আসসালামু আলাইকুম। টেকটিউনস ওয়েবসাইটের নতুন আরো একটি টিউনে আপনাকে স্বাগতম। আমি স্বপন আছি আপনাদের সাথে, আশাকরি সকলেই অনেক অনেক ভালো আছেন। স্বাগতম সবাইকে জিমেইল মার্কেটিং এর সেরা ৫ টি উপায় নিয়ে নতুন আরো একটি টিউনে। বন্ধুরা বর্তমান সময়ে অনলাইন মার্কেটিং নিয়ে আমরা কমবেশি সকলেই অনেক বেশি আগ্রহ প্রকাশ করি। অনেকে আবার ইতিমধ্যে অনলাইন মার্কেটিং শুরু করে দিয়েছে। তবে অনলাইন মার্কেটিং সেকশনে আমরা যারা নতুন আছি তারা অনেক সময় বুঝতে পারি না আমাদের অনলাইন মার্কেটিং বিজনেসকে কীভাবে দাঁড় করাবো। আজকের পোস্টটি তাদের জন্য একটি শিক্ষণীয় টিউন হতে চলেছে। আজকের টিউনে আমি আপনাদের সাথে জিমেইল মার্কেটিং এর সেরা ৫টি উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। আশাকরি আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে বিরক্তের টিউন হবে না। আশাকরি আজকের জিমেইল মার্কেটিং এর উপায়গুলো থেকে নতুন অনেক কিছুই জানতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে অনলাইন মার্কেটিং এর বেশ কার্যকারী একটি উপায় হল জিমেইল মার্কেটিং। মার্কেটিং সেকশনে যারা নতুন আছেন তারা জিমেইল মার্কেটিং বিষয়ে তেমন কোন প্রাধান্য দেন না। তবে আমি মনে করি যারা নতুন ডিজিটাল মার্কেটিং করতেছেন তাদের অবশ্যই জিমেইল মার্কেটিং কেউ প্রাধান্য দেওয়া উচিত। কারণ জিমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমেও আপনি প্রতিদিন হিউজ পরিমাণ কাস্টমার পেয়ে যেতে পারেন। আর যারা অনেক আগে থেকেই জিমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে নিজেদের বিজনেস কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা সকলেই জানেন জিমেইল মার্কেটিং একটি অনলাইন বিজনেস দাঁড় করানোর জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই তারা কখনোই জিমেইল মার্কেটিং কে নিজেদের বিজনেস মার্কেটিং এর তালিকা থেকে বাদ দিবে না। তো চলুন আর বেশি কথা না বলে জিমেইল মার্কেটিং কী? এ নিয়ে আজকের পোস্টটি শুরু করা যাক।
অনলাইনের মাধ্যমে জিমেইল দ্বারা মার্কেটিং করার প্রক্রিয়াকেই জিমেইল মার্কেটিং বলা হয়। আচ্ছা তো বিষয়টি আরেকটু ক্লিয়ার করে বলা যাক। আপনার যারা অনলাইনে বিজনেস করতে যাচ্ছেন আশাকরি তাদের সবার একটি করে জিমেইল আছে। জিমেইল কি সেটাও আশাকরি আপনারা সকলেই জানেন! তাই এ বিষয়ে আর কথা বলবো না। তো এবার আপনি আপনার জিমেইলে আসা মেইলগুলোর দিকে খেয়াল করলে দেখবেন অনেক সময় অনেক প্রোডাক্ট অথবা পণ্য মেইল এর মাধ্যমে আপনার জিমেইলে আসছে। আপনি যদি সেই প্রোডাক্টটি দেখতে চান আর দেখার পর যদি সেটা কিনতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি সেই লিংকে চলে যাবেন আর তাদের পণ্যটি অর্ডার করবেন। এখানে তাদের ইমেইলের মাধ্যমে একটি প্রোডাক্ট বিক্রি সম্পন্ন হল। মূলত এই প্রক্রিয়াকেই বলা হয় ইমেইলের মাধ্যমে বিজনেস প্রক্রিয়া।
ই-মেইল মার্কেটে নিয়ে আরো সহজ ভাবে বলতে চাইলে। ধরুন আপনার একটি অনলাইনে বিজনেস আছে। এবার আপনি আপনার এলাকার ৫০ জন মানুষের জিমেইল অ্যাড্রেস জানেন। আর আপনি কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পারছেন যে আপনার এলাকা সেই মানুষগুলো আসলে কোন কোন পণ্য কিনতে ইচ্ছুক অথবা আগ্রহী। তো আপনার সেই ধারণার উপর ভিত্তি করে সেই পণ্যের কিছু ডিসকাউন্ট বা স্বল্প মূল্যের তুলনামূলক ভালো প্রোডাক্ট এর লিংকগুলো তাদেরকে ইমেইলের মাধ্যমে জিমেইল করতে থাকুন। এতে তাদের দ্বারা আপনার সেই পণ্যটি কেনার চান্স অনেকাংশেই বেড়ে যাবে। এতে আস্তে আস্তে আপনার ব্যবসার প্রসারণ ঘটবে।
তবে এই ই-মেইল মার্কেটিংকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়:
ট্রানজেকশনাল ই-মেইল মার্কেটিং এর মূলধারা হলো পুরোনো কাস্টমারদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা। অনলাইনের মাধ্যমে আপনি যখন একটি নতুন বিজনেস গড়ে তুলবেন তখন একজন কাস্টমার পাওয়া অনেক বেশি কষ্টকর। যেখানে কাস্টমার পাওয়া অনেক বেশি কষ্টকর সেখানে একটি অর্ডার পাওয়া তো সোনায় সোহাগা। আর যে কাস্টমারগুলো আপনার থেকে ইতোমধ্যেই পণ্য কিনেছে তাদেরকে বলা হয় পুরোনো কাস্টমার। ট্রানজেকশনাল ই-মেইল মার্কেটিং এর ধারা অব্যাহত রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে আপনার পুরোনো কাস্টমারদের সাথে একটি ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।
মনে রাখবেন, অনলাইন বিজনেসের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিত্তি হলো বিশ্বাস। যারা ইতিমধ্যে আপনার থেকে কোন একটি পণ্য অর্ডার করে সেই পণ্যটি ডেলিভারি রিসিভ করেছে। তাদের সাথে যোগাযোগের সমস্ত ডকুমেন্টগুলো আপনি আলাদা একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নোট করে রাখবেন। কারণ সেই সমস্ত কাস্টমারগুলো অবশ্যই আপনাকে বিশ্বাস করে। যদি তারা আপনাকে বিশ্বাস না করতো তাহলে আপনার পণ্যটি অর্ডার করে কিনতো। তাই অন্যদের থেকে তুলনামূলক তাদের কাছেই খুব সহজেই আপনি আপনার পণ্যগুলো বিক্রি করতে পারবেন। তাই মাঝে মাঝেই সেই সমস্ত যোগাযোগের মাধ্যমগুলো দ্বারা সেই সমস্ত কাস্টমারদের আপনার পণ্যগুলো ডিসকাউন্টসহ যাবতীয় সকল আপডেট গুলো নিয়মিত জানাতে থাকবেন। এতে আস্তে আস্তে আপনার পণ্য বিক্রির পরিমাণ বাড়তে থাকবে।
ডাইরেক্ট ই-মেইল মার্কেটিং মূলত নতুন কাস্টমারদের খোঁজার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই ই-মেইল মার্কেটিং বর্তমান সময়ে বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অনলাইনে যাদের বিজনেস কিছুটা উন্নত তারা প্রায় সময় ডাইরেক্ট ই-মেইল মার্কেটিং পদ্ধতি ফলো করে থাকেন নতুন কাস্টমারদের খোঁজার জন্য। ডাইরেক্ট ই-মেইল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কোন প্রকার বাছাই প্রক্রিয়া না করেই অনেকগুলো জিমেইল অ্যাড্রেসে নির্দিষ্ট পণ্যের ডিসকাউন্ট অফার ভালো দিকগুলো নিয়ে বিস্তারিত লিখে অনির্দিষ্ট কাস্টমারদের জিমেইল করা হয়। তারপর তারা সেই জিমেইল থেকে উক্ত পণ্যটি সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ে পণ্যটি কিনতে আগ্রহী হলে তবেই তারা সেই পণ্যটি অর্ডার করে।
ডাইরেক্ট ই-মেইল মার্কেটিং অনেক বেশি সময় সাপেক্ষ। কারণ আপনি এখানে অনেকগুলো ই-মেইল নিলেও আপনার নিজের মার্কেটিং কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে পারবেন না। কারণ আপনাকে gmail অ্যাড্রেস বাছাই করতে হলে অবশ্যই অভিজ্ঞ সম্পূর্ণ হতে হবে। আপনাকে আপনার মার্কেটের ক্যাটাগরি অনুযায়ী সেই সকল ব্যক্তির জিমেইল অ্যাড্রেসটি খুঁজে বের করতে হবে। সে সকল ব্যক্তিদের সম্পর্কে হালকা পাতলা হলেও কিছু রিসার্চ প্রয়োজন। আপনাকে তাদের সম্পর্কে জানতে হবে তারা কোন পণ্য কিনতে আগ্রহী, কোন পণ্য কিনতে চায় অথবা কোন পণ্য কিনতে অনাগ্রহী। এই সমস্ত বিষয়গুলোর গড় হিসাব করে যখন আপনি নতুন কাস্টমার খোঁজার জন্য মেইলগুলো পাঠাতে থাকবেন তখনই আপনি আপনার নির্দিষ্ট কার্যক্রমে সফলতা পাবেন।
ই-মেইল মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো জিমেইল এর লিস্ট তৈরি করা। এই কাজটিকে আপনি যতটা সহজ মনে করছেন আসলে এটি ততটা সহজ নয় এটি অনেক ক্রিটিক্যাল একটি কাজ। কারণ ই-মেইল মার্কেটিং এর জন্য লিস্ট তৈরি করতে হলে আপনাকে অবশ্যই সেই সমস্ত জিমেইল অ্যাড্রেসগুলো নিয়ে রিসার্চ করতে হবে। তারপর সফল হবে আপনি একটি ভেরিফাইড ই-মেইল অ্যাড্রেস লিস্ট তৈরি করতে পারবেন। ওয়ার্কিং ই-মেইল লিস্ট তৈরি করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে নিজস্ব কোন টুলস বানিয়ে তা ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও আপনি গিটহাবে অনেক ই-মেইল মেকিং ফ্রি টুলস পেয়ে যাবেন সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও বর্তমান সময়ে ই-মেইল মার্কেটিং অনেক বেশি জনপ্রিয় হওয়ার কারণে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সহ অনেক জায়গাতেই ভেরিফাইড জিমেইল লিস্ট তৈরি করে বিক্রি করা হয়। আপনি চাইলে সেই সমস্ত জিমেইল লিস্ট গুলো কিনেও আপনার ইমেইলের মাধ্যমে মার্কেটিং বিজনেস কে চালিয়ে যেতে পারবেন। এছাড়াও আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট করার ইউজারদের জিমেইল গুলো সংগ্রহ করে একটি লিস্ট আকারে বানিয়ে নিয়ে সেগুলোও ই-মেইল মার্কেটিং এর কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে জিমেইল অ্যাড্রেস সংগ্রহের কাজগুলো করতে পারেন। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে একটু পরিশ্রম করতে হবে।
বিজনেস এর সফলতা পাওয়ার একমাত্র উপায় হল কাস্টমারকে আকর্ষিত করা। যে যত কাস্টমারকে তাদের পণ্য সম্পর্কে বেশি আকর্ষণ করতে পারবেন তাদের পণ্য তুলনামূলক তত বেশি বিক্রি হবে। হ্যাঁ আশাকরি এই বিষয়টি বুঝতে পারছেন। ঠিক এই একই উপায়ে আপনি আপনার কাস্টমারকে ইমেইলের মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট এর প্রতি আকর্ষিত করতে হবে। ই-মেইল পাঠানোর মাধ্যমে গ্রাহককে আকর্ষিত করার জন্য আপনার ই-মেইল গুলো লেখার সময় অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখতে হবে। যাতে যে কেউ আপনার লেখাগুলো পড়ার পর আপনার প্রোডাক্টটি দেখার জন্য উদ্বিগ্ন অথবা আগ্রহী হয়ে পড়েন।
এক্ষেত্রে ইমেইলে লেখা মেসেজটি আপনাকে অবশ্যই একজন এক্সপার্ট দ্বারা লিখে নিতে হবে। তবে আপনি নিজেও যদি অনেক ভালো মেসেজ লিখতে পারেন অথবা সহজেই লেখার মাধ্যমে মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারেন তাহলে আপনি নিজেই আপনার প্রোডাক্ট রিভিউ ইমেইলের মেসেজটি লিখতে পারেন। তবে মনে রাখবেন আপনার লেখাটি অবশ্যই আপনার নির্দিষ্ট পর্ণ সম্পর্কে আকর্ষণীয় লেখা মেসেজ হতে হবে। নয়তো আপনার লেখাটি আকর্ষণীয় না হলে কাস্টমার আপনার মেসেজটি পড়বে না, তা ইগনোর করবে যার ফলে আপনি ই-মেইল মার্কেটিং করে খুব বেশি সফল হবেন না। একজন গ্রাহক যাতে আপনার মেসেজটি পড়ে পণ্যটি দেখার জন্য অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে আপনাকে ঠিক সেরকম ভাবে আকর্ষণীয় করে আপনার জিমেইলের মেসেজটি লিখতে হবে।
ই-মেইল মার্কেটিং এ আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নির্দিষ্ট সময় বাছাই করা। মনে রাখবেন, একটি ইমেইলের সারাদিনে শুধুমাত্র আপনার মেসেজটি যাবে না। আপনার মত আরও অনেকেই তাদের নিজস্ব প্রোডাক্ট অথবা প্রতিষ্ঠানের মেইলগুলো করে থাকে। যার কারণে একটা ইমেইলে সারাদিনে অনেকগুলো মেসেজ আসতে পারে। তো মনে করুন সেই গ্রাহক কোথাও একটি চাকরি করেন অথবা সারাদিনে কোন একটি কাজ করেন। তাই সারাদিনে তিনি তার ফোনটি ব্যবহার করার সময় পান না যার কারণে তার ফোনে আসা ইমেইলের মাধ্যমে মেসেজগুলো সে দেখার সময় পায়না। তবে সে সকাল 8 টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চাকরি করার পর তার ফোনটি সে চালাতে পারে। হ্যাঁ, আপনাকে আপনার গ্রাহকদের এই ফ্রি থাকার সময় টাকে বেছে নিতে হবে।
একটি জিমেইলের সারাদিনের আসা অনেকগুলো মেসেজের মধ্যেই যদি আপনার মেসেজটিও থেকে থাকে তাহলে উক্ত গ্রাহক ফ্রি হওয়ার পর অনেকগুলো মেসেজের ভিড়ে সহজভাবে আপনার মেইলটি না দেখেই তা ইগনোর করবেন। আর আপনি যদি তার ফ্রি হওয়ার পর নির্দিষ্ট একটি সময়ে শুধুমাত্র আপনার মেইলটি পান তাহলে অনেক আগ্রহের সাথে আপনার মেইলটি ওপেন করে দেখবেন। আর এতে সে আপনার মেসেজটি পড়ে আপনার পণ্যের প্রতি আগ্রহী হলে তবে কিছুটা সময় নিয়ে আপনার পণ্যটি দেখবেন। যদি উক্ত গ্রাহক আপনার পণ্যটি দেখে আর না কেনে তারপরও আপনি আপনার ই-মেইল মার্কেটিং বিজনেস প্রক্রিয়ায় কিছুটা সফল। হ্যাঁ আর এভাবেই সফলতা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই আপনার গ্রাহকদের জন্য নির্দিষ্ট একটি সময় বাছাই করতে হবে।
আজকের এই পোস্টটি যারা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পড়লেন আশাকরি তারা এবার ই-মেইল মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিত নতুন অনেক কিছুই জানতে পারলাম। সেই সাথে কীভাবে ই-মেইল মার্কেটিং করতে হয় এ বিষয়গুলো নিয়েও অনেক সুন্দর ভাবে ধারণা পেলেন। আজকের পোস্টটি পড়ার পর অনেকে হয়ত বলবেন পোস্টটিতে কিছু ই-মেইল মার্কেটিং টুলস শেয়ার করলে অনেক ভালো হতো। হ্যাঁ চিন্তার কোন কারণ নাই তাদের জন্য আজকের টিউনে আমি জনপ্রিয় কিছু ফ্রি ই-মেইল মার্কেটিং টুলস শেয়ার করব। আজকের পোস্টটিতে শেয়ার করা ই-মেইল মার্কেটিং টুলস গুলো বেশিরভাগ ফিচার আপনি ফ্রিতেই ব্যবহার করতে পারবেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে অনেক উন্নত টুলসগুলো আপনাকে টাকা দিয়ে কিনে ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে। জনপ্রিয় কিছু ফ্রি ই-মেইল মার্কেটিং টুলস হলোঃ
উপরে আলোচনা করা এই টুলস গুলো দ্বারা খুব সহজেই আপনি আপনার অনলাইন বিজনেসের জন্য ই-মেইল মার্কেটিং করতে পারবেন। এই টুলস গুলো বেশিরভাগই ফিচার আপনি একদম ফ্রিতেই ব্যবহার করতে পারবেন। তবে অনেক সময় অনেক উন্নত ফিচারগুলো ব্যবহার করার জন্য আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হতে পারে। তবে আমি মনে করি এই টুলস গুলো যেটুকু ফ্রি সার্ভিস প্রদান করে থাকে তা দিয়েই আপনি আপনার ই-মেইল মার্কেটিং এর কাজগুলো খুব সুন্দর আর সহজ ভাবে করে দিতে পারবেন।
বন্ধুরা এবার আমরা আসি আপনাদের সহজ প্রশ্নের উত্তরে! আজকের পোস্টটি যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লেন তাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে যে, ই-মেইল মার্কেটিং করে লাভ কী? কেন আমাদের ই-মেইল মার্কেটিং করা উচিত? হ্যাঁ, এটা স্বাভাবিক! আপনি আমার আজকের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এত কষ্ট করে পড়লেন, আপনার মূল্যবান এত সময় নষ্ট করে পড়লেন, আর ই-মেইল মার্কেটিং করে লাভ কি এ বিষয়ে জানলেন না, তা তো হতেই পারে না। তো চলুন এবার আপনাদের সাথে আলোচনা করা যাক ই-মেইল মার্কেটিং করে আসলে লাভ কীঃ
ই-মেইল মার্কেটিং এর বিষয়ে মতামত পর্যালোচনায় আমি আপনাদের বলব যারা অনলাইনে নতুন বিজনেস করতেছেন তাদের অবশ্যই ই-মেইল মার্কেটিং কে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। ই-মেইল মার্কেটিং কী? কীভাবে করতে হয়? এ বিষয়ে খুব সামান্য পরিমাণ ধারণা নিয়ে ই-মেইল মার্কেটিংয়ের কাজগুলো সহজ ভাবেই করতে পারবেন। এত সহজেই যেমন সফলতা অর্জন করতে পারবেন তেমনি বিক্রির পরিমাণ অনেক বেশি হবে। ই-মেইল মার্কেটিং শুরু করার সাথে সাথে হয়ত বা সফলতা পাবেন না। তবে নিয়মিত করতে থাকলে সফলতা নিশ্চিত। এবার মার্কেটিং করার আগে জিমেইল অ্যাড্রেস গুলো দিয়ে ভালো করে সার্চ করে দেবেন। কাজের জন্য অবশ্যই অ্যাক্টিভ জিমেইল অ্যাড্রেস গুলো বাছাই করবেন। এছাড়াও আজকের টিউন নিয়ে আপনার কোন মন্তব্য থাকলে তা অবশ্যই টিউমেন্ট করে জানাবেন। আপনার করা মন্তব্য গঠনমূলক হলে তা অবশ্যই আমি আমার টিউনে যুক্ত করে নিব।
তো বন্ধুরা, এই ছিল আমাদের আজকের টিউন, জিমেইল মার্কেটিং এর সেরা ৫ টি উপায়! আশাকরি টিউন টি আপনাদের একটু হলেও হেল্পফুল হবে। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি, দেখা হবে পরবর্তী টিউনে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ অবধি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং টেকটিউনস এর সাথেই থাকবেন।
আমি স্বপন মিয়া। Sonic টিউনার, টেকটিউনস, গাইবান্ধা, রংপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 107 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
টেকনোলজি বিষয়ে জানতে শিখতে ও যেটুকু পারি তা অন্যর মাঝে তুলে ধরতে অনেক ভালো লাগে। এই ভালো লাগা থেকেই আমি নিয়মিত রাইটিং করি। আশা করি নতুন অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারবেন।