হ্যালো টেকটিউনস জনগণ, কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশাকরি সবাই ভাল আছেন। এখন থেকে নিয়মিত আবার নতুন টিউন নিয়ে আমরা হাজির হলাম আপনাদের কাছে। আর টেকটিউনসের নিত্যনতুন টপিক আর সার্ভিস নিয়ে ভালো না থেকে আর উপায় আছে? আর এই নিত্যনতুন টপিক আর সার্ভিসের ধারা বজায় রাখার নিমিত্তে, আজকে আমি আপনাদের সাথে একদম নতুন একটি টপিক নিয়ে হাজির হলাম। আর আপনারা এই টিউনের মাধ্যমে জানতে পারবেন অনেক নতুন নতুন সব তথ্য।
বিভিন্ন দেশের সরকার'রা চীনা অ্যাপ্লিকেশান ব্যান করা শুরু করছে আর এর সাথে সাথে আপনিও ভাবতে পারেন, আপনার ফোন থেকে চীনা অ্যাপ্লিকেশান গুলো রিমুভ করার দরকার কিনা?
একুশ শতকে ডেটা চুরি, সরকারী ডেটা কালেক্টশন এবং সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোর প্রতি অনলাইনে নজরদারি নতুন কিছু নয়। আর এজন্যই, সরকার আপনাকে চীনা ডেভেলপারদের অ্যাপ্লিকেশানগুলো আনইন্সটল করতে বলেছে কারণ তারা বিশ্বের প্রতিটি দেশের ডেটা সংগ্রহ করে প্রচুর স্পাইওয়্যার প্ল্যাটফর্মের সাথে যোগ দিতে পারে।
বর্তমানে টিকটকের উপরে স্পাইওয়্যার এর অভিযোগ আনা হচ্ছে, এখন আপনি আপনার স্মার্টফোন থেকে চীনা অ্যাপ্লিকেশান রিমুভ করবেন কি? অথবা চীনা অ্যাপ্লিকেশান গুলো কি সত্যিই ডেটা চুরি করছে? এই সব প্রশ্ন আমাদের মনে ঘুরাফিরা করছে। এই টিউনে এই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।
দীর্ঘদিন ধরে, চীনা ডেভেলপারদের অ্যাপ্লিকেশান এবং সফটওয়্যার স্পাইওয়্যার হিসেবে সন্দেহর তালিকায় ছিল। এই অ্যাপ্লিকেশান গুলো ব্যবহারকারীর ডেটা কালেক্ট করে, যা যুক্তরাষ্ট্র-এর প্রযুক্তি কর্পোরেশনের মাধ্যমে চীনা সরকারের কাছে নথিপত্র পাঠিয়েছে। আবার টেক কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্র-এর রাজনৈতিক কাঠামোকে কেন্দ্র করে চীন সরকারের সাথে একত্রে কাজ করতে পারে বলে অনেকেই এও সন্দেহ করেছে।
চীনা অ্যাপ্লিকেশান ব্যান করার মূলে রয়েছে টিকটক, ভিডিও-শেয়ারিং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যা সারা বিশ্বে খুবই জনপ্রিয়। টিকটক অ্যাপ্লিকেশানটিকে ২ বিলিয়ন বার ডাউনলোড হয়েছে, আনুমানিক ৮০০ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে, যাদের বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর বয়স 18-30 এর মধ্যে।
২০২০ সালের ৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প কার্যকর ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটককে ব্যান করার একটি আদেশ জারি করেছিলেন। উক্ত আদেশটি বিশেষ করে টিকটকের মালিক বাইটড্যান্সকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া হয় এবং এই আদেশ প্রকাশের ৪৫ দিনের মধ্যে করতে হবে আর এই ৪৫ দিনের মধ্যে তারা কোন লেনদেনও করতে পারবেনা বলে আদেশ করা হয়।
সমস্ত সরকারী ডিভাইস থেকে প্রথম পর্যায়ে টিকটক ব্যান হওয়ার পরে দেশব্যাপী ব্যান করার নির্দেশনা কার্যকর করা হয়।
সবার মনে এই প্রশ্নটি উকি দিচ্ছেঃ কেউ যদি চীনা অ্যাপ্লিকেশান তার ফোনে ইন্সটল করে তাহলে কি সেই অ্যাপ্লিকেশানটি তার ডেটা চুরি করে? চীনের ডেভেলপারদের তৈরি করা অ্যাপ্লিকেশান গুলোর প্রত্যেকটিই ডেটা চুরির অভিযোগে অভিযোগই, টিকটক ই এর উত্তম উদাহরণ।
সিকিউরিটি গবেষকরা মার্চ এবং এপ্রিল ২০২০ এ টিকটকের ডেটা সংগ্রহের উপর তদন্ত শুরু করেছিলেন। Reddit এ bangorlol নামের একজন ব্যবহারকারীর টিউনে টিকটক অ্যাপ্লিকেশান এর উপর রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্লেষণ করেছিলেন। আর এই বিশ্লেষণের রায়টি ছিল এমন যে, টিকটক সোশ্যাল মিডিয়ার নাম করে ডেটা কালেক্টশনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে এবং টিকটককে তারা ম্যালওয়্যার হিসেবে উল্লেখ করেছে।
আর ব্যবহারকারীদের দিক থেকে এটিই একমাত্র রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হয়েছে, আর Reddit এর এই পোস্টটি অনেক আলোচিত হয়েছে। তা যাইহোক, মূল পোস্টটিতে যা দাবি করা হয়েছে তার পিছনে নির্দিষ্ট কোন যুক্তি বা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি এবং এর পরিবর্তে অ্যাপ্লিকেশান এর ভিউ এবং ভাইরাল ভিডিওটি ম্যানিপুলেশন করা হয়েছে এমন দাবিও অনেকে করেছেন।
তারপরেও, টিকটকের উপর ডেটা চুরির অভিযোগ আরও বাড়ছেই। অন্যান্য সিকিউরিটি গবেষকরা এতটা নিশ্চিত নন যে টিকটক ম্যালিসিয়াস যা মিডিয়া দাবি করছে, এবং কিছু সরকারী কর্মকর্তা এমন কিছু কল্পনা করছে।
উদাহরণস্বরূপ, সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ Mike Thompson বলেছেন, "আমি এখনও কোন ডকুমেন্টেড, ম্যাটেরিয়াল থ্রেট এর মুখোমুখি হইনি। লোকদের কানেক্ট করার জন্য ডিজাইন করা নতুন অ্যাপ্লিকেশানটি অন্যান্য সাধারণ অ্যাপ্লিকেশান এর মতই। তবে হ্যাঁ, এর ডেটা চুরির মত ঝুঁকি রয়েছে, তবে অন্যান্য সামাজিক নেটওয়ার্কিং কমিউনিটির চেয়ে খারপ নয়।
একইভাবে, সম্মানিত সিকিউরিটি গবেষক, Baptiste Robert (@fsrishi), উপসংহারে বলেছেন যে, "আমরা যতদূর দেখতে পাচ্ছি, বর্তমান অবস্থায় টিকটক এর কোন সন্দেহজনক এক্টিভিটি নেই এবং অস্বাভাবিক ভাবে ডেটা ও ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে না।
তারপরে, ২০২০ সালের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে, টিকটক অ্যাপটি ডিভাইসের MAC এড্রেস সংগ্রহ করেছিল, যা আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড উভয় ক্ষেত্রেই এই জাতীয় ডেটা কালেক্টশন থেকে রক্ষা করার জন্য তাদের সিস্টেমকে বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। টিকটকের বিপক্ষে সিকিউরিটি নিয়ে তদন্ত বাড়ার সাথে সাথে অ্যাপ্লিকেশানটি প্রায় ১৫ মাস ধরে MAC এড্রেস কালেক্ট করেছিল, যা ২০১৯ সালের নভেম্বরে এই বন্ধ করে দিয়েছে।
আপনার ডিভাইসের MAC এড্রেসটি প্রত্যেকটি নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টারের জন্য নির্ধারিত একটি ইউনিক ডিভাইস সনাক্তকারী নাম্বার। আর প্রত্যেকটি ডিভাইসের MAC এড্রেস কালেক্ট করা হচ্ছে শক্তিশালী শনাক্তকরণ টুলস, কারণ MAC এড্রেসটি কখনও চেঞ্জ বা পরিবর্তন হয় না (তবে, MAC এড্রেস চেঞ্জ ও ছদ্মবেশী MAC এড্রেস ব্যবহার করার উপায় রয়েছে, তবে বেশিরভাগ সাধারণ টিকটক ব্যবহারকারী এই জাতীয় কার্যকলাপ অনুসরণ করছে না)।
যেহেতু, MAC এড্রেস কখনই পরিবর্তন হয় না, তাই এর মাধ্যমেই সহজেই ব্যবহারকারীদের পৃথক করা এবং তাদের অভ্যাসগুলোর উল্লেখযোগ্য ইনফরমেশন যোগাড় করা যায়। টিকটকের অন্যান্য ভীতিকর তথ্য হচ্ছে, সামগ্রিক ভাবে টিকটকে গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা ছিল, তারা দীর্ঘমেয়াদী ট্র্যাকিং পদ্ধতি তৈরি করেছে যার মাধ্যমে ডেটা কালেক্টশন প্রসেস থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ছিল না বললেই চলে।
Wall Street Journal এর তদন্ত থেকে এই তথ্যটি পেয়েছি, যাতে ২০১৮ সালের এপ্রিল এবং ২০২০ সালের মধ্যে প্রকাশিত টিকটক অ্যাপ্লিকেশান এর নয়টি ভার্সন বিশ্লেষণ করেছে। এই বিশ্লেষণটি অন্যান্য সিকিউরিটি গবেষকদের অনুসন্ধানের বিষয়টিও নিশ্চিত করেছিল। তাদের তদন্ত অনুযায়ী, টিকটক অন্যান্য সামাজিক মিডিয়ার মত আপনার সকল ডেটা কালেক্ট করে না।
তবে, WSJ এর গবেষণাটি এপ্রিল ২০২০ এবং Reddit এর ব্যবহারকারী bangorlol এর টিউনের মাধ্যমে অনেকটাই নিশ্চিত করেছে যে, ByteDance বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর ডেটা এনক্রিপশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেন্ড করে, SSL/TLS দ্বারা সরবরাহকৃত সিকিউরিটির স্ট্যান্ডার্ড মানা হচ্ছে না। তাহলে কি তারা এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদেরকে অতিরিক্ত সিকিউরিটি দিচ্ছে? মোটেও না। বা ByteDance এর সার্ভারে টিকটক যে ডেটা সেন্ড করছে তা কিসের জন্য?
যদি ByteDance সনাক্তকরণ এবং ট্র্যাকিং এর জন্য MAC এড্রেস ব্যবহার করলে, তারা এটিকে অতিরিক্ত এনক্রিপশন লেয়ার হিসেবে ব্যাখ্যা করতে পারে। এই এনক্রিপশনটি গুগল এবং অ্যাপলকে ডেটা ট্র্যাফিক বিশ্লেষণ থেকে বিরত করবে, MAC এড্রেস এবং অন্যান্য ডেটা কালেক্টশন রাডারের মাধ্যমে দেখা যাবে।
অন্যদিকে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলো টিকটকের মতোই একই কাজ করে থাকে। এটি হল ব্যবহারকারীর ডেটা কালেক্ট করার মাধ্যমে, ব্যবহারকারীর প্রোফাইল তৈরি করে এবং বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে সেই প্রোফাইলগুলোকে টার্গেট করে। তাছাড়া ডিভাইস অপারেটিং সিস্টেম, স্ক্রিন রেজোলিউশন, ডিভাইস মডেল এবং অনুরূপ ডেটা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা অন্যান্য সামাজিক মিডিয়ার অ্যাপ্লিকেশান এর মত টিকটক ও করে থাকে।
তবে, চীনা অ্যাপ্লিকেশান এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় তথ্যের চেয়েও অনেক বেশি ডেটা কালেক্ট করার অভিযোগ রয়েছে। ACLU এর সিনিয়র প্রযুক্তির সহযোগী Jon Callas বলেছেন, "চীনা অ্যাপ্লিকেশানগুলো অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি তথ্য সংগ্রহ করে থাকে, আর তাই আমরা তাদেরকে ঘৃণা করি। "
তাছাড়া আপনাকে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে যে এই প্রযুক্তি জায়ান্ট গুলো বিপুল পরিমাণ ডেটা দিয়ে কি করবে? এছাড়াও সামাজিক মিডিয়ার বিপুল ডেটাসেট গুলো বিপজ্জনক দিকটি বিবেচনা করতে আপনাকে কেবল Cambridge Analytica কেলেঙ্কারির দিকে লক্ষ করলেই বুঝতে পারবেন। কেননা চীনের প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপটি সারা বিশ্বে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এবং সেই সাথে চীনের প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ যা পশ্চিমা বিশ্বের প্রত্যেকটি কোনায় পৌঁছে গেছে এবং সিকিউরিটি লেভেলকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
চীনা অ্যাপ্লিকেশান গুলো ব্যান করা না করা আপনার দেশের সরকারের উপর নির্ভর করে। আপনি উপর থেকে যেমনটি পড়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টিকটকের মূল কোম্পানি, ByteDance এর সাথে সমস্ত লেনদেন নিষিদ্ধ করেছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেবল একমাত্র দেশ নয় যা টিকটক বা চীনের-উন্নত অ্যাপ্লিকেশন নিষিদ্ধ করেছে।
২০২০ সালের জুলাইয়ের শেষের দিকে, ভারত টিকটক সহ চীনের ৫০ টিরও বেশি চীনা অ্যাপ্লিকেশানকে নিষিদ্ধ করেছিল এবং তারা জানিয়েছে যে এই অ্যাপ্লিকেশান গুলো "ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার, প্রতিরক্ষা, রাষ্ট্রের সুরক্ষা এবং জনসাধারণের শৃঙ্খলার জন্য হুমকিস্বরূপ"। যদিও ভারত সরকার সুরক্ষা এবং গোপনীয়তার ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছে, তবে এই নিষিদ্ধ করণ পদক্ষেপের সাথে লাদাখ অঞ্চলে চীনা/ভারতীয় সীমান্তে দুই দেশের সৈন্য বাহিনীর সাথে আক্রমণ হয়েছিল, যার ফলে একাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
টিকটক ছাড়াও WeChat, microblogging platform, Weibo এবং জনপ্রিয় অ্যান্ড্রয়েড গেম, Clash of Kings এর মত জনপ্রিয় অ্যাপকে ব্যান করা হয়েছে।
এই টিউনটি লেখার সময়, খুব অল্প কয়েকটি দেশই চাইনিজ অ্যাপ্লিকেশান গুলো ব্যান করেছে, (অস্ট্রেলিয়া টিকটক ব্যান করার বিষয়টি বিবেচনা করছে এবং ইতিমধ্যে Huawei এবং ZTE কে ব্যান করেছে)।
তবে, ২০২০ সালের জুলাইয়ে যুক্তরাজ্য ঘোষণা করেছিল যে তারা চীনা টেলিযোগাযোগ জায়ান্ট Huawei কে তার 5 জি নেটওয়ার্ক তাদের দেশে ব্যান করবে। এছাড়াও যুক্তরাজ্য সরকার ২০২৭ সালের মধ্যে Huawei এর 5G অবকাঠামো থেকে বিদ্যমান যে Huawei প্রযুক্তি সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই প্রক্রিয়াটিতে কয়েক মাস ধরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে লবিং করার পরেও শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অবকাঠামোতে Huawei এর উপর নির্ভরতা হ্রাস করার জন্য নয় বরং পুরোপুরি তাদের টেকনোলোজি অপসারণের জন্য আদেশ করা হয়েছে।
একইভাবে, এই টিউনটি লেখার সময় French data watchdog এর CNIL নামের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে, তারা টিকটককে তদন্তের করছে। বিশেষ করে, তারা বিশ্লেষণ করবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের GDPR ডেটা সুরক্ষা কাঠামোর অধীনে টিকটিক ইউজার ডেটা পরিচালনা করে কিভাবে, যার মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের অতিরিক্ত ডেটা সুরক্ষা প্রদান করে।
মোটাদাগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডেটা কালেক্টশনের বিষয়ে সাহসী দাবি করেছে। এই ব্যাপারটি নিয়ে অনেক দিন ধরেই গবেষণা চলছে এবং এর আগেও Edward Snowden এর PRISM, XKeyscore, ECHELON এবং বিশ্বব্যাপী অন্যান্য ডেটা কালেক্টশনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।
তাছাড়া এই প্রোগ্রামগুলো, অ্যাপ্লিকেশান গুলোকে স্পাইওয়্যার হিসেবে ব্যবহার করে না, তারপরিবর্তে দেশগুলোর মধ্যে প্রধান ডেটা কানেক্টশন ক্যাবলগুলো (যেমন Tier 1 সার্ভিস সরবরাহকারী নেটওয়ার্ক বা undersea ক্যাবল এর অবকাঠামো) এর মাধ্যমে রিমগুলো স্কুপ করে থাকে।
তদুপরি, এই কর্মসূচিগুলো এখনও সক্রিয় রয়েছে এবং মার্কিন সরকার এগুলোকে একাধিকবার নবায়ন করেছে (মিত্র সরকারের সহযোগিতায়)।
তবুও, চীন সরকার গুগল, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, এমনকি টিকটক সহ অনেকগুলি বড় মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো অ্যাক্সেস ব্যান করেছে (টিকটকের চীনা ভার্সনের নাম ডুইয়িন এবং এতে বিভিন্ন কন্টেন দেখা যায়)। তাছাড়াও চীন সরকার Western news sources, video streaming services এবং আরও অনেক সার্ভিসকে সেন্সর করে থাকে।
সেন্সর দেওয়ার কারণগুলো অলাদা, তবে উভয় দেশই একই লক্ষ খুঁজছেনঃ বিদেশী সরকার থেকে নাগরিকদের "রক্ষা" করা।
আপনার দেশের প্রেসিডেন্টিয়াল এক্সিকিউটিভ যদি আদেশ জারি করে তাহলে এই বিষয় নিয়ে আপনার আর কোন অপশন নেই অ্যাপ রিমুভ করা ছাড়া। আর যদি আপনার দেশের সরকার এই আদেশ জারি না করে তাহলে তা আপনার ইচ্ছাধীন আপনি চাইলে তা ব্যবহার করতে পারেন অথবা তা রিমুভ করতে পারেন।
তবে সমস্যাটি হ'ল চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সরকার বিরোধী, গুপ্তচরবৃত্তি এবং ডেটা সংগ্রহের সাথে জড়িত যে কোনও কথোপকথনের প্রতি নজরদারি করে। তারা এও মনে করে থাকে "চায়না = খারাপ" আর তাই তাদের অ্যাপ গুলো তাড়াতাড়ি রিমুভ করতে বলে। তবে এটির পক্ষে বিপক্ষে অনেকেই তাদের মতামত প্রদান করবে।
দুর্ভাগ্যক্রমে, টিকটক এবং অন্যান্য চীনের ডেভেলপ করা অ্যাপ্লিকেশনগুলোর কট্টর বিরোধিতা করার কারণে ইউজারদের কে কু-রাজনীতির দিকে ঠেলে দেয়।
বেশিরভাগ মানুষের কাছে টিকটক-কে ফানি ভিডিও শেয়ারিং মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। টিকটক, ফেসবুক এবং গুগল এর চেয়ে অধিক তথ্য সরবরাহ করছে? অথবা টিকটক কি আসলেই জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি?
আমি এরকম নিত্যনতুন কাজের সফটওয়্যার নিয়ে টেকটিউনসে হাজির হবো নিয়মিত। তবে সে জন্য আপনার যা করতে হবে তা হলো আমার টেকটিউনস প্রোফাইলে আমাকে ফলো করার জন্য 'Follow' বাটনে ক্লিক করুন। আর তা না হলে আমার নতুন নতুন টিউন গুলো আপনার টিউন স্ক্রিনে পৌঁছাবে না।
আমার টিউন গুলো জোসস করুন, তাহলে আমি টিউন করার আরও অনুপ্রেরণা পাবো এবং ফলে ভবিষ্যতে আরও মান সম্মত টিউন উপহার দিতে পারবো।
আমার টিউন গুলো শেয়ার বাটনে ক্লিক করে সকল সৌশল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। নিজে প্রযুক্তি শিখুন ও অন্য প্রযুক্তি সম্বন্ধে জানান টেকটিউনসের মাধ্যমে।
আমি রায়হান ফেরদৌস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 182 টি টিউন ও 131 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 73 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
শুধু কি চাইনিজ এপ্লিকেশন ডেটা চুরি করে সবাই ডেটা সেভ করে রাখে।
গুগল ফেসবুক সহ সকল টেক জায়ান্ট আমাদের যাবতীয় তথ্য জমা রাখে।