জীবনের প্রথম টিউন, জানিনা সবাই কিভাবে গ্রহন করবেন। কিন্তু মন থেকে আসছে এটাই, যারা বিশ্বাস করেন যে টেকটিউনের প্রত্যেক টিউনারের কিছু মূল্যবান সময়, অতুলনিয় চিন্তা এবং কিছুটা পরিশ্রমের ( Definitely ) ফসল আজকের এই " টেকটিউন " , তারা অবশ্যই আমাকে moralize করবেন।গুরুদের কাছে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, আমার লেখার কোন ভূলের জন্যে, কারন আপনাদের মত হতে আমাকে আরও পথ পাড়ি দিতে হবে। আর জানি আপনারা সবার পাশে যেমন ছিলেন, এই ছোট ভাইয়ের পাশেও তেমনি থাকবেন।
সৃষ্টির আদি থেকে মানুষ এ মহাবিশ্বের সৃষ্টি সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করছে, জানতে পেরেছে অনেক কিছুই, আবার অজানাও রয়ে গেছে অনেক। ্যারা মুসলিম তারা বলেন যে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেছেন " কুন " আর তারই সাথে সৃষ্টি হয়েছে এ মহাবিশ্বের। ্যারা হিন্দু ধর্মাবলম্বি তারা দাবি করেন ্যে ভগবানের " ওম্ " থেকে এর সৃষ্টি।আর বিজ্ঞান বলে ্যে Super Nova থেকে সৃষ্টি এ মহাবিশ্বের।এখান থেকেই ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের মিল পাওয়া ্যায়।
ধর্মের মত্ আর বিজ্ঞানীদের মতের কোন পার্থক্য এখন খুব একটা পাওয়া ্যায় না, কারন আজকের বিজ্ঞান আজ থেকে কয়েকশ বছর আগের মানুষেরা আবিষ্কার করেছিল, শুধু প্রকাশের অপেক্ষায় ছিল পৃথিবী।উপরের ছবিটির মতই প্রকান্ড বিষ্ফোরনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছিল আমাদের সৌরজগত। এই Super Nova শব্দটির উৎপত্তি একটি ল্যাটিন শব্দ থেকে ্যার অর্থ এক নতুনের শুরু। বিজ্ঞানিরা বলেন্ ্যে এই Super Nova সংঘটিত হয়েছিল ৩০,০০০ কি.মি./ঘন্টায়। ্যার অর্থ আলোর বেগের ১০%, ্যাই হোক, আপনাদেরকে আর জ্ঞান না দিয়ে আমার মূল ঘটনা শুরু করি।
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি কি তা কম বেশি আমরা সবাই জানি। রাতের আকাশে তাকালে কখনো কি আপনাদের চোখে পড়েনি এক্টি সাদা সরল রেখা ? না পড়লে আজ রাত পর্যন্ত এক্টু অপেক্ষা করুন। রাতের আকাশে স্পষ্ট দেখা যায় আমাদের সৌরজগতের মা কে। আপনারা সবাই হয়ত জানেন না যে আমাদের universe-এর সকল সদস্যই সঞ্চারণশীল।কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন যে, চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে, পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে, কিন্তু সূর্য কার চারিদিকে ঘোরে ? যেহেতু সূর্য নিজে এক্টি নক্ষত্র, সুতরাং তার্ও তো সঞ্চারণশীল হওয়া উচিৎ। ্যা ভাবছেন ঠিক তাই ! আমাদের সূর্য এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির চারপাশেই প্রদক্ষিণ করছে।আর যার কারনে আজ আমাদের এই পৃথিবীর অস্তিত্ব টিকে আছে।
জীবনে প্রথম যেদিন ব্ল্যাক্হোলের ছবি দেখেছিলাম, সত্যি-ই প্রচন্ড অবাক এবং ভয় দুটোই লেগেছিল। আমি মূলতঃ ছোটোবেলা থেকেই Astronomy-র উপর খুব আগ্রহী ছিলাম। তাই যখন Discovery Channel-এ Astronomy বিষয়ক কোন কিছু দেখাতো খুব আগ্রহ নিয়ে দেখতাম।একদিন Discovery Channel-এর " How the universe works " show টি তে এই ব্ল্যাক্হোলের ছবি দেখলাম। ঠিক উপরের ছবিটির মতই ভয়ংকর ! ব্ল্যাক্হোল্ মূলতঃ কোন তারা-র মৃত অবস্থা।
আমাদের এই সৌরজগতে প্রায় বিলিয়ন খানেক তারকা আছে যাদের আয়তন সূর্যের চাইতে লক্ষ গুন বেশি। এই সব তারকার যখন জ্বালানী শেষ হয়ে যায়, তখন তাদের আর জ্বালানী দেয়ার ক্ষমতা না থাকার ফলে সে তার চারপাশ থেকে জ্বালানী টান্তে শুরু করে।বিজ্ঞানীদের মতে, এক্টি ব্ল্যাক্হোল্ মাত্র ১ সে.মি. যখন কিনা তার সৃষ্টি হয় 😯 ! কি অদ্ভুত ! আর সেই সৃষ্টি করে আমাদের মহাজগতে এক প্রলয়।
মাত্র কয়েক বিলিয়ন মিলি সেকেন্ডের মধ্য সৃষ্টি হওয়া এই ব্ল্যাক্হোল্ তার চারপাশের সব কিছু কে টেনে নিতে শুরু করে এবং যেহেতু এর আয়তন মাত্র ১ সে.মি. তাই তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত তার দুই পাশ দিয়ে গ্যাস আকারে বের করে দেয়, আর এই গ্যাস বের হওয়ার সময় প্রচন্ড চাপের কারনে যে বিষ্ফোরণ হয় তার নাম-ই Super Nova.
আর ঠিক এর পর-ই সৃষ্টি হয় এক প্রলয়ংকারীর।যার নাম ব্ল্যাক্হোল্।নিচের ছবি দুটি Super nova-র মাঝের ও পরের।
বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে একটি ব্ল্যাক্হোল্ রয়েছে।এবং আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে সূর্য মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির চারিদিকে ঘুরছে। আর যেহেতু ব্ল্যাক্হোলের আকর্ষণ শক্তি আমাদের মহাবিশ্বের যে কোন গ্রহ নক্ষত্র কে টেনে নিতে পারে সুতরাং সূর্যকে টেনে নেয়া এর পক্ষে কোন ব্যাপার-ই নয়। কারন সূর্যের চেয়ে , কয়েক লক্ষ কোটি গুন বড় নক্ষত্র এর শিকার হয়েছে। আর পৃথিবী তো কোন ছাড় !!!
******টেক্টিউন্সের সকল পাঠকদের উদ্দ্যেশ্যে আমার ইচ্ছের কথা তুলে বলছি, আমার প্রয়াস যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে কমেন্টস করে প্লীজ্ জানাবেন, ্যেন আমি Astronomy নিয়ে ১টি চেইন টিউন শুরু করতে পারি। আপনাদের সবার জন্য শুভ কামনা রইল।******
আমি শুভ নাসির। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 25 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মহাবিশ্বের এক প্রান্তে পৃথিবীতে আমি, আরেক প্রান্তে রয়েছে কস্মিক ও গামা রশ্মি। আর কি আছে...............জানাতেই এসেছি আমি শুভ নাসির.........ঘুরে বেড়াব মহাবিশ্বে আমরা সবাই। ফেসবুকে আমি : https://www.facebook.com/shuvo.nasir.7
সুন্দর টিউনস্…………………….. কিছু অজানা তথ্য জানলাম। ধন্যবাদ……………………