আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন টেকটিউনস কমিউনিটি? আশা করছি সবাই ভাল আছেন। আজকে আবার হাজির হলাম নতুন টিউন নিয়ে। আজকে আমি অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করব। চলুন শুরু করা যাক।
আমরা সবাই জানি বর্তমানে ইন্টারনেট নিরাপত্তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তি যেভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তেমনি হ্যাকাররাও হচ্ছে আরও শক্তিশালী। আপনার অজান্তেই আপনার সকল ব্যক্তিগত তথ্য চলে যেতে পারে হ্যাকারের হাতে। একবার চিন্তা করে দেখুন আপনি আপনার ব্রাউজার দিয়ে কত জায়গায় লগইন করা। যদি ব্রাউজারের কুকিস চুরি হয়ে যায় ভাবতে পারেন সেটা কতটা ভয়াবহ হতে পারে।
আমরা কিছুদিন আগে ভাইরাসের আক্রমণে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম সেটা ছিল Ransomware ভাইরাস। তারা ব্যবহারকারীর সকল ডাটা এনক্রিপ্ট করে দিয়েছিল এবং আনলক করার জন্য চাঁদা চেয়েছিল ১০০০ হাজার ডলার পর্যন্ত। তাই আমাদের উচিত আমরা প্রতিদিন যে ওয়েবসাইট গুলো বেশি ব্যবহার করছি আসলেই সেগুলো নিরাপদ কিনা সেটা যাচাই করে নেয়া।
আমরা প্রায়ই খবর পাই, অমুক প্রতিষ্ঠানের সার্ভার হ্যাক এত মিলিয়ন ডাটা গায়েব, অমুক ব্যাংকের সার্ভার হ্যাক এত কোটি টাকা উধাও ইত্যাদি৷ কারা করে এগুলো। হ্যাঁ অবশ্যই হ্যাকাররা।
কিন্তু কে এই হ্যাকার? কি পরিচয় তার? আসল নাম কি, থাকেই বা কোথায়? কোন কিছুই কখনো প্রকাশ পায় না।
কেন পায় না, তার কারণ হচ্ছে তারা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য গোপন করে ইন্টারনেটে অবস্থান করে। যাদের নেই কোন নির্দিষ্ট আইপি এড্রেস বা নির্দিষ্ট পরিচয়। আসলে তারা কি ব্যবহার করে কিভাবে ব্যবহার করে কেনইবা আমরা তাদের সম্পর্কে কোন কিছু জানতে পারি না এই সব বিষয়ে আলোচনা হবে এই টিউনে।
বিষয়টি একদম পরিষ্কার হয়ে যাবে, ধরুন আপনি একজন হ্যাকার কোন কারণে আপনার পরিচয় গোপন রাখতে চান, তাহলে দেখে নিন আপনার পদক্ষেপ গুলো কি হবে। অথবা আপনি নিজে কিভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন হ্যাকারের হাত থেকে সমস্ত বিষয় আলোচনা করা এই টিউনে।
অনলাইনে কোন কিছু করা বা কোন সুবিধা ভোগ করার নামই হচ্ছে ইন্টারনেট ব্রাউজিং। তো কিভাবে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্রাউজ করবেন? চলুন দেখে নেয়া যাক কি কি উপায়ে আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজ হবে নিশ্চিন্তে।
আপনি আলাদা কোন সফটওয়্যার ব্যবহার না করেই কেবল মাত্র ব্রাউজারে কিছু সেটিং করেই ব্যবহার করতে পারবেন নিরাপদ ইন্টারনেট। ধরুন আপনি কোন সাইটে ঢুকছেন, বাংলাদেশ থেকে এখন যদি আপনার প্রক্সি চেঞ্জ করে ভারতেই প্রক্সি দিয়ে দেন তাহলে সেই সাইটের মালিক আপনার এড্রেস দেখবে ভারত হিসেবেই। বিভিন্ন প্রক্সি সার্ভার পেতে গুগলে গিয়ে সার্চ করুন, Free Proxy server দেখবেন অনেক গুলো সাইট চলে আসবে চোখে সামনে। সেখান থাকে প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করে করতে থাকুন নিরাপদ ব্রাউজিং।
এটিও অনেকটা প্রক্সি সার্ভারের মতই। এর মাধ্যমে আপনার আইপি এবং লোকেশন চেঞ্জ হয়ে যায়। আপনি ভিপিএন ব্যবহার করলে ইন্টারনেটে আপনার সকাল তথ্য থাকবে নিরাপদ। কোন কোন দেশে বিশেষ কিছু ওয়েবসাইট ব্লক করে দেয়া হয় সেই ব্লক করা ওয়েব সাইটেও এক্সেস করা যায় ভিপিএন এর মাধ্যমে।
বাজারে ফ্রি এবং পেইড দুধরনের ভিপিএনই পাওয়া যায়। সাধারণ কাজে ফ্রি ভিপিএন কাজ করলেও একটু এডভান্স লেভেলের কাজে পেইড ভিপিএন দরকার হয়। তবে আপনি চাইলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন নিজেস্ব ভিপিএন।
নিজেই নিজের ভিপিএন বানাতে আমার এর টিউনটি দেখতে পারেন, Outline – এবার নিজেই তৈরি করুন আপনার নিজেস্ব VPN! গুগলের ফ্রি, ওপেন-সোর্স ও স্বয়ংক্রিয় VPN ইন্সটলেশন টুল! কেন? ও কিভাবে ব্যবহার করবেন?
আমরা অনেকে Tor ব্রাউজারের নাম শুনেছি বা এর সম্পর্কে জানি। এটি এমন একটি ইন্টারনেট ব্রাউজার যা ব্যবহার করলে আলাদা ভিপিএন বা প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করতে হয় না। এর মাধ্যমে আপনার আইপি বারবার চেঞ্জ হয়ে ইন্টারনেটে পাবলিশ হয় যার মাধ্যমে আপনি আসল পরিচয় গোপন থাকে। আপনারা অনেকে হয়তো ডার্ক ওয়েবের কথা শুনেছেন, ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করতে এর Tor ব্রাউজার ব্যবহার করা হয়।
আমাদের গতানুগতিক ব্রাউজার গুলো যেমন, ফায়ার ফিক্স, গুগল ক্রোম, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার থেকে Tor ব্যবহার করা অনেক বেশিই নিরাপদ যা দিয়ে আপনার সমস্ত তথ্য হাইড থাকবে।
সাধারণ ব্যবহারকারীদের কাছে গুগল বেস্ট হলেও যখন আপনি Anonymous ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাইবেন তখন কখনোই গুগল ব্যবহার করা যাবে না। আমরা জানি গুগল আপনার সব তথ্য কালেক্ট করে তাই এই সার্চ ইঞ্জিন কখনোই নিরাপদ নয়।
বিশ্বাস যোগ্যতার দিক থেকে গুগলকে অনেক বারই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। যেমন তাদের সার্চ রেজাল্টে প্রতারণা, ইউজারদের তথ্য চুরি, অন্য সার্চ ইঞ্জিনদের চাপে ফেলে লাভবান হওয়া ছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে গুগলের বিরুদ্ধে।
শুধু গুগলের সার্চ ইঞ্জিনই নয় গুগলের অন্য কোন প্রোডাক্টও ব্যবহার করা যাবে না যেমন, Google Map, Gmail ইত্যাদি।
Google, Bing এর মত বড় কোম্পানি ছাড়াও ইন্টারনেটে আরও কিছু সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে যেমন, Ecosia, Startpage, Qwant, DuckDuckGo। সেই সার্চ ইঞ্জিন গুলো সবাই ব্যবহার করে কিন্তু তাদের বিস্তর একটা প্রভাব আছে ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি ইস্যুতে। মাঝে মাঝে ইউজাররা গুগল এর চেয়ে ওইসব সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারে বেশি প্রাধান্য দেয়।
আমি আগেই বলেছি গুগলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগই ছিল ইউজারের প্রাইভেসি নিয়ে সুতরাং যারা প্রাইভেসি সচেতন তারা ওইসব সাইট ব্যবহার করে। সার্চ ইঞ্জিন গুলো বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা ইউজারদের পারসোনাল ডাটা ট্র্যাক করে না যেমন, কুকিস, ব্রাউজিং হিস্ট্রি ইত্যাদি। বিভিন্ন কাজে হ্যাকাররা নিজেদের আইপি গোপন করার জন্য গুগলের বিকল্প এই সার্চ ইঞ্জিন গুলো ব্যবহার করে।
এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে আমার এই টিউনটি পড়ে আসতে পারেন। গুগল কেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী সার্চ ইঞ্জিন গুলোকে টিকিয়ে রেখেছে?
আপনি যদি হ্যাকার থেকে বাচতে চান অথবা নিজে হ্যাকার হয়ে অন্যদের থেকে বাচতে চান তাহলে ওয়েব ব্রাউজিং এর পাশাপাশি ইমেইল এড্রেসের দিকেও সচেতন হতে হবে। ইমেইল এড্রেসের দিক থেকে কিভাবে নিরাপদ থাকতে পারেন চলুন দেখে নেয়া যাক।
আপনি কাউকে ইমেইল সেন্ড করতে আপনার ইমেইল গোপন রেখে অন্য মেইল দিয়েও ফরওয়ার্ড করতে পারেন। এজন্য আমরা Alias Email ব্যবহার করি। হ্যাকার বা অন্যরা ভাববে অন্য মেইল থেকে মেইল এসেছে তারা বুঝতে পারবে না সেটা আপনার কাজ।
আমরা সবাই জানি একটা ফোন নাম্বার দিয়ে মাত্র একটিই মেইল এড্রেস খুলা যায় কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না ইমেইল খুলতে ফোন নাম্বার লাগেই না এমনকি প্রতি মিনিটে তৈরি করে নিতে পারবেন একটি করে ইমেইল এড্রেস। হ্যাঁ আমি Temporary অথবা Disposal ইমেইলের কথা বলছি।
এমন বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে যেগুলোর মাধ্যমে ডিসপোজাল ইমেইল পেয়ে যাবেন। এবং আপনার পরিচয় থাকবে নিরাপদ ও গোপন। গুগলে সার্চ করে ফেলতে পারেন Disposable email লিখে।
আপনি যদি সহজে পরিচয় হাইট করতে চান তাহলে সহজ উপায় হচ্ছে blind carbon copy বা BCC ব্যবহার করা
এবার আমরা আলোচনা করব কিভাবে নিরাপদে বা পরিচয় গোপন করে ইন্টারনেট থেকে ফাইল ডাউনলোড করবে। যেকোনো কিছু যখন আপনি ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড দিবেন তখনো আপনার তথ্য বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতে পারে, তাই ডাউনলোড দেয়া ক্ষেত্রেও সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
আমি ব্রাউজিং এর ক্ষেত্রে প্রক্সি নিয়ে যা বলেছি এখানেও একই কথা প্রযোজ্য শুধু এখানে প্রক্সি ব্যবহার করবেন আপনার ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার এ অথবা ব্রাউজার দিয়ে ডাউলোড করলে ব্রাউজারে।
ইন্টারনেট থেকে পরিচয় গোপন করে ডাউনলোড দেয়ার সবচেয়ে যুগান্তকারী উপায় হচ্ছে টরেন্ট৷ টরেন্টের মাধ্যমে আপনি ক্রেকিং, ফ্রি এমনকি পেইড সফটওয়্যারও পেয়ে যেতে পারবেন একদম বিনা মূল্যে।
মাঝে মাঝে টরেন্ট ডাউনলোড স্লো হয়ে যায়। এজন্য আমার এই টিউনটি ফলো করতে পারেন।
আপনার টরেন্ট ডাউনলোডকে সুপার ফাস্ট করতে ১৩+ এক্সক্লুসিভ সেটিং! কনফিগার করে নিন uTorrent
আপনি হয়তো জেনে থাকবেন আমরা যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করি তখন আমাদের ব্রাউজারে কিছু ফাইলের সৃষ্টি হয় যাকে বলা হয় Cookies। এই Cookies এ থাকে আপনার আইডেন্টেকটিউনস ইনফরমেশন এবং অনেক তথ্য। ইন্টারনেটে নিরাপত্তা পেতে আগে আমাদের Cookies কে নিরাপদে রাখতে হবে।
কিছু কুকিজ আসলেই দরকার হয় আবার কিছু কুকিজ দিয়ে আমাদের তথ্য নিয়ে নেয়ার প্ল্যান করা হয় তাই থার্ড পার্টি কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে কখনোই কুকিজ এলাও করা যাবে না। মাঝে মাঝে কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা মাত্রই আপনার কুকিজ ব্যবহারের পারমিশন চাওয়া হয় ভুলেও না বুঝে পারমিশন গ্র্যান্ড করা যাবে না।
যেকোনো ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার লোকেশন অন করা যাবে না বুঝতেই পারছেন এতে করে যেকেউ ট্র্যাক করে ফেলতে পারবে আপনি বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছেন।
আমাদের ব্রাউজার, ওয়েবসাইট সব কিছুতেই আছে Javascript। এই Javascript ব্লক করা এতটা সহজ নয়। আবার বিভিন্ন ক্ষতিকর Javascript এর জন্য আপনার তথ্য চলে যেতে পারে অন্য ওয়েব-সার্ভারে। তাই এই Javascript এর বিষয়েও সচেতন হতে হবে আমাদের। আপনি চাইলে NoScript নামের একটা ব্রাউজার এক্সটেনশন ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার ডাটাকে ওয়েব সার্ভারে যেতে বাধার সৃষ্টি করবে।
আলাদা করে লোকেশন, কুকিজ ব্লক না করেও সহজেই সেটিং করে নিতে পারবেন আপনার ক্রোম ব্রাউজার। চলে যান Settings>Privacy and security>Site settings এবং প্রয়োজন মত যা ইচ্ছে ব্লক করে নিন।
এতক্ষণ আমি আলোচনা করলাম বিভিন্ন ওয়েবসাইট কিভাবে আপনার তথ্য চুরি করতে পারে বা তথ্য হাতিয়ে নেয়। তবে একটা কথা সত্য যে, সব ওয়েবসাইট কিন্তু আপনার ইনফরমেশন নিতে আগ্রহী থাকে না বা তাদের কোন উদ্দেশ্য থাকে না আপনাকে বিপদে ফেলার।
সুতরাং কিভাবে চিনবেন কোন ওয়েব সাইট নিরাপদ আর কোন ওয়েবসাইট নিরাপদ নয় এটা জানতে নিচের ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে চেক করে নিতে পারেন
অথবা আমার এ নিয়ে এই বিস্তারিত টিউনটি পড়ে নিতে পারেন, এবার অনলাইনেই চেক করে নিন আপনার ব্যবহৃত ওয়েবসাইট কতটা নিরাপদ!
এবার আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেব চমৎকার কিছু ব্রাউজার এক্সটেনশনের সাথে যেগুলো ব্যবহারে মাধ্যমে আপনি নিরাপদ থাকতে পারবেন ইন্টারনেট দুনিয়ায়
এটি আপনাকে harmful ওয়েবসাইট থেকে দেবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। ওয়েবসাইটের আপনার ডাটা ব্যবহার করা ব্লক করে দেবে।
Privacy Badger এই এক্সটেনশন টি আপনার ব্যবহার করা সকল ওয়েবসাইট মনিটর করবে এবং Harmful ওয়েবসাইট ট্র্যাক করে ব্লক করবে।
চমৎকার এই এক্সটেনশনটি আপনার ব্রাউজ করা ওয়েবসাইটের HTTPS স্কেন করে আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। আপনার ওয়েবসাইটটি ভ্যালিড সার্টিফিকেট আছে কিনা এটা চেক করে আপনাকে ওয়ার্ন করবে যাতে করে আপনি পাবেন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা।
কখনো কখনো আপনার ব্রাউজারও আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দিতে পারে। এমনি আপনি যখন ভিপিএন ব্যবহার করবেন তখনো প্রকাশ পেয়ে যেতে পারে রিয়েল আইপি। এই সমস্যা গুলো হতে পারে যখন আপনার ব্রাউজারে WebRTC এনে-বল করা থাকবে। কিন্তু এই Disable WebRTC এক্সটেনশনটি আপনাকে WebRTC ডিজেবল করতে সাহায্য করবে
এই এক্সটেনশনটি আপনাকে ফ্লাশ ইলিমেন্ট ব্লক করার মাধ্যমে দিতে পারবে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার নিশ্চয়তা।
এটি আপনাকে ইন্টারনেটে Annomus রাখার পাশাপাশি অন্য সকল ঝুঁকিপূর্ণ প্লাগ-ইন ব্লক করে দিতে সাহায্য করবে।
টিউন লেখতে লেখতে অতিরিক্ত কিছু টিপস মনে পড়ে গেল চলুন দেখে আসি।
আপনার যখন ইন্টারনেটের কোন ফাইল বা সফটওয়্যার সন্দেহ হবে বা মনে হবে এখানে ভাইরাস থাকতে পারে তখন আপনি এটা আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল না দিয়ে আগে ভার্চুয়াল মেশিনে ইন্সটল দিয়ে চেক করে নিতে পারেন।
আমরা জানি ভার্চুয়াল মেশিনের প্রায় সকল অপারেটিং সিস্টেমই রান করা যায়।
আপনি যদি anonymous থাকতে চান তাহলে কোন কাজে কখনো ফোন কল ব্যবহার করা যাবে না কারণ আমরা জানি সিমের সাথে আমাদের সকল তথ্য থাকে। সিমের তথ্য না থাকলেও নেটওয়ার্ক ট্র্যাকিং এর মাধ্যমেও আপনার পরিচয় ফাঁস হতে পারে।
আপনাকে অবশ্যই স্প্যাম চিনতে হবে এবং নিজের নিরাপত্তার স্বার্থেই এগুলোতে ক্লিক করা যাবে না। স্প্যাম ফিশিং নিয়ে আমার এই টিউনটি দেখতে পারেন।
জেনে নিন ফিশিং কি? কত ধরনের ফিশিং হতে পারে
নিজের নিরাপত্তা বাড়াতে পাসওয়ার্ড চেঞ্জ এর বিকল্প নেই। যখনি সন্দেহ হবে ঝটপট আপনার পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে নিন।
আজকাল বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বা মার্কেট-প্লেসে ওয়েব সাইট এবং ব্যাংকিং ওয়েবসাইটে Multi-factor authentication ব্যবহার হচ্ছে। অবশ্যই এটি ব্যবহার করুন এতে পাসওয়ার্ড জেনে গেলেও কেউ আপনার একাউন্টে ঢুকতে পারবে না।
যারা এন্টিভাইরাস ব্যবহার করি সেখানে বিভিন্ন ফায়ার ওয়েল থাকে নিজের নিরাপত্তার জন্য ফায়ার ওয়েল গুলোও ব্যবহার করতে পারেন। ভাল নিরাপত্তা পেতে প্রতিদিন আপনার ভাইরাস আপডেট চেক করুন।
আমরা সবাই জানি বর্তমানে ইন্টারনেট ডাটা প্রাইভেসি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আজকে আমাদের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক সকল থাকে অনলাইনে। আপনার অজান্তেই আপনার সেই সকল তথ্য চলে যেতে পারে হ্যাকারের হাতে। আর অনলাইন নিরাপত্তা আমাদের সবার জন্যই জরুরী। বর্তমানে বের এর হচ্ছে বিভিন্ন হ্যাকিং পদ্ধতি যার মাধ্যমে অনলাইনে সেইফ থাকা আমাদের জন্য আরও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আপনাকে সচেতন হতে হবে আজকেই।
কেমন হল আজকের টিউন তা অবশ্যই টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
পরবর্তী টিউন পর্যন্ত ভাল থাকুন। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, আল্লাহ হা-ফেজ।
আমি সোহানুর রহমান। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 627 টি টিউন ও 200 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 118 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো প্রজাপতির ডানা ঝাপটানোর মত ঘটনা পুরো পৃথিবী বদলে দিতে পারে।