بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)
আসসালামু আলাইকুম। আমার ৮৮ তম টিউনে সবাইকে স্বাগতম। আজকের টিউন মুসলিম ভাইদের জন্য । আমরা প্রত্যেক মুসলিম মুখে ও অন্তরে বিশ্বাস করি আমাদের মৃত্যু ও মৃত্যুর পরের এক অনন্তকালের জিন্দেগী রয়েছে। কিন্তু আমরা দুনিয়ার জিন্দেগীকে এত বেশি প্রাধান্য দেই যে আমরা মৃত্যুর পরের জিন্দেগীর স্মরন করিই না। সেই সাথে আমাদের জীবনের প্রতিটি কাজে সুন্নতের অনুসরন করা অত্যন্ত জরুরী। আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম ২টি দোয়ার কিতাব ও মঞ্জিল। শুধু ডাউনলোড নয়, সবার আমলে নিয়ে আসা কর্তব্য। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সরল সঠিক হেদায়াতের পথে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।
আল্লাহ তা’আলা বলেছেন,
[ক]
“প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমরা নিজ নিজ কাজের প্রতিফল সম্পূর্ণভাবেই কিয়ামাতের দিন পাবে….” [সূরা আলে ইমরান-১৮৫]
[খ]
“অতঃপর নির্ধারিত সময়ে যখন তাদের মৃত্যু এসে যাবে, তখন এক মুহুর্তও বিলম্বিত কিংবা তরান্বিত করতে পারবে না।”
[সূরা নাহল-৬১]
[গ]
“হে মুমিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল হয়, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় কর। অন্যথায় সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন।” [সূরা মুনাফিকুন:৯-১১]
[ঘ]
“যখন তাদের কারও কাছে মৃত্যু আসে, তখন সে বলে,”হে আমার পালণকর্তা! আমাকে পুনরায় (দুনিয়াতে) প্রেরণ করুন। যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি, যা আমি করিনি।”
কখনই নয়, এ তো তার একটি কথার কথা মাত্র। তাদের সামনে পর্দা আছে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত।অতঃপর যখন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে, সেদিন তাদের পারস্পরিক আত্নীয়তার বন্ধন থাকবে না এবং একে অপরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে না।যাদের পাল্লা ভারী হবে, তারাই হবে সফলকাম, এবং যাদের পাল্লা হাল্কা হবে তারাই নিজেদের ক্ষতিসাধন করেছে, তারা দোযখেই চিরকাল বসবাস করবে।আগুন তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে এবং তারা তাতে বীভৎস আকার ধারন করবে।”[সূরা মুমিনুন:৯৯-১০৪]
★ ★ ★ সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্ তাআলার। ★ ★ ★
মনজিল একটি পিডিএফ বই। বইয়ের লেখক শায়খুল হাদিস মাওলানা যাকারিয়া (রহঃ)।
মনজিলে, যাতে রয়েছে কুরআন শরীফের বিভিন্ন সূরা থেকে নেয়া ৩৩ আয়াত। যা জ্বীনের আছর, যাদুটোনা এবং অন্যান্য কঠিন বিপদাপদ থেকে বাঁচার জন্য বিশেষ পরীক্ষিত আমল, যা শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা যাকারিয়া (রহঃ) ও তার খান্দানের বুজুর্গদের পরীক্ষিত আমালিয়াতের মধ্যে অন্যতম।
এই আয়াতসমূহ আল কওলুল জামিল এবং বেহেশতি জেওর কিতাবে ও লেখা হয়েছে। আল কওলুল জামিল কিতাবে, শাহওয়ালীউল্ল্যাহ মুহাদ্দেস দেহলভী (রহঃ)বলেছেন, এই ৩৩ আয়াত, যা যাদুটোনার আছর প্রতিরোধ করে এবং শয়তান, চোর ও বিষাক্ত জানোয়ার থেকে মুক্ত রাখে।
আর বেহেশতি জেওরে, হযরত আশরাফ আলী থানবী (রহঃ) লেখেছেন, যদি কারো উপর জ্বীনের আছর হয়েছে মনে হয়, তাহলে এই আয়াত লিখে রোগীর গলায় বেঁধে দিবে এবং পানিতে ‘ফু’ দিয়ে রোগীর গায়ে ছিটাবে।
আমালের জন্য ওযুর সহিত কিতাব/ অ্যাাপ্সটি পড়া চাই। কেননা অপবিত্র অবস্থায় কুরাআন শরীফ ধরা সম্পূণ নিষিদ্ধ। মোবাইলের ক্ষেত্রে ও এই শর্ত প্রযোজ্য। (মুফতী মামুনুর রশীদ, বসুন্ধরা মাদ্রাসা)
যেকোন প্রয়োজনে ফেসবুকে আমি মোঃ আশিকুর রহমান
আমি আশিকুর রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 139 টি টিউন ও 257 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি আশিকুর রহমান , রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করি , পড়াশুনার পাশাপাশি নতুন ও প্রযুক্তি ভিত্তিক নানা বিষয়ে জানতে ও জানাতে সবসময় চেষ্টা করি
অনেক ধুন্যবাদ ভাই