সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি সবাইকে আমার সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের টিউন।
প্রয়োজন উদ্ভাবনের জনক কথাটি মানুষ এমনিতেই বলে না। টিউন করতে করতে মাঝে মাঝে চিন্তায় পড়তে হয় পরবর্তি টিউন কী নিয়ে করা যেতে পারে। কেউ কোন সফটওয়্যার চাইলে তখন অনেক ভালো লাগে কারন তার কথা মতো একটা টিউন হয়ে যায়। ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতেও যে এতো মজা সেটা যারা টিউন করে তারায় জানে। যাহোক, স্ক্রিন ক্যাপচারের জন্য আমি সব চেয়ে ভালো একটা সফটওয়্যার খুঁজছিলাম, কারন আগে যেগুলো ব্যবহার করতাম সেগুলো মনের মতো ছিলোনা। সেরা স্ক্রিন ক্যাপচার সফটওয়্যার খুঁজতে গিয়ে মনে হলো সব কিছুর জন্য সেরা সফটওয়্যারগুলো নিয়ে ধারাবাহিক টিউন করলে বিষয়টা মন্দ হয় না। মাথায় প্রায় ৩০টি বিষয় এই মুহুর্তে চলে আসছে যা পরবর্তি ৩০টি টিউনে আপনারা জানতে পারবেন। প্রত্যেকটি টিউনে কোন একটা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর সেরা দশটি সফটওয়্যারের নাম প্রকাশ করা হবে এবং তার মাঝে সেরাটির ফুল ভার্সন আপনাদেরকে দেওয়া হবে। আজ যেহেতু স্ক্রিন ক্যাপচার সফটওয়্যার খুঁজতে গিয়ে আইডিয়াটা মাথায় আসছে সেহেতু এটা দিয়েই শুরু করলাম। তো চলুন প্রথমে দেখে নিই সেরা দশে কোন সফটওয়্যারগুলো আছে-
২০১৫ সালে তালিকায় শীর্ষে থাকা স্ক্রিন ক্যাপচার সফটওয়্যারগুলোর নাম এবং মূল্য তালিকা নিচে দেওয়া হলো। একটি বিষয় মনে রাখবেন দাম বেশি হলেই কিন্তু সেটা কাজে ভালো হয় না। ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতার আলোকে এবং সফটওয়্যারগুলোর ফিচারের ভিত্তিতে নিচের লিস্টটি করা হয়েছে।
উপরের লিস্টটি থেকে আপনারা হয়তো নিশ্চিত হয়েছেন যে তালিকায় প্রথমে থাকা Snagit সফটওয়্যারটিই হলো সবার সেরা। তো ডাউনলোড শুরু করার আগে চলুন সফটওয়্যারটির ফিচার সম্পর্কে একটু জেনে নিই। তারপর না ডাউনলোড করা যাবে।
Snagit স্ক্রিন ক্যাপচার সফটওয়্যারটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আপনার জন্য সব চেয়ে ভালো উপায় হলো তাদের অফিশিয়াল সাইটটি একবার ঘুরে আসা। তো Snagit এর অফিশিয়াল সাইট ভিজিট করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
আপনারার যারা Snagit এর অফিশিয়াল সাইটে যাননি তাদের জন্য আমি সংক্ষিপ্তভাবে কিছু ফিচার নিচে তুলে ধরছি।
সফটওয়্যারটির ফিচারগুলো যদি ভালো লেগে থাকে এবং আপনাদের প্রয়োজনের সাথে যদি মিলে যায় তাহলে নিচের অফিশিয়াল ডাউনলোড লিংক থেকে সফটওয়্যারটির ফুল ভার্সন ডাউনলোড করে নিন। সাইজ নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা। কারন মাত্র ৭০ মেগাবাইট ডাটা খরচ করেই আপনি সফটওয়্যারটি নামাতে পারবেন।
সফটওয়্যারটিকে ফুল-ভার্সন করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে মেডিসিন ফাইল। নিচের ডাউনলোড লিংক থেকে ৭০কিলোবাইট সাইজের মেডিসিন ফাইলটি ডাউনলোড করে নিন। তারপর পরবর্তি অংশে থাকবে কিভাবে একটিভ করবেন।
কম্পিউটার সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান থাকলেই পরবর্তি কাজগুলো নিজে নিজে করতে পারবেন। কিন্তু নতুন যারা আছেন তাদের জন্যই পরবর্তি ধাপ। ভালোভাবে খেয়াল করুন যদি আপনি নতুন হয়ে থাকেন।
আমরা টিউনটির একেবারেই শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আশা করছি টিউনটি আপনাদের কাজে লেগেছে। দোয়া করবেন যাতে এটার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারি। তবে যাবার আগে শেষ কথাটুকু রয়েছে এখনো বাকি।
টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। আর আপনাদের যাদের টেকটিউনসে একাউন্ট নেই তারা আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ লিংক থেকে আমার টিউনে টিউমেন্ট করতে পারবেন। পেজে লাইক দিয়ে আমার সকল টিউন বিষয়ে আপডেট থাকুন। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।
আপনাদের সাহায্যার্থে আমি আছি-
ফেসবুক | টুইটার | গুগল-প্লাস
আমি সানিম মাহবীর ফাহাদ। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 12 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 176 টি টিউন ও 3500 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 159 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আগে যা শিখেছিলাম এখন তা শেখানোর কাজ করছি। পেশায় একজন শিক্ষক, তবে মনে প্রাণে টেকনোলজির ছাত্র। সবার দোয়া প্রত্যাশি।
nice post