-------------------------- بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ --------------------------
সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি সবাইকে আমার সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের টিউন ।
সুন্দর ছবি পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কম সময়েই দেখা যায়। অসুন্দর মানুষও প্রত্যাশা করে তাদের ছবিগুলো দেখতে সুন্দর হোক, আর সুন্দরদের কথা না হয় বাদ দিলাম। ভালো কিছুর প্রত্যাশা মানুষের মাঝে চিরন্তন কিন্তু ভালো কিছু পায় কয় জনে? ছবিকে সুন্দর করতে হলে প্রথমে যেটা লাগে সেটা হলো ফটোশপে পর্যাপ্ত জ্ঞান। আমি নিজে ফটোশপ ভালোভাবে পারিনা। ভাবছিলাম সহজ কোন সফটওয়ার পেলে নিজের ছবিগুলোকে হয়তো কিছুটা এডিট করতে পারবো। তাই ছবি এডিট করার জন্য সাধারন কিন্তু ভালো মানের কিছু সফটওয়ার খুঁজতেছিলাম। কিন্তু কেঁচো খুড়তে গিয়ে একেবারে সাপ বের করে ফেলেছি। ফটো এডিটের জন্য চমৎকার একটা প্রিমিয়াম সফটওয়ার পেয়ে গেলাম অবশেষে।
টিউনারদের মন সব সময় টিউন করার কথা ভাবে। ভয়ে ভয়ে টেকটিউনসে সার্চ করলাম, কেউ আগে টিউন করেছে কিনা দেখতে। কারন এরকম একটা সফটওয়ার সম্পর্কে এতোদিন কেউ লেখেনি এটা বিশ্বাস হতে চাচ্ছিলো না। সার্চের পর যা পেলাম তা না হয় নিজের চোখেই একবার দেখুন।
সফটওয়্যারটি এক কথায় অসাধারন। সাধারন মানের যেকোন ব্যবহারকারীকে খুব সহজেই প্রফেশনাল মানের ফটো এডিটর করার ক্ষমতা আছে এই সফটওয়্যারটির। তবে যতো সুবিধায় থাকুক না কেন ব্যবহার না করলে তো আর বুঝা যাবেনা। সুতরাং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করার পূর্বে চলুন কিছু ফিচার দেখে নিই। ভালো লাগলে তারপর না হয় ডাউনলোড করা যাবে। আর অবশ্যই মনে রাখবেন এটা কেবল এ্যামেচারদের জন্যই বেশি উপযোগী। তবে প্রফেশনালরাও এটাকে ফটোশপের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে।
আপনারা যারা সাধারন মোবাইল দিয়ে ছবি তোলে থাকেন তারা হয়তো কখনোই বুঝতে পারেন না সত্যিকার HDR ছবি কাকে বলে! কিন্তু আপনি এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে যেকোন সাধারন ছবিকে HDR ছবিতে পরিনত করতে পারবেন। কালার, লাইটিং, বিভিন্ন ইফেক্টের সাহায্যে আপনি পাবেন সত্যিকারের HDR ছবির মজা। কাজ যতো সহজই হোক ছবি কিন্তু হবে কঠিন HDR।
ছবি তোলার সময় ই্চ্ছায় হোক কিংবা অনিচ্ছায় হোক ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড বা ছবিতে থাকে অনেক অবাঞ্চিত অংশ যা আমরা ছবিতে প্রত্যাশা করিনা। আপনি এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ছবির কোন প্রকার ক্রুটি ছাড়ায় খুব সহজে অবাঞ্চিত অংশ দুর করতে পারবেন। বিশ্বাস না হলে পাশের ছবি দেখুন।
আপনি যদি কারো ছবি তুলতে যান তাহলে যে সমস্যাটি মাঝে মাঝেই হবে সেটা হলো হয় আপনি বেঁকে যাবেন নাহলে যার ছবি তুলবেন সে বাঁকা হয়ে দাড়াবে। এই সমস্যা আজ থেকে ভুলে যান। ছবি যতো বাঁকায় হোক আপনি খুব সহজেই এটাকে সোজা করে ফেলতে পারবেন। আপনার কাছে কোন হাঙ্কিশ-পাঙ্কিশ চলবে না।
- Red Eye Reduction | - Frames |
- White Balance | - Panoramas |
- Noise Removal | |
- Cropping | - 3D (No Special Camera Needed) |
- Resizing | - Tone Mapping |
- Quick Filters |
সফটওয়ারটির সুবিধা কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। তবে বাকিটুকু জানতে হলে আপনাকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করে জানতে হবে। আমার একটি টিউনে আর কতো বলা যায় বলেন। তবে তাই হোক, চলুন ডাউনলোড শুরু করি।
নিচের ডাউলোড লিংক থেকে সফটওয়ারটির ফুল ভার্সন আমার দেওয়া মিডিয়াফায়ার লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিন। ডাউনলোড করার পূর্বে অবশ্যই সফটওয়্যারটির সাইজ দেখে নিবেন। ডাউনলোড করতে সমস্যা হলে আমাকে জানাবেন। আর অবশ্যই মোবাইল ফোন দিয়ে ডাউনলোড করবেন না। কারন ফোনে ডাউনলোডে সমস্যা করলে সেটা দেখা টিউনারের দায়িত্বের মধ্যে পড়েনা। [আগের একটা সফটওয়ার কেউ একজন জাভা ফোন দিয়ে ডাউনলোড করতে না পেরে আমাকে জ্বালিয়ে মেরেছে!]
ডাউনলোড যদি শেষ করে থাকেন তাহলে এবার চলুন ফুল ভার্সন ইনস্টল করে নিই। ফুল ভার্সন করতে নিচের নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
১. প্রথমে কম্পিউটারের ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ করে নিন এবং আপনার এন্টিভাইরাসটি কিছুক্ষনের জন্য বন্ধ রাখুন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ, ভুল করলে ভুলই রয়ে যাবে। এন্টিভাইরাস বন্ধ করতে নোটিফিকেশন ট্রে’তে এন্টিভাইরাসের আইকনের উপর মাউসের রাইট বাটন প্রেস করে ডিজেবল প্রোটেকশনে ক্লিক করুন।
২. এখন আমার দেওয়া জিপ ফাইলটি খুলে সফটওয়্যারটি স্বাভাবিক নিয়মে ইনস্টল করুন এবং চালু করুন। সফটওয়্যারটি ইন্টারনেটের সাথে কানেক্ট করতে চাইবে। কিন্তু আপনি নিচের দিকে দেখবেন I have not connected with internet বা এই জাতীয় কিছু লেখা আছে (তাড়াহুড়ার কারনে এটা ভালোভাবে দেখিনি)। এখন সেই লেখাতে ক্লিক করুন তাহলে নিচের মতো করে একটি উইন্ডো চালু হবে। এখন চিহিৃত জায়গা সিলেক্ট করে নেক্সট বাটন চাপুন।
৩. মেডিসিন ফোল্ডার হতে কিজেনটি ওপেন করুন এবং চিত্রে দেখানো Generate বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে উপরের চিহিৃত স্থানে সফটওয়ারটির সিরিয়াল কী পেয়ে যাবেন।
৪. এখন সিরিয়ালটি নিচের চিত্রের মতো বক্সে পেস্ট করুন। এবং Continue বাটন চাপুন।
৫. যদি নিচের মতো চিত্র দেখেন তাহলে বুঝবেন যে আপনি ফুল ভার্সন পেয়ে গেছেন। আর যদি সমস্যা হয় তাহলে ৩ নাম্বার ধাপ থেকে আবার শুরু করুন। আশা করি আপনারা একবারেই ফুল ভার্সন করে ফেলবেন।
বিঃদ্রঃ অধিক সিকিউরিটির জন্য আপনার সফটওয়ারটিকে ফায়ারওয়াল দিয়ে ইন্টারনেট কানেকশন থেকে ব্লক করে রাখুন।
সাধারন কাজগুলো আপনি স্বাভাবিক ভাবেই করতে পারবেন। কিন্তু যদি এই সফটওয়্যার দিয়ে প্রফেশনাল মানের কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে সামান্য একটু কষ্ট করতে হবে। সফটওয়্যারটির নির্মাতারা আপনাকে প্রফেশনাল করার লক্ষ্যে তাদের টিউটরিয়াল ওয়েব সাইটে অনেক ভিডিও আপলোড করে রেখেছে। আপনার কাজ শুধু তাদের নির্দেশনা অনুসরণ করা। তাহলে আর দেরী কেন। এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে ঢুকে পড়ুন টিউটরিয়ালের দুনিয়ায়।
টিউনের একেবারেই শেষ মূহুর্তে এসে গেছি আমরা। জানিনা আপনারা টিউনটি কতোটুকু বুঝতে পারছেন। তবে বরাবরের মতোই আপনাদের জন্য রয়েছে আর অল্প কিছু কথা..................... কারন সব সময় দেখি শেষ হয়েও হয়না শেষ।
টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। আর আপনাদের যাদের টেকটিউনসে একাউন্ট নেই তারা আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ লিংক থেকে আমার টিউনে কমেন্ট করতে পারবেন। পেজে লাইক দিয়ে আমার সকল টিউন বিষয়ে আপডেট থাকুন। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।
আপনাদের সাহায্যার্থে আমি আছি........
ফেসবুক | টুইটার | গুগল-প্লাস
আমি সানিম মাহবীর ফাহাদ। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 176 টি টিউন ও 3500 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 159 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আগে যা শিখেছিলাম এখন তা শেখানোর কাজ করছি। পেশায় একজন শিক্ষক, তবে মনে প্রাণে টেকনোলজির ছাত্র। সবার দোয়া প্রত্যাশি।
খুব ভালো হয়েছে। সহজ ও দ্রুত এডিটিং এর জন্য বেশ উপযোগী।