আজ বছরের শেষ দিন। আর মাত্র কয়েকঘন্টা। তারপরই মহাকালের গর্ভে হারিয়ে যাবে আরেকটি বছর খ্রিষ্টাব্দ ২০১০। সময় ও নদীর স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। তাইতো এক এক করে ৩৬৫টি দিন অতিবাহিত হতে চলেছে। আসছে নতুন বছর। বিদায়ী বছরটি প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির দোলাচলে নিয়েছে অনেক কিছু। এই একটি বছর আমি খুব কাছ থেকে টেকটিউন্সের সাথে যুক্ত থেকেছি। সব টিউনার এবং ভিসিটরের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছি। সকল এই বছরটি ছিল আমার জন্য খুবই গুরুত্তপুর্ন। এই বছরেই আমি এইচএসসি পাশ করি এবং উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হই। তাছাড়া এ বছরেই আমার টিউনার হিসাবে যাত্রা শুরু। এই এক বছরে টেকটিউনসে অনেক ঘটনা উপঘটনা ঘটেছে। আগমন ঘটেছে আমার মতন অনেক নবীন টিউনারের। ভিসিটরের সংখ্যা বেড়েছে অনেক। আমি মনে করি ভিসিটর এবং টিউনার, একে অন্যের পরিপুরক। ভিসিটরের কমেন্টের মাঝেই টিউনারের টিউন বেঁচে থাকে এবং পুর্নতা পায়। আমার আজকের এই টিউন কোন বিশেষ বিষয়ের উপর নয়। আমি আপনাদের সবাইকে এই টিউনের মাধ্যমে ফ্ল্যাশব্যাকে নিয়ে যাব। ২০১০ এ সংঘটিত নানা ঘটনা উপঘটনার ব্রিফে।
আসলে একটি বছরের সকল ঘটনা অল্প কথায় বর্ননা করা এত সোজা কথা না, অনেক ধৈর্যসাপেক্ষ ব্যাপার। হয়তো এত ঘটনার বর্ননারও এই ছোট স্থানে সংকুলান হবে না তবুও চেষ্টা করছি। তারপরও আমি এই দুঃসাহস দেখাচ্ছি। কোন রকম ভুল ত্রুটি হলে দয়া করে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এক্ষেত্রে হাসান যোবায়ের এর কথা না বললেই না। ও আমাকে টিউনটি করতে সর্বাত্তক সাহায্য করেছে
Alexa কি তা হয়তো নতুন করে বলে দিতে হবে না। তারপরেও যারা জানেন না তাদের জন্য বলছি, Alexa হলো বিভিন্ন ওয়েব সাইটের তথ্য নিয়ে গবেষণাকারী একটি ওয়েব সাইট। অর্থাৎ একটা ওয়েব সাইট কত টা জনপ্রিয় এবং তার ট্রাফিক রাঙ্কিং কি, ইত্যাদি জানা যায় Alexa এর মাধ্যমে। ১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরু করার পর এলেক্সা খুব দ্রুতই ওয়েব সাইটের ট্রাফিক রাঙ্কিং-এর জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। বর্তমানে এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত ট্রাফিক রাঙ্কিং সেবা। এটি ওয়েব সাইটের ট্রাফিকের হিসাব রাখে এবং সংগৃহীত উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে সংখ্যাগত একটি রাঙ্কিং করে।
আমাদের সবার গর্ব করার বিষয়। আসুন নতুন বছরের শুরুতে সবাই একবার করে আমাদের সবার প্রিয় টেকটিউনসের রিভিউ দেই। এ নিয়ে হাসান যোবায়ের করেছে একটি অসাধারন টিউন। বিস্তারিত দেখতে এই খানে ক্লিক করুন।
২০১০ এ টেকটিউনসে অনেক ভাল ভাল টিউন হয়েছে যার অনেক গুলোই এত ভাল যে একটি বাদ দিয়ে অন্যটি বলা যায় না। তবে এখানে সময় স্থানের কথা বিবেচনা করে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার দেখা ২০১০ এর ১৬টি সেরা টিউন। হয়তো আরো ভাল টিউন সিলেক্ট করা যেত তবে সময়ের অভাবে তাড়াহুড়া করে কাজটি শেষ করা হয়েছে। তাই আবারো সবার কাছে অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে রাখছি।
আমার দেখা বছরের সেরা টিউন এটি। টিউনটি করেছেন ক্লাসিক টিউনার হিমায়িত দিহান ভাই। এই টিউনে টরেন্টের গুস্টি সহ বর্ননা করা হয়েছে। টরেন্ট নিয়ে যাবতিয় সব প্রশ্নের উত্তর আশা করি পেয়ে যাবেন এই টিউনের মাধ্যমে। টিউনটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
টিউনটি করেছেন টিউনার হেরার আলো ভাই। এই সফটয়ারটি মূলত আপনার উন্ডোজের সকল আপ্লিকেশন গুলোকে ব্যাকআপ রাখে এবং কোন কারনে উইন্ডোজ নস্ট/করাপ্ট হয়ে গেলে ব্যাকআপ ফাইল থেকে রিস্টোর করে। এই সফটয়ারটির মাধ্যমে আপনি ৫ মিনিটের মধ্যে উইন্ডোজ সহ সকল সফটওয়ার ও ড্রাইভার সেটআপ দিতে পারবেন। বিস্তারিত দেখুন এই টিউনে।
টিউনটি করেছেন আরেক সারা জাগানো টিউনার সাইফুর রহমান ভাই। কম্পিটারের ড্রাইভার অত্যান্ত মুল্যবান সফটওয়্যার। কোন ভাবে এর ব্যাকআপ নস্ট হয়ে গেলে বেশ বিপদে পড়তে হয়। অনেকটা বদনা ছাড়া টয়লেটে যাওয়ার মত। যে এই সিচুয়েশনে পরেছে সেই বুঝেছে। এখন অবশ্য সেভেন আছে। বাট সবার তো এটি ইউজ করার কনফিগারেশন নাই। বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
অত্যান্ত প্রয়োজনীয় একটি টিউন। বাংলাদেশে নকিয়ার ইউজ বেশি। মাল্টিমিডিয়া সেট গুলোর সফটওয়্যার নস্ট হয়ে গেলে বুঝা যায় ঠেলা। তখন সেট ফ্লাশিং করতে হয়। নকিয়া কেয়ারে গেলে ৩০০টাকা গচ্চা। আর একবার ফ্ল্যাশ করালে কেন জানি কিছুদিন পরপর আবার ফ্লাশের দরকার হয়। অনেক টাকার কারবার। তাই আপনাদের এই অযাথা টাকা বাঁচাতে নবীন টিউনার এ এম আরাফাত হায়দার করেছেন একটি অসাধারন টিউন। বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
বছরের সাড়া জাগানো প্রযুক্তি গুলির মাঝে নোকিয়া N8 অন্যতম। এক কথায় একটা সুপার ফোন। ১২মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ডলবি ডিজিটাল প্লাস হাই কোয়ালিটি সাউন্ড সিস্টেম সহ অসংখ্য অত্যাধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ এই ফোন। বাংলাদেশে এখন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩৭,৫০০ টাকায়। এর উপর বিস্তারিত টিউন করেছেন টপ টিউনার হাবিবুর ফিরোজ। দেখতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।
আমার দেখা আরো একটি সেরা টিউন। এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে অফলাইনে পরা যাবে টেকটিউনস সহ যে কোন যে কোন ব্লগ। টিউনটি করেছেন জনপ্রিয় টিউনার পুদিনা পাতা ভাই। বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
যে কারোরই মোবাইল হারালে মোবাইল হারানোর কষ্টের সাথে সাথে আরও কষ্ট যোগ হয় যখন মনে পড়ে এতগুলো কনটাক্ট নাম্বার প্রিয়মানুষের রোমান্টিক রোমান্টিক মেসেজ সব হারিয়ে গেছে । কিন্ত অনেকেই জানেনা মাত্ত দুই মিনিটের মাঝেই আপনার মোবাইলের কনটাক্ট নাম্বার মেসেজ ক্যালেন্ডার এন্টি সবগুলোই পিসিতে ব্যাকআপ অথবা অনলাইনে ব্যাকআপ রাখা যায় এবং ইচ্ছামত যেকোন সময় এগুলো রিষ্টোর করে নিয়ে আসা যায়। এ নিয়ে বিস্তারিত টিউন করেছেন আমাদের সবার প্রিয় মামুন ভাই। দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
আমাদের নিজ বাড়ির আশেপাশে বা পথে চলার সময় এমন কি কর্ম ক্ষেত্রে হঠাৎ করেই নানা দুর্ঘটনা ঘটে । এই দুর্ঘটনা কবলিত মানুষদের পাশে দাড়ানো বা এগিয়ে যাওয়া একজন সুনাগরিক এর কর্তব্য । তবে এই কাজ করার জন্য থাকে হবে আন্তরিকতা এবং ফার্স্ট এইড বা প্রাথমিক চিকিৎসা ধারনা । ডাক্তার আসার আগে আহত কোন ব্যক্তিকে আরোগ্যের পথ সুগম করা ও যাতে অবস্থার অবনতি না ঘটে তার ব্যবস্থা করাকে ফার্স্ট এইড বা প্রাথমিক চিকিৎসা বলে। এই নিয়ে বিস্তারিত টিউন করেছেন টপ টিউনার ফাহিম রেজা বাঁধন। বিস্তারিত এখানে।
মহাকাশের বাংলো ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন’। যেখানে থাকে নভোচারীরা। যেখানে একটা নিদির্ষ্ট নিয়ম মাফিক প্রতিটি দিন পার করে তারা।আমরা কতটাই বা জানি তাদের এই জীবনযাত্রা।তাদের সেই অজানা জীবনযাত্রার কাহিনী তুলে ধরেছেন জনপ্রিয় টিউনার সজীব রহমান , এই টিউনে।
অনেকে এখন সেভেন ইউজ করলেও, বর্তমানে এক্সপি ইউজারের সংখ্যাই বেশি। এই এক্সপির স্পীড বাড়ানোর কিছু প্রয়োজনীয় টিপস আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আরেক টপ টিউনার শোয়েব ভাই। বিস্তারিত দেখুন এখানে।
আমার দেখা বছরের অন্যতম সেরা টিউন এটি। ভবিষ্যতের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে টিউনে বর্ননা করা হয়েছে বিস্তারিত লিখেছেন আরেক ক্লাসিক টিউনার ফাহিম আহমেদ। টিউনটি বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
রাইট ভাতৃদ্বয় পৃথিবীবাসীর স্বপ্নকে যে ডানায় ভাসিয়েছিলেন, সেই স্বপ্ন ডানাকে যুগে যুগে রঙিন করে গেছে হাজারো প্রকৌশলী এবং বিজ্ঞানীরা। কখনও রণক্ষেত্রে কখনও বা জীবন রক্ষায় আবর কখনও কখনও বিলাসীতায়। উড়োজাহাজ প্রযুক্তির আরেকটি ধাপ উত্তরন হল। সোলার এ্যানার্জির মাধ্যমে এখন থেকে চলবে উড়োজাহাজ। টিউনটি যিনি করেছেন তার নামের আগে কোন বিশেষন দেওয়া নিষ্প্রয়োজন। তিনি আমাদের সবার প্রিয় টিনটিন ভাই। বিস্তারিত দেখুন এখানে।
কম্পিউটারে কাজ করার সময় প্রায়ই আমাদের অজানা অনেক ইংরেজী শব্দের মুখোমুখি হতে হয়। সেসব ক্ষেত্রে ডিকশনারী খুলে অর্থ বের করা যেমন কষ্টকর তেমনি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এবং এতে কাজের গতিও কমে যায় অনেকাংশে। হ্যাঁ এমন একটি ইংলিশ-টু-বেঙ্গলি ডিকশনারীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন নবীন টিউনার হিরন ভাই, যেটি আপনার সময় এবং পরিশ্রম দুই-ই বাচিয়ে দিবে। টিউনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
উইন্ডোজ এর প্রয়োজনীয় সব সফটওয়্যার একত্র করে অত্যান্ত দরকারী একটি টিউন করেছেন আরেক জনপ্রিয় টিউনার স্বপ্না আপু। তার বানানো সিডিতে নিত্য প্রয়োজনীয় সব সফটওয়্যার বিদ্যমান। এখানে বিস্তারিত কিছু বলার নাই। বিস্তারিত জানতে দেখুন অসাধারন এই টিউন টি।
আমরা প্রায় সকলেই Hollywood & Bollywood movie দেখতে পছন্দ করি। কিন্তু ডাউনলোড করতে গেলেই দেখা যায় নানা ধরনের সমস্যা। বহুল জনপ্রিয় একটি ডাউনলোড সিস্টেম “টরেন্ট” এর কথাই বলি না, একটি মুভি ডাউনলোড করতে ১-২ দিন সময় লেগে যায়, তাও অনেক কম স্পীডে। আবার বিভিন্ন ব্লগ সাইটের দিকে গেলে পাবেন RAR ফাইল, তা extract করতে গেলে লাগবে পাসওয়ার্ড, resume support ও নেই, limited download ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্যা। এই সমস্যা থেকে আপনাদের উদ্ধার করতে আরেক নবীন টিউনার সুজন ভাই করেছেন আরেকটি সুপার টিউন। বিস্তারিত এখানে দেখুন।
রেড ইন্ডিয়ান বলে আমরা যাদের চিনি তাদের নেটিভ আমেরিকান বলাই শ্রেয়। ইওরোপিয়দের দখলদারির পূর্বে নেটিভ আমেরিকানদের ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠী উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা জুড়ে বসবাস করত। তাদের বেশিরভাগ জাতিগোষ্ঠী এখন প্রায় বিলুপ্ত এবং ইতিহাসের আড়ালে চলে গেলেও দুটি শক্তিশালী ও মেধাবী জাতি তাদের শৌর্য বীর্যের কথা আজও আমাদের মনে করিয়ে দেয়। তারা হল প্রাচীন ইনকা ও মায়া সভ্যতার রূপকার। ইনকাদের সম্পর্কে ছোটবেলা থেকেই খুব আগ্রহ ছিল। তাই এটি সম্পর্কে কিছুদিন আগে বিস্তারিত টিউন করি। বলতে পারেন টেকটিউন্সে আমি যতগুলো টিউন করেছি, এই টিউনটি করে আমি সবচেয়ে আনন্দ পেয়েছি। কেউ ইন্টারেস্টেড থাকলে বিস্তারিত দেখতে পারেন এখানে। ভবিষ্যতে মায়াদের নিয়ে টিউন করার ইচ্ছা আছে।
গেলো সেরা টিউনের প্রসঙ্গ। এবার আসবো আমার দৃষ্টিতে দেখা বছরের আলোচিত সেরা পাঁচটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায়।
বছরের যে ঘটনাটি আমাকে সহ সবাইকে নাড়া দিয়েছে সেটি হল অভ্রের উপর মোস্তফা কাগুর নগ্ন হামলা। এখানে অশ্লীল শব্দ টি উচ্চারন করে বাধ্য হচ্ছি কারন এর জবাব দেবার জন্য এর চেয়ে ভালো বাংলা ভাষা আমার জানা নাই। অভ্র ফোনেটিক আমাদের সবাই কে একটি স্বপ্ন দেখিয়েছে, স্বাধীন ভাবে বাংলা লেখার স্বপ্ন। এই অভ্রের জন্যই আমি বাংলায় এই টিউন করতে পারছি। ব্যবসায়ীক ধান্দার কারনে মোস্তফা কাগুর অভ্রের এই তুমুল জনপ্রিয়তা ভালো লাগছিলো না। তাই প্রতিনিয়ত সে অভ্রের পেছনে কুত্তার মত লেগেছিল। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে টেকটিউনস সহ বিভিন্ন ব্লগ সাইট গুলোতে। তাকে উচিত জবাব দিয়েছে বাংলার তরুন প্রজন্ম। এবং আমার ব্যক্তিগত ধারনা মোস্তফা কাগু যদি এক বাবার ছেলে হয়ে থাকে তবে নেক্সট টাইম এরকম না জেনে কারো পিছনে লাগবে না। এ নিয়ে টেকটিউন্সে হাই ভোল্টেজ সব টিউন হয়েছিল। কেউ যদি মিস করে থাকেন, তবে দেখতে পারেন নিচের টিউন গুলো।
পাটের জন্ম রহস্য, জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার করেছে বাংলাদেশ৷ এর ফলে বাংলাদেশ উন্নত মানের পাট চাষ এবং বীজ উদ্ভাবন করতে সক্ষম হবে৷ উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে মালয়েশিয়ার পর বাংলাদেশই দ্বিতীয় দেশ, যারা এই অসাধ্য সাধন করতে পেরেছে৷ বিজ্ঞানী ডক্টর মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ো কেমিস্ট্রি এবং বায়ো টেকনোলজির একদল তরুণ গবেষক আবিষ্কার করেছেন পাটের এই জিনোম সিকোয়েন্স৷ এই নিয়ে বিস্তারিত দেখুন জাকির ভাই এর এই টিউনে এবং তুসিন ভাই এর এই টিউনে।
বছরের শেষ ভাগে এসে ঘটলো আরেক চমকপ্রদ ঘটনা। একের পর এক যেন হাইড্রোজেন বোমা ফাটিয়ে চলছে WikiLeaks । যুক্তরাষ্ট্রের কড়া রক্ষা কবচকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রকাশ করে চলেছে গোপনীয় সব নথিপত্র । এইবার কুটনীতিক বিষয় নিয়ে প্রকাশ হওয়া নথিগুলো নড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বকে । ফলে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আক্রমন চলছে Wikileaks এর বিরুদ্ধে । সেই সবের সারমর্ম নিয়ে ফাটানো টিউন করেছেন ব্লগাদেশ টিম। দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
সারা বিশ্বেই এখন যে নামটি সবচেয়ে বেশী উঠেএসেছে তা হলো জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ও উইকিলিক্স । এবং এর যথাযুক্ত কারণও আছে, কেনোনা তার যুক্তরাস্ট্র সহ বেশ দেশের গোপন নথী পত্র ফাস করেছে তারা ।যার সংক্ষা এ পর্যন্ত প্রায় ২৫০০০০হাজার এর কাছাকাছি । যা বিভিন্ন দেশকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে । যাই হোক এগুলো সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত । কিন্তু এই বিষয়টিকি কখনো লক্ষ করেছেন যে যে তথ্যগুলো উইকিলিক্স ফাস করছে সেগুলো রাখা আছে কোথায় ? জাইগাটা দেখতেইবা কেমন ? এ নিয়ে বিস্তারিত টিউন করেছেন নবীন টিউনার এহসান ভাই। বিস্তারিত এখানে।
এরা বন্ধ করে ফেসবুকঃ প্রথমটা ডিগ্রী (পাছ) পাশ মন্ত্রী, দ্বিতীয়টা বিটিআরসি চেয়ারম্যান, ইনসেটে সচিব। বাংলাদেশ নিষিদ্ধ দেশ। এদেশটা মঘের মুল্লুক, তবে তা জনগনের জন্য না। এদেশের সরকারগুলো সবসময়ই মঘের মুল্লুকের ন্যায় কাজ করে। মূলত বাংলাদেশে কখনও গনতন্ত্র ছিল না, নেই ও ভবিষ্যতেও থাকার সম্ভাবনা নেই। এদেশে যেটা আছে এবং চলছে সেটা হলো ইজারাতন্ত্র। কয়দিন পর পর পাঁচ বছরের জন্য খালেদা হাসিনা বা জোর করে সেনাবাহিনী ইজারা নেয় আর দরজা জানালা বন্ধ করে স্বাধীন ভাবে খায়। এবার আসা যাক বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে দেশের পনের কোটি জনগনকে কতটা হাইকোর্ট দেখাচ্ছে ? মাত্র ১০ কেবির নেটগতির বাংলাদেশে এরা যা দেখাইছে এরা যদি সত্যি ডিজিটাল বাংলাদেশে যেতে পারে তবে এরা কি করবে তা ভাবতে গেলে হাসতে হাসতে পেটে খিল লেগে যাওয়ার অবস্থা হয়। একটা কথা বলি এই টোটাল ব্যাচটাকে যদি ১জিবি নেটের গতির দেশ জাপানে নিয়ে বসিয়ে দেয়া যায় সেখানে এরা সাত দিনে সব বন্ধ করে দেশটাকে নরক বানিয়ে দেবে। এরা পারলে সারা দুনিয়াটাই বন্ধ করে দিত। সেসময়কার কিছু টিউন দেখুন নিচে,
যে ভিডিওটির কারনে বন্ধ হয়েছিল ফেসবুক, সেটি আমার সংগ্রহে আছে। চাইলে ডাউনলোড করতে পারেন নিচের লিঙ্ক থেকে।
বছরের শেষ দিনে ঘটলো আরেকটি অঘটন। টেকটিউনসের হোস্টিং হ্যাক হল। আমরা সবাই পরলাম মহাবিপদে। কি জানি কি হয়! কিন্তু সব আশঙ্কা দূর করে টেকটিউনস ফিরে এল তার নিজের মতই, তার নিজের স্টাইলে।
২০১০ বছরটিতে মাঝামাঝি সময় টেকটিউনস বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। তখন আমাদের বেশকিছুদিন দুর্ভোগে পড়তে হয়। টেকটিউনস ছাড়া সময়ই যেন কাটতে চায়না। টিউন করা তো দূরে থাক ভিজিট করতেও কিছুদিন পরতে হয়েছিল চরম বিপত্তিতে। ওই সময়ের কথা মনে পরলে এখনো শরীর শিহরিত হয়। সে সময়ের কথা হয় তো আর কেউ মনে করতে চায়না। তবুও যেন পুরানো স্বৃতির কথা মনে করিয়ে দেয় হাসান যোবায়ের এর এই টিউনটি।
এই বছর যেমন আমরা কিছু সেরা টিউনার পেয়েছি ঠিক তেমনি সেরা কিছু টিউনার হারিয়েছি। টপটিউনাররা বেশিরভাগ সময় ছিল নিরব এবং এটা আমার ব্যক্তিগত ক্ষোভ। কালভাদ্রে তাদের টিউনের দেখা মিলেছে। মাঝখানে টিটির হাল খুব খারাপ ছিল, ভালো টিউন তেমন দেখা যেত না। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। নতুন নতুন সব টিউনারের সাথে বেড়েছে ভিজিটরের সংখ্যা। প্রতিনিয়ত হচ্ছে সব হাই কোয়ালিটি টিউন। টেকটিউনস ফিরে পেয়েছে তার হারানো গৌরব, যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন সব ফিচার।
এখন বছরের টিউনারদের নিয়ে কিছু বলতে চাই, এখানেও আমি কনফিউশন ফিল করছি। কারন ২০১০ এ আমরা অনেক নতুন কোয়ালিটি টিউনার পেয়েছি, আরো পেয়েছি পুরানো টিউনারের কোয়ালিটি টিউন। এখানেও সময় এবং স্থানের সংকুলানের কারনে কাকে ছেড়ে কার কথা লিখবো তা ভেবে পাচ্ছি না , তাই ভালো কারো নাম যদি না আসে প্লীজ কেউ মাইন্ড করবেন না।
প্রথমেই আসি প্রবাসী ভাই এর কথায়, আমার প্রিয় টিউনার। আমি তার একটা নাম দিয়েছি , আশা করি তিনি পছন্দ করবেন, "সফটওয়্যার এর জাহাজ"। তার কল্যানে আমাদের কাছে ২০১০ সালটি ছিল সফটওয়্যারময়। আমি জানি তিনি প্রবাসে থেকেও আমাদের জন্য কত সময় ব্যয় এবং কস্ট করেন। তার জাহাজ থেকে, আমাদের কতজনের কত প্রয়োজন যে মিটেছে তা আনকাউন্টেওবল। যদি তিনি দেশে থাকতেন তবে একদিন আমি সময় করে ১টেরা হার্ডডিস্ক তার বাসায় হানা দিতাম এবং তার সকল সফটওয়্যার ছিনতাই করে নিয়ে আসতাম। আমি সিরিয়াস।
এরপর হাসান যোবায়ের। অসম্ভব ভাল এবং কোয়ালিটি টিউনার। আমার আরেক প্রিয় টিউনার এবং ব্যক্তিগত জীবনে আমরা খুব ভালো বন্ধু। প্রায় প্রতিদিনই আমাদের ফোনে কথা হয় অথবা চ্যাটে। অন্যান্য বছরের মত ২০১০ সালেও তিনি হিট। ওর কল্যানে আমি প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে যাচ্ছি। আপনাদের একটা গোপন খবর দেই। হাসানের বাসা যাত্রাবাড়িতে এবং ওদের একটি পরিবহন সেবা আছে। নাম "আল-ফাতাহ" পরিবহন। আমি একদিন ওই পরিবহনের বাসে উঠে কৌতুহল বশত, কন্টাক্টারকে হাসানের নাম বলতেই আমার কাছ থেকে ভাড়া নিলনা। জিজ্ঞেস করলে বলল, "আপনি বসের বন্ধু, আগে বলবেন না"। তাই যদি কেউ ওদের পরিবহনে ঊঠে মাগ্না যেতে চান, খালি ওর নাম বলবেন, ভাড়া লাগবে না। হাসান কিন্তু এই ব্যাপারটা বরাররই অস্বীকার করে আসছে। কারন নিজের ব্যবসার লস কে চায় বলুন?
এরপরই আসি বাঁধন ভাই এর কথায়। অসম্ভব ভাল একজন টিউনার। তার ব্লগের টিউটোরিয়াল গুলোকে শুধু অসাধারন বললে ভুল হবে। ২০১০ এ তার কাছ থেকে পেয়েছি অনেক গুলো কোয়ালিটি টিউন।
নাবিল আমিন ভাই, টেকটিউনসের আরেক লিজেন্ড। তার সম্পর্কে নতুন বিশেষ কিছু বলার নাই। পুরান গুলো বলতে গেলে একটা গোটা টিউন করা যায়।
বছরের অন্যতম ট্র্যাজিক ঘটনা মাইক্রোহ্যাকার আলমাসের টিটি থাকে সাময়িক বিদায়। আমার দেখা আরেকটি ক্লাসিক+কোয়ালিটি+ব্রিলিয়ান্ট টিউনার হচ্ছে আলমাস। হ্যাকিং এর উপর ওর টিউন গুলো অসাধারন। হ্যাকিং সম্পর্কে আমি অনেক কিছু শিখেছি অর কাছ থেকে। ও চলে যাবার পর হ্যাকিং বিভাগটা ঝিম মেরে গেল। ওর সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক এবং মাঝে মাঝে ফোনে কথা হয়। সামনে ওর এস.এস.সি। এরপর ও ফিরবে বাংলার প্রথম হ্যাকিং বুক .EXE নিয়ে। আমরা সবাই ওর ফেরার প্রতিক্ষায় রইলাম।
একটু আগেই বলেছি মাঝখানে টিটির অবস্থা ছিল খুব করুন। তখন শুকনো মরুর মাঝে এক পশলা বৃষ্টির মত হয়ে আসে আমাদের জনপ্রিয় টিউনার পুদিনা পাতা ভাই। তার আসল নাম, ঠিকানা পরিচয় জানা যায় নাই। এই এক নামেই সবাই তাকে চিনে। বাংলা বানানে তিনি একটু দুর্বল। এই দুর্বলতা টুকু সবসময় তার অসাধারন টিউনের আড়ালে চলে যায়। আমরা সবাই টেকটিউনসে তার দীর্ঘায়ু কামনা করি।
বছরের আরেক সেরা টিউনার, নির্বাচিত টিউনার ফাহিম আহমেদ ভাই। অল্প কিছু টিউন করেছেন বাট তার টিউন গুলোর সমালোচনা করার সাহস বা যোগ্যতা কোনটাই আমার নাই। অসম্ভব ভালো একজন টিউনার, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি টেকটিউনসে অনুপস্থিত। আশা করি শীঘ্রই তিনি ফুল ফর্মে টেকটিউনসে ফিরবেন।
ইদানিং আমাদের সিমবিয়ান মোবাইলের সফটওয়্যার নিয়ে চিন্তা করতে হয় না আশা করি ভবিষ্যতেও করতে হবে না। কারন হচ্ছে সাইফুল ইসলাম। ওর মোবাইল বিষয়ক টিউন গুলো টিউন গুলো এক কথায় অসাধারন। আমরা সবাই আশা করি নিয়মিত ওর কাছ থাকে ভালো ভালো সব টিউন পাবো। কি সাইফুল, পাবোনা?
একজন টিউনার সম্পর্কে আমি কোন মন্তব্য করবো না কারন মন্তব্য নিস্প্রয়োজন। তিনি হচ্ছে আমাদের সজীব রহমান ভাই, কেউ যদি আগ্রহী থাকেন তবে তার হাই প্রোফাইলটি দেখতে পারেন। আমাকে ভালো ভালো টিউন করার ব্যপারে যারা যারা উৎসাহ দিয়ে থাকেন তিনি তাদের মধ্যে একজন। আর আমি তার টিউনের একজন ফ্যান। আশা করি সামনের দিন গুলোতে আরো ফাটাফাটি সব টিউন আমরা তার কাছ থেকে পাবো।
টেকটিউনস ২০১০ এর আরেক হিট টিউনার স্বপ্না আপু। কিছুদিন যাবৎ তিনিও অনুপস্থিত। খুব ভালো ভালো কিছু টিউন তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন। আমরা সবাই আসা করি যে তিনি খুব তাড়াতাড়ি ফাটানো টিউন নিয়ে আমাদের সবার প্রিয় টেকটিউনসে ফিরবেন।
আরেক জনপ্রিয় টপ টিউনার রনি পারভেজ ভাই। ২০১০ সালেও তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন কিছু জনপ্রিয় টিউন। বরাবরের মত আশা একটাই, ২০১১ সালেও রনি ভাইএর ধারাবাহিকতা থাকবে অব্যহত।
আরেক জন অন্যতম কোয়ালিটি টিউনার জাকির ভাই, ২০১০সালেই তার টেকটিউনসে আগমন। একের পর এক তিনি আমাদের উপহার দিয়ে গিয়েছেন চমৎকার সব মিক্সিং হিট টিউন। ২০১১ সালেও তাকে আমরা, আমাদের পাশে চাই।
এবার আমি একজন বিশেষ মানুষের কথা বলবো, যিনি প্রবাসে থেকেও টেকটিউনসের জন্মলগ্ন থেকে টেকটিউনসের পাশে আছে প্রতিনিয়ত। সেই থেকে প্রতিদিন প্রায় প্রতিটি টিউনের টিউনারদের অবিরাম উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। হ্যাঁ, আমি আতাউর ভাইয়ের কথা বলছি, আমার জীবনে দেখা অন্যতম সেরা ব্যক্তিত্ব। আমার প্রত্যেকটি টিউনে তার উৎসাহ পেয়েছি আশা করি এই টিউনেও পাবো। সবসময় উৎসাহ দিলেও তিনি যে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ যুক্তিসঙ্গত উপায়ে অত্যান্ত দৃঢ় ভাবে করেন। আমার কাছে তার এই জিনিশটি অত্যান্ত ভালো লাগে যে তিনি পারতপক্ষে কোন টিউনের নেগেটিভ সমালোচনা করেন না, সব সময় পজেটিভ কমেন্টসের মাধ্যমে টিউনের ভুল গুলো সবাইকে ধরিয়ে দেন। একজন টিউনারের পক্ষে যে এটা কত হেল্প ফুল তা একটা টিউনারই বলতে পারবে, কথাটি একজন টিউনার হিসাবে বলছি। কোন সমস্যার সমাধান ও তিনি দ্রুত এবং কার্যকরি উপায়ে করতে পারেন। আপনারারা প্রায় সবাই তার সম্পর্কে মোটামোটি জানেন তাই আর বেশি কিছু বলতে চাই না। বিস্তারিত জানতে দেখুন এখানে। নতুন বছরে আমরা সবাই তার সু-সাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি।
ইদানিং অনেক ভাল ভাল সব কোয়ালিটি টিউনার এবং ভিজিটর টেকটিউনসে আসছে। সবার নাম হয়ত একসাথে বলা সম্ভব না। কিন্তু সবার জন্য একসাথে শুভ কামনা করা অবশ্যই সম্ভভ। আমাদের টেকটিউনস একটা পরিবার। তাই সবাইকে টেকটিউনস পরিবারের পক্ষ হতে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন এবং নতুন বছরের শুভেচ্ছা, আশা করি প্রিয়জন এবং টেকটিউনসের আনন্দে কাটবে নতুন বছর।
আমি শুভ্র আকাশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 72 টি টিউন ও 1922 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
অসাধারণ একটা টিউন। তবে টিউনার আকাশ এই টিউনটা অনেক আগেই খসড়া করে রেখেছিলেন। থার্টিফাস্ট নাইটে প্রকাশ করবে বলে। গ্রেইট টিউন। ৫X২ স্টার। ও আচ্ছা সবাইকে শুভনববর্ষ 🙂
জটিল পোস্ট……………………
অনেক ধন্যবাদ আকাশ ভাই……………..