আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই খুব ভাল আছেন। আজকে লিখতে বসেছি জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার মোজিলা ফায়ার ফক্স নিয়ে। আশাকরি এর সাথে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কোনই দরকার নেই। এই মুহুর্তের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্টারনেট ব্রাউজার এই মোজিলা ফায়ার ফক্স। এর সর্বশেষ সংস্করণ বের হয়েছে ৩.৬.১৩। যার ডাউনলোড লিঙ্ক পাবেন এই টিউনের নিচেই। আচ্ছা অনেক কথা বলা হয়ে গেছে। এবার আসল প্রসঙ্গে আসি। মোজিলা ফায়ার ফক্স একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার। এটি বর্তমানে পৃথিবীর সকল ব্যবহারকারীর মধ্যে প্রায় ৪৪% ব্যবহারকারীর মন জয় করেছে।আর এর নিকটতম প্রতিদন্দী মাইক্রোসফটের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২৮.৬%। এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যদিও মাইক্রোসফটের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবেই থাকে। আর অনেকেই আছেন যারা ব্রাউজার নিয়ে অতটা ভাবেন না। যাই হোক এখানে মোজিলা ফায়ার ফক্সের সুবিধা নিয়ে আলোচনা করব।
আচ্ছা আসুন এবার জেনে নেই এর সুবিধাদিঃ
১. কাস্টোমাইজেবলঃ ফায়ারফক্সের অন্যতম সুবিধা হচ্ছে এটি সম্পুর্ন ব্যবহারকারীর রুচি অনুযায়ী কাস্টমাইজেবল। আপনি ইচ্ছা মত থিম ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি খুব সহজেই অসংখ্য থিম পাবেন আপনার পছন্দ মত গ্রাফিক্স সহকারে আর আপনার ব্রাউজারে নিয়ে আসতে পারবেন নিজস্বতা।
২. প্লাগইন্সঃ একমাত্র ফায়ারফক্স ব্রাউজারে পাবেন অসংখ্য প্লাগইন্স যা অনেক ব্রাউজারেই পাবেন না। এর অসংখ্য প্লাগইন্স থেকে আপনার প্রয়োজনীয় প্লাগইন্স নিয়ে আপনার ব্রাউজারকে বানিয়ে দিতে পারেন এক অনন্য সাধারন ব্রাউজার। এগুলো খোজা এবং ইন্সটল করা এতটাই সহজ যে অন্য ব্রাউজারের কথাই ভুলে যেতে পারেন। এর অসংখ্য প্লাগইন্স-এর মধ্যে পাবেন; ওয়েব ডেভলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন(এসইও), ইউজার ইন্টারফেস সহ আরো নানা কিছু।
৩. ব্রাউজিং এবং ডাউনলোডঃ অন্যান্য জনপ্রিয় ব্রাউজারের মত ফায়ার ফক্স ব্রাউজারও নিজেকে সবচেয়ে দ্রুত ব্রাউজার হিসেবে দাবী করে। এবং বাস্তবিক অর্থেই এটি সম্পুর্ন সঠিক। প্রতিটি নতুন সংস্করণেই ফায়ারফক্স গতি বৃদ্ধির জন্য নতুন নতুন কোডিং ব্যবহার করে। ফায়ারফক্স এক্ষেত্রে ১ নং হওয়ার দাবীদার। এছাড়া গুগল ক্রোম ব্রাউজার আর ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের বিল্ট ইন ব্রাউজারের তুলনায় ফায়ারফক্স অনেক বেশি গতিশীল (তবে ডাউনলোড ম্যানেজার যেমন ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার[আইডিম্যান] জাতীয় সফটওয়্যারের সঙ্গে তুল্য নয়)।কিন্তু আমি মনে করি ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার ব্যবহার করাটাই যুক্তি যুক্ত)।
৪. ওপেন সোর্সঃ ফায়ারফক্স একটি ওপেন সোর্স ব্রাউজার তাই এর কোড সবসময় আপনার জন্য উন্মুক্ত। আপনি নিজে একজন ভাল প্রোগ্রামার হলে খুব সহজেই এর উন্নয়নে হাত লাগাতে পারবে সেই সাথে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এটি কাস্টোমাইজ করে নিতে পারবেন। আর এটি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের চেয়ে অনেক বেশি সুবিধা সম্পন্ন।
৫.নিরাপত্তাঃ এটি বাজারের এই সময়ে প্রাপ্ত ব্রাউজার গুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ। এটির নিরাপত্তা বাগ্স অন্যান্য ব্রাউজারের তুলনায় খুবই নগন্য।
তাহলে আর দেরি কিসের?? যাদের নেই ডাউনলোড করে শুরু করে দিন এক্সপ্লোরিং আর ডেভলপার হলে তো কথাই নেই। আর যাদের আছে ৩.৬.১২ সংস্করণ তারা ডাউনলোড করে আপগ্রেড করে নিন ৩.৬.১৩-এ।
ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন (মোজিলা ফায়ারফক্স ৩.৬.১৩)
আসুন এবার দেখে নেই কোন ওয়েব ব্রাউজার কত জনে ব্যবহার করে নিচের ছবি থেকেঃ [তথ্যটি এখান থেকে সংগৃহীত http://www.w3schools.com/browsers/browsers_stats.asp]
কেমন লাগল জানাবেন। আর বিশেষ বলার কিছু দেখছি না। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনাই আজ এই পর্যন্তই। আল্লাহ হাফেজ।
আমি রহস্যময় অভিযাত্রী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 74 টি টিউন ও 451 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ভাল হইছে টিউন।
তবে একটা জিনিস বোধহয় ভুল করেছেন। সেটা হলো শুধু ফায়ারফক্সেই এডঅন ব্যবহার করা যায়।
এখন তো ক্রোমেও এডঅন পাওয়া যায়।