বর্তমানে আমাদের মধ্য অনেকেই হ্যাকিংয়ের শিকার হচ্ছে। এটি অনেকটা মহামারি আকার ধারন করেছে। সবাই এটা নিয়ে একটু ভয়ভীতির মধ্যেই থাকে। তবে কিছু ছোট ছোট পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই আর আমরা হ্যাকিং এর শিকার হবো না। আজকে আমরা হ্যাকিং এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার বিষয় গুলো নিয়েই আলোচনা করবো।
বর্তমানে হ্যাকিং এর মূল কারণ হলো দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা এবং এর সঠিকভাবে গোপনীয়তা বজায় রাখতে না পারা।
সঠিক পাসওয়ার্ড এর ব্যবহার
- কোনো একাউন্ট এর গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়। পাসওয়ার্ডটি যদি না হয় তাহলে যেকোনো জিনিস হ্যাক হবার সম্ভাবনা খুবই বেশি থাকে।
- দুর্বল পাসওয়ার্ড এর কারণে সহজেই যেকোনো কিছু ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে আবার হ্যাকাররাও খুব সহজেই কোন জিনিস হ্যাক করে নিতে পারে।
- ফলে নিজের অনেক প্রয়োজনীয় এবং গোপনীয় তথ্য এমনকি ব্যাংক এ রাখা টাকাসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী অন্যের কাছে চলে যেতে পারে।
- দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহারের কারণে আইসিটি যন্ত্রগুলো যেমন, মোবাইল কম্পিউটার ইত্যাদি মারাত্মক রকমের ক্ষতি হতে পারে।
- এবার আসি কিভাবে ইউনিক পাসওয়ার্ড তৈরি করা যায়। ইউনিক পাসওয়ার্ড তৈরি করা মূলত একটি সৃজনশীল কাজ। এটি নিজের বুদ্ধি কে কাজে লাগিয়ে তৈরি করতে হয় এবং সেটা খুবই খুবই ইউনিক হতে হবে। ইউনিক পাসওয়ার্ড তৈরির সময় আমাদের যে বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে হবে,
- নিজের বা পরিবারের কারো নাম বা ব্যক্তিগত কোনো তথ্য সরাসরি ব্যবহার না করা।
- সংখ্যা চিহ্ন শব্দ ইত্যাদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছোট হাতের অক্ষর বড় হাতের অক্ষর মিশিয়ে ভালোভাবে পাসওয়ার্ডটি তৈরি করা। যাতে অন্যের বুঝতে অনেক কষ্ট হয়।
- পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই মিনিমাম 12 ডিজিটের হতে হবে।
- পাসওয়ার্ডটি মনে রাখার জন্য আইসিটি যন্ত্রপাতি বা অন্য কোথাও পাসওয়ার্ডয়ের অংশবিশেষ কোনো অবস্থাতেই লিখে না রাখা।
- পাসওয়ার্ড মনে রাখার জন্য নিজের পছন্দের একটি লাইন ব্যবহার করা। এটি হতে পারে প্রিয় কবিতা, গান ইত্যাদি।
যেমন,
TechTunes.Co71
@#&BD1971@#&
AmrSonarBanglaAmiTomaiValoBasi
iLoveBanglaDesh@ইত্যাদি। - নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের মতো করে পাসওয়ার্ড তৈরি করা যায়। আমি কিছু পাসওয়ার্ড দিয়ে দিচ্ছি সেগুলো/এরকম ব্যবহার করলে আপনার কোন একাউন্ট বা কোন কিছুই হ্যাক করা সহজেই সম্ভব হবে না।
অন্যান্য পদক্ষেপ
শুধুমাত্র পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করে রাখলেই হবে না তার সাথে আরও কিছু কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন কিছু কিছু কাজ করা যায়,
- যেখানে যেখানে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন করা যায় সেখানে টু ভেরিফিকেশন অন রাখা। এক্ষেত্রে আপনার একাউন্টে কেউ লগইন করতে লাগলেই আপনার নাম্বারে একটি কোড যাবে। যেটি ছাড়া কোন অবস্থাতে আপনার একাউন্টে ঢোকা সম্ভব নয়।
- আপনার একাউন্টে যেন অন্য ডিভাইস থেকে লগইন করলেই নোটিফিকেশন আসে সেইব্যবস্থা করা।
- একাউন্টে সর্বোচ্চ সিকিউরিটি নিশ্চিত করা।
- অনাকাঙ্ক্ষিত লিংকে প্রবেশ করা যাবে না।
- কোনো এডে কোনো অবস্থাতেই ক্লিক না করা।
- অপরিচিত কারো ইমেইল অপেন না করা।
- কোনো লোভোনিয় অফার এ না যাওয়া।
- নিজের ব্যক্তিগত ইমেইল বা ফোন নম্বর কথা কাউকে অপরিচিত ব্যক্তিকে না দেওয়া বা লিখে না রাখা অথবা কোথাও লগইন না করা।
আশা করা যায়, উপরের পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করলেই আমরা হ্যাকিং এর হাত থেকে রক্ষা পাবো।
ধন্যবাদ।
-
সৌজন্যে: Ready2Reading.Com
এখানে ইতিহাস, মোটিভেশান, ইন্টারনেট, মোবাইল টিপস এবং ট্রিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ভাইয়, খুব ভাল।
আমার এক্টা ওয়েবসাইট।লাগবে।
টিউমেসেজ করুন