নার্ভাস সিস্টেমের সাইন্যাপস এর গঠন ও কার্যপদ্ধতির উপরে বাংলায় ২ টি ভিডিও টিউটোরিয়াল। hsc ও SSC ছাত্ররা মিস করবেন না । আপনি যদি এখন ছাত্র ণাও হন তবু ডাউনলোড করে ভাই বোন আত্মীয় স্বজন যারা ছাত্র তাদের জন্য দিন । কথা দিচ্ছি কাজে লাগবে। যেট বুঝতে ২ দিন মুখস্ত করতে হত স্টা ১০ মিনিটেই অনেক সোজা হয়ে যাবে । সকলকে সালাম ভালোবাসা শুভেচ্ছা দিয়ে শুরু করছি আজকের লেসন । আগে আমরা ভিডিও টিয়টোরিয়ালটি দেখার আগে বেসিক আলোচনা টুকু সেরে ফেলি -
সাইন্যাপস বা প্রান্ত সন্নিকর্ষে প্রটোপ্লাজমীয় সংযোগহীন দুটি নিউরোনের যে কার্যগত সংযোগস্থলে একটি নিউরোন থেকে রাষায়নিক বা বৈদ্যুতিন তথ্য অপ্র নিউরোনে প্রেরিত হয় তাকে প্রান্তসন্নিকর্ষ বা সাইন্যাপস বলে । অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানী সি এস শেরিংটন সাইন্যাপ্স এর নামকরণ করেন । সাইন্যাপস এর গঠনগত শ্রেনীবিভাগ- একটি নিউরোনের অ্যাক্সন পরবর্তী নিউরোনের কোষদেহ , ডেন্ড্রন অথবা অ্যাক্সনের সঙ্গে একত্রে সাইন্যাপস গঠন করে ।অর্থাৎ নিউরোনের যে অংশ সাইন্যাপস গঠন করে তার উপর নির্ভর করে সাইন্যাপস কে তিন ভাগে ভাগকরা যায়। ১। অ্যাক্সো-সোমাটিক সাইন্যাপ্স –এই প্রকার সাইন্যাপ্সএ পূর্ববর্তী নিউরোনের অ্যাক্সন পরবর্তী কোষদেহ বা সোমার সঙ্গে সাইন্যাপ্স গঠন করে । ২। অ্যাক্সো-ডেন্ড্রাইটিক সাইন্যাপ্স –এই প্রকার সাইন্যাপ্সএ পূর্ববর্তী নিউরোনের অ্যাক্সন পরবর্তী ডেন্ড্রাইটের সঙ্গে সাইন্যাপ্স গঠন করে । ৩। অ্যাক্সো-অ্যাক্সোনিক সাইন্যাপ্স –এই প্রকার সাইন্যাপ্সএ পূর্ববর্তী নিউরোনের অ্যাক্সন পরবর্তী নিউরোনের অ্যাক্সনের সংস্পর্ষে আসে ও সাইন্যাপ্স গঠন করে । সাইন্যাপ্স এর গঠন – একটি সাইন্যাপ্সে নিম্নলিখিত গঠনগুলি দেখা যায় ১) প্রি সাইন্যাপটিক নব বা প্রাকসন্নিকর্ষ স্ফীতি- সাইন্যাপসে বিন্যস্ত পূর্ববর্তী নিউরোনের অ্যাক্সনের একেবারে শেষপ্রান্তে স্ফীত প্রান্তটিকে প্রিসাইন্যাপটিক নব বলে। প্রিসাইন্যাপটিক নবের বাইরের অ্যাক্সোলেম্মা আবরণকে প্রিসাইন্যাপটিক মেমব্রেন বলে । প্রিসাইন্যাপটিক নবের ভেতরে অবস্থিত সাইটোপ্লাজমে অসংখ্য পর্দাবৃত ক্ষুদ্র থলি থাকে যাদের সাইন্যাপটিক ভেসিকল বলে । ঐ থলিতে অ্যাসিটাইলকোলিন , অ্যাড্রিনালিন প্রভৃতি রাসায়নিক প্রেরক পদার্থ বা নিউরোট্রান্সমিটার বা নিউরোহিউমার থাকে । এছাড়া প্রিসাইন্যাপটিক নবে বহু মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে যা প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে । নিউরোত্রান্সমিটার বা প্রেরক পদার্থ নিঃসরনের মাধ্যমে এক নিউরোন থকে অপর নিউরোনে স্নায়ু প্রবাহ সঞ্চিত হয় । ২) পোস্ট সাইন্যাপটিক প্রসেস- সাইন্যাপস এ অবস্থিত পরবর্তী নিউরোনের কোষদেহ, ডেন্ড্রন বা অ্যাক্সনের অংশ যা প্রি সাইন্যাপটিক নবের খুব কাছাকাছি থেকে সাইন্যাপস গঠন করে তাকে তাকে পোস্ট সাইন্যাপটিক প্রসেস বলে ।এর বাইরের পর্দাকে বলে পোস্ট সাইন্যাপটিক পর্দা । ৩। সাইন্যাপটিক ক্লেফ্ট- প্রিসাইন্যাপটিক নব ও পোস্ট সাইন্যাপটিক প্রসেস এর অন্তবর্তী যে 200-300 A0 ফাঁকা স্থান থাকে তাকে বলে সাইন্যাপোটিক ক্লেফ্ট বা সাইন্যাপটিক ব্যবধ্যানবা সন্নিধি প্রনালী বলা যেতে পারে।। এটি আন্তঃকোষীয় তরল দ্বারা পূর্ণ থাকে । ৪। অনেকক্ষেত্রে (বিশেষতঃ গুরুমস্তিষ্কে অবস্থিত সাইন্যাপসে এটা বেশী দেখা যায়) 50 A0 ব্যাস যুক্ত কয়েকটি সমান্তরাল আন্তর সন্নিধি সূত্রের ( Inter Synaptic Filaments) সন্ধান পাওয়া গেছে । এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ও রেটিনার সাইন্যাপসের পোস্ট সাইন্যাপটিক নবে পোস্ট সাইন্যাপটিক মেম্ব্রেনের সঙ্গে যুক্ত একধরনের জালকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে , এদের অধঃসন্নিধি জালক বা সাব সাইন্যাপটিক ওয়েব বলা হয় । পোস্টসাইন্যাপটিক নবের পর্দায় বৃহৎ প্রোটিন অনুসমূহ বর্তমান , যারা ট্রান্সমিটার পদার্থের গ্রাহক স্থান রূপে কাজ করে এবং প্রি ও পোস্ট উভয় সাইন্যাপটিক মেমব্রেনের গায়ে অসংখ্য সরু সরু চ্যানেল ও ছিদ্র বর্তমান , যাদের মাধ্যমে পোস্ট সাইন্যাপটিক মেম্ব্রেনে আয়নের প্রবাহ সম্ভব হয় ।
এবার আমরা আলোচনা করব নিউরোট্রান্সমিটার সমন্ধে । নিউরোট্রান্সমিটার পদার্থ নিউরোনের কোষদেহে উৎপাদিত হয় এবং অ্যাক্সনের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে সাইন্যাপটিক নবে পৌছায় অথবা কোনো কোণো ক্ষেত্রে এই পদার্থ সরাসরি সাইন্যাপটিক নবেই তৈরী হয় । সাইন্যাপটিক নবে নিউরোট্রান্সমিটার পদার্থগুলি ভেসিকলে (ছোটো থলি) আবদ্ধ হয় এবং নির্গমনের জন্য সঞ্চিত থাকে। মেরুদন্ডী প্রানীদের স্নায়ুতন্ত্রে যদিও নানাপ্রকার ট্রান্সমিটার পদার্থ বর্তমান থাকে তথাপি প্রধান ট্রান্সমিটার পদার্থগুলি দুপ্রকারের হতে পারে , যথা –অ্যাসিটাইল কোলিন ও নর-অ্যাড্রিনালিন । অ্যাসিটাইল কোলিন একপ্রকারের অ্যামোনিয়াম যৌগ ও নর-অ্যাড্রিনালিন একপ্রকারের ক্যাটেকোলামাইন। –অ্যাসিটাইল কোলিন উৎপাদনকারী নিঊরোন কে বলে কোলিনারজিক এবং নর-অ্যাড্রিনালিন উৎপাদঙ্কারী নিউরোনদের বলে অ্যাড্রিনার্জিক নিউরোন। নর- অ্যাড্রেনালিন নির্গত হয় সিমপ্যাথেটিক স্নায়ুদের দ্বারা এবং আসিটাইলকোলিন নির্গত হয় বাদবাকি প্রায় সমস্ত স্নায়ু থেকেই ।
সাইন্যাপসের মধ্যে দিয়ে কিভাবে স্নায়ু উদ্দীপনা প্রবাহ হয় ? ক) স্নায়ু উদ্দীপনা সাইন্যাপটিক নবে পৌছালে প্রি সাইন্যাপটিক পর্দার ডি -পোলারাইজেশন বা বিসমবর্তন ঘটে (বিসমবর্তন – বা ডিপোলারাইজেশন কি এ সমন্ধে পরে আলাদা করে বুঝতে হবে) ফলে ক্যালসিয়াম চ্যানেল গুলি উন্মুক্ত হয় এবং পর্দার ক্যালসিয়াম আয়নের ভেদ্যতা বৃদ্ধি পায় । খ) ক্যালসিয়াম আয়ন প্রবেশের ফলে সাইন্যাপটিক ভেসিকলগুলি প্রিসাইন্যাপটিক পর্দার সঙ্গে সংযুক্ত হয় এবং তাদের অভ্যন্তরের নিউরোট্রান্সমিটার পদার্থ এক্সোসাইটোসিস পদ্ধতিতে সাইন্যাপটিক ক্লেফটে মুক্ত হয় । এর পর ভেসিকল গুলি সাইটোপ্লাজমে ফিরে এসে পুনরায় ট্রান্সমিটার পদার্থ দ্বারা পূর্ণ হয় । প্রতিটি ভেসিকলে প্রায় ৩০০০ অনু অ্যাসিটাইল কোলিন বর্মান থাকে । গ) অ্যাসিটাইলকোলিন প্রায় ০.৫ মিলিসেকেন্ডের মধ্যে সাইন্যাপটিক ক্লেফটের মাধ্যমে ব্যাপন পদ্ধতিতে গমন করে এবং পোস্ট সাইন্যাপটিক পর্দার নির্দিষ্ট গ্রাহক স্থানে (একপ্রকারের বৃহৎ প্রোটিন অনু ) যুক্ত হয় ঘ) অ্যাসিটাইলকোলিনএর প্রভাবে পোস্ট সাইন্যাপটিক পর্দার আয়ন চ্যানেলগুলি উন্মুক্ত হয় এবং ওই আয়ন চ্যানেল এর মধ্যে দিয়ে সোডিয়াম আয়ন প্রবেশের ফলে পর্দার দিপোলারাইজেশন ঘটে –এর ফলে উৎপন্ন বিভবকে উদ্দীপকধর্মী পোস্ট সাইন্যাপটিক বিভব বা এক্সাইটেটরি পোস্ট সাইন্যাপটিক পটেনশিয়াল ( Excitatory Post Synaptic Potential ) বলে । এর ফলে কোষ্অটি উত্তেজিত হয় ও স্নায়ুঊদ্দীপনা বা অ্যাকশন পটেনশিয়াল সৃষ্টি হয় । এই ভাবে একনিউরোন থেকে অন্য নিউরোনে সান্যু ইয়দ্দীপনা প্রবাহিত হয় । ঙ) পোস্ট সাইন্যাপটিক পর্দাকে প্রভাবিত করার ঠিক পরেই সাইন্যাপটিক ক্লেফটে থাকে কোলিন এস্টারেজ উৎসেচক এর প্রভাবে অ্যাসিটাইল কোলিন দ্রুত ভেঙ্গে গিয়ে কোলিনে পরিনত করে । এই কোলিন এস্টারেজ উৎসেচক পোস্ট সাইন্যাপটিক পর্দায় অবস্থিত থাকে । এই কোলিন পুনরায় অ্যাসিটাইল কোলিন উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয় । এবার আসি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি টার্ম- ডি-পোলারাইজেশন ও অ্যাকশন পটেনশিয়াল এই দুটি ভালো ভাবে বুঝতে পারলেই স্নায়ুর মধ্যে দিয়ে কিভাবে স্নায়ু উদ্দীপনা বা নার্ভ ইম্পালস প্রবাহিত হয় সেটি বোঝা যাবে । এটি আর খাতায় কলমে নয় দেখে নেব একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল , এটি দেখলেই কাজ শেষ !
1st ভি ডি ও টি দেখতে নীচে ক্লিক করুন
http://www.youtube.com/watch?v=YGzaIgSb1_Y&context=C31f1aa8ADOEgsToPDskJZug_EB9gFXitpEDzWXjDU
2nd ভি ডি ও টি দেখতে নীচে ক্লিক করুন
http://www.youtube.com/watch?v=gYk0RpZwgFM&list=HL1324641556&feature=mh_lolz
অ্যাকশন পটেনশিয়াল বা নার্ভ উদ্দীপনা প্রবাহের মূল রহস্য বুঝতে ডাউন লোড করুন এখানে –ভিডিও ১
সাইন্যাপসের পরিবহন পদ্ধতি অংশ টুকু ভালো ভাবে বুঝতে চান তারা ডাউনলোড করুন এখানে –ভিডিও ২
মনে রাখবেন ২টি ভিডিও আপনাকে ডাউনলোড করা লাগবে । কারন দুইটি ভিডিও পরস্পরের সাথে সংশ্লিষ্ট । কথা দিচ্ছি না দাউনলোড করলে মিস করবেন । আপনার ২ –দিনের পড়া ৫ মিনিটে জলের মত পরিষ্কার হয়ে যাবে ।
আর ওই একই ভিডিও দুটি যারা মোবাইলে দেখতে চান বা ছোট সাইজে ডাইনলোড করতে চান তারা 3GP ফর্মাটে ডাঊনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে নীচের ২টি লিঙ্কে –মাত্র ৭ এম বি ও ৯ এম বি সাইজের যথাক্রমে ভিডিও ১ 3GP ভিডিও ২ 3GP সবাইকে সালাম । সকলে ভালো থাকবেন ।ভালো লাগলে মন্তব্য করবেন ।খোদা হাফেজ। আর একটি কথা না বললেই নয় - স্পেশাল থ্যাঙ্কস টু উন্মাদ তন্ময় ভায়া ।
আমি অপু.পশ্চিমবাংলা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 29 টি টিউন ও 706 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
i am azmalhossain, Native Place Kandi, Murshidabad, West Bengal.age 32 . MSc(Tech) in Agril Engg.Service-West Bengal Civil service WBCS(Executive) Officer , Presently posted as Deputy Magistrate and Deputy Collector, Malda.Hobby- painting, recitation. computer game .
zotil hoice