candid মানে অকপট, candid মানে অকপট, candid মানে অকপট এই ভাবে পড়তে থাকি কিছুদিন পরএই হয়তো সেটা candid মানে ক্যান্ডি জাতীয় চকলেট হয়ে যাবে । তাই candid মানে অকপট বা উদার পড়ার পর candid দিয়ে দু তিনটি ওয়ার্ড লিখে ফেলুন এবং সেগুলিকে সুযোগ পেলেই ব্যবহার করুন ।
যেমন - We were pleased with his candidness .
I gave him my candid opinion.
He made a candid confession. ইত্যাদি ।।ইত্যাদি । শব্দ গুলি তৈরীর ক্ষেত্রে অসুবিধা হলে কোনো ভালো ডিকশনারির সাহায্য নিতে পারেন ।
৭। আবার মনে করিয়ে দিই এক দিনে একটার বেশি শব্দ নিয়ে আলোচনা না করায় শ্রেয় ।
এবার আমি আমার আজকের লেসনে – মাত্র পাঁচটি শব্দ নিয়ে আলোচনা করব – দেখবেন ঠিক ঠাক শিখতে পারলে ১০০-১২০ টি ওয়ার্ড স্টক হয়ে যাবে ।
So, Let’s start
আমাদের প্রথম শব্দ – যেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করব – সেটা হল ‘প্রশংসা’ বা প্রশংসা করা
আমাদের দ্বিতীয় শব্দ – যেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করব – সেটা হল ‘অসভ্য ’ বা অশিষ্ট বা অসভ্যতা
আমাদের তৃতীয় শব্দ – যেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করব – সেটা হল ‘অসৎ ’ বা ধূর্ত বা অসততা
আমাদের চতুর্থ শব্দ – যেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করব – সেটা হল ‘ঘৃণা ’
আমাদের পঞ্চম শব্দ – যেটা নিয়ে আমরা আলোচনা শেষ করব – সেটা হল ‘অকপট ’ বা সরল বা সরলতা
আজ এই পর্যন্তই । আবার দেখা হবে আগামী সংখ্যায়- সকলে সুস্থ থাকুন ও ভালো থাকুন । কেমন লাগল জানাবেন আর কোনো রকম অসুবিধা হলেও অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানান ।
আর শেষ করার সময় - আমার ব্লগ স্বপ্নপূরনে যাওয়ার আমন্ত্রন রইল। সেখানে এই ধরনের সব পোস্ট এবং নোটস গুলির আপডেট করে দেওয়া হয় । আমার ব্লগের ঠিকানা. যদের প্রয়োজন তারা এই নোটস টির পিডিএফ ফর্মে ডাউনলোড করতে যান । আমার ব্লগের পোস্টের নীচে ডাউন লোড লিঙ্ক দিয়ে দিলাম । ডাউন লোড করে নিতে পারেন । এখান থাকে সরাসরি ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এইখানে
আমি অপু.পশ্চিমবাংলা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 29 টি টিউন ও 706 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
i am azmalhossain, Native Place Kandi, Murshidabad, West Bengal.age 32 . MSc(Tech) in Agril Engg.Service-West Bengal Civil service WBCS(Executive) Officer , Presently posted as Deputy Magistrate and Deputy Collector, Malda.Hobby- painting, recitation. computer game .
+++++ বাক্যহারা।