দ্যা কল! প্রথমে আমি ভেবেছিলাম কোনো ভৌতিক টাইটেল। তবে না, বিস্তারিত দেখার পর জানলাম এটি একটি থ্রিলার ছবি। সাধারণত আমি ভৌতিক ছবি ছাড়া তেমন ইংলিশ ছবি দেখি না । তবে কেন জানি এই ছবিটি ডাউনলোড দিয়েই ফেললাম। দেখলাম, ভালই লাগলো। একটা ইউনিক ছবি।
হাই! নিয়ে এলাম ইংরেজি ছায়াছবির বাংলা রিভিউ এর ধারাবাহিক টিউন মুভিস জোনে। আজ মুভিস জোনের ৩য় পর্বে থাকছে একটি থ্রিলার ছবি “দ্যা কল”।
“দ্যা কল” একটি ২০১৩ সালের আমেরিকান থ্রিলাম ফিল্ম যার মুখ্য অভিনয়ে রয়েছেন হ্যালি বেরি এবং আবিগেইল ব্রেসলিন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ব্রেড এন্ডারসন। ছবিটি মার্চ ১৫, ২০১৩ সালে মুক্তি পায় ট্রিস্টার পিকচারস এর ব্যানারে। ছবিটি ইতিমধ্যে কমারশিয়ালভাবে সফলতা লাভ করেছে।
ছবিটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহে পরিচালক আশা করেছিলেন ১১-১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে। তবে শুধুমাত্র আমেরিকায় মাত্র ২৫০৭টি থিয়েটারে মুক্তির ৩ দিনের মাথায় ছবিটি ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘরে তুলে! ছবিটির নির্মাণ ব্যায় ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইতিমধ্যে প্রায় ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করার “WWE Studios” এর সবচেয়ে কমারশিয়ালি সফলপ্রাপ্ত ছবি “দ্যা কল”।
ছবিটি শুট করা হয়েছে লস এঞ্জেলস এর বুরব্যাংক টাউন সেন্টারে। ফ্রিওয়ের সিন টি শুট করা হয়েছে স্যান পেড্রোতে। ছবিটি জুন ২৫, ২০১৩ সালে ডিভিডিতে মুক্তি দেওয়া হয়।
ছবিটির সাফল্যের জন্য ছবিটি সিকুয়্যাল নির্মিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দ্যা কল
পরিচালক:
ব্রেড আন্ডারসন
প্রযোজনায়:
ব্রেডলি গ্যালো
জেফরি গ্রাউপ
মাইকেল হেলফ্যান্ট
মাইকেল লুইসি
রর্বাট স্টেইন
কাহিনী:
নিকোল ডি’ওভিডিও
জন ব্রুকেনক্যাম্প
রির্চাড ডি’ওভিডিও
অভিনয়ে:
মিউজিক:
জন ডেবনেয়
স্টুডিও:
ট্রোইকা পিকচারস
WWE Studios
স্টেজ ৬ ফিল্মস
ডিস্ট্রিবিউটর:
ট্রিস্টার পিকচার
মুক্তি পেয়েছে:
মার্চ ১৫, ২০১৩
ব্যাপ্তি:
৯৪ মিনিট
দেশ:
আমেরিকা
ভাষা:
ইংরেজী
বাজেট:
১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
বক্স অফিস:
৫৮,৯৩৮,৭৬৮ মার্কিন ডলার
ট্রেইলার ভিডিও:
www.youtube.com/watch?v=LOsE8dt_nIc
কাহিনীচক্র:
জর্ডান টারনার (হ্যালি বেরি)। একজন LAPD 911 অপারেটর। এক রাত্রে, সে একটি কল পায় লিয়া টেম্পলিটন এর কাছ থেকে। লিয়া একজন তরুণী, সে তার জীবনের জন্য ভয় পাচ্ছে কারণ তার বাসায় একজন চোর সদৃশ্য কেউ ঢুকার চেষ্টা করছে। জর্ডানের বুদ্ধিমত্তায় লিয়ার তার বাসার জানালা দিয়ে তার জুতা ফেলে দেয়। এতে ওই চোর (আসলে কিডন্যাপার) ভাবে যে মেয়েটি জানালা দিয়ে পালিয়ে গেছে। জুতা জোড়া ফেলে দিয়ে মেয়েটি বিছানার নিচে লুকিয়ে থাকে। কিডন্যাপার টি নিচে চলে এলে হঠাৎ কল টি কেটে যায় আর জর্ডান লিয়াকে কল ব্যাক করলে রিংটোনের শব্দে কিডন্যাপারটি আবারো উপরে চলে আসে এবং লিয়াকে ধরে ফেলে। লিয়াকে চেপে ধরে কিডন্যাপারটি ফোন তুলে, জর্ডান কিডন্যাপারকে বুঝাতে চেষ্টা করলেও “Its already done” এই কথাটি বলে কিডন্যাপার কলটি কেটে দেয়। কয়েকদিন পর জর্ডান টিভিতে একটি নিউজ দেখে যে ওই লিয়ার মৃত দেহ মাটি কেটে উদ্ধার করা হয়। এতে জর্ডান মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এরপর সে আর কল অপারেটর হিসেবে কাজ করতে পারে না।
ছয় মাস পর, এখন জর্ডান ৯১১ অপারেটর এর ট্রেইনিং এর পদে রয়েছে। একই সময়ে তরুণী ক্যাসি তার বন্ধুদের সাথে শপিং মলে ঘুরাঘুরি করছিল। ক্যাসির বান্ধবীর মায়ের ফোন আসে যে তার ভাইকে পিকআপ করতে হবে। তাই ক্যাসিকে একা রেখে তার বান্ধবী চলে যায়। তবে তার মোবাইলটি ফেলে রেখে যায়।
আপাতত একই ক্যাসি বাড়ি ফিরতে পাকিং গ্যারেজে আসে গাড়ির জন্য। যেখানে একজন কিডন্যাপার ক্যাসিকে কিডন্যাপ করে এবং তার গাড়ির পিছনে ক্যাসিকে লকআপ করে রাখে। জ্ঞান ফিরলে ক্যাসি ৯১১ তে কল করে। তার কলটি একজন রুকি অপারেটর ধরে এবং হ্যান্ডেল করতে পারে না। অবস্থা পরিপেক্ষিতে জর্ডান ফোনটি ধরে । ক্যাসি ডিসপোসেবল ফোন ব্যবহার করায় তার জিপিএস এর অবস্থান জর্ডান ধরতে পারছিলো না। জর্ডান ক্যাসিকে বুদ্ধি দিচ্ছে কিভাবে কি করতে হবে। ক্যাসি গাড়িটির পেছনের লাইট ভেঙ্গে ফেলে এবং বাইরে হাত নাড়াতে থাকে। এটি দেখে হাইওয়ের আরেকটি গাড়ি থেকে ৯১১ তে ফোন আসে এবং পুলিশের কাজ আরো সহজ হয়ে পরে।
তবে একজন গাড়ি চালক কিডন্যাপারকে বলে যে তার গাড়ির পিছনের লাইট খোলা। তবে গাড়ি চালকের সন্দেহ হয় কিডন্যাপারের উপর। গাড়ি চালকটি ৯১১ তে ফোন করা মাত্রই কিডন্যাপার তাকে খুন করে এবং সেখান হতে গাড়ি পরিবর্তন করে বেরিয়ে পরে। গাড়ি চালকের সাথে ধস্তাধস্তিতে কিডন্যাপারের হাতের ছাঁপ একটি কাঁচে লেগে থাকে এবং এটার সুত্র ধরে পুলিশ কিডন্যাপারের বিস্তারিত পরিচয় পেয়ে যায়। কিডন্যাপের নাম মাইকেল ফ্রোস্টার।
মাইকেল তার হাইডআউটে এসে ক্যাসিকে গাড়ি থেকে বের করে। তখন মাইকেল দেখতে পায় যে ক্যাসির পকেটে ফোন। সে ক্যাসিকে ঘুষি মেরে অজ্ঞান করে ফেলে এবং ফোনটি ধরে। তখন জর্ডান মাইকেল কে বলে তার সর্ম্পকে পুলিশ সব কিছু জেনে গেছে এবং মেয়েটিকে ছেড়ে দিতে বলে। তবে মাইকেল “Its already done’’ বলে ফোনটিকে ভেঙ্গে ফেলে। এতে জর্ডানের মনে পরে যে ছয় মাস আগে খুন হওয়া তরুণীর হত্যাকারী আর মাইকেল একই মানুষ।
ওদিকে মাইকেলের বাসায় পুলিশ অনুসন্ধান করে। এবং এদিকে জর্ডান নিজে চলে যায় মাইকেলের পরিত্যাক্ত বাসায়। ঘটনাচক্রে জর্ডান মাইকেলের হাইডআউট খুঁজে পায় মাটির নিচে। সেখানে গিয়ে মাইকেলে অতীত সম্পর্কে জর্ডানের ধারণা হয়। মাইকেলের বোনের লিওকেমিয়া রোগ হয় এবং সে তার সব চুল হারিয়ে মারা যায়। এতে মাইকেলের মানসিক আঘাত আসে এবং এরপর থেকে তার বোনের চুলের মতো দেখতে তরুণী মেয়েদেরকে মাইকেল কিডন্যাপ করে এনে মেরে ফেলে তাদের চুল মাথা থেকে চামড়া সহ কেটে ফেলে।
জর্ডান মাইকেলের রুমে দেখতে পায় এ মাইকেলের বোনের কাটা চুলের মাথা। এরপর মাইকেলে ক্যাসির মাথা থেকে চুল চামড়া সহ কাটতে গেলে জর্ডান পেছন থেকে হামলা করে।
অবশেষে ক্যাসির অনুরোধে জর্ডান মাইকেলকে চেয়ারে বেঁধে রাখে এবং তাকে সেই পরিত্যাক্ত মাটির নিচের আস্তানায় ফেলে আসে মরার জন্য।
ডাউনলোড:
আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!
অসাধারন একটা মুভি।আজ সকালে দেখলাম খুব ভাল লাগলো… হ্যালি বেরি অসাধারন অভিনয় করেছে…