বিশ্বে সর্বকালে সর্ব শ্রেষ্ঠ মানুষ;রাসূল (ছা.) এর জীবনীর উপর অসাধারণ বইয়ের পরিচিতিঃ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

বিশ্বে সর্বকালে সর্ব শ্রেষ্ঠ মানুষ;রাসূল (ছা.)এর জীবনীর উপর

 যুগান্তকারী ৬১৪ পৃঃ বইয়েরপরিচিতিঃ বইটির নাম-

বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদ (ছা.) ও তাঁর আহলে বায়েত

হযরত মুহম্মদ (ছা.) বিশ্ব নবী। যিনি আমাদের পবিত্র কোরআন মাজিদ এনে দিলেন। তাঁর দুনিয়ায় আবির্ভাব থেকে আরম্ভ করে অন্তর্ধানের দিন পর্যন্ত মহান জীবনের সম্পূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে প্রতিটি অনুসারীর সম্যক জ্ঞান লাভ অতীব প্রয়োজন। ফলেই তো তাঁকে পুরোপুরিভাবে অনুসরণ করা সম্ভব হবে। এই বইতে সর্বস্তরের ঘটনা সম্পর্কে আলোচনার চেষ্টা করা হয়েছে। এই একই বিষয়ের অন্যান্য বই-তে কিছু কথা বা ঘটনার পরিষ্কার  আলোচনা হয়নি। কিন্তু ৬১৪ পৃষ্ঠার এই বইতে তা বাস্তবসম্মত উপস্থাপন ও তদ্বীয় বিষয়ে প্রশ্নের সমাধান রয়েছে। যা পাঠক মনে আরও সত্য ও বাস্তবতায় অগ্রগতি করবে। নিন্মে সংক্ষিপ্ত আকারে যা লেখক তুলে ধরেছেন তা উল্লেখ করা হলো; যেমনঃ-

১.  কঠোর সাধনায় মানবকুলের শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী হযরত মুহম্মদ (ছা.) সীনা চাকের প্রচলিত, কাল্পনীক ধারনা সৃষ্টি করে, তাঁর সাধনার জীবনকে ম্লান করে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে শবে মেরাজের প্রারম্ভে হযরত মুহম্মদ (ছা.) এর সীনা চাকের কথা ব্যাপকভাবে চালু আছে এবং  মাওলানা আকরাম খাঁ সাহেব তার লেখা ”মোস্তফা চরিত্র” গ্রন্হে যা বলেছেন যেমন- সোনার বাটি, চামুচ দ্বারা ফেরেস্তাদের দিয়ে বারবার হযরত মুহম্মদ (ছা.) এর সীনাহ চাক করিয়েই তো হযরত মুহম্মদ (ছা.)কে উন্নত বা শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। তাহলে লেখকের প্রশ্ন- আল্লাহতায়ালা যাদের সীনাহ চাক করলেন না তাদের অবস্থা কি করে উন্নত হবে? এজন্য সীনাহ চাকের বিশেষ অবস্থার কথা এই বইতে সংযোজন আছে।

২.   আল্লাহ তা’আলা সর্বত্র বিরাজমান। আল্লাহর অবস্থানের কোন নির্দিষ্ট জায়গার কথা ধারণা করা যাবে না। অথচ সেই আল্লাহ তা’আলার সাথে মিরাজ বা সাক্ষাতের বিষয়ে আকাশ পথে ভ্রমন করিয়ে কত ভাবেই না ওয়াজ নছিহতের মাধ্যমে কথা বলা হচ্ছে। হযরত মুহম্মদ (ছা.) মিরাজের কথা বিশ্বাস করতে হবেই। কিন্তু সেই বিশ্বাস কায়েম করতে গিয়ে আল্লাহ তা’আলার অবস্থান সম্পর্কে কল্পনার জগতে বিরাজ করা যাবে না। আল্রাহ তা’আলার অবস্থান সম্পর্কে পাক কুরআন মাজিদে যেভাবে জানিয়েছেন প্রতিটি রাসূল (ছা.) অনুসারী ব্যক্তিকে সেই ধারনাই কায়েম থেকে হযরত মুহম্মদ (ছা.)’র মিরাজকে বুঝতে হবে। তাই মিরাজ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনার তাগিতে মিরাজ সম্পর্কে একটি বিশেষ অধ্যায় এই বইতে সংযোজিত হয়েছে।

৩.  বিদায় হজ্বে আরাফার মাঠে রাসূলে পাক (ছা.) তাঁর ভাষণে পাক কুরআনকে মান্য করার আর সেই সাথে বিশেষ কতকগুলি নীতিমালা উল্লেখ করেন এবং সেইভাবে মানতে বলে তিনি বিদায় হজ্ব থেকে মদীনার পথে আসলেন। কিন্তু আল্লাহ তা’আলা চাচ্ছিলেন রাসূলে পাক (ছা.) জীবনের শেষ ভাষণে তাঁর আহলে বায়েতের কথা বলুন। আল্লাহ তা’আলার তাগিদে রাসূলে পাক (ছা.) বিদায় হজ্ব থেকে ফেরার পথে ‌’গাদীরে খুম’ নামক জায়গায় যাত্রা বিরতি করে লক্ষ হাজী জনতাকে একত্র করে ঘোষণা করলেন- তোমরা আল্লাহ কুরআন মানবে ও আমার আহলে বায়েতকে অনুসরণ করবে। একই সাথে রাসূলে পাক (ছা.) আহলে বায়েতের শ্রেষ্ঠ হযরত আলী (আ.) কে মওলা হিসাবে মানার কথাও ঘোষণা দিলেন- ঘোষণা দিলেন আলীর সাথে শত্রুতা করে যে, সে আমার সাথে শত্রুতা করবে- সে আল্লাহর সাথে শত্রুতা করবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় গাদীরে খুমে হযরত আলী (ক.)’র মওলার অভিষেকের অনুষ্ঠান ও আলোচনার কথা কোথাও প্রকাশ করা হয় না। যা বইতে সংযোজিত হয়েছে।

৪.  আহলে বায়েতগণকে তথা পাক পাঞ্জাতন পবিত্র করার জন্য পাক কুরআনের ৩৩নং সূরা আযহাবে ৩৩ নং আয়াতের প্রতি এবং পাক কুরআনে মুবাহিলার ঘটনার বর্ণনায় আহলে বায়েতের পরিচয় সম্পকে লেখক দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন এই বইতে।

৫.  হযরত মা ফাতিমা (আ.)’র পৈতৃক ওয়ারিশ হিসাবে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া এবং রাসূলে পাক (ছা.)’র অন্তর্ধানের মাত্র ছয় মাস পরই তাঁর জীবন অবসানের ঘটনা- সবই অনুধাবনযোগ্য। এ সবের উপর আলোচনা আছে এই বইতে।

৬.   ইসলামী ঐক্যের প্রশ্নে ইমাম হাসান (আ.)’র আমীর মুয়াবিয়ার নিকট আপোষ খিলাফত ত্যাগ করা বিশ্বের বুকে অনন্য উদাহরণযোগ্য ঘটনা যা এই বইতে পাঠকগণের অনুধাবনের জন্য প্রত্যাশা রেখেছেন লেখক। ইমাম হোসাইন (আ.)’র কারবালার মাঠে পরিবার, পরিজন ও ঘনিষ্ট অনুসারীরগণসহ শাহাদত বরণের ঘটনা বিশেষভাবে অনুধাবনযোগ্য। তাঁর সমকালীন ইসলামী রাষ্ট্র ও ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রতিটি মুসলমানের অবশ্য প্রয়োজন। কাফির ইয়াজিদ তখনকার মুসলিম জাহানের জবরদখলকারী খলিফা। একমাত্র কুফার জনগণ এবং হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)’র পরিবার, পরিজন ও ঘনিষ্ট অনুসারী ব্যতিত সকলে কাফির ইয়াজিদের খিলাফত দখলে স্তব্ধ ও ভীত সন্ত্রস্ত। লেখক বলেছেন- এ সবই রাসূলে পাক (ছা.)’র ও তাঁর আহলে বায়েত ভক্তগণের চিন্তার খোরাক যোগানো ঘটনা। তাই এ বিষয়ে বিশেষ আলোচনা এই বইতে রয়েছে।

৭.  আহলে বায়েত বহির্ভূত খোলাফায়ে রাশেদীন হযরত আবুবকর হযরত ওমর ও হযরত উসমান (রা.)গণের আমলে তারা আহলে বায়েতকে মুসলিম জাহানের ইমামের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দুঃখের বিষয়- তথাকথিত উমাইয়া, আব্বাসীয় খলিফাগণ আহলে বায়েতগণের অনুসারী ১২ জন ইমামকে একের পর এক শহীদ করে ইসলামের বিভিন্ন দল ও মজহাবের নেতাগণকে ইমাম হিসাবে ঘোষণা দেয়। এতে ইমামতিও প্রতিষ্ঠিত আহলে বায়েত ও তাদের আয়ত্তের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে দুঃখের বিষয় সমাজে ধীরে ধীরে আহলে বায়েত তথা পাক পাঞ্জাতন পাঁচটি পবিত্রতন-এর বিরোধিদের দুষ্ট প্রভাবে এই পবিত্র প্রথা লোপ পাচেছ।   লেখক এই দিকে পাঠকগণের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

বইতে হযরত মুহাম্মদ (ছা.) ও তাঁর আহলে বায়েতগণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার দিকে সুহৃদয় পাঠকগণের মনে অনুসন্ধিৎসা সৃ্ষ্টির উদ্দেশ্যে এই প্রাথমিক কথাগুলির অবতারণা। এতে সফলতার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট বিশেষ মুনাজাত।

উক্ত বইটির লেখক অধ্যক্ষ এস.এম আবুল হুসাইন উয়ায়সী আল্লাহর অশেষ রহমতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন সেই ৬০ দশকের দিকে। পরবর্তী জীবনে ইসলামের ইতিহাস নিজে পড়েছেন ও ছাত্রদের পড়িয়েছেন। এর সাথে ছাত্র জীবনেই রাসূলে পাক (ছা.)’র পবিত্র খেরকা প্রাপ্ত হযরত উয়ায়স করণি (রহ.) কর্তৃক আধ্যাত্মবাদের মূল ভিত্তির উপর ও চালু পবিত্র ধর্মীয় দিক নির্দেশনায় আধ্যাত্মবাদের শিক্ষায় শিক্ষিত হবার সুযোগও আল্লাহ তা’আলা দিয়েছেন। সব মিলে রাসূলে পাক (ছা.) ও তাঁর আহলে বায়েতগণের জীবনাদর্শ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছেন।

উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ এস.এম আবুল হুসাইন উয়ায়সী টাংগাইল জেলার একজন মানুষ গড়ার কারিগর হিসাবে খ্যাত। তিনি ৪টি কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও করটিয়া সাÕদত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাসহ বিভিন্ন কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার জীবনের সাফল্য ও কর্ম নিয়ে আরো একটি বই একই সাথে প্রকাশিত হয়েছে। বইটির নাম “আমার জীবনের ইতি কথা”। শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক ড. আফরাফ সিদ্দিকী বই সমন্ধে কভার পৃষ্ঠার ভিতরে  বলেছেন - “অধ্যক্ষ এস.এম আবুল হুসাইন উয়ায়সী একজন নিবেদিত প্রাণ, শিক্ষাবিদ, শিক্ষাসেবী ও সমাজ সেবক। তার শিক্ষকতার বিষয় ছিল ইসলামের ইতিহাস। তিনি শিক্ষক হিসাবে শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত সম্মানিত ছিলেন। তিনি সুশিক্ষক, সুবক্তা ও অত্যন্ত সরল জীবন যাপনে একজন আদর্শ মানুষ। তার পরিণত বয়সে রচিত আমার জীবনের ইতিকথা শিক্ষা সমাজসেবা ও কর্মময় জীবনের অভিজ্ঞতা এবং সাধারণ জীবন যাপনের বর্ণনায় এক সমৃদ্ধ দলিল। বইটিতে একটি সুদীর্ঘ কালকে সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে। - যা পাঠক-পাঠিকা-ছাত্র-শিক্ষক, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবী মানুষের জ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যায়ে উজ্জীবিত ও অনুপ্রানিত করবে।” অর্থাৎ কিভাবে শিক্ষা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজ উন্নয়ন করা যায় এই বইতে তার বিশেষ কৌশল পরিলক্ষিত।
বই প্রাপ্তির স্থান

আশেক মুর্শেদ
শাহ্ আফাজ উদ্দিন মাস্টার বাড়ি (বংশাই ব্রিজ সংলগ্ন), পোস্ট ও উপজেলা-  কালিয়াকৈর-১৭৫০, গাজীপুর।
ফোন- 01720602222
ই-মেইল: [email protected]
Web: ashekmurshed.blogspot.com

অফসেট পেপারে মুদ্রিত দু’টি বইয়ের শুভেচ্ছা মূল্য একত্রে : ৯০০ টাকা; পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ৪০% ছাড়ে ৫৪০/- টাকা। (স্টক সীমিত)

Level 0

আমি suXon। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 39 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

এটি একটি সম্পূর্ণ নতুন বই

Level 0

টিউনটি দেখে ভাবলাম ডাউনলোড করে পড়বো কিন্তু 🙁

[b]হযরত আলী (আ.) কে মওলা হিসাবে মানার কথাও ঘোষণা দিলেন[/b]

ভাই আমদের কে কি মুশরিক বানাতে চান

পারলে ডাউনলোড লিংক দিয়েন

Level 0

আহলে বায়েত মানে কি?ব্যাপার টা ভালো মনে হচ্ছেনা।আপনার লেখা তেঁ বিপদের চিহ্ন পাচ্ছি।

"""একই সাথে রাসূলে পাক (ছা.) আহলে বায়েতের শ্রেষ্ঠ হযরত আলী (আ.) কে মওলা হিসাবে মানার কথাও ঘোষণা দিলেন- ঘোষণা দিলেন আলীর সাথে শত্রুতা করে যে, সে আমার সাথে শত্রুতা করবে- সে আল্লাহর সাথে শত্রুতা করবে।"""

এই কথার মানে একটু বুঝিয়ে বলবেন।

    Level 0

    ভাই মুকুট- আপনি একজন ইসলাম চর্চাকারী লোক তা আপনার বিভিন্ন টিউনে পেয়েছি। আপনার প্রশ্নের উত্তর এই লেখাতে বা এই বইতেই আছে। এখানে আহলে বায়েত হচ্ছে নবীর পারিবার-পরিজন। যা ৩৩ নং সূরা আযহাব-এর ৩৩ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ পাক বলেন- নিশ্চয়ই আল্লাহ চাহেন তোমাদিগ হইতে নাপাকী দূরে রাখিতে, হে আহলাল বায়েত (গৃহবাসীগণ)। (৩৩:৩৩) আল্লাহ মুহাম্মদ (ছা.) এর আহলে বায়েতকে পাক-পবিত্র বলে ঘোষণা দেন। দেখুন বিভিন্ন মুহাদ্দিসগণের তাফসীর যেমন- তাফসীর ইবনে কাসীর ১৫ খন্ড ৭৮৪ নং পৃষ্ঠা থেকে শুরু বিভিন্ন হাদীসের বর্নণাসহ। মিশকাত, তিরমিজি অন্যান্য হাদিস শরীফে অসংখ্য হাদীস রয়েছে এব্যপারে। হযরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন- একদা রসূল (ছা.) কালো চাদর গায়ে বের হয়ে আসলেন, তারপর পর্যাক্রমে আলী (রা.) এর পুত্র হাসান, হোসাইন, তারপর ফাতেমা, তারপর আলীও আসলেন। সকলকেই তিনি তাঁর চাদরে ভিতরে প্রবৃষ্ট করলেন এবং বললেন- হে পরিজনগণ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদিগ হইতে নাপাকী দূরে রাখিতে এবং তোমাদিগকে পাকের মত পাক করিতে চাহেন। (মেশতাক) এছাড়া পাক কোরআনে বর্ণিত ৩:৬১ নং আয়াতে মোবাহিলর ঘটনা লক্ষ করুন।
    আপনার ২য় জবাব সংক্ষেপে হচ্ছে- বিদায় হজ্জ থেকে মদীনা ফেরার পথে ১৮ ই জিলহাজ্ব গাদীরে খুম নামক স্থানে রাসূল (ছা.) যাত্রা বিরতী করেন। যারা আগে ও পিছন আছেন তাদের একত্রি করে উপস্থিত জনমন্ডলীর উদ্দেশে বলিলেন- তোমরা কি জান না আমি মুমিন ব্যক্তির নিজ জীবনের চেয়ে বেশী প্রিয়, জনতা উত্তরে বলিল, নিশ্চয় আমরা জানি। তখন রাসূল হযরত আলীকে হাত উচু করে ধরলেন এবং বললেন- আমি যার মওলা, আলীও তার মওলা। যে আলীকে ভালবাসে, আল্লাহ তাকে ভালবাসে, যে আলীর সাথে শত্রুতা করে, আল্লাহও তার সাথে শত্রুতা করে। হযরত ওমর (রা.) আলী(রা.) সাথে সাক্ষাত করে এবং বলেন- হে আবু তালিবের পুত্র তোমাকে অভিনন্দন। তুমি সকাল সন্ধা প্রত্যেক মুমিন পুরুষ ও নারীর মওলা (মিশকাত শরীফ থেকে বারা বিন আজেব ও যায়েদ বিন আকরাম হইতে বর্ণিত)। বিস্তারিত জানতে এই বই অথবা ইসলামের ইতিহাস অথবা বিদায় হজের পরবর্তী ঘটনা দেখুন।

bhai..ebook…akare…download…kore..den…

ভাই আপনি যে শিয়া এটা সহজে বুজা যায়। যায় হোক, এটা আপনার ব্যাক্তি গত ব্যাপার। আমার কিন্তু ইসলামী হাদিস পড়ার অভ্যাস আছে তাই এখানে আপনার অনেক লাইন আমার ভাল লাগে নাই এর বেশি কিছু বললাম না।

    Level 0

    সি.এম তানভীর ভাই ও রানা২ বাংলা ভাই——– বাংলাদেশে শিয়া আছে কিনা জানিনা। আপনার মত অনেকেই বর্তমান যামানার উচ্চ পর্যায়ের ইসলামী কবি এবং চিন্তাবিদ আল্লামা ইকবাল আলী (রা.) এর প্রশংসা করেন বলে কেউ তাকে প্রশ্ন করেছিল- আপনি এত আলী (আঃ) প্রসংশা করেন কেন? আপনি কি শিয়া হয়ে গেছেন? তখন আল্লামা ইকবাল বলেছেন- তাঁর প্রশংসা আল্লাহ ও তার রাসূল (সাঃ) করছেন। আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ) যদি শিয়া হয়ে থাকে তাহলে আমিও শিয়া। ভাই আপনি অনেক হাদিস হয়তো পড়েন। ইসলামের ইতিহাস পড়েন কিনা আমার জানা নাই।

      Level 0

      আপনি নিজেই শিকার করলেন আপনি শিয়া,।
      বাংলাদেশ এ শিয়া না থাকলে মহররম এর দিন তাজিয়া মিছিল কারা করে?কারা নিজের পিঠ কে চাবুক মেরে রক্তাক্ত করে?ইসলামে নিজেকে কষ্ট দেয়া কঠিন ভাবে নিষিদ্ধ।

      আপনআর লেখা পড়লে চোখের ক্ষতি হয়।পড়তে সমস্যা হয়।আর বইটি ই-বুক হিসেবে দিলে অনেকে ডাউনলোড করে পড়তে পারতো।

ভাই আপনি যে শিয়া এটা সহজে বুজা যায়। যায় হোক, এটা আপনার ব্যাক্তি গত ব্যাপার। আমার কিন্তু ইসলামী হাদিস পড়ার অভ্যাস আছে তাই এখানে আপনার অনেক লাইন আমার ভাল লাগে নাই এর বেশি কিছু বললাম না।

Level 0

ভাই মুকুট- আমি শিয়া নই। ঐ কথাগুলো আল্লামা ইকবাল ও প্রশ্নকারী কথা । ইনশাল্লাহ, ঐ বেদাত কার্যক্রম আমি নিজেও অপছন্দ করি। শিয়াদের তো আলী (রা.) তার সামনে থেকে বের করে দিয়েছিলেন। হুজুর পাক ছা. বলেছেন- আমি জ্ঞানের শহর, আলী জ্ঞান ঘরের দরজা। তাই ইসলামী জ্ঞান অর্জন করতে হলে আলী (রা.) 'র কাছে যেতেই হবে। এব্যপারে আরো জানতে ইষলামের ইতিহাসে আলী (রা.) এর প্রধান্যতা জানেত http://ashekmurshed.blogspot.com/2011/06/blog-post.html দেখতে পারেন। ভাই এই অফসেট পেপারের বই দুটি শুধু প্রিন্টিং খরচে প্রচুর বিক্রয় হচ্ছে।

শিয়াদের বই । এটা পড়া ঠিক না। আলী (রাযি) এর মর্যাদা নিয়ে অনেক সহীহ হাদীস আছে এবং সেই সাথে জাল হাদীস আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো আমি জ্ঞানের শহর আলী তার দরজা। যে আলীর সাথে শত্রুতা করে সে আমার সাথে শত্রুতা করে। এ কথাটি শুধু আলী (রাযি) এর জন্য প্রযোজ্য নয়, সব সাহাবীর জন্য প্রযোজ্য।

    Level 0

    @শাহাদাত হুসাইন: ভাই- না জেনেই কারো ব্যপারে অবপাদ দেয়া মানুষের কাজ নয়। আলী (ক.) নাম শুনেই শিয়া অপবাদ দেয়া; কোন দলের অভ্যাস? অথচ সেই আলী (ক.) এর পুত্রের নামের অংশ আপনার নামে জুড়ে দেয়া আছে।
    আপনি একজন ইসলাম চর্চাকারী লোক তা আপনার ব্লগে পেয়েছি। আহলে বায়েত নবীর পারিবার-পরিজন। যা ৩৩ নং সূরা আযহাব-এর ৩৩ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ পাক উক্ত আয়াতে বলেন- নিশ্চয়ই আল্লাহ চাহেন তোমাদিগ হইতে নাপাকী দূরে রাখিতে, হে আহলাল বায়েত (গৃহবাসীগণ)। (৩৩:৩৩) আল্লাহ মুহাম্মদ (ছা.) এর আহলে বায়েতকে পাক-পবিত্র বলে ঘোষণা দেন। দেখুন বিভিন্ন মুহাদ্দিসগণের তাফসীর যেমন- তাফসীর ইবনে কাসীর ১৫ খন্ড ৭৮৪ নং পৃষ্ঠা থেকে শুরু বিভিন্ন হাদীসের বর্নণাসহ। যা আপনার ব্লগে ডাউনলোড করে আপনি দেখতে পারেন। বিস্তারিত জানতে এই বই অথবা ইসলামের ইতিহাস অথবা বিদায় হজের পরবর্তী ঘটনা দেখুন। আর আপনি যদি রফাদাউন দলের হয়ে থাকেন; তবে তো আপনাকে বোঝানে কঠিন । যেমন-শিশুকে রুটি-গোস্ত খাওয়ানো কঠিন।

Level 0

" আমি জ্ঞানের শহর, আলী জ্ঞান ঘরের দরজা " এটি একটি জাল হাদিস ।
এ রকম অনেক জাল হাদিস সম্পর্কে জানতে "হাদিসের নামে জালিয়াত" বইটি পড়ুন ।
লেখকঃড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (সহযোগী অধ্যাপক,আল-হাদিস বিভাগ,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
আমার জীবনে পড়া শ্রেষ্ঠ বইগুলির একটি ।

Level 0

ভাই সাইফুল- তার মানে আপনারা ধরে নিচ্ছেন, মুহাম্মদ (ছা.) জ্ঞানের শহর নয়(নাউজুবিল্লাহ)। আর তাঁর জ্ঞান শহরের কোন দরজা থাকার প্রয়োজন কি? আল্লাহ ও রাসূল কর্তৃক আধ্যাত্মিক তথা আওলিয়া জগতের শিরোমনি যুবকদের মধ্যে মাত্র ১০ বছর বয়সে প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী, সারা জীবন রসূল (ছা.) এর দেহ রক্ষী, শিক্ষিত সাহাবী সর্বপরি- ৩৩ সূরার ৩৩ নং আয়াত দ্বারা পবিত্র পাক পাঞ্জাতনের অন্যতম সদস্য হযরত আলী (রা.) এর জ্ঞান সম্পর্কে আরও জানার প্রয়োজন বোধ করুন।

Level 0

হযরত আলী (রা.) এর জ্ঞান সম্পর্কে আমার না জানলেও চলবে ।
তাকে সাহাবী হিসেবে সম্মান করাই আমার জন্য যথেষ্ট ।
আমার দায়িত্ব রসূল মুহাম্মদ (ছা.) কে অনুসরন করা আলী (রা.) কে নয় ।

Level 0

মুহাম্মদ (ছা.) দাবি করেননি, তিনি জ্ঞানের শহর বরং তিনি বলেছেন মুসা কালামুল্লাহ ।
সার্বপরি "আমি জ্ঞানের শহর, আলী জ্ঞান ঘরের দরজা " এটি একটি জাল হাদিস ।

assalamuwalaikum, vai apnader aei topic ta amar kase khub valo legese, suxon ami apnar tune a onek important referance dite parbo, ami janina apni shia or sunni eta amar kase important na important holo allah and tar rasul (s.a) amader ki bolesen ta al quraan and hadis theke ami inshallah uposthapon korbo, true is true kew manuk r na manuk allah and tar rasul (s.a) a pak ka ja bolesen ta amader mantei hobe, amar avro te bangla likhte khub kosto hoy tai eng text diye likhlam asha kori apnara amar post bujhte parben

    Level 0

    @পাপপু েচৌধুরী: ভাই পাপ্পু চৌধুরী, আপনার উপযুক্ত কথাগুলির জন্য হৃদয় থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাই আমি বলেছি আমি শিয়া নই। আমার চৌদ্দ গোষ্ঠিও নয়। আমাদের যারা শিয়া বলে- তারা আসলে শিয়া, সুন্নির সঙ্গাই জানে না। একটা উদাহরন দিচ্চি- এই রমজানের মাঝের দিকে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় একটি কৈতুক ছিল- “শিক্ষক ছাত্রকে বলছে- আজ আমি তোমাদের আপেক্ষিক তত্ব প্রমান করে দেখাব; ছাত্র বলল- প্রমান করতে হবে না স্যার, আমারা বিশ্বাস করি!” এ কথা তাদের বললাম যার প্রমানে বিশ্বাস করে না; শোনা কথায় বিশ্বাস করে। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

janab saiful saheb, apnake sunni hadis and tafseer er referance dibo tokhon nijei bujhte parben konta jal r konta sahih hadis

Level 0

সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

“apnito kebol sotorkokari matro r prottek somprodayer jonno royese poth prodorshok“- sura raad, ayat7 (13:7)
hazrat abdullah ibne abbas (r.a) hote bornito hoyese je, hazrat nabi karim (s.a) bolesen “ ami holam shotorkokari r ali hochchey poth prodorshok “ ebong ya ali tomar dara pother sondhankarira shottopoth obolombon korbe,
hazrat abu barda aslami bornona koresen, nabi karim (s.a) oju korar por hazrat ali ke buke joriye dhorlen ebong sura raad er 7no ayat telawat korlen, nijer buker dike ishara korey bollen je, ami holam sotorkokari r ali`r buker dike ishara kore bollen je, aei ali holo poth prodorshok. ref; tafseer a kabir part-5, page271, tafseer a ibne kasir part-2 page502, tafseer a durrey mansur part-4 page45, tafseer a tabari part-13 page108

Level 0

নিঃসন্দেহে আপনি জ্ঞানী। আর আল্লাহ জ্ঞানী লোকদের ভালবাসেন। সত্যই আপনার রেফারেন্সগুলি সত্যিকারে ইসলামিক জ্ঞান বহন করে চলছে। অসংখ্য ধন্যবাদ।

Level 0

আরো দেখুন- পাপ্পু ভাইযের ref; tafseer a kabir part-5, page271, tafseer a ibne kasir part-2 page502, tafseer a durrey mansur part-4 page45, tafseer a tabari part-13 page108

ভাই suXon আপনাকে এমন একটি ধর্মীয় জ্ঞানচর্চামূলক টিউন করার জন্য ধন্যবাদ কিন্তু ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক, বিশ্ব মানবতার প্রতীক, সর্বশ্রেষ্ট নবী জনাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সীরাত অর্থাত জীবনী নিয়ে যখন কথা তখন কমেন্ট না করে থাকতে পারলাম না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনী অনেক জ্হানী গুণীজন লিখার প্রয়াস করেছেন অনেকে সত্যের উন্মোচন করতে পেরেছেন এবং অনেকে সাবলীল বাস্তবতাকে কল্পনার মূর্ছনার নিজ স্বার্থের টানে মিথ্যাকে প্রকাশ করেছেন। ভাই কাক এবং কুকিল দেখতে একই রকম হলেও তাদের সুর প্রকাশের ভংগি কি এক? তাই বলছি বিতর্ক না করে কে ভাল কে মন্দ আসুন সত্যটাই জানি যারা আমরা মাওলানা নই তারা ইসলাম সম্পর্কে আদিঅন্ত সম্যক জ্ঞান লাভ করতে পারি না তাই লেখক অধ্যক্ষ এস.এম আবুল হুসাইন উয়ায়সী এর লেখা বইটিকে আমি নবী পাক (সাঃ) এর জীবনের জীবনীর সত্যের মাপকাঠি হিসেবে মেনে নিতে পারছি না সত্যের কাছাকাছি যেতে হলে পড়ুন আল কাউসার প্রকাশনীর- সীরাতে মুস্তফা, লেখক- মাওলানা ইদরীস কান্ধলবী রহঃ এর তিন খন্ডে বিভক্ত জীবনীটি।
বিঃদ্রঃ- ইসলামী বই তিনটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ রেখে ক্রয় করবেন এবং পড়বেন। ১) বইটি কোন প্রকাশনীর? ২) বইটির লেখক কে? (আহলে হক না বাতিল) ৩) বইটির প্রতিপাদ্য বিষয়।

Level 0

Learner Rana: ভাই, আপনার পরিচছন্ন মন্তব্য ভালই লাগলো। আপনি (হয়তো) লেখকের নামের প্রথমে মাওলানা শব্দটি না দেখে ব্যাপারটি এভাবে বলতে পারেন। আপনার বই ক্রয়ের উপদেশটি আমার জীবনে কাজে লাগে সেই ১৯৯৫ সাল হতে (এই সময় হতে বিভিন্ন ইসলামীক বই ক্রয় করি আমার এস.এস.সি পরীক্ষার পর)। আর অধ্যক্ষ এস.এম আবুল হুসাইন উয়ায়সী এখনো রহমে আল্লাহর এখনো জীবিত। তার নৈকট্যপ্রাপ্ত থেকে ধর্ম চর্চা করি, আপনার কেন ভাল লাগেনি লেখককে ফোন করে জানাতে পারেন। এতে হয়তো খুশি হবো। এছাড়া দেখুন লেখকের সাথে আমি ২০১০ সালে এপ্রিল মাসে http://www.somewhereinblog.net/blog/ashekmurshed যখন উক্ত বই দুটি এই বয়সেও তিনিঁ লিখে যাচ্ছিলেন। এই পোস্টিং থেকে খুলনার এক পাঠক ভিপি যোগে বই দুটি কিনে, প্রায় দুই মাস পর লেখককে ফোন করে মন্তব্য করেছেন যে, “আপনি আর ১৫ বছর আগে কেন বইটি প্রকাশ করলেন না?” কতই না ভাললাগা থেকে কথাগুলি বলেছেন উক্ত পাঠক। আপনার সীরাতে মুস্তফা বইটি কি নবীপাক (ছা.) চরিত্রের উপর লেখা? যেহেতু সীরাতের একটি অর্থ চরিত্র। যাই হোক সবকিছু একজনের ভাল লাগার কথা নয়; একজনে একটি পোষাক বাছায় করার সময় ভাল লাগে না; আবার ঐ পোষাকটি আরেক জনের গায়ে দেখে ভাল লেগে যায়; তখন একটু আফসুস হয়ই আরকি। ধন্যবাদ।

Level 0

ভাই লিংক থাকলে দিয়া দেন, না হলে এমন টিউন না করাই ভাল। কারণ এটা কোনো আ্যড এর জায়গা নয়। এখানে সবাই শেয়ার করে।

ধন্যবাদ। ইসলাম সম্পর্কে অনেক কিছু এক সঙ্গে খুঁজে পেতে দেখুন – Islamic web directory: http://bit.ly/Kbg4JT