বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। আসসালামুআলাইকুম । সবাইকে আমার আন্তরিক প্রীতি, সম্মান, শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জ্ঞাপন করছি। আশাকরি আল্লাহ্র অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন।
আপনাদের ছোঁয়ায় আমার খনার বচনের সাথে আমিও ধন্য হয়ে গেছি। আমাদের কর্মময় অতীতের জন্য আপনাদের এত আবেগ, উচ্ছ্বাস, ভালবাসা এবং সর্বপরি সংরক্ষনের আশা আমাকে অভিভুত করেছে। আমি আসলেই ভাগ্যবান এমন সমমনা মানুষদের কাছে পেয়ে। অনেকে বলেন আমাদের দেশটা নাকি বিদেশী কালচারে ভরে গেছে। এটা অস্বীকার করা যাবে না। সেই সাথে এটাও অস্বীকার করা যাবে না আমাদের মনের ভিতর যে মন আছে তাতে আমরা ষোল আনা বাঙালী হয়েই আছি।
একটি গল্প মনে পড়ে গেলো। শুনুন-
মাইকেল মধুসুদন দত্ত তখন “মেঘনাবদ কাব্য” রচনা করে সাফল্যের চুরায়। একদিন তিনি এক রেস্ট্রুরেন্টে খাবার খেয়ে বিল মিটাবার সময় দেখতে পেলেন রেস্ট্রুরেন্ট ম্যানেজার মেঘনাবদ কাব্য মন দিয়ে পড়ছেন। মাইকেল মধুসুদন দত্ত বললেন- “আপনি ওটা কি পড়ছেন?”
রেস্ট্রুরেন্টের ম্যানেজার বললেন- “বাবু! আপনি এত কঠিন জিনিস বুঝবেন না এটা মধুসুধন বাবুর লেখা”
যাই হোক, আপনাদের চাওয়া আমার টিউন লেখার অনুপ্রেরনা।
প্রথম পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন। যদি ঐ পর্বটা না পড়ে থাকেন তাহলে একটু দেখে নিলে ভালো হয়।
১.
হাঁচি টিকটিকির ফল
শয়নে ভোজনে উপবেশনে বা দানে।
বিবাহে বিবাদে আর বস্ত্র পরিধানে।।
এই সপ্ত কর্মে হাঁচি আদি সুশোভন।
অন্য কর্মে শুভ নাহি হয় কদাচন।।
বৃদ্ধ শিশু অথবা কফের যে হাঁচি।
যত্নপূর্বকের হাঁচি কদাচ না বাছি।।
গোধনের হাঁচি হয় মৃত্যুর কারণ।
জ্যোতিষ বচনে ইহা অবশ্য বারণ।
দিকের নির্ণয় করি বুঝহ সুবুদ্ধি।
পূর্বদিকে অগ্নিকোণে হৈলে ভয় হয়।
দক্ষিণেতে অগ্নিভয় জানিহ নিশ্চয়।।
নৈঋতে কলহলাভ পশ্চিমেতে ভাব।
বায়ুকোণে নব-বস্ত্র গন্ধ জয়লাভ।।
উত্তরে টিকটিকি হাঁচি স্ত্রী-লাভ কারণ।
ঈশাণে হৈলে মৃত্যু কে করে বারণ।।
২.
উঠান ভরা লাউ শশা।
খনা বলে লক্ষ্মীর দশা।।
(গৃহী মাত্রেরই নিজ নিজ বাটিতে লাউ শশা রোপণ করা কর্তব্য। যাদের বাটীতে তেমন জায়গা নেই, তাদের পক্ষে ইহা বাটীর উঠানে রোপন করা উচিত।
৩.
ছায়ার ওলে চুলকায় মুখ।
কিন্তু তাতে নাইকো দুখ।।
(রৌদ্র না পেয়ে যদি ছায়ার মধ্যে ওল জন্মায় তা হলে মুখ চুলকায়। কিন্তু ওল বৃহৎ আকৃতির হয়ে থাকে।)
৪.
বাঁশ বনের ধারে বুনলে আলু।
আলু হয় গাছ-বেড়ালু।।
(বাঁষ বনের ধারে বড় আলু পোঁতা হইলে, গাছ সতেজ ও আলু বৃহদাকারের হয়ে থাকে।)
৫.
পৌষের কুয়া বৈশাখে ফল।
য’দিন কুয়া ত’দিন জল।।
শনির সাত মঙ্গলের তিন।
আর সব দিন দিন।।
(পৌষ মাসে যে কয়দিন কুয়াশা হয়, বৈশাখ মাসে সেই কয়দিন বৃষ্টি হয়ে থাকে। যদি শনিবারে বৃষ্টি আরম্ভ হয়, তবে সাতদিন ধরে বৃষ্টি হবে। মঙ্গলবারে বৃষ্টি আরম্ভ হইলে তিনদিন বৃষ্টি হবে, আর অন্য বারে আরম্ভ হইলে সেইদিন মাত্র বৃষ্টি হয়ে থাকে)
কষ্ট করে আমার এই টিউনটি দেখার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি আপনাদের ভালবাসায় সিক্ত ও পরিতৃপ্ত। আপনাদের ব্যাপক সাড়া আমার নিত্যদিনের প্রেরণা।
আমি মোঃ আসিফ- উদ-দৌলাহ্। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 115 টি টিউন ও 1147 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মা ও বাংলা ভাষার কাঙ্গাল
আপনার লেখা আমাকে খুব আকৃষ্ট করে। আমার মনে আপনার লেখার মধ্যে কোনও অদৃশ্য শক্তি লুকিয়ে আছে।
আবার আর একটা নতুন টিউন এর আশাই রইল…