অনুবাদ সাহিত্য বাংলা সাহিত্যে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। অনুবাদ সাহিত্য নিঃসন্দেহে একটি শিল্পকর্ম। অনুবাদের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাহিত্যের গতিধারা ও রূপবৈচিত্র্যের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাই। এক কথায় অনুবাদের মাধ্যমে বিদেশি সাহিত্যের একটি সামগ্রিক রূপ প্রতিফলিত হয় নিজস্ব সাহিত্যে। মহাভারত, রামায়ণও কাইন্ড অফ অনুবাদ সাহিত্য। রামায়ণ প্রথম বাংলায় অনুবাদ করেন কৃত্তিবাস ওঝা। রামায়ণের প্রথম মহিলা অনুবাদক – চন্দ্রাবতী। শাহনামা মৌলিক গ্রন্থের রচয়িতা – ইরানের কবি ফেরদৌসি, বাংলা অনুবাদক – মোজাম্মেল হক। মধ্যযুগে অনুবাদ হয়েছে প্রধানত সংস্কৃত থেকে (মহাভারত, রামায়ণ, ভাগবত), হিন্দী সাহিত্য থেকে এবং আরবি-ফারসি সাহিত্য থেকে। প্রাচীন ও মধ্যযুগের বৌদ্ধ-হিন্দু রচিত বাংলা সাহিত্যে যেখানে দেবদেবীরা প্রধান এবং মানুষ অপ্রধান সেখানে মুসলমান রচিত সাহিত্যে মানুষ প্রাধান্য পেয়েছে।
| মাইন ক্যাম্ফ - এডলফ হিটলারএডলফ হিটলার. হিটলারের আত্মজীবনী ও তাঁর ভাবাদর্শ—দুয়ের সম্মিলন ঘটেছে মাইন কাম্ফ বইটিতে। ১৯২৩ সালে 'বিয়ার হল বিপ্লব' নামে পরিচিত এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর হিটলার কারাবন্দী হন। ওই সময় মাইন কাম্ফ বইটি লেখেন তিনি। অবশ্য বই লেখা বলতে যা বোঝায়, তিনি সরাসরি সেই কাজটি করেননি। হিটলারের নির্দেশনা অনুযায়ী অন্য একজন লিখেছেন। |
| এম্পায়ার অভ দা মোগল দি টেনটেড থ্রোনএলেক্স রাদারফোর্ডের লেখা বইটিতে মোঘর বাদশাহদের শাসনকালের কিছু চিত্র ফুটে উঠেছে। সম্রাট আকবারের মৃত্যুর পাঁচ মাস পরে তার পুত্র শাহজাহান সিংহাসনে আরোহন করেন। কিন্তু তার ক্ষমতা গ্রহন সুখকর ছিলো না। তার ভাইয়েরা বিরোধিতা করে। শাহজাহান কঠিন হস্তে তাদের দমন করেন। |
| ইসলাম সংক্ষিপ্ত ইতিহাস - কারেন আর্মস্টংইসলাম : আ শর্ট হিস্ট্রি (ইসলাম : সংক্ষিপ্ত ইতিহাস) শুরু হয়েছে সপ্তম শতাব্দীতে মদীনা হতে মুহাম্মদ (সঃ) এবং তাঁর পরিবারের অভিযাত্রা এবং পরবর্তী সময়ে প্রথম মসজিদ নির্মাণ প্রসঙ্গ দিয়ে । শিয়া ও সুন্নী মুসলিমদের বিভেদের মূল; সুফি অতীন্দ্রিয়বাদের আবির্ভাব; উত্তর আফ্রিকা, লেভেন্ট এবং এশিয়ার ইসলামের বিস্তার; মুসলিম বিশ্বের ওপর ক্রুসেডসমূহের বিধ্বংসী প্রভাব, চতুর্দশ ও পঞ্চদশ শতকে বিশ্বের বৃহৎ ও অনন্যসাধারণ শক্তি হিসাবে রাজকীয় ইসলামের বিকাশ এবং বিপ্লবী ইসলামের উদ্ভব ও প্রভাব তুলে ধরেছে এটি, শেষ হয়েছে বর্তমানকালের ইসলাম এবং এর চ্যালেঞ্জসমূহের মূল্যায়নের মাধ্যমে। যাঁরা মনে করেন যে ইসলাম ও পাশ্চাত্য সংঘাতের দিকে ধাবিত দুটি সভ্যতা, এই সাধারণ গ্রন্থের মাধ্যমে ক্যারেন আর্মস্ট্রং তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। ইসলাম কর্তৃত্ব , মহত্ব এবং অর্থনীতিরও একটি আদর্শ। |
| নো লংগার অ্যাট ইজ - চিনুয়া আচিবেযুগান্তকারী উপন্যাস “থিংগস ফল এপার্ট” এর জন্য কৃষ্ণ আফ্রিকার অন্যতম উপন্যাসিক চিনুয়া নামটি বিশ্বব্যাপী আলোচিত। নো লংগার অ্যাট ইজ উপন্যাসের কাহিনী শুরু ওবি ওকোনকো নামের এক নাইজেরিয়ান সিভিল সার্ভেন্টের ঘুষ গ্রহণের পর বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এরপর কাহিনীর পুরোটায়ই বর্ণনা করা হয় ফ্লাসব্যাকে। প্রধান চরিত্র ওবি ছোটবেলায় স্কুলে অসাধারণ ছাত্র ছিলেন। তার জন্ম ইউমোফিয়াতে। এটি পূর্ব নাইজেরিয়ার শহর লাগোসের একটি ইগবো পল্লী। ইগবো নাজেরিয়ার অন্যতম বৃহ্ৎ এথনিক সম্প্রদায়ের একটি। নাইজেরিয়ার শহর লাগোসের ইউমোফিয়া উন্নয়ন সমিতি চাঁদা তুলে আটশো পাউন্ড ধার দেয় ওবিকে। উদ্দেশ্যে যে ওবি ইংল্যান্ডে গিয়ে আইন শাস্ত্রে পড়াশোনা শেষ করে নাইজেরিয়াতে ফিরে ইগবো সম্প্রদায়ের সুখ-দুঃখ দেখবে। কিন্তু ওবি ইংল্যান্ডে গিয়ে আইনে পড়াশোনা না করে ইংরেজি সাহিত্যে লেখাপড়া শেষ করে চার বছর পর আবার নাইজেরিয়াতে ফেরত আসেন। বাস করতে থাকেন লাগোস শহরে। যোগদান করেন সিভিল সাভির্সের স্কলারশিপ বোর্ডের চাকুরিতে, একজন শ্বেতাঙ্গ আফিসারের অধীনে। ওবি ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার সুবিধা পায় সরকারের কাছ থেকে। তার এই পার্থিব সাফল্য প্রাপ্তিতে মা-বাবা, গ্রামবাসী ও ইউমোফিয়ার সভাপতি ও সদস্যসহ সকলেই খুব খুশি হয়। |
| ওয়াদারিং হাইটস- এমিলি ব্রোন্টকুড়িয়ে পাওয়া ছেলে হীথক্লিফ নিজের ছেলের চেয়েও বেশি প্রিয় হয়ে উঠলো মিস্টার আর্নশর কাছে। কৈশোরেই হীথক্লিফের প্রেমে পড়ল ক্যাথরিন আর্নশ। পিতার মৃত্যুর পর হিন্ডলে আর্নশ কর্তা হলো বাড়ির। হীথক্লিফকে ভাইয়ের আসন থেকে নামিয়ে দিল সে চাকরের পর্যায়ে। একই সময় এডগার লিনটনের সাথে ঘনিষ্টতা হতে শুরু করল ক্যাথরিন আর্নশর। প্রতিশোধের নেশায় পাগল হয়ে উঠল হীথক্লিফ। হিন্ডলে আর্নশ ও এডগার লিনটনের সম্পত্তি করায়ত্ত করল সে ছলে বলে কৌশলে। কিন্তু শান্তি কি পেল তার অতৃপ্ত আত্মা? জানতে হলে পড়ুন ওয়াদারিং হাইটস। |
| মিথ এন্ড মিনিং - ক্লদ লেভি স্ত্রসমিথ অ্যান্ড মিনিং বইয়ে ফরাসি ভাবুক ক্লদ লেভি-স্ত্রস বলেছেন, এ সমাজকে পশ্চাদ্পদ ভাবার লেশমাত্র অবকাশ নেই, কারণ 'চারপাশের জগত, এর প্রকৃতি এবং নিজেদের সমাজকে বোঝার তাগিদে ও কামনায় এঁরাও উদ্গ্রীব। |
| ইলিয়াড - হোমারইলিয়াডপৃথিবীর প্রাচীন চারটি শ্রেষ্ঠ মহাকাব্যের অন্যতম। প্রাচীন গ্রীসের ইলিওন শহরের নামানুসারে এই মহাকাব্যের নামকরণ করা হয়। গ্রীক ভাষায় রচিত ও ২৪ টি সর্গে বিভক্ত এই গ্রীক মহাকাব্যের রচয়িতা মহাকবি হোমার। এতে ১৬,০০০ পঙ্ক্তি কবিতা আছে। হেলেন নাম্নী এক নারীকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ সংঘটিত হয় যা ট্রয়ের যুদ্ধ নামে পরিচিত। খ্রিস্টের জন্মের ৮৫০ বৎসর পূর্বে রচিত হোমারের ইলিয়াড ও ওডিসি দুটি স্বতন্ত্র মহাকাব্য হলেও একই মূল কাহিনীর দ্বারা এই দুটি মহাকাব্য বিধৃত এবং সে কাহিনী হলো ট্রয়যুদ্ধ ও তার আনুপূর্বিক ঘটনাবলী। ট্রয়যুদ্ধের কোন ঐতিহাসিক সভ্যতা পাওয়া যায় না। |
| বাই দ্য রিভার পিদরা আই সেট ডাউন এন্ড উইপ্ট - পাওলো কোয়েলহোব্রাজিলের রিওডি জেনিরোতে জন্মগ্রহণ করা পর্তুগিজ ভাষার লেখক পাওলো কোয়েলহো বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক। বাংলাদেশেও রয়েছে এ লেখকের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভক্ত। "আলকেমিস্ট" বইটি পড়ার মাধ্যমে পাওলো কোয়েলহোর সাথে আমি পরিচিত হই। তার উপন্যাস পাঠকদের মধ্যে একধরণের মুগ্ধতা তৈরী করে। তিনিই পৃথিবীর একমাত্র জীবিত লেখক, যিনি বই বিক্রির সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়ে স্থান করে নিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে। |
| ওডেসি - হোমারফরাসি কবি ও নাট্যকার রেমঁ কুইনো বলেছিলেন: 'পৃথিবীর যেকোনো মহান সাহিত্যকর্মই হয় ইলিয়াড, না হয় অডিসি।' আজ থেকে প্রায় দুই হাজার ৭০০ বছর আগে গ্রিক কবি হোমার জন্ম দেন এই দুই মহাকাব্যের, আর সেই সঙ্গেই সূচনা ঘটে পশ্চিমা সাহিত্যের। হোমারের জন্মকাল নিয়ে মতভেদ আছে। হেরোডোটাসের মতে, হোমার ৪৮৬-৪২৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের লোক ছিলেন। |
| এন্ডলেস ওয়েট - আগাথা ক্রিস্টিআগাথা ক্রিস্টি (১৫ই সেপ্টেম্বর, ১৮৯০ – ১২ই জানুয়ারি, ১৯৭৬) একজন ইংরেজ অপরাধ কল্পকাহিনী লেখক। তিনি ৮০টি রহস্য উপন্যাস লেখেন, যাদের মধ্যে গোয়েন্দা এরকুল পোয়ারো (Hercule Poirot) ও মিস মার্পল'র কাহিনীগুলো অন্যতম। তাঁকে রহস্য উপন্যাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও উদ্ভাবনী লেখকদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। |
বই নামাতে যাওয়ার অনেক হ্যাপা! অধিকাংশ বাংলা বই ডাউনলোড সাইটে ইনডাইরেক্ট লিংক। কারো স্কিপ এড তো কারো ভূয়া লিংক। পেরেশান হয়ে শুধুমাত্র বই ডাউনলোডের জন্য একটি সাইট বানালাম। আগ্রহীগণের কাজে দেবে বলে আশা করছি। http://bookdownloader.blogspot.com
আপাতত এই বইগুলো পড়ে শেষ করেন। পরে আরো দেয়া যাবে। আমি বর্তমানে কারেন আর্মস্ট্রং এর বইটি পড়ছি।
নাইস, চালিয়ে যান ভাঈ