পৃথিবীর সবচেয়ে কুখ্যাত এবং জঘন্য ১০ হ্যাকারের গল্প

Level 34
সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন টেকটিউনস কমিউনিটি? আশা করছি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আবার হাজির হলাম আপনাদের জন্য নতুন টিউন নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

সব হ্যাকাররা ক্ষতিকর নয় আবার সবাই ভালও নয়। যে সব হ্যাকাররা ভাল কাজ করে তাদের বলা হয় White Hat Hacker, যারা মানুষের ক্ষতির কারণ হয় তাদের বলা হয় Black Hat Hacker, আর যারা মজার ছলে হ্যাকিং করে তাদের বলা হয় Gray Hat Hacker। White Hat Hacker মূলত বিভিন্ন কোম্পানির সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট হয়ে কাজ করে।

আজকের এই টিউনে আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে কুখ্যাত এবং জঘন্য ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার সম্পর্কে জানব। জানব তারা কেন কুখ্যাত বা বিখ্যাত, এখন তারা কোথায় আছে।

১. Kevin Mitnick

পৃথিবীর বিখ্যাত হ্যাকারের টপ লিস্টে থাকবে Kevin Mitnick। US Department of Justice তাকে মার্কিন ইতিহাসে মোস্ট ওয়ান্টেড কম্পিউটার অপরাধী বলে অভিহিত করে। তার কর্মকাণ্ড এতটাই জঘন্য ছিল যে তার উপর ভিত্তি করে একটা সিনেমা নির্মাণ করা হয়েছে Track Down নামে। বলা হয় যে তিনি বিশ্বের সর্বকালের সেরা হ্যাকার।

কী করেছিলেন?

ডিজিটাল ইকুইপমেন্ট কর্পোরেশনের নেটওয়ার্ক হ্যাকিংয়ের জন্য তাকে এক বছর জেলে থাকতে হয়েছিল। পরবর্তীতে তাকে তিন বছরের তত্ত্বাবধানে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু তিন বছর শেষ হবার কিছু দিন আগে পালিয়ে যান এবং আড়াই বছর জাতীয় প্রতিরক্ষা সতর্কতা ব্যবস্থা লঙ্ঘন করা এবং কর্পোরেট গোপনীয়তা চুরিতে জড়িত ছিলেন।

এখন কোথায় আছেন?

তবে শেষ পর্যন্ত তিনি ধরা পড়েন এবং পাঁচ বছরের জেল হয়। জেল থেকে মুক্ত হয়ে তিনি কম্পিউটার সিকিউরিটি কনসালটেন্ট এবং পাবলিক স্পিকার হয়ে যান। বর্তমানে Mitnick Security Consulting, LLC নামে একটি কোম্পানি পরিচালনা করছেন।

২. Jonathan James

"c0mrade" নামে পরিচিত জোনাথন জেমসের গল্পটি
দুঃখজনক। তিনি অল্প বয়সে হ্যাকিং শুরু করেন, বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক এবং সরকারী নেটওয়ার্কে হ্যাক করায় তাকে নাবালক অবস্থায়ই কারাগারে পাঠানো হয়।

কী করেছিলেন?

জেমস NASA নেটওয়ার্ক হ্যাক করে এবং বিপুল পরিমাণ সোর্স কোড ডাউনলোড করে যার মূল্য ছিল তখনকার সময়ে প্রায় ১.৭ মিলিয়ন ডলার। তার উদ্দেশ্য ছিল ইন্টারনেশনাল স্পেস স্টেশন কীভাবে কাজ করে তা জানা। NASA এই ব্রিচ তদন্ত করতে তিন সপ্তাহ তাদের নেটওয়ার্ক বন্ধ রেখেছিল, এতে তাদের খরচ হয়েছিল ৪১০০০ ডলার।

এখন কোথায় আছেন?

২০০৭ সালে বিশ্বের হাই প্রোফাইল কিছু কোম্পানি নেটওয়ার্ক এটাকের শিকার হয়। এই ঘটনায় তাকে অভিযুক্ত করা হয় এবং তদন্ত করা হয়। যদিও সে এতে তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে। ২০০৮ সালে সে আত্মহত্যা করে কারণ হিসেবে জানা যায়, সে বিশ্বাস করতো তাকে এমন অপরাধে সাব্যস্ত করা হয়েছিল যা সে করে নি।

৩. Albert Gonzalez

 

আলবার্ট গঞ্জালেজ বিশ্বের সেরা কম্পিউটার হ্যাকারদের একজন। তার শুরুটা হয়েছিল ShadowCrew নামের একটি হ্যাকার গ্রুপের নেতা হিসাবে। ক্রেডিট কার্ড নম্বর চুরি ও বিক্রি করার পাশাপাশি, ShadowCrew গ্রুপটি পাসপোর্ট, স্বাস্থ্য বীমা কার্ড এবং বার্থ সার্টিফিকেট জালিয়াতির এর মত আইডেন্টেকটিউনস চুরির সাথে জড়িত ছিল।

কী করেছিলেন?

Albert Gonzalez মাত্র দুই বছরে ১৭০ মিলিয়ন ক্রেডিট কার্ড এবং এটিএম কার্ড নাম্বার কালেক্ট করে ইন্টারনেট জুড়ে পরিচিত হয়। এর সে পর TJX কোম্পানি এবং Heartland Payment system সিস্টেম হ্যাক করে, উদ্দেশ্য একটাই ডাটাবেজে স্টোর করা ক্রেডিট কার্ড নাম্বার চুরি করা।

এখন কোথায় আছেন?

তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়, সে দুটি ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করবে এবং ২০২৫ সালে মুক্তি পাবে।

৪. Kevin Poulsen

Kevin Poulsen এর অন্য নাম "Dark Dante"। টেলিফোন সিস্টেম সম্পর্কে জটিল জ্ঞান তাকে খ্যাতি দিয়েছিল। সে একটি রেডিও স্টেশনের ফোন লাইল হ্যাক করে নিজেকে উইনার কলার ঘোষণা করেছিল। মিডিয়া তাকে কম্পিউটার অপরাধের হ্যানিবাল লেকটার বলে অভিহিত করে।

কী করেছিলেন?

ফেডারেল সিস্টেমে হ্যাক এবং ওয়্যারট্যাপ তথ্য চুরি করার জন্য FBI তাকে ওয়ান্টেড লিস্টে তালিকাভুক্ত করে। তাকে একটি সুপারমার্কেট থেকে আটক করা হয়। তার জন্য ৫১ মাসের জেল এবং ৫৬০০০ ডলার ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়।

এখন কী করছেন?

১৯৯৫ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর Poulsen নিজেকে পরিবর্তন করেছেন। পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা বেছে নেন। তিনি বর্তমানে Wired এর একজনে এডিটর। ২০০৬ সালে, তিনি আইন প্রয়োগকারীকে মাইস্পেসে ৭৪৪ জন যৌন অপরাধী সনাক্ত করতে সহায়তা করেছিলেন।

৫. Gary McKinnon

গ্যারি ম্যাককিনন, ইন্টারনেটে "সোলো" নামে পরিচিত। অভিযোগ করা হয়েছে সে সর্বকালের বৃহত্তম সামরিক কম্পিউটার হ্যাকটি করেছে।

সে কী করেছিল?

ফেব্রুয়ারি ২০০১ থেকে মার্চ ২০০২ পর্যন্ত এই ১৩ মাসের সময়কালে, ম্যাককিনন মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী এবং নাসার অন্তর্গত ৯৭ টি কম্পিউটারে অবৈধভাবে অ্যাক্সেস করেছিল।

গ্যারি ম্যাককিনন দাবি করেছিলেন তিনি শুধুমাত্র Free Energy Suppression এবং UFO সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছিল। কিন্তু মার্কিন কর্তৃপক্ষের মতে, তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল মুছে ফেলেছেন এবং ৩০০ টির বেশি কম্পিউটার অকার্যকর করে দিয়েছেন, যার ফলে ৭০০, ০০০ ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে৷

এখন কোথায় আছেন?

স্কটিশ বংশোদ্ভূত এবং যুক্তরাজ্যের বাইরে কাজ করার কারণে, ম্যাককিনন ২০০৫ সাল পর্যন্ত আমেরিকান সরকারকে ফাঁকি দেয় এবং প্রত্যর্পণের মুখোমুখি হন।

একের পর এক আপিলের পর, তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তার প্রত্যর্পণ আটকে দেয়। কারণ হিসেবে দেখানো হয় তিনি গুরুতর অসুস্থ এবং এই ধরনের প্রত্যর্পণ মানবাধিকারের সাথে বেমানান।

৬. Robert Tappan Morris

Robert Tappan Morris তার কম্পিউটার জ্ঞান অর্জন করেছিল তার বাবা Robert Morris, থেকে। Robert Morris ছিলেন একজন Bell Labs এর কম্পিউটার সাইন্টিস্ট, পরবর্তীতে নাসায়ও কাজ করেছেন। Morris কে প্রথম কম্পিউটার ওয়ার্ম এর স্রস্টা হিসেবে ধরা হয়। বলা যায় সে ইউজারদের মধ্যে খুব বেশি জনপ্রিয় ছিল না।

কী করেছিলেন?

১৯৮৮ সালে Cornell University তে পড়ার সময় সে Morris Worm ভাইরাস তৈরি করে। এই প্রোগ্রাম তৈরির উদ্দেশ্য ছিল ইন্টারনেটের আকার পরিমাপ করা। তবে এর একটি ত্রুটি ছিল কম্পিউটার একাধিকার আক্রান্ত হতো এবং সিস্টেম স্লো করে যেতো। এটি ৬০০০ এর বেশি কম্পিউটারকে স্লো করে দিয়েছিল।

এখন কোথায় আছেন?

১৯৮৯ সালে, রবার্ট তপ্পান মরিসকে কম্পিউটার জালিয়াতি এবং অপব্যবহার আইন লঙ্ঘনের দায়ে তিন বছরের প্রবেশন, ৪০০ ঘণ্টা কমিউনিটি সার্ভিস এবং ১০০৫০ ডলার জরিমানা করা হয়। পরবর্তীতে সে Y combinator প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে রবার্ট তপ্পান ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির একজন স্থায়ী অধ্যাপক।

৭. Loyd Blankenship

Loyd Blankenship হ্যাকিং জগতে যার আরেক নাম  "The Mentor"। একটিভ হ্যাকার হিসেবে আছেন ১৯৭০ সাল থেকে। সে অসংখ্য হ্যাকিং গ্রুপের সদস্য বিশেষ করে Legion of Doom (LOD) এরও সদস্য ছিলেন।

কী করেছিলেন?

Blankenship, "Mentor's Last Words" (যাকে "Conscience of a Hacker and Hacker Manifesto" ও বলা হয়) নামে একটি প্রবন্ধ রচনা করেন। ১৯৮৬ সালে গ্রেফতার হবার পর তিনি এটা লিখেন। প্রবন্ধটিকে হ্যাকিং সংস্কৃতির জন্য এক ধরনের ভিত্তিপ্রস্তর হিসাবে দেখা হয়।

এখন কোথায় আছেন?

১৯৮৯ সালে Steve Jackson Games এ GURPS Cyberpunk এর উপর কাজ করার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। ইউএস সিক্রেট সার্ভিস ১৯৯০ সালে তার বাড়িতে অভিযান চালায় এবং গেমটির রুলবুক বাজেয়াপ্ত করে। তারা এটিকে "কম্পিউটার অপরাধের একটি হ্যান্ডবুক" বলে অভিহিত করে। এর পর থেকে তিনি হ্যাকিং ছেড়ে দেন এবং বর্তমানে McAfee এর প্রোডাক্ট রিসার্চ এবং ডিজাইনের হেড হিসেবে কর্মরত আছেন।

৮. Julian Assange

Julian Assange কে সবার চেনার কথা। মাত্র ১৬ বছর বয়সে Mendax নামে হ্যাকিং শুরু করেন। চার বছরেরও বেশি সময় ধরে, তিনি Pentagon, NASA, Lockheed Martin, Citibank, এবং Stanford University সহ বিভিন্ন সরকারী, কর্পোরেট এবং এডুকেশনাল নেটওয়ার্কে অ্যাক্সেস করেন।

কী করেছিলেন?

Julian Assage ২০০৬ সালে WikiLeaks প্রতিষ্ঠা করেন। এখন হয়তো তাকে চিনতে পেরেছেন। উইকিলিকস এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে বেনামী উৎস থেকে খবর ফাঁস এবং শ্রেণীবদ্ধ নথি প্রকাশ করা হতো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১০ সালে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৯১৭ সালের গুপ্তচরবৃত্তি আইনের অধীনে অভিযোগ আনে এবং তদন্ত শুরু করে।

এখন কোথায় আছেন?

২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকার পর, অ্যাসাঞ্জ অবশেষে তার আশ্রয়ের অধিকার প্রত্যাহার করে নেয় এবং পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্যের কারাগারে রয়েছেন, ব্রিটিশ আদালত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যর্পণের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।

৯. Guccifer 2.0

Guccifer 2.0 এর পরিচয় কেউ জানে না। সে নির্দিষ্ট ব্যক্তি না কোন গ্রুপও হতে পারে। Guccifer কে একজন রোমানিয়ান হ্যাকার হিসেবে জানা হয়। বেশির ভাগ সময় সে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ছিল তাদের টার্গেট।

কী করেছিল?

২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়, ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনের নেটওয়ার্ক হ্যাক হয়। উইকিলিকস এবং অন্য জায়গায় হাজার হাজার নথি ফাঁস হয়। অনেকে মনে করে Guccifer 2.0 রাশিয়ান ইন্টেলিজেন্স এর অংশ। কিন্তু পরবর্তীতে ভাইসের সাথে একটি সাক্ষাতকারে, Guccifer 2.0 দাবি করে যে তারা রুশীয় নয়, বরং রোমানিয়ান।

এখন কোথায় আছে?

Guccifer 2.0 ২০২৬ সালে ইউএস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে অদৃশ্য হয়ে যায়, তারপরে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে একবার আবির্ভূত হয়ে জানান দেয় তাদের রাশিয়ান গোয়েন্দাদের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। এর পর তার তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি।

১০. Anonymous

Anonymous হচ্ছে সর্বকালের সবচেয়ে সুপরিচিত এবং খারাপ "হ্যাকার"। Anonymous একক ব্যক্তি নয় বরং হ্যাকারদের একটি বিকেন্দ্রীভূত গোষ্ঠী যার কোনও সত্যিকারের সদস্যপদ বা অনুক্রম নেই। Anonymous নামে যে কেউ ইন্টারনেটে অনৈতিক কাজ কর্ম করতে পারে।

তারা কী করেছিল?

২০০৩ সালে উত্থানের পর থেকে Anonymous, Amazon, PayPal, Sony, Westboro Baptist Church, Church of Scientology, এর সাথে সাথে Australia, India, Syria, এবং United States, সরকারকে টার্গেট করেছে। ডার্ক ওয়েবের কিছু অংশ সহ আরও অনেকে তাদের লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত হয়েছে।

এখন কোথায় আছে?

Anonymous এখনো তাদের হ্যাকিং কাজ অব্যাহত রেখেছে। ২০১১ সাল থেকে দুটি হ্যাকার গ্রুপ LulzSec এবং AntiSec উদ্ভূত হয়েছে Anonymous থেকে।

শেষ কথা

এই ধরনের হ্যাকারকে ভয় পাবার কারণ নেই কারণ তারা সব সময় বড় প্রতিষ্ঠান গুলোতে আক্রমণ চালায়। তবে একেবারে নিশ্চিন্তও আপনি থাকতে পারবেন না কারণ ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে এমন হ্যাকারদেরও অভাব নেই। এই ধরনের হ্যাকিং থেকে বাঁচতে সব সময় সচেতন থাকুন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন।

তো আজকে এই পর্যন্তই, কেমন হল আজকের টিউন তা অবশ্যই টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। পরবর্তী টিউন পর্যন্ত ভাল থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

Level 34

আমি সোহানুর রহমান। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 627 টি টিউন ও 200 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 118 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

কখনো কখনো প্রজাপতির ডানা ঝাপটানোর মত ঘটনা পুরো পৃথিবী বদলে দিতে পারে।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস