মহাবিশ্বের শুরু থেকে শেষে ( পর্ব – ১ )

বিগব্যাং - সৃষ্টির আদি ইতিহাস

মহাবিশ্বের সৃষ্টি নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন সেই সৃষ্টির শুরু হতে। সমস্যা সেই এক্‌টাই যে, ডিম আগে নাকি মুরগি আগে  😕 , আর এর উত্তর পাবার আশায় মানুষ আজ পাড়ি জমাচ্ছে আমাদের মহাবিশ্বে।কেন এবং কিভাবে এর সৃষ্টি তা এখন আমাদের সবার চোখের সামনেই দৃষ্ট ও পরিষ্কার। তবু কিছু ব্যাপার আছে যা সবার পেটে আসে কিন্তু মুখে আসে না। সেই জিনিসগুলো নিয়েই শুরু করছি আমার চেইন টিউন মহাবিশ্বের শুরু থেকে শেষে র প্রথম পর্ব বিগব্যাং

আদি মহাবিশ্ব এবং এর স্থায়িত্বকাল

আমাদের মহাবিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে ছিল এক্‌টি ক্ষুদ্র বিন্দুর মত।কেউ বলতে পারবে না যে আর কিছু ছিল কিনা। কারণ তখনও পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব ঘটেনি।মানুষ তো দূরে থাক, আমাদের পৃথিবীর আদি বাসিন্দা ডায়নাসরদেরও আগমন হয়নি তখন।আর definitely তারা যেহেতু পৃথিবীর আদি নিবাসী ছিল সুতরাং বিগব্যাং এর আগে তাদের অস্তিত্ব কল্পনা করা আর বামুন হয়ে চাঁদের দিকে হাত বাড়ানোর কল্পনা করা একই কথা।যদি আমরা মনে মনে একটি ধারনা নিয়ে নেই যে মহাবিশ্ব আগে ছিল ক্ষুদ্র ১টি বিন্দু তাহলে হয়ত নিচের ছবিটিই সবার কল্পনায় আসার কথা।

বিগব্যাং-এর পূর্বে মহাবিশ্ব

বড় অদ্ভুত লাগে আমার যে এতটুকু এক্‌টি বিন্দু থেকে মহাবিশ্বের সৃষ্টি !!! মহাবিশ্বের কোন আরম্ভ ছিল কিনা এবং থাকলে তা কিভাবে শুরু হয়েছিল তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মাঝে বিতর্ক চলে আসছে সেই আদিকাল থেকে।সপ্তদশ শতাব্দীতে বিশপ ঊষার বলেছিলেন যে এ মহাবিশ্বের সৃষ্টি ৪০০০ খৃষ্টাব্দে।কিন্তু অন্য দিকে গ্রীক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের নিকট এ যুক্তি গ্রহনযোগ্য হয় নি।তিনি বলেছেন যে মহাবিশ্বের অস্তিত্ব রয়েছে চিরকাল এবং থাকবে।

বিগব্যাং-এর শুরুতে

আধুনিক বিজ্ঞানের মতে এ মহাবিশ্ব প্রথমে এক্‌টি ছোট অণু পরিমাণ বস্তু ছিল, যার ভেতরে জমেছিল অবিবর্ণনীয় জ্বালানী।এবং এত ছোট এক্‌টি বস্তুর মাঝে এত শক্তি সঞ্চয় হবার কারনেই তা বিষ্ফরিত হয়ে বিগব্যাং - এর মাধ্যমে সৃষ্টি করে এ মহাবিশ্বের।

মহাবিশ্বের সদস্যদের জন্ম ইতিহাস

আমাদের পৃথিবী মানুষের বসবাস করার জন্য সব চাইতে উপযোগী জায়গা।কিন্তু আপ্‌নারা কি জানেন যে আমাদের পৃথিবীর জন্ম কবে ? বিগব্যাং - এর সম্পাদনা হবারও বিলিয়ন বিলিয়ন বছর পর এসে আমাদের পৃথিবীর মত গ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।কিন্তু কেন ? হয়তো স্রষ্টার ইচ্ছেতেই।কারণ বিগব্যাং - এর পর প্রচন্ড তাপ উৎপন্ন হয়েছিল, আর স্বভাবতই অত তাপে আমাদের বেচে থাকার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।তাই স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞ আমরা সবাই।

বিগব্যাং শেষে সৃষ্ট আমাদের মহাবিশ্ব

কিভাবে জানা গেল পৃথিবীর জন্মের ইতিহাস

আজ আমি আপনাদের সাথে পৃথিবীর জন্মের ইতিহাস share করছি। কিন্তু কাদের অবদান আমাদের এই জানার পেছনে তা কি জানেন ? বলছি। Southern California - তে প্রায় কয়েক যুগ আগে Scientist Edmund Hubble আবিষ্কার করেন এক্‌টি টেলিস্কোপের।যার দৈর্ঘ ছিল ১০১ ইঞ্চি।তিনিই বলেছিলেন এই বিগব্যাং - এর কথা। এর আগে কেউ বলেছিলেন কিনা আমার তা জানা নেই, কিন্তু তিনিই প্রথম তার টেলিস্কোপ দিয়ে এর চাক্ষুষ প্রমাণ দিয়ে ছিলেন।

ডঃএডমন্ড হাবল

মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির অস্তিত্বের প্রকাশ করেন তিনি।তার অবদানে আজ জ্যোতির্বিজ্ঞান অনেক এগিয়ে গিয়েছে।জন্ম দিয়েছে অনেক না জানা সৃষ্টির।

মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি - ্যার অবদানে আজ আমি ও পৃথিবী

শুধু পৃথিবী নয়, আরও অনেক গ্রহ আছে পুরো মহাবিশ্বে। এবং সব গ্রহ নক্ষত্রের সঞ্চারণস্থল হচ্ছে তাদের গ্যালাক্সি।আর আমাদের এই পৃথিবীকে যে সঞ্চারনশীল রেখেছে তা হচ্ছে আমাদের গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ে।ধারণা করা হয় যে বিগব্যাং এর পর - ই সৃষ্টি এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির।

মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি - আমদের সৌরজগতের মা

এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির চারপাশ ঘিরে রয়েছে আমাদের সৌরজগৎ।বলতে গেলে এই গ্যালাক্সির বদৌলতেই আমাদের পৃথিবী টিকে আছে।কিন্তু আপনারা যারা আমার মহাবিশ্ব ও প্রলয়ের ঝংকার টিউন্‌টি পড়েছেন তারা জানেন যে আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে যে ব্ল্যাক্‌হোল্‌ নামক দৈত্য টি আছে তা আমাদের সৌরজগতের সব সদস্যকে তার নিজের দিকে টান্‌ছে।কিন্তু বিজ্ঞানীগণ বলতে পারছেন না যে কবে নাগাদ সূর্যের জ্বালানী শেষ হবে আর কবেই বা আমাদের সৌরজগতের মা তার নিজের সন্তান্‌দেরকে নিজেই খেতে শুরু করবে।

সৃষ্ট পৃথিবী এবং আজকের প্রযুক্তি

আজ আমরা আমদের গ্যালাক্সির সবচাইতে উপযুক্ত গ্রহের বাসিন্দা। মনে রাখবেন যে আমাদের মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে আমাদের পৃথিবী সৃষ্টিরও কয়েক বিলিয়ন বছর আগে।কিন্তু আমাদের প্রযুক্তি আজ অনেক এগিয়ে গিয়েছে।ব্ল্যাক্‌হোল্‌ ট্রেস করার জন্য সেরকম প্রযুক্তি আমাদের হাতের মুঠোয়। কিন্তু এ মহাবিশ্বের অন্যান্য গ্রহাণুপুঞ্জের তুলনায় হয়ত আমরা কিছুই নই।বিগব্যাং ঘটেছে আজ থেকে ১২ বা ১৪ বিলিয়ন বছর আগে, আর আমাদের পৃথিবীর বয়স মাত্র ২ হাজার কোটি বছর।

আমাদের বাস্‌স্থান পৃথিবী

আর মহাবিশ্বে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির মত এমন অনেক গ্যালাক্সি ধ্বংস হয়ে গেছে ব্ল্যাক্‌হোলের কারণে, যার অর্থ হচ্ছে  আমাদের চারপাশ দিয়েও অনেক ব্ল্যাক্‌হোল্‌ রয়েছে।কিন্তু স্রষ্টার অশেষ রহমতে আমাদের গ্যালাক্সিতে আজ পর্যন্ত কোন ব্ল্যাক্‌হোল্‌ ঢুক্‌তে পারেনি।কিন্তু যদি কখনো আসে ? চিন্তা করুন আর সেই ধ্বংসযজ্ঞকে উপলব্ধি করুন।আর মন্‌কে বলুন আমাদের প্রযুক্তি তখন কি করে ঠেকাবে এই দৈত্যকে ?

         সামনে আসছেঃ মহাবিশ্বের শুরু থেকে শেষে ( পর্ব - ২ ) - প্যারালাল ইউনিভার্স

Level 2

আমি শুভ নাসির। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 25 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

মহাবিশ্বের এক প্রান্তে পৃথিবীতে আমি, আরেক প্রান্তে রয়েছে কস্‌মিক ও গামা রশ্মি। আর কি আছে...............জানাতেই এসেছি আমি শুভ নাসির.........ঘুরে বেড়াব মহাবিশ্বে আমরা সবাই। ফেসবুকে আমি : https://www.facebook.com/shuvo.nasir.7


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

বিগব্যাং !! আল্লাহ্ কত মহীয়ান! ধন্যবাদ তথ্যপূর্ণ উপস্থাপনার জন্য।

    আপনার ইউজার নেমটা সামনে নিয়ে লিখতে মন চাইলো না।যে পরের স্বার্থের জন্যে এত উৎসাহ মূলক টিউন করতে পারে সে আর যাই হোক স্বার্থপর হতে পারে না।আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনার মহাবিশ্ব্ব সম্পর্কে উপস্থাপিত তথ্যের বহর সত্যিই অবাক হবার মত. চালিয়ে যান.

ভালো হচ্ছে চালিয়ে যান।

    যেহেতু এটা বিজ্ঞান মূলক পোস্ট তাই কথায় কথায় স্রষ্টার উল্লেখ করবেন না।

খুব সুন্দর টিউন। আপনার পরবর্তী টিউনের অপেক্ষায় রইলাম। মহাবিশ্ব এক মারাত্মক রহস্যের মেলা!!!

Level 0

ইসলাম কি বলে আর আপনি কি বলছেন ?

এই ধরনের টিউন ভালা পাই,পুস্টে পিলাচ 😀

আসুন chm দিয়ে দেশের সর্বপ্রথম বাংলা হাদিসের Database তৈরি করি

আসসালামুআলাইকুম,
এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে বাংলাদেশের 90% মুসলিম হয়েও এখনো বাংলা সহিহ হাদিসের Free digital Database বানানো হয়নি। প্রায় 22 কোটি বাংঙ্গালীগন অকাযর্করের ও অবহেলার ভূমিকা নিয়েছি, এ মহান দায়িত্ব থেকে আমরা মুসলিমগন একরকম নেহাতই পালিয়ে বেড়াচ্ছি। অনেকেই আছেন অন বা “অফ লাইনে কাজ করার সময় UNICODE টেক্সট হাদিস হাতের কাছে তৈরি না থাকায় সবাইকে কষ্ট করে টাইপ করতে হয় অথবা অনেকে ঝামেলা এড়িয়ে যান। কিন্তু এই দিন শেষ ।
আসুননা আমরা সমম্বিতভাবে উদ্বেগ নিয়ে বাংলা সহিহ হাদিসের Unicode Software সৃষ্টি করি। ইনশাআল্লাহ প্রথমে আমরা সহিহ বুখারীর হাদিস নিয়ে কাজ শুরু করবো। chm ফরমেটে (বামের ছবিতে নির্দেশিত)সেটা তৈরি হবে, ইনষ্টলের কোন ঝামেলা নেই। 1 click – এ উইন্ডো ওপেন হবে এবং সহজেই ডাটা কপি,পেষ্ট করা যাবে, এছাড়াও রয়েছে পাওয়ারফূল সার্চ ও কিওয়ার্ড অপশন। যেহেতু প্রায় 5000 হাদিস নিয়ে সহিহ বুখারী এর জন্য অবশ্যই টিম ওর্কের প্রয়োজন যার নামকরন করা হয়েছে সংক্ষেপে DBHT-(Degital Bangla Hadith team)। সম্মানিত ভাই/ বোন যারা সদস্য হতে চান এ টিমের কর্মপদ্বতি হবে নিম্নরুপ-
1)যারা অংশ নেবেন Contribution- এ তাদের নাম ও প্রোফাইল লিংক থাকবে।
2) প্রত্যেককে সদস্য হতে হলে কমপক্ষে 100 হাদিসের ডাটা এন্ট্রি করে নিম্নলিখিত এড্রেসে পাঠিয়ে দিতে হবে।(সময় খুব বেশি হলে মাত্র তিন ঘন্টার একটা কাজ)
3)পিডিএফ ফরম্যাটে হাদিস দেয়া হবে আপনি MS Word-এ টাইপ করে মেইলে এটাচ করে পাঠিয়ে দেবেন, আপনার প্রোফাইল লিংক যদি দেন ভাল হয়।
4) আপনার হাদিস পাবার পর সেটা আপডেট করে ফেসবুকে লিংক দেয়া হবে যেখান থেকে আপনি ডাউনলোড করে কাজের অগ্রগতি দেখতে পাবেন।
আশা করি আপনারা এ মহান কাজে অংশ গ্রহন করবেন।কমপক্ষে 100 হাদিসের ডাটা এন্ট্রি করে DBHT সদস্য হয়ে যান।পিডিএফ হাদিসের জন্য যোগাযোগ করুন।

বিঃদ্রঃ:- কারও কাছে হাদিস সফট কপি থাকলে অনুরোধ থাকবে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য। এটি কোন কর্মাশিয়াল উদ্যেগ নয়। শধুমাত্র ভলান্টিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে DBHT-এর হাদিসের Digital interface তৈরি করার একটা যৌথ প্রচেষ্টা। বাংলাতে শুধু এন্ট্রি করবেন আরবী ও ইংলিশ আমরা ম্যানেজ করবো ইনশাআল্লাহ। যে কোন Unicode ফন্টে ডাটা রেডি করতে পারবেন।আপনার প্রোফাইল লিংক ও Mob-নং ও বাংলাদেশের কোত্থেকে কাজ করছেন উল্লেখ করবেন। 3 দিনের মধ্যে করতে পারলে ভালো হয়। আপনি ডাটা পাঠানোর পর আমরা সেটা অতি দ্রুত আপডেট করে ফেসবুকে লিংক দেবো ইনশাআল্লাহ ধন্যবাদ। যোগাযোগ করুন।

শাহরিয়ার আজম
মেইল এড্রেস- [email protected]
Mob-01714351057
DBHT-(Degital Bangla Hadith team)
http://www.facebook.com/pages/DBHT/603417713008497