ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনে কোনো পণ্য বা সেবার মার্কেটিং করা।
বর্তমানে প্রযুক্তির যুগে ডিজিটাল পদ্ধতি যারা অবলম্বন করবে না তারা একটা না একটা সময় পিছিয়ে যাবে নিজেদের কাজে কিংবা ব্যবসার কাজে। আর প্রযুক্তির যুগে যেখানে সবাই তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে আপনি কেনো পিছিয়ে যাবেন? আপনাকে ও এগিয়ে যেতে হবে প্রযুক্তির তালে তালে। সেক্ষেত্রে আমরা যেমন কোনো দোকান / বাজার থেকে কোনো কিছু কিনতাম সেটা আমরা অনলাইনে বাসায় বসেই অর্ডার কিংবা বিক্রি করতে পারবেন। মূলত ছোট্ট করে সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনি এ কারণেই ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন এবং করা উচিত।
এখন আপনাদের সামনে তুলে ধরব ডিজিটাল মার্কেটিং এ কাজ করার ১৩টি উপায়-
এক নজরে দেখে নিন
নিচে কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর গুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নেই :
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং । ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটারসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা চালানোই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
বিশ্বে প্রায় কোটি কোটি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্রায় সব বয়সের মানুষের কাছে ও জনপ্রিয়। এতে অল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে বহু সংখ্যক গ্রাহকের কাছে সহজে পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা চালানো সম্ভব।
এখন আমরা জানবো গুরুত্বপূর্ণ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নিয়ে….
বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুক এখন কোটি কোটি মানুষ ও ব্যবহার করছে এমনকি বাংলাদেশে ও জনপ্রিয় ফেসবুক। তাই আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করলে অবশ্যই ফেসবুক মার্কেটিং করতে হবে।
কিভাবে একটি ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ পরিচালনা করতে হয় সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারনা। তাছাড়া আপনি ফেসবুক পেজের এনালাইসিস, ইন্সাইটস থেকে ও অনেক কিছু জানতে পারবেন।
বাংলাদেশে ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারী যারা রয়েছে তারা কিন্তু কোনো আলতু - ফালতু টাইপের লোক না তারা রয়েছে অনেক ম্যাচুরিটি। যারা ফেসবুক চালায় তারা ও কিন্তু ইন্সটাগ্রামে নেই সবাই। ইন্সটাগ্রামে ও আপনি টার্গেটিং করতে পারবেন চাইলে।
প্রথমে ইন্সটাগ্রামে আপনি আপনার বিজনেস রিলেটেড জিনিশ দেয়ার আগে সুন্দর করে আপনার নিজের ইন্সটাগ্রাম আইডি, আইডির বায়ো সবকিছু সিরিয়াস এবং বিজনেস রিলেটেড দিন। মনে করুন আপনার ব্যবসার জিনিশ জুতা এখন সে ক্ষেত্রে আপনি দেখুন জুতার যেসব ইন্সটাগ্রাম আইডি আছে সেগুলো ফলো করুন দেখুন তারা কিভাবে টিউন করে, কি স্টোরি দেয়। তাদের টিউনে কারা লাইক দিচ্ছে কারা টিউমেন্ট করছে এসব ফলো করুন৷ তাদেরকে যারা লাইক দিচ্ছে ফলো দিচ্ছে আপনি তাদেরকে ফলো দিন ইন্সটাগ্রামে৷
গুগল সহ বিভিন্ন বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইটকে যে কেউ যেন সহজে খুঁজে পায়, তার জন্য যে বিশেষ কার্যক্রম চালানো হয়, তা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) বা এসইও (SEO) হিসাবে পরিচিত। এসইও এর রেজাল্ট এর জন্য আপনাকে বেশ কয়েকমাস অপেক্ষা করতে হবেই।
আপনি কি চান না মানুষ গুগলের পাশাপাশি বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে আপনার সাইট ভিজিট করুক? অবশ্যই আপনি চান মানুষ আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করুক, তো এজন্য আপনাকে এসইও করতে হবে এবং এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সার্চ ইঞ্জিনে কোন না কোন বিষয়ের উপর তথ্য খোঁজেন। সে তথ্য যদি আপনার পণ্য বা সার্ভিসের সাথে সম্পর্কিত হয়, তাহলে আপনি নিশ্চয় চান যে ব্যবহারকারী আপনার পণ্য বা সার্ভিসের ব্যাপারে জানুক। কিন্তু আপনার মতো আরো অনেকে হয়তো একই পণ্য বা সার্ভিস দিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্য হবে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে সবচেয়ে উপরের দিকে থাকা। এর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন দরকার হবে আপনার।
গুগল, বিং, ইয়াহুসহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে কোন পণ্য, সার্ভিস ও ওয়েবসাইটকে যে কেউ যেন সহজে খুঁজে পায়, তার জন্য সরাসরি বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হলে তাকে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (Search Engine Marketing) বা এসইএম (SEM) বলে। প্রয়োজনীয়তা ও বাজেটভেদে এটি স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া হতে পারে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া হবার কারণে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও সতর্কতার সাথে এটি বাস্তবায়ন করতে হয়। কিন্তু আপনার পণ্য বা সার্ভিসের বিক্রি বাড়ানোর জন্য হয়তো ততটা সময় আপনার নাও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে টাকা খরচ করে সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে বিজ্ঞাপণ দিলে তুলনামূলকভাবে কম সময়ে আপনার প্রচারণার ফলাফল পেতে পারেন।
ইমেইলের মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচারণা চালানোকে ইমেইল মার্কেটিং বলে। এটি দীর্ঘমেয়াদি একটি প্রক্রিয়া। এ ক্ষেত্রে অনলাইনে কোনো একটি মাধ্যমে ক্রেতাদের ইমেইল এড্রেস সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।
একজন ক্রেতার ইমেইল এড্রেস সংগ্রহ করতে করতে এভাবে যদি আপনি ১ হাজার মানুষের ইমেইল এড্রেস সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে আপনার কোনো প্রোডাক্ট/ সার্ভিসের ব্যাপারটা নিয়ে সেই ১ হাজার মানুষকে ইমেইল করে দিলেন একটা।
কোন পণ্য বা সার্ভিসের সরাসরি বিক্রয়ে সাহায্য করে অর্থ উপার্জনের জন্য যে প্রচারণা চালানো হয়, তাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) বলে। সাধারণত আমাজন বা দারাজের মতো ইকমার্স সাইটগুলোর পণ্য ও সার্ভিসের ক্ষেত্রে এ মার্কেটিংয়ের বহুল ব্যবহার রয়েছে।
কেউ যদি আপনার রিভিউ পড়ার পর যদি অ্যাফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করে ঐ পণ্য বা সার্ভিস কিনে থাকেন, তাহলে লাভের একটা অংশ পাবেন আপনি। কম সময়ে ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ভূমিকা রাখতে পারে। বর্তমানে অনেকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে বেশ ভালো উপার্জন ও করছে।
-
সৌজন্যে: ডিজিটাল মার্কেটিং বাংলা গাইডলাইন
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শিখবেন? কিভাবে শিখবে? কোথায় থেকে শিখবেন? শিখে কি কি করতে পারবেন? বিস্তারিত জানতে এবং সম্পূর্ন বাংলা গাইডলাইন পেতে ভিজিট করুন আমাদের সাইট।
আমি আব্দুররাজ্জাক রাজ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
একজন ডিজিটাল মার্কেটার। সবসময় নতুন কিছু জানতে। নতুন কিছু করতে। নতুন কিছু শিখতে ভালবাসি। ডিজিটাল প্রযুক্তি অনেক ভালবাসি। তাই সবসময় প্রযুক্তি নিয়ে থাকি। পাশাপাশি নিজের ব্লগে নিজের জানা কিছু বিষয় শেয়ার করি। Blogsite: http://www.todaytrick.com/