কাস্টম অডিয়ান্স হল ফেসবুকের একটা এড টারগেটিং অপশন যেটার মাধ্যমে আপনার বর্তমান অডিয়ান্সকে খুঁজে পাওয়া যায় যারা আপনার বিজনেস এর ব্যাপারে আগে থেকেই কিছু জানেন এবং ফেসবুকে একটিভ থাকেন। কাস্টম অডিয়ান্স তৈরির জন্য বিভিন্ন উৎস ব্যবহার করা হয়। সেটা অনলাইন উৎস হতে পারে আবার অফ-লাইন উৎসও হতে পারে। একটা এড অ্যাকাউন্ট এর অধীনে ৫০০ টা পর্যন্ত কাস্টম অডিয়ান্স তৈরি করা যায়। আবার কাস্টম অডিয়ান্স কে উৎস হিসেবে ব্যবহার করে Lookalike Audience তৈরি করা যেতে পারে।
কাস্টম অডিয়ান্স ব্যবহার করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ভালমানের উৎস ডাটা থাকতে হবে। সেটা আপনার নিজের ডাটা হতে পারে আবার ৩য় পক্ষের হতে পারে। ফেসবুক এর কিছু নিয়ম মেনে আপনি ৩য় পক্ষ এর ডাটা শেয়ার করে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে যে সব পেজে আপনার এডমিন এক্সেস আছে সেইসব পেজ এর ডাটা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনার কাছে সে সব ডাটা খুব ভালমানের এবং প্রাসঙ্গিক মনে হতে পারে সেইসব ডাটা সোর্স হিসেবে নিয়ে কাস্টম অডিয়ান্স তৈরি করতে পারবেন। আবার যে সব ডাটা আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয় এবং অপ্রাসঙ্গিক মনে হতে পারে তা বর্জন করতে পারবেন। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে। ধরুণ আপনার পেজের ডাটা গুলো খুব ভালমানের। আপনি চাইছেন যারা গত ১২০ দিনে আপনার পেজে এঙ্গেজমেন্টে ছিল তাদের কে অন্তর্ভুক্ত করবেন আবার পাশাপাশি যারা গত ৩০ দিনে শুধু মেসেস সেন্ড করেছে তাদের কে বাদ দিবেন, এই কাজটি কাস্টম অডিয়ান্স এর মাধ্যমে সহজেই করতে পারবেন। একটা পেজের ক্ষেত্রে কি কি কাজ করতে পারবেন আবার কি কি কাজ করতে পারবেন না তা নিচে দেখান হল।
এই তালিকায় বিভিন্ন ফিল্ড থাকবে যেমন কাস্টমারদের ইমেইল, ফোন নম্বর, নামের প্রথম অংশ, নামের শেষ অংশ, শহরের নাম, দেশের নাম, জন্ম তারিখ, জন্ম সাল, বয়স, টিউন কোড, লিঙ্গ, ফেসবুক পেজ আইডি ইত্যাদি। ফেসবুক এ সব তথ্য ম্যাচ করে অডিয়ান্স খুঁজে দিবে। ডাটা গুলো নিয়ে স্প্রেডসীট তৈরি করতে হবে। এরপর এটা ম্যানুয়ালি আপলোড করতে পারেন যদি না আপনি Custom Audience Sync tool ব্যবহার না করে থাকেন।
ফেসবুক এর Pixel tracking code ওয়েবসাইটে সংযুক্ত করে এটা ব্যবহার করা হয়। যারা আপনার সাইট ১৮০ দিনের মধ্যে ভিজিট করেছে তাদেরকে আপনি এড দেখাতে পারবেন।
আপনার বিজনেস যদি অ্যাপ ভিত্তিক হয়ে থাকে তা হলে যারা সেটা ব্যবহার করেছে বা বিভিন্ন এক্টিভিটি এর মধ্যে ছিল তাদের ডাটা ব্যবহার করে কাস্টম অডিয়ান্স তৈরি করতে পারেন।
যারা আপনার স্টোর ভিজিট করে কেনা কাটা করে তাদের ডাটাগুলো নিয়ে স্প্রেডসীট তৈরি করে ফেসবুকে আপলোড করে এই কাস্টম অডিয়ান্স তৈরি করা যেতে পারে।
ফেসবুক এর বিভিন্ন টিউন, ভিডিও, ইভেন্টস, লিড ফর্ম, ইনস্ট্যান্ট এক্সপেরিয়ান্স এর সঙ্গে যারা এঙ্গেজ হয় তাদের ডাটা ব্যবহার করে এই কাস্টম অডিয়ান্স তৈরি করা যায়। এ ছাড়াও ইন্সটাগ্রাম বিজনেস প্রফাইল এর ডাটা ব্যবহার করা যেতে পারে। এই সব উৎস থেকে ৩৬৫ দিন মেয়াদি ডাটা ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে লিড ফর্ম এর ক্ষেত্রে এর মেয়াদ ৯০ দিন।
কাস্টম অডিয়ান্স এর ডাটা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-কানুন আপনাকে মেনে চলতে হবে। যেমন -
ফেসবুক কাস্টম অডিয়ান্স অনেক শক্তিশালী একটা টুল। এটাকে ব্যবহার করে এড এর ভাল রেজাল্ট পেতে পারেন। এটা যেমন আপনার সময় বাচাবে তেমনিভাবে বুস্ট এর খরচ অনেক কমিয়ে দিবে। ভালমানের রেজাল্ট বাড়তে থাকা মানেই হল বিক্রি বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকা। যারা এতদিন ধরে Detailed targeting অডিয়ান্স অর্থাৎ demographics, interests, behaviours ইত্যাদি তথ্য ব্যবহার করে বুস্ট করেছেন তারা এবার কাস্টম অডিয়ান্স দিয়ে বুস্ট করে দেখতে পারেন। আশাকরছি পার্থক্য পরিষ্কারভাবেই বুঝতে পারবেন।
আমি আব্দুল্লাহ আল ফারুক। Digital Marketer, Self Employed, Bogura। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 34 টি টিউন ও 20 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 23 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।