কম্পিউটারে একটানা কাজ করতে করতে একধরণের বিরক্তিবোধ এসে ভর করে। গণনা যন্ত্রটাকে তখন খুব বেরসিক মনে হয়.. আর ঠিক তখনই মনকে বদলে দিতে পারে চমৎকার কোন ছবি, নিমিষেই দূর করে দিতে পারে সমস্ত ক্লান্তি আর অবসাদ।
সুন্দর কিছু দেখে মন ভালো করে দেয়ার অসাধারণ এই ক্ষমতারই একটি রূপ নানান রং আর ঢং এর ওয়ালপেপার। বিশেষ করে, সৌখিন আর মুক্তবুদ্ধির কম্পিউটার ইউজারদের কাছে ডেস্কটপে ঝুলানো পছন্দসই ওয়ালপেপারের আবেদন অনেক অনেক বেশী। কারণ এইসব দেয়ালপত্রিকাতেই- হতাশার আঁধারে পাই আলোর শক্তি...মনকে আবার সতেজ করে তুলি...
বিশাল আকাশ মনকে করে প্রসারিত। আর পিচঢালা পথ মনে করিয়ে দেয়- বন্ধু, এখনও অনেকটা পথ বাকি...
_______
ইচ্ছে হলে বৃষ্টি নামাই...
_________
কখনো সমুদ্রের বিশালত্ব মনকে উদাস করে...
বাস্তবতা আর কল্পনার মিশেলে গড়া ছবিগুলো মনে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়...একাকিত্বের বেড়াজালে বন্দী মনটাকে মনে করিয়ে দেয় প্রিয় বন্ধুদের কথা...
__________
ইট-কাঠের খাঁচায় বন্দী এ জীবনে, সবুজাভ প্রকৃতিকে ফুটিয়ে তুলবার আবতারও তো ঐ ওয়ালপেপারের কাছেই...
কখনো রং...কখনো রং এর অনুপস্থিতি ভালোই লাগে...
কখনোবা, কাব্যিকতাকে ফেলে ফিরে আসি মর্তের চাহিদায়...চাহিদার জিনিষটা চোখের সামনেই থাকুক...
আরও থাকুক একেবারে নতুন কিছু চিন্তাধারা...আনকমন জিনিষে ক্ষতি তো নেই?
__________
বাঘমামাকেও আমন্ত্রন, ডেকে এনে বসিয়ে দেই। অথবা রং-রাঙ্গা কোন পাখি...
______
* হাই-ডেফিনেশন তথা হাই কোয়ালিটি ওয়ালপেপার বলার কারণ প্রায় সবগুলো ওয়ালপেপারের রেজুলিউশন ১৪৪০*৯০০ পিক্সেল বা তার বেশী।
__________________________
এই আছি, আমি, আমার ডেস্কটপ আর ব্যাগভর্তি ওয়ালপেপারগুলো...মনে হয়, বেশ ভালোই আছি 🙂
আমি এলেবেলে এলেবেলে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 36 টি টিউন ও 201 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ঘাড় ত্যাড়া, ছন্নছাড়া ব্লগার । হুটহাট যা লিখতে ইচ্ছা করে, লিখে ফেলি। বেশি ভাবাভাবির সময় নাই।