ছায়াছবির আড্ডা [ ২য় পর্ব ] :: Grave Encounters 2 (ভৌতিক/ইংলিশ/২০১২)

শেষ হিন্দি ছবি দেখেছিলাম সেই ২০০৭ সালে আওয়ারাপান ছবিটি। আজ বহুবছর পর আশিকি ২ ছবিটি দেখলাম, চোখে পানি এসে গেল। তোমরা কি মনে করো? আমি এমনি এমনি ব্লগিং দুনিয়ায় পড়ে থাকি বাইরের ঝলমলে দুনিয়া ছেড়ে??

গ্রেভ এনকাউন্টারস ২ একটি ২০১২ সালের কানাডিয়ান-আমেরিকান হরর ফিল্ম। পরিচালনা করেছেন জন পোলিকুইন এবং লিখেছেন দ্যা ভিসিয়স ব্রাদারস। ছবিটি ২০১১ সালের গ্রেভ এনকাউন্টারস ছবিটির সিকুয়্যাল। আগের ছবিটির মতোই এটিও ফাউন্ড ফুটেজ স্টাইলে ধারণকৃত। যেখানে আগের ছবিটির একদল ফ্যান সেই একই হাসপাতালে যায় ছবিটির সত্যতা জানার জন্য . . . . . পড়ে তারা শিকার হয়ে যায় ভূতুরে পরিবেশের। ছবিটি বিশ্বব্যাপি শুধুমাত্র ডিভিডিতে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে শুধুমাত্র আমেরিকায় বড় পর্দায় মুক্তি দেওয়া হয়। কারণ ছবিটিতে ১৮+ সংস্কৃতি ব্যবহার করা হয়েছে যা শুধুমাত্র আমেরিকাতেই মানায়। বুঝলে!!!???

গ্রেভ এনকাউন্টারস ২

পরিচালক:

জন পলিকুইন

প্রযোজনায়:

টুইন ইঞ্জিণ ফিল্মস,

পিংক বুফালো ফিল্মস,

শণ এঞ্জেলস্কি,

মারটিন ফিশার

লিখেছেন:

দ্যা ভিসিয়স ব্রাদারস,

মূখ্য অভিনয়ে:

রির্চাড হারমন,

লিনি ল্যাপ,

শণ রোজারসন

মিউজিক:

কোউনে আলানা পাক্সা

সিনেমেটোগ্রাফি:

টনি মির্জা

ডিস্ট্রিবিউটর:

ট্রিবেকা ফিল্ম ফেস্টিবাল,

আরসলাইট ফিল্মস

মুক্তি পেয়েছে:

অক্টোবর , ২০১২ সালে

টোটাল টাইম:

১০০ মিনিট

দেশ:

কানাডা,

আমেরিকা

ভাষা:

ইংরেজি

বাজেট:

১,৪০,০০০০ মার্কিন ডলার

বক্স অফিস:

৮,২১,১০০০ মার্কিন ডলার

ট্রেইলার ভিডিও:

http://www.youtube.com/watch?v=WiIIKSRHuyU

http://www.youtube.com/watch?v=jJPteT_B7SA

http://www.youtube.com/watch?v=7Qs0mCHoeLk

রেটিং:

ভাষায় এবং কিছু কিছু অংশে হেভি ১৮+ উপাদান রয়েছে।

 

কাহিনী:

ছবিটি একটি ফিল্ম স্টুডেন্ট এলেক্স রাইট এবং তার বন্ধুদের নিয়ে তৈরিকৃত। যারা নয় বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া পপুলার টিভি শো “গ্রেভ এনকাউন্টারস” এর অনুকরণে নিজস্ব ছবি তৈরি করছে। এলেক্স বিশ্বাস করে যে “গ্রেভ এনকাউন্টারস” ছবিটি আসল এবং এ বিষয় নিয়ে সে তাদের বন্ধুদের মাঝে আলোচনা করে। এলেক্স তার সাইটে একটি অনলাইট পোষ্ট করে যে যেকোনো আসল তথ্যের খোঁজ তাকে যেন দেওয়া হয়। হঠাৎ এলেক্স একটি মেসেজ পায় একজন রহস্যজনক ইউজার “DeathAwaits666” নামের একজনের কাছ থেকে। সেই ইউজারটি হাসপাতালটির পাশেই থাকেন এবং ইউজারটি এলেক্সকে হাসপাতালটির পুণরায় ইনভেস্টিগেশনের জন্য আমত্রণ জানায়। ইউজারের দেওয়া তথ্য মতে এলেক্স এবং তার বন্ধুরা ছবিটির পরিচালক এবং মুল চরিত্র শন / ল্যান্সের বাড়ির ঠিকানা পায়। সেখানে এলেক্স ল্যান্সের মায়ের দেখা পায় এবং মায়ের ভাষ্যমতে এলেক্স জানতে পারে যে ল্যান্স এখনো বেঁচে আছে। (সিরিজের প্রথম ছবিটির শেষ অংশে মনে হবে ল্যান্স মারা গেছে)। তবে বাড়িটির কেয়ারটেকার এর সাথে কথা বলে এলেক্স জানতে পারে যে, ছেলে হারানোর শোকে ল্যান্সের মা প্রায় পাগল হয়ে গেছে তাই এলেক্স ল্যান্সের মায়ের কথায় তেমনটি বিশ্বাস করতে পারে না।

আরো ইনভেস্টিগেশন করার পর এলেক্স এবং তার বন্ধুরা জানতে পারে যে প্রথম ছবিটির সমস্ত অভিনেতারা হয় গায়েব হয়ে গেছে অথবা মারা গেছে। যা অনেকটা ভৌতিক!

সেই অনলাইন ইউজারের কাছ থেকে এলেক্স নির্দেশনা পায় ছবিটির অরিজিনাল পরিচালকের সাথে দেখা করার জন্য।

অরিজিনাল পরিচালকের সাথে জোরের মাধ্যমে একটি গোপনীয় মিটিংয়ে বলে এলেক্স এবং জানতে পারে যে গ্রেভ এনকাউটার ছবিটির কাহিনী আসলেই সত্য। এবং দর্শকদের চাপে পরিচালক ছবিটির সিকুয়্যাল তৈরি করতে চায়। এলেক্সের আগ্রহ দেখে পরিচালক এলেক্সকে বলেন যে ছবিটির সিকুয়্যাল বানারো জন্য এলেক্স টিম কে ওই হাসপাতালে যেতে, এতে ছবিটির সিকুয়্যালও হবে সাথে আগের ছবির অভিনেতাদের মৃত্যুর আসল তথ্যও পাওয়া যাবে। এলেক্স ছবিটির সিকুয়্যালের চুক্তি পেয়ে খুশি হয় এবং বেরিয়ে পড়ে অভিনেতাদের খোঁজে এবং ছবিটির সিকুয়্যাল তৈরির জন্য।

পরের দিন সেই অনলাইন ইউজারের কাছ থেকে হাসপাতালটির পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা পায় এলেক্স। এরপর এলেক্স এবং তার বন্ধুরা (টেসা, জারেড, জেনিফার এবং ট্রেভর) কানাডাতে উড়ে যায় এবং সেই হাসপাতালে পৌছে যায়। তবে হাসপাতালে প্রথম ঢুকার পর হাসপাতালটির সিকুরিটি গার্ড তাদেরকে হাসপাতাল হতে দুরে থাকতে বলে। তবে একটি ছবির কনট্রাক পেলে কি মাথা ঠিক থাকে!!

তাদের হোটেল রুমে উঠার পর এলেক্স সেই অনলাইট ইউজারের কাছ থেকে আরেকটি ম্যাসেজ পায় , যেখানে তাদেরকে হাসপাতালটির সার্ভিস টানেলের পশ্চিম দিকের শেষ রুমে দেখা করার জন্য। অতপর তারা রাতের বেলা সিকুরিটি গার্ডের নজর এড়িয়ে হাসপাতাল এরিয়াতে ঢুকে পড়ে এবং হাসপাতালের মেইন ফটকের শিকল কেটে হাসপাতালে প্রবেশ করে।

হাসপাতালের মেইন ফটকের শিকল কেটে হাসপাতালে প্রবেশ করে।

আগের ছবিটির মতোই তারা হাসপাতালটির বিভিন্ন অংশে ক্যামেরা ফিট করে যদি “কিছু” তাতে ধরা পড়ে তাই। তবে বরাবরের মতোই “কিছুরই” দেখা না পেয়ে তারা হতাশ হয়ে মূল রুমের মাঝে একটি ওউজা টেবিল খুঁজে পায়। ওউজা একধরণের শব্দ টেবিল যা মানসিক ও বধির লোকজনদের সাথে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ওউজা টেবিলে অটোমেটিক কার্যলাপ দেখে তারা বুঝতে পারে যে ওই অনলাইন ইউজারটি কোনো মানুষ নয় ভূত!!

ওউজা টেবিল

ওউজা টেবিলে ওই আত্মাটি বার্তার সাহায্যে তাদেরকে জানিয়ে দেয় যে “সবকিছু ক্যামেরায় ধারণ” করতে। এরপরই ওউজা টেবিল টি রুমের দেয়ালে আপনা আপনি ছুড়ে ফেলে আত্মাটি। তারা চিৎকার দিয়ে উঠে এবং হাসপাতাল হতে পালানোর রাস্তা খুঁজতে তাকে। মেইন ফটক টি পাওয়া মাত্রই সেখান দিয়ে সেই সিকুরিটি গার্ড চলে আসে এবং তাদেরকে এই পরিত্যাক্ত হাসপাতালে নিয়ম ভঙ্গ করে প্রবেশের জন্য কেইস করবে বলে হুমকি দেয়। তাদের ঝগড়ার মধ্যখানে দ্বিতীয় তলা হতে ভারি পায়ের আওয়াজ শুনতে পায় তারা। এলেক্সেদের মানা না শুনে গার্ডটি তাদেরকে লবি রুমে থাকতে বলে নিজে বন্দুক এবং টর্চ হাতে দ্বিতীয় তলায় যেতে থাকে। গার্ডের গুলির শব্দ শুনে এলেক্সেরা ছুটে যায় দ্বিতীয় তলায় কিন্তু গার্ডটি গায়েব। ফ্লোরে কয়েকটি গুলির শেল এবং গার্ডের টর্চলাইট পড়ে থাকে।

ঘটনার পর এলেক্স তার বন্ধুদের চাপে হাসপাতালটি ত্যাগ করতে রাজি হয় তবে সমস্ত ক্যামেরা নিয়ে তারপরই যাবে! স্টুডেন্ট মানুষ! অত দামী দামী কোয়ালিটির ক্যামেরা ! বুঝোই তো!

জারেড সবচেয়ে উঁচু তলার ফিট করা ক্যামেরা আনতে গিয়ে সিরিজের আগের ছবির মতোই এক অদৃশ্য বাতাসের ধাক্কায় নিচে পড়ে যায়।

জারেড সবচেয়ে উঁচু তলার ফিট করা ক্যামেরা আনতে গিয়ে সিরিজের আগের ছবির মতোই এক অদৃশ্য বাতাসের ধাক্কায় নিচে পড়ে যায়। ক্যামেরাটি তার জায়গায়ই থেকে যায়। পড়ে তারা উপরে এসে ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জানতে পারে যে আগের ছবিটির মতোই তাদের সাথেই ঘটতে চলছে একই ভৌতিক ঘটনা। নিচ তলার যেতে যেতে সিরিজের আগের ছবিটির মতোই হঠাৎ দেয়াল পড়ে যায়। বাধ্য হয়ে অন্য পথে যেতে থাকে তারা।

বিভিন্ন করিডোর এবং রুম ঘুরে ঘুরে তারা একটি খেলার ঘরে এসে পড়ে। যেখানে হঠাৎ করে একটি সাদা পোষাকের বাচ্চা আগমন ঘটে এবং এরপর কি হয় তা নিচের ছবি দেখেই বুঝে নিও!!

সেই বিখ্যাত চিল্লানী!!

বাচ্চাটি একটি চিরূণী দিয়ে মাথা নিচু করে চুল আঁচড়াতে দেখে তারা। এরপর সেই বিখ্যাত চিল্লানী!! এরপর বরবরের মতো সবাই ভয় পেয়ে যায় এবং দে ছুট!! এদের মধ্যে টেসা একটু আগে চলে যায় এবং অন্য একটি করিডোরে চলে যায় তবে অন্যারা সেখানে যাওয়ার আগেই সেখানে একটি দেয়াল এসে পড়ে। গ্রুপ হতে বিচ্ছিন্ন টেসাকে অনেক চাপ দিয়ে মেরে ফেলে অদৃশ্য সত্ত্বা।

গ্রুপ হতে বিচ্ছিন্ন টেসাকে অনেক চাপ দিয়ে মেরে ফেলে অদৃশ্য সত্ত্বা।

বেঁচে থাকা স্টুডেন্টস রা বের হবার রাস্তা খুঁজতে থাকে। ঘটনা চক্রে সেই সিকুরিটি গার্ডেকে তারা খুঁজে পায় একটি গুরনিতে যেখানে রোগীদের ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। গার্ডকে ‍মুক্ত করার চেষ্টা করার মাঝে হঠাৎ মেশিনটি চালু হয়ে যায় এবং ক্রমাগত পাওয়া বাড়তে থাকে। যার ফলে অতিরিক্ত কারেন্ট হতে গার্ডটি আগুনে পুড়ে মারা যায় স্টুডেন্টসদের সামনেই।

অতিরিক্ত কারেন্ট হতে গার্ডটি আগুনে পুড়ে মারা যায় স্টুডেন্টসদের সামনেই।

বেঁচে থাকা ৩ জন আবারে বের হবার রাস্তা খুঁজতে থাকে। তারা একটি পাতলা স্টিলের রডের তৈরি জানালা খুঁজে পায়। সেটি ভেঙ্গে বের হবার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে রডটি ভাঙ্গতে থাকে। তবে আবারো একটি ভূতে জানালা ভেঙ্গে তাদের কে ধাওয়া দেয়! ভূতের ধাওয়া খাইতে কত মজা!

ধাওয়া খেয়ে ভাগ্যক্রমে তারা বের হবার দরজা পেয়ে যায় এবং হাসপাতাল হতে তারা বেরিয়ে আসে। রাস্তায় একটি পুলিশের গাড়ির উপর ওই ছাদ হতে পড়ে যাওয়া এসিয়ান বন্ধুটি পড়ে থাকা লাশ দেখতে পায় তারা। অতপর নিজেদের গাড়িতে করে তারা হোটেলে ফিরে আসে এবং প্রাণ ভরে দম নেয় তারা।

হোটেল হতে ব্যাগ ট্যাগ গুছিয়ে হোটেলে ত্যাগের উদ্দ্যেশে লিফটে উঠে এবং নিচতলা যায়। তবে লিফটি তাদেরকে সেই হাসপাতালের টালেনে নিয়ে আসে এবং নষ্ট হয়ে যায়। স্টুডেন্টরা হতভব্ধ!!! এরপর তারা বুঝতে পারে যে হাসপাতাল হতে পালিয়ে আসাটা একটি ভ্রম মাত্র! বাধ্য হয়ে তারা একসাথে টানেল দিয়ে যেতে থাকে। হঠাৎ টালেনের পাইপ গুলো ফাটতে থাকে এবং সমস্ত টালেন ধোঁয়াশা হয়ে যায়। এরই মধ্যে একজন বন্যমানুষ টাইপের সাথে তাদের দেখা হয় এবং বন্যমানুষ টি এসি সিস্টেমের পাইপের মাধ্যমে একটি গোপন রুমে তাদেরকে নিয়ে যায়। এসি সিস্টেমের পাইপের মধ্যে দিয়ে যাবার সমস্য সেই চিরুণীওয়ারী মেয়ে দেখা পায় এবং ধাওয়াও খায়! আহারে!!

এসি সিস্টেমের পাইপের মধ্যে দিয়ে যাবার সমস্য সেই চিরুণীওয়ারী মেয়ে দেখা পায় এবং ধাওয়াও খায়! আহারে!!

গোপন রুমের অবস্থা এবং বন্যমানুষকে কাছ হতে দেখে এলেক্স নিশ্চিত হয় এ এটি ল্যান্স ওরফে শণ যে গত ৯ বছর ধরে এই হাসপাতালে আটক রয়েছে। এতদিন সে ইঁদুর এবং টয়লেটের পানি খেয়ে বেঁচে রয়েছে ল্যান্স! বলা বাহুল্য ল্যান্স এখন প্রায় মানসিক রোগী এবং ডাক্তার ফ্রেন্ডকিন এর অপারেশনের ফলে ল্যান্স এখন হাসপাতালের আত্মাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে।

ল্যান্স তাদেরকে টানেলের একদম মাঝখানে নিয়ে যায়

ল্যান্স তাদেরকে টানেলের একদম মাঝখানে নিয়ে যায়। যেখানে তারা একটি বিশাল লাল দরজা খুঁজে পায় যা বিশাল বিশাল শিকল এবং তালা দিয়ে লক করা। তবে দরজাটি শুধু দরজাই! মানে এপাশেও করিডোর এবং ওপাশেও করিডোর। মানে হচ্ছে একটি বিশাল লম্বা করিডোরের মাঝপথে একটি বিশাল লাল লক করা দরজা দাড়িয়ে আছে। ল্যান্স তাদেরকে বলে যে হাসপাতাল হতে বের হবার এটিই একটি রাস্তা। স্টুডেন্টরা ল্যান্সকে জানায় যে তাদের কাছে শিকল কাটার অস্ত্র রয়েছে একটি ব্যাগের মধ্যে যা তারা ধাওয়া খেয়ে যেকোনো একটি হলরুমে ফেলে এসেছে। যেহেতু ল্যান্স হাসপাতালের অলি গলি চেনে তাই কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা বোল্ট কাটার ওয়ালা ব্যাগ পেয়ে যায়। এরপর ল্যান্স তাদেরকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে বলে।

যে একটি অদৃশ্য সত্ত্বা একটি ক্যামেরা নিয়ে তাদেরকে শুট করছে।! বাহ বাহ!

তারা ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমের মধ্যেই তোমরা দেখতে পাবে যে একটি অদৃশ্য সত্ত্বা একটি ক্যামেরা নিয়ে তাদেরকে শুট করছে।! বাহ বাহ! ওদিকে ব্যাগ সহ ল্যান্স ওদের কে ছেড়ে পালিয়ে যায়। এদিকে ট্রেভর বাথরুমে যায় এবং তার মা-বাবার উদ্দেশ্যে শেষ কিছু বলে ক্যামেরায়। পরে ট্রেভর কে দম আটকে ল্যান্স মেরে ফেলে। পরে এলেক্স এবং জেনিফার ট্রেভর এর মৃতদেহ খুঁজে পায় এবং বুঝতে পারে যে ল্যান্স তাদের বন্ধুটিকে মেরেছে এবং সমস্ত মালামাল লুট করেছে। তবে হাসপাতালটির ম্যাপ ফেলে গেছে!

ট্রেভর কে দম আটকে ল্যান্স মেরে ফেলে

ওদিকে ল্যান্স নেইল কাটার থুক্কু বোল্ট কাটার দিয়ে লাল দরজার শিকল কাটে তবে কোনো ফল হয় না। এটি একটি মামুলি দরজা!! হুর!! এর পর ল্যান্স হাসপাতালের ভূতদের সাথে যোগাযোগ করে এবং ভূতটা দেয়ালে ফাটলরে সাহায্যে ল্যান্সকে জানিয়ে দেয় যে দরজাটি একটিভ করতে হলে সমস্ত ক্যামেরা রেকর্ডগুলো ধ্বংস করতে হলে এবং দরজাটি শুধুমাত্র একজনকে বাহিরে নিয়ে যেতে পারবে।

ওদিকে ম্যাপের সাহায্যে এলেক্স এবং জেনিফার ডাক্তার ফ্রেন্ডকিন এর অপারেশন রুমে এসে পড়ে এবং সেখানে ডাক্তার এবং নার্সদের অপারেশন দেখতে পেয়ে লুকিয়ে পড়ে। তবে জেনিফারের গভীর নিশ্বাসের কারণ একটি নার্স তাদের সামনে এসে পড়ে এবং বিখ্যাত চিল্লি দিয়ে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে তারা সেই লাল দরজা ওয়ালা করিডোরে এসে পড়ে এবং ল্যান্সের সাথে দেখা হয়। ল্যান্স তাদেরকে টেপগুলো দিয়ে দিতে বলে এবং এও বলে যে মাত্র একজন বের হতে পারবে। কিন্তু এলেক্স কিছুতেই টেপ দিতে নারাজ। তাদের মারামারির মধ্যে হঠাৎ একটি দেয়াল ফেটে গিয়ে অতল গহ্বর এর তৈরি হয় এবং এটি ল্যান্সকে জীবন্ত চুষে নেয়। মা গো!!

বেঁচে থাকে এলেক্স এবং জেনিফার। এলেক্স এর মনে পড়ে যে মাত্র একজন বের হতে পারবে। তাই সে জেনিফারকে ক্যামেরা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এই দৃশ্য দেখে আমি এটাকে বাস্তব ভেবেছিলাম! কি সাংঘাতিক!!

জেনিফারকে ক্যামেরা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এই দৃশ্য দেখে আমি এটাকে বাস্তব ভেবেছিলাম! কি সাংঘাতিক!!

জেনিফারকে হত্যার পর পরই দরজাটি এলেক্সকে একটি মরুভুমিতে নিয়ে যায়। অবশেষে এলেক্স বেঁচে আসতে পারলো হাসপাতাল হতে। ছবিটি শেষ হয় লস এঞ্জেলস এর রাস্তা হয়ে এলেক্সকে পুলিশ গ্রেফতারের মাধ্যমে।

ছবিটির শেষ অংশে এলেক্স এবং ছবিটির অরিজিনাল পরিচালক দর্শকদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে ছবিটি সম্পূর্ণ ফিকশনাল। কিন্তু এতে রহস্য আরো বেড়ে যায় . . . . . . . .!

অভিনয়ে:

রিচার্ড হারমন

এলেক্স রাইটের ভূমিকায় রিচার্ড হারমন

লিনি ল্যাপ

জেনিফার পার্কারের ভূমিকায় লিনি ল্যাপ

শণ রোজারশন

ল্যান্স প্রেসটনের ভূমিকায় শণ রোজারশন

ডাইলান প্লেফেয়ার

ট্রেভর টথমশন ভূমিকায় ডাইলান প্লেফেয়ার

স্টেপেনি ব্যানেট

টেসা হামিল ভূমিকায় স্টেপেনি ব্যানেট

হোউই লাই

জারেড লি ভূমিকায় হোউই লাই

বেন উইলকিনসন

ছবিটির পরিচালক ওরফে জেরি হাটফিল্ড এর ভূমিকায় বেন উইলকিনসন

আরথুর কোরবার

ডাক্তার ফ্রেন্ডকিন এর ভূমিকায় আরথুর কোরবার,

ব্রেন্ডা মিকডনাল্ড

ল্যান্সের মায়ের ভূমিকায় ব্রেন্ডা মিকডনাল্ড

দ্যা ভিসিয়াস ব্রাদারস

দ্যা ভিসিয়াস ব্রাদারস তাদের নিজস্ব ভূমিকায়।

ডাউনলোড:

1980x1080 (13GB):

http://www.hnmovies.com/grave-encounters-2011-bluray-brrip-1080p-13gb-hnmovies/

Torrent:

http://thepiratebay.sx/torrent/8277684/

1280x720: (1.3GB)

http://www.xmovies8.com/2013/02/grave-encounters-2-2012-bluray-720p.html

Torrent:

http://thepiratebay.sx/torrent/8149134/Grave_Encounters_2_(2012)_720p_BrRip_x264_-_YIFY

DVD RIP: (740MB)

http://mediafire.com/?ca3cm25qkmm9jta

http://mediafire.com/?1fdx9m2wmaczslx

http://mediafire.com/?jf5wr0g4dmrm2lh

http://mediafire.com/?0430rl9lbx47xxu

Pass:

killed_2

320x240 (110MB):

http://moviesluv.com/showmovie.php?id=3379

রাত জেগে কষ্ট ভূলে ভুতের কাহিনী লিখতে বেশ ভালোই লাগে। যদিও এখন রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে গেছে!

Level 10

আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

valo laglo

Level 0

33 নাম্বার এর ছবি awesome. বড় দুধ ! 😛 (মজা লইলাম)

ভাই মিডিয়াফায়ার থেকে ডাউনলোড করে আনজিপ করার সময় পাসওয়ার্ড চাচ্ছে ……..

Level 0

Vai Etar Password Error Dekai, R Prothom Movie Tar Rar File Er Password Dorkar, Plz Ektu Taratari Den Rate Movie Namaya Ekhono Dekhte Pari nai, Bujhen Kemon Lagtase…, Bro Ektu Taratari Ghum Theke Uthe Pass Gula den.

Level 0

R Vai Aai Movie Ta Wir Rar E Pass Diya Unzip Korte Gelai File Corroupt Dekahi, Plz Solution Bolen Pass Thik Nai Naki File Ta Corroupt.

Level 0

Tune Korar Pore Jodi Problem Hoe R Sai Problem Er Solution Na Dila Tune Korar E Ki Dorkar, R Tune Kore Jode Nijay Porte Mone Chai Ta Hole Bollai Hoy Je Aai Tune Onno Keu Porben Na. Bhai Ajker Por Theke Aapnar R Kono Tune Ami Personally Dekbona, Sorry…..

ভাই আমারও আপনার মত একই সমস্যা। মুভি ডাউনলোড করার পরে যদি দেখতে না পারি তাহলে খুব কষ্ট লাগে। তাড়াতাড়ি পাসওয়ার্ড দিয়ে আমাদেরকে এই কষ্ট থেকে মুক্তি দিন।