মহান আল্লাহ তায়ালা নাম স্মরণ করে মুভিস জোন চেইন টিউনের শুভ সূচনা শুরু করছি। হুমম! গেমস জোনের মতো আমার আরেকটি নতুন চেইন টিউন সিরিজ হলো মুভিস জোন। নাম শুনেই বুঝতে পারছো এখানে বিভিন্ন প্রকার ছায়াছবি নিয়ে টিউন হবে। যারা আমার গেমস জোন পড়েছো তারা তো জানই মুভিস জোনের ফিচার কেমন হবে। আশা করবো গেমস জোনের মতোও মুভিস জোন তোমাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। মুভিস জোন শুরু করছি আমার দেখা একটি ইংলিশ ভৌতিক ছবি গ্রেভ এনকাউন্টারস দিয়ে।
গ্রেভ এনকাউন্টারস একটি ২০১১ সালের কানাডিয়ান - আমেরিকান মকুমেন্টারি সুপারন্যাচরাল হরর ফিল্ম। ছবিটি ফাউন্ড ফুটেজ ধাঁচের তৈরি। ছবিটিতে খুঁজে পাওয়া ফুটেজে দেখা যায় যে একটি প্যারানরমাল রিয়েলিটি টেলিভিশন প্রোগ্রামের সদস্যরা একটি পরিত্যাক্ত ভৌতিক হাসপাতালে নিজের এক রাত্রের জন্য বন্দি রেখে ভূতের সন্ধান করছে। তবে তারা জানে না যে এটাই তাদের শুট করা শেষ পর্ব হতে যাচ্ছে।
ছবিটি লিখেছেন এবং পরিচালনা করেছেন দ্যা ভিসিয়স ব্রাদারস। ছবিটি প্রিমিয়ার করা হয় এপ্রিল ২২, ২০১১ সালে ট্রিবেকা ফিল্ম ফেস্টিভালে। ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয় আগষ্ট ২৫, ২০১১ সালে নিদির্ষ্ট কিছু থিয়েটারে। ছবিটি মূলত ডিভিডি আকারে বিশ্বব্যাপি মুক্তি দেওয়া হয়। ছবিটির পটভূমিতে ব্যবহৃত হাসপাতালটি বাস্তাবে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কোকুইটলামে অবস্থিত রিভারভিউ হসপিটাল। এটি একটি মানসিক হাসপাতাল।
গ্রেভ এনকাউন্টারস
পরিচালনায়:
দ্যা ভিসিয়স ব্রাদারস
প্রযোজনায়:
টুইন ইঞ্জিণ ফিল্মস,
ডিজিটাল ইন্টারফেরেন্স,
শন এঞ্জেলস্কি এবং
মাইকেল কারলিন
এক্সকুটিভ প্রযোজক:
কলোনিক মিনিহ্যান এবং
স্টুর্য়াট অরটিজ
লিখেছেন:
দ্যা ভিসিয়স ব্রাদারস
অভিনয়ে:
শণ রোজারসন,
এ্যাশলেই গ্রাজকো,
ম্যাকেনজিই গ্রেয়,
জুয়ান রেইডিনজার,
মারউইন মনডেসির,
ম্যাথিউ কে মিকব্রাইড
মিউজিক:
কিউনি ক্রাডক
সিনেমাটোগ্রাফি:
টনি মির্জা
নির্দেশনায়:
দ্যা ভিসিয়স ব্রাদারস
স্টুডিও:
ওয়েস্ট উইং স্টুডিওস
ডিস্ট্রিবিউটর:
ট্রিবেকা ফিল্ম ফেস্টিবাল
মুক্তি পেয়েছে:
১লা জুন, ২০১১ সালে
টোটাল সময়:
৯৫ মিনিট
দেশ:
কানাডা
ভাষা:
ইংরেজি
ছবিটি নির্মাণে ব্যায় হয়েছে:
২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
বক্স অফিস:
৫,৪০৮,৩৩৪ মার্কিন ডলার
রেটিং:
গালি গালাজ থাকায় ছবিটি ১৬+ রেটিং পেয়েছে
ট্রেইলার ভিডিও:
http://www.youtube.com/watch?v=g8FBRATbJoA
ছবিটির সম্পূর্ণ মজা পেতে হলে ছবিটিকে বাস্তব মেনে নিয়ে দেখো। অবশ্যই মজা (!) পাবে!!
কাহিনী:
ছবিটি শুরু হয় গ্রেভ এনকাউন্টারস এর পরিচালক জনগণকে বিবৃতি দিচ্ছেন, কেন পপুলার টিভি শো “গ্রেভ এনকাউন্টারস” হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেছে। পরিচালক বলেন আমরা একটি অবিশ্বস্য ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি যার ফলাফলে আমারা এটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হই। এরপর ওই খুঁজে পাওয়া ভিডিও ফুটেজ তথা মূল ছবি শুরু হয়।
গ্রেভ এনকাউন্টারস এর ক্রিউ সদস্য ল্যান্স, শাশা, ম্যাট, টিসি এবং গ্রেয় তাদের শো এর শুরু করে। যেখানে তারা একটি পরিত্যাক্ত হাসপাতালের ইন্টারভিউ নিতে যাচ্ছেন। হাসপাতালটিতে গত বহু বছর ধরে বিভিন্ন প্যারানরমাল অভিযোগ হয়ে আসছে।
তারা কলিংউড এর হিস্টোরি ঘেঁটে এর পূর্ণতথ্য জানতে পারে। এগুলোর সবই শুট করা হয় ক্যামেরাম্যান টিসির ক্যামেরায়। এতে মনে হবে তুমি কোনো শো এর শুটিং দেখছো।
তারা ঠিক করে যে হাসপালের কেয়ারটেকারের সাহায্যে হাসপাতালে একটি রাত কাটাবে এবং আসল ঘটনা দেখবে।
রাতের বেলা তারা হাসপাতালে ঢোকে এবং কেয়ারটেকার বাইরে দিয়ে মেইট গেটে শিকল-তালা দিয়ে চলে যায়। কেয়ারটেকার পরের দিন সকালে এসে তালা খুলে দিয়ে যাবে।
পুরোটা রাত তারা তাদের শো নিয়ে ব্যস্ত থাকে, ভূতদের সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করে কিন্তু আসলে কিছুই ঘটে না। কেয়ারটেকার আসার আধা-ঘন্টা আগে মন খারাপ করে তারা প্যাক গোছাতে থাকে। ম্যাট ক্যামেরা গুলো আনতে যায় , তবে আর ফিরে আসে না!! কোথায় যেন গায়েব হয়ে যায়।
এর পরের কয়েকটি ঘন্টা বাকিরা ম্যাটের খোঁজে থাকে। অন্যদিকে কেয়ারটেকারটাও আসতেছে না!! ধুত্তুরি!!
ম্যাটের আশা ছেড়ে তারা মেইন দরজাটি ভাঙ্গতে চেষ্টা করে । ভেঙ্গে দেখে যে সেটি আরেকটি করিডোরে লিড করছে। এভাবে আরো কয়েকটি “Exit” দরজা পায় তারা তবে সবগুলোরই আরেকটি করিডোরে নিয়ে যায় তাদেরকে। এরপর তারা বাইরে এখনো রাত অনুভব করে কিন্ত শণের মোবাইলে তখন দুপুর ১ টা দেখাচ্ছে!! এরপর দিনটি তারা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়।
ঘুম থেকে উঠে দেখে যে তাদের খাবারগুলো কে জানি বিশ্রিভাবে খেয়ে গেছে। এরপর আরো এক্সজিট দরজা খুঁজে পায় তারা এবং ছাঁদে উঠার সিঁড়িও। তারা সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে উঠতে হঠাৎ দেয়াল বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ তারা একটি চিৎকার শুনতে পায় এবং এটি ম্যাটের ছিল। তারা চিৎকারের পিছনে যেতে থাকে এবং একটি রুমে এসে পড়ে। যেখানে একটি মেটাল ধাতুর বিছানা ছিলো, যেটি নিজে নিজেই নড়াচড়া করছিল এবং একটু পড়ে অদৃশ্য হয়ে যায়।
এরপর তারা শাশার পিছনে মানে পিঠে খামচি দিয়ে লেখা “HELLO” দেখতে পায়। এরপর তারা একটি এক্সটিজের রাস্তা এবং ম্যাটের খোঁজে হাসপাতালটির বিভিন্ন জায়গায় যেতে থাকে।
একটি করিডোরে এসে তারা একটি রহস্যজনক মহিলার দেখা পায়। তাকে প্রশ্ন করতেই যে ভৌতিক চিৎকার দেয়।
এরপর ওরা ভয় পেয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। হাউসন টিম হতে বিছিন্ন হয়ে যায় অন্ধভাবে ছোটার কারণে এবং পরে মরে যায় অদৃশ্য ফোর্সের হাতে। বাকিরা একটি রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দেয়। রুমে রেস্ট নেবার সময় তারা তাদের হাতে হাসপাতালের রোগীদের ক্লিপ দেখতে পায়, যা সাধারণত রোগীদের হাতে সিরিয়াল নাম্বার হিসেবে ব্রেসলেটের মতো পড়িয়ে রাখা হয়।
এরপর তারা ম্যাটকে খুঁজে পায়। ম্যাটকে তারা হাসপাতালের রোগীদের পোশাক পরিহিত অবস্থায় পায়। তারা ম্যাটকে অবস্থা জানার জন্য অনেক প্রশ্ন করে কিন্ত ম্যাট মানসিক রোগীদের মতো আচরণ করতে থাকে।
এরপর তারা কয়েকটি ভূতদের হাতে আক্রমণের শিকার হয়। এই যেমন একটি রুমে নিচে কাটা জিহ্বা পড়ে থাকে। উপরে ঝুলতে থাকে ভূত!!
আরেকটি রুমে প্রবেশ করা মাত্রই রুমের চারদিক হতে ভূতুরে হাত বেরিয়ে আসে!! এরপর হাসপাতালের বিশাল বাথরুমে তারা উপস্থিত হয়। যেখানে বাথটাবটি রক্তে পূর্ণ ছিল। সেই বাথটাব হতে একটি ভূত ক্যামেরাম্যান টিসিকে টেনে বাথটেবে নিয়ে আসে এবং রক্তসহ তারা অদৃশ্য হয়ে যায়! ওদিকে ম্যাট আত্মহত্যা করে লিফটের উপর থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ে। বেঁচে থাকে শুধু শণ এবং শাশা। তারা পড়ে বেলমাথা জিহ্বা ছাড়া ভূতের ধাওয়া খায়!
ধাওয়া খেয়ে তারা হাসপাতালটির টালেনে এসে পড়ে এবং কিছুক্ষণের জন্য জিরিয়ে নেয়। তারা যখন ঘুমের মধ্যে ছিল তখন অসুস্থ শাশাও গায়েব হয়ে যায়!
এবার ল্যান্স একা হয়ে পড়ে। এতদিন না খেয়ে থাকার জন্য ইঁদুর মেরে সেটি খেতে থাকে! কি দৃশ্যরে বাবা! এরপর ঘটনাচক্রে সে ডাক্তার ফ্রেইডকিন এর অপারেশন রুমে এসে পড়ে। কথিত আছে যে ডাক্তার ফ্রেইডকিন এর জন্য নাকি হাসপাতালটিতে যাবতীয় ভৌতিক ঘটনা ঘটে। ফ্রেইডকিন হাসপাতালটির সবচেয়ে পুরোনো ডাক্তার এবং ৬০/৭০ বছর আগে মারা গিয়েছিল। তো ল্যান্স অপারেশন রুমের যাবতীয় অবস্থা দেখে বুঝতে পারে যে ডাক্তার ফ্রেইডকিন কালো যাদু করতো তার রোগীদের উপর। ল্যান্সের সামনে হঠাৎ ফ্রেইডকিন এবং তার সেবিকা এবং একটি রোগীর অপারেশন এসে পড়ে। ল্যান্স লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে থাকে কিন্তু ধরা পড়ে যায়। ফ্রেইডকিন এবং সেবিকার একসাথে চিল্লিয়ে উঠে!!
তাদের ধাওয়া খেয়ে ল্যান্স আরেকটি রুমে এসে পড়ে এবং তার ক্যামেরা একটি বই এবং স্কালে আটকে পড়ে। এরপর পর্দাটি নীল হয়ে যায় কিছুক্ষণের জন্য। এরপর ছবিটি শেষ হয় ল্যান্সকে অসুস্থ অবস্থায় একটি বিবৃতি দিতে “আমি ভালো আছি এবং আমি এখন বাড়ি যেতে পারবো” কিন্তু এরপরই পর্দাটি কেঁপে উঠে এবং ছবিটি শেষ হয়ে যায়।
অভিনয়ে:
ল্যান্স প্রেস্টটন এর ভূমিকায় শণ রোজারশন
শাশা পার্কার এর ভূমিকায় এ্যাশলেই গ্রাজকো
ম্যাট ওয়াইট এর ভূমিকায় জুয়ান রেইডিংগার
টিসি গিবসন এর ভূমিকায় মারউইন মনডেসির
হাউসটন গ্রেয় এর ভূমিকায় ম্যাকেনজিই গ্রেয়
ডাক্তার আরথুর ফ্রেন্ডকিন এর ভূমিকায় আরথুর কোরবার
কেয়ারটেকারের ভূমিকায় বব রাথিই
আত্মার ফোর্সের ভূমিকায় ম্যাথিউ কে মিকব্রাইড
জেরি হাটফিল্ড / পরিচালকের এর ভূমিকায় বেন উইলকিনসন
জিহ্বাবিহীন ভূতের ভূমিকায় এলেক্স টিমার
ডাউনলোড:
FULL HD:
Size:
6.56GB
Format:
BluRay
Resolution:
1920x1080
http://ryushare.com/qo27he3eel88/b0dwi45xbsw.part1.rar
http://ryushare.com/qod99lt5m7w8/b0dwi45xbsw.part2.rar
http://ryushare.com/aol86dhtx8qu/b0dwi45xbsw.part3.rar
http://ryushare.com/fknw5lnogkrl/b0dwi45xbsw.part4.rar
http://ryushare.com/daqvcc5qqege/b0dwi45xbsw.part5.rar
http://ryushare.com/lectsy92ut77/b0dwi45xbsw.part6.rar
http://ryushare.com/i2me3zy1v80h/b0dwi45xbsw.part7.rar
Torrent:
http://thepiratebay.sx/torrent/7495636/Grave.Encounters.2011.1080p.BluRay.X264-7SinS_%5BPublicHD%5D
HD DVD RIP (SINGLE LINK):
Size: 704MB
Format:
Xvid
Resolution:
640x272
http://extabit(dot)com/file/27b76i2pl0qw9/Grave.Encounters.2011.BRRip.XviDplayXD.rar
http://www.netload.in/dateirlkMudgAT8/Grave.Encounters.2011.BRRip.XviDplayXD.rar.htm
http://lumfile.com/5rpkefez6pyq/Grave.Encounters.2011.BRRip.XviDplayXD.rar.ht
DVD RIP:
Size: 615 Mb
Quality: DVDrip
Format: Avi
Resolution: 480x272
http://mediafire.com/?obfi528na7c7887
http://mediafire.com/?xhlcvcb3pms3hol
http://mediafire.com/?1y51e3n74u7laba
http://mediafire.com/?bchzaq631m52f22
For Mobile (AVI):
Size: 107MB
Format:
Avi
Resolution: 320x240
http://www.mobilesmovie.in/info/hollywood/2286-grave-encounters-dvdscr.html
or
Part 1:
http://moviesmobile.net/common/dwnload.php?url=14986
Part 2:
http://moviesmobile.net/common/dwnload.php?url=14988
For Mobile (3GP):
Size:
100MB
Format:
3gp
Resolution:
220x150
199.91.152.54/3r366sh318og/virece8xea6usix/Grave.Encounters.3gp
আশা করবো আমার নতুন জোন তোমাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বে ছবিটির সিকুয়্যাল গ্রেভ এনকাউন্টার ২ নিয়ে আমি গেমওয়ালা চলে আসবো।
ধন্যবাদ।
আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!
I appriciate ur new work but I personally think that Games and Movies have totally diffarent issues! We like to know about games but I don’t think knowing the story about a movie before see it is not cool!!! Many may not want that too!
But Very Good Review and It looks like u spend a lot of time and hard work for it! Excellent.