৪০ আয়াত, ২ রুকু, মক্কী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : এই সুন্দর মক্কী সূরাটি পূর্ববর্তী [ ৭৭ নং সূরা ] সূরার ন্যায় প্রাথমিক মক্কী সূরা নয়, আবার সূরা নং ৭৬ এর ন্যায় পরেও অবতীর্ণ হয় নাই, তবে এর সমসাময়িক।
এই সূরার আয়াতগুলির মাধ্যমে আল্লাহ্র সদয় তত্বাবধানের চিত্র অংকন করা হয়েছে যা সুন্দর ভবিষ্যতের প্রতি ইঙ্গিত দান করে থাকে, যে সময়ে পাপ ও মন্দ ধ্বংস হয়ে যাবে ও ভালো ও পূণ্য স্থায়িত্ব লাভ করবে। সেই সাথে যারা আল্লাহ্র আশ্রয় কামনা করে, তাদের সকলকে সেই আশ্রয়ে আহ্বান করা হয়েছে।
৪৬ আয়াত, ২ রুকু, মক্কী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : এটি একটি প্রাথমিক মক্কী সূরা যার অবতীর্ণকাল শেষ সূরাটির সমসাময়িক। এই সূরার বিষয়বস্তু হচ্ছে অহংকারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার দিবসের ধারণা এবং অহংকারীদের পতন। এ বিষয়ে ফেরাউনের উপমা উপস্থাপন করা হয়েছে যুক্তির মূল মাধ্যম হিসেবে। তার উক্তি ছিলো, " আমিই তোমাদের শ্রেষ্ঠ প্রতিপালক।" [ ৭৯ : ২৫ ]
৪২ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সারসংক্ষেপ : এটি একটি প্রাথমিক মক্কী সূরা। আল্লাহ্র প্রত্যাদেশের প্রতি রাসুলের (সা) আন্তরিক আনুগত্যের সাথে এ সূরাটি সম্পৃক্ত। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানব ছিলেন হযরত মুহম্মদ মুস্তফা (সা)। তবুও সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক অনুভূতির বাইরে ছিলেন না। আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্যের গভীর আবেগ ও উদ্দীপনা থেকে ক্ষণ কালের জন্য তিনি সাময়িক ভুল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যা তাঁর ন্যায় সর্বোচ্চ মুল্যবোধ সম্পন্ন মানুষের জন্য স্বাভাবিক ছিলো না। এই ভুলকে তিনি সানন্দে, সাগ্রহে সংশোধনে আগ্রহী ছিলেন।
একদিন রাসুল (সা) গভীর আন্তরিকতা নিয়ে কতিপয় ধনী মোশরেক কোরাইশ সরদারদের সাথে কোরাণের বাণী আলোচনা করছিলেন। তিনি যখন কোরাণের প্রত্যাদেশ সমূহ তাদের নিকট ব্যাখ্যা করছিলেন সে সময়ে আব্দুল্লা-ইবন- উমাই -ই মুকতাম নামক এক গরীব অন্ধ ব্যক্তি তাঁর নিকট ধর্মীয় উপদেশ যাঞা করেন। সম্ভ্রান্ত কোরাইশদের মজলিশের মাঝপথে এরূপ বাঁধা রাসুল (সা) পছন্দ করলেন না। সম্ভবত : রাসুলের (সা ) বিরক্ত মনোভাব অন্ধ বেচারীর অনুভূতিকে আহত করে। যে মহামানবের হৃদয় গরীব ও হতাভাগ্যদের জন্য সর্বদা সহানুভূতিতে আপ্লুত থাকতো, ক্ষণকালের এই বিভ্রান্তিতে আল্লাহ্ তাঁর প্রতি প্রত্যাদেশ নাজেল করেন। প্রত্যাদেশের আলোয় তার বিভ্রান্তি দূর হয়ে যায়, তিনি সাথে সাথে ইতঃস্তত না করে তা সর্ব সমক্ষে প্রকাশ করে দেন। আর এই প্রত্যাদেশ পবিত্র ধর্মীয় পুস্তকের অংশ হয়ে যায়, যার উল্লেখ আছে আয়াত [ ১৩ - ১৬ ]। এর পর থেকে রাসুল (সা) সর্বদা উক্ত ব্যক্তিকে উচ্চ সম্মান ও মর্যদা প্রদর্শন করতেন।
চলমান পৃথিবীতে এরূপ ঘটনা অহরহই ঘটে থাকে। রাসুলের (সা ) জীবনের মাধ্যমে এরূপ ঘটনার শাশ্বত সত্য নীতি সমূহের প্রত্যাদেশ পৃথিবীর মানুষের জন্য প্রেরণ করা হয়। এই সূরা পুণরায় স্মরণ করিয়ে দেয় মানুষের প্রতি আল্লাহ্র করুণা, ইহকাল ও পরকালে ভালো ও মন্দ কাজের শেষ পরিণতি।
আমি রাজিব। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 29 টি টিউন ও 40 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ভালো হয়েছে