হ্যালো টেকটিউনস জনগন, কেমন আছেন আপনারা সবাই? টেকটিউনসের নিত্যনতুন টপিক আর সার্ভিস নিয়ে ভালো না থেকে আর উপায় আছে? আর এই নিত্যনতুন টপিক আর সার্ভিসের ধারা বজায় রাখার নিমিত্তে, আজকে আমি আপনাদের সাথে একদম নতুন একটি টপিক নিয়ে হাজির হলাম। আর আপনারা এই টিউনের মাধ্যমে জানতে পারবেন অনেক নতুন নতুন সব তথ্য।
আপনারা যদি "Spy Software" লিখে গুগলে সার্চ করেন তাহলে ১৫০ মিলিয়নেরও বেশি সার্চ রেজাল্ট পাবেন। আর যারা হ্যাকার তাদের এই স্পাই সফটওয়্যার এবং গ্যাজেট নিয়ে বিশাল আগ্রহ রয়েছে। যদি আইন আনুযায়ী বলতে হয় তাহলে আমরা সবাই জানি যে Spying বা গুপ্তচরবৃত্তি হচ্ছে অবৈধ। আর এই Spying এর কারণে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের প্রাইভেসি বা গোপনীয়তা এখন হুমকির মুখে।
যদি কেউ আপনার উপর Spying বা গুপ্তচরবৃত্তি করে তাহলে তাদেরকে কোন কষ্ট করা লাগে, তার মানে কোন রকম কষ্ট ছাড়াই আপনার ডাটা নিয়ে যাবে। আর এর থেকে নিজেকে বাঁচাতে চাইলে বেশ কয়েকটি টুলস রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি আপনার কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা অন্য যেকোন ডিভাইসে হিডেন স্পাই অ্যাপ ইন্সটল করা আছে কিনা তা খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে।
কিছুদিন আগেই আমি প্রাইভেসি ফ্রেন্ডলি এক ঝাঁক অ্যাপের টিউন করেছিলাম। যারা নিজেদের সাইবার প্রাইভেসি নিয়ে বেশ সচেতন তাদের নিশ্চয়ই টিউনটি দারুণ কাজে লেগেছে।
ইতিমধ্যে আপনারা নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন আজকে আমি কি টপিক নিয়ে টিউন করতে যাচ্ছি। তারপরেও বলছি, আজকে আমি অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো তা হলো, ডিজিটাল স্পায়িং ও স্পাই সফটওয়্যার থেকে কিভাবে নিজেকে বাঁচাবেন। তো আর বেশি কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন হচ্ছে আমাদের অন্যতম সঙ্গী, একটা সেকেন্ড এই স্মার্টফোন ছাড়া চিন্তা করাই মুশকিলের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া এই স্মার্টফোন হচ্ছে আমাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত তথ্যের এক বিশাল ভান্ডার। আর আপনি আপনার স্মার্টফোন দিয়ে ইমেইল এবং টেক্সট ম্যাসেজ এ অ্যাক্সেস করেন, সেলফি তুলেন, ব্যাংকের ইনফর্মেশন সংরক্ষণ করেন এবং এগুলির বাইরে আরও অনেক কিছুই করে থাকেন। স্মার্টফোনে স্পায়িং করার জন্য রয়েছে অসংখ্য অ্যাপস। আর এই কারণে, স্পাইং অ্যাপ এবং ডাটা চুরির জন্য স্মার্টফোন ই হল হ্যাকারদের মূল টার্গেট।
আপনার স্মার্টফোনে যদি ভুলক্রমে একবার স্পাইং অ্যাপ ইনস্টল করে ফেলেন, তাহলে সেই স্পাইং অ্যাপ আপনার ফোনের ডাটা কানেক্টশন ব্যবহার করে আপনার ডাটা হ্যাকারের কাছে পাঠিয়ে দিবে মুহূর্তেই। আপনার যেসব ডাটা হ্যাক হতে পারে তা হলঃ
আর স্পাই অ্যাপ্লিকেশন গুলি স্মার্টফোনে আক্রমণ করে আপনার সকল তথ্য হ্যাক করে নিয়ে যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ডাটা এনালাইসিস করার জন্য স্পাই অ্যাপ রিমোট সার্ভারে আপনার ফোনের ডাটা সেন্ড করতে পারে, অন্যদিকে ফোন কল সরাসরি শুনতে আপনার স্মার্টফোনের মাইক্রোফোন অ্যাক্টিভ করতে পারে বা GPS এর মাধ্যেমে আপনার রিয়েল টাইম লোকেশন ট্রাকিং করতে পারে।
তাছাড়াও স্মার্টফোনে স্পাইয়িং অ্যাপ ইন্সটল করা থাকলেও আপনি বুঝতে পারবেন না কারন এর কোন ইউজার ইন্টারফেস নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, আপনি iOS অথবা Android যেই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন না কেন, স্পাই অ্যাপ্লিকেশানটির আইকন হাইড করা থাকে। ফলে তারা আপনার ফোনে বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে রিমোটলি অ্যাক্সেস করতে পারে সেই স্পাই অ্যাপ এর মাধ্যমে মুহুর্তেই।
Android এবং iOS স্পাই অ্যাপ থেকে নিজেকে বাঁচাতে নিম্নে কিছু উপায় উল্লেখ করা হল:
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস গুলি বেশ কয়েকটি কারণে সুরক্ষিত নয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নিম্নে আলোচনা করা হলঃ
প্রথমত, অনেক ধরনের ডিভাইসে Android ব্যবহার করার ফলে এর দুর্বল দিকগুলি সহজেই খুঁজে বের করা যায়। এছাড়াও অনেক পুরানো হার্ডওয়্যারও Android ডিভাইস ব্যবহার করা হয়, যার ফলে এগুলো আরো ঝুঁকির মধ্যে থাকে। তাছাড়াও হার্ডওয়্যার - এর বয়স এবং ধরনের উপর লক্ষ করে স্পাই অ্যাপ তৈরি করা হয়।
দ্বিতীয়ত, iOS ডিভাইস কে জেলব্রেক করার চেয়ে Android ডিভাইসটি রুট করা সহজ। Android ডিভাইসকে রুট করলে আপনি পুরো ডিভাইস অ্যাক্সেস নিতে পারবেন। আর তাই যেকেউ আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসকে সহজেই রুট করতে পারে এবং তারপরে স্পাই অ্যাপ ইন্সটল করে তা হাইড করে রাখতে পারে।
Android ইউজারদের কাছে দুটি অপশন রয়েছে, একটি হল স্পাই অ্যাপ ট্র্যাকিং এবং আরেকটি হল অ্যাপ রিমুভ করে দেওয়া।
প্রথমে, Malwarebytes Security অ্যাপ ব্যবহার করে আপনার ডিভাইসটি স্ক্যান করুন। আর আপনারা জানেন যে Malwarebytes Security অ্যাপটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি Antivirus এবং Antimalware টুলস। নিচের লিঙ্ক থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন এবং স্ক্যান করে দেখুন কোন স্পাই অ্যাপ ইন্সটল করা আছে কিনা। আর যদি কোন স্পাই অ্যাপ খুঁজে পান তাহলে দ্রুত সেটা রিমুভ করে দিন।
ডাউনলোড : Malwarebytes Security for Android (ফ্রি)
Malwarebytes Security অ্যাপ এর মাধ্যমে স্পাই অ্যাপ রিমুভ করার পরেও যদি আপনার সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে ফোনটি ফুল ফ্যাক্টরি রিসেট দিতে হবে। আর ফুল ফ্যাক্টরি রিসেট দেওয়ার মাধ্যমে আপনার ফোনে ইন্সটল হওয়া সকল অ্যাপ রিমুভ হয়ে যাবে।
iOS অপারেটিং সিস্টেমও স্পাই অ্যাপ রয়েছে কিন্তু সেটা ইন্সটল করার পদ্ধতি Android থেকে আলাদা। Android থেকে iOS অপারেটিং সিস্টেমটি আরও সিকিউর, আরও উন্নত প্রাইভেসি ফিচার নিশ্চিত করে। আর এই সিকিউরিটির মূলে রয়েছে তাদের অ্যাপ স্টোর। যদি কোন একটি অ্যাপ iOS এর অ্যাপ স্টোরে না থাকে আর সেই অ্যাপটি যদি আপনি ইন্সটল করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার iPhone অথবা iPad কে জেলব্রেক করতে হবে।
এছাড়া আপনার iOS ডিভাইসটি জেলব্রেক করা কিনা তা চেক করার সহজ উপায় হলো Cydia অ্যাপ আপনার ফোনে ইন্সটল করা আছে কিনা তা খুঁজে দেখা। আর Cydia অ্যাপ iOS ডিভাইসকে কাস্টমাইজেশন এবং নন-নেটিভ iOS অপশন এর পারমিশন দেয়। যদি আপনি আপনার ফোনে Cydia অ্যাপ খুঁজে পান তাহলে চিন্তার কোন কারন নাই, আপনি আপনার ফোনটি ফ্যাক্টরি রিসেট দিন তাহলে জেলব্রেক রিমুভ হয়ে যাবে এবং অন্য কোন স্পাই অ্যাপ ইন্সটল করা থাকেলেও তাও ডিলিট হয়ে যাবে।
সম্প্রতি, iOS এর জন্য নতুন প্রজন্মের স্পাই অ্যাপ ডেভলপ করা হয়েছে যাতে আপনার ফোনকে জেলব্রেক করতে হয়না। এই ধরনের অ্যাপ ইন্সটল করতে ইউজার এর পারমিশন দিতে হতে হয়। এই অ্যাপ আপনাকে ট্রাক এবং রিয়েল টাইমে মনিটর করতে পারে। এছাড়াও এই স্পাই অ্যাপ এর মাধ্যমে যদি গুপচর ব্যক্তি আপনার iCloud লগইন করার সকল ইনফরমেশন পেয়ে যায় তাহলে এই স্পাই অ্যাপ এর মাধ্যমে আরো অনেক কিছু করতে পারবে।
দুর্ভাগ্যক্রমে, iOS এ লেটেস্ট স্পাই অ্যাপ খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য ব্যপার। তারপরেও ব্যবহারকারীদের উচিৎ তাদের ডাটা ব্যবহার, মেসেজিং, ইনকামিং এবং আউটগোয়িং কল এবং ব্যাটারি এর স্ট্যাটিস্টিক পর্যাবেক্ষন করে দেখা। তাছাড়া যেকোন স্পাই অ্যাপ আপনার ডিভাইসের ব্যাটারির উপর খারাপভাবে প্রভাব ফেলে কেননা এটি সবসময় আপনার ডিভাইসের ডাটা ব্যবহার এবং ইনফরমেশন আদান প্রদান করে থাকে।
Cydia অ্যাপের মতো, iOS ডিভাইস থেকে যেকোন স্পাই অ্যাপ রিমুভ করার সবচেয়ে সহজতম উপায় হচ্ছে ডিভাইসটিকে ফ্যাক্টরি রিসেট দেয়া।
ডেস্কটপে স্পাইয়িং করার অন্যতম মাধ্যম গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রিমোট অ্যাক্সেস অ্যাপ্লিকেশন, কী-লগার এবং ম্যালওয়্যার। আর আপনার কম্পিউটারের সকল এক্টিভিটি হওয়ার সাথে সাথে VNC অ্যাপ এর মাধ্যমে যে কেউ দেখতে পারবে। তাছাড়াও রিমোট অ্যাক্সেস ট্রোজান (RAT) হল বিপজ্জনক ম্যালওয়্যারগুলির মধ্যে অন্যতম, যার মাধ্যমে হ্যাকাররা আপনার সিস্টেমে অ্যাক্সেস করতে পারবে সহজেই।
অবশেষে, কী-লগার স্পাই অ্যাপ আপনার করা প্রতিটি কী-প্রেস রেকর্ড করে রাখে এবং আপনার ব্যাংক থেকে শুরু করে সোস্যাল মিডিয়াতে ব্যবহার করা পাসওয়ার্ড এবং আরও অনেক কিছু হ্যাকাররা জানতে পারে সহজেই, আর এগুলি সবই হবে আপনার অগোচরে।
স্মার্টফোনে স্পাই অ্যাপ ইন্সটল করার চেয়ে অনেক সহজেই কম্পিউটারে স্পাই অ্যাপ ইন্সটল করতে পারে দূরে বসেই। তাছাড়া এমন কিছু অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে যা সহজেই হ্যাক করা যায় যেমনঃ অ্যান্ড্রয়েড আর উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর সিকিউরিটি তুলনামূলক দুর্বল হওয়ার কারণে স্পাই অ্যাপ ইন্সটল করা অনেক সহজ। তবে macOS এবং লিনাক্স ব্যবহারকারীগণ নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন কেননা এগুলিতে খুবই ভাল সিকিউরিটি সিস্টেম রয়েছে।
ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপ কম্পিউটারের জন্য অনেক ধরনের স্পাই অ্যাপ রয়েছে আর অনেকগুলি স্পাই অ্যাপ থাকা মানে এগুলি থেকে বাঁচার পথ সীমিত। আর তাই এগুলি থেকে বাঁচার জন্য নিম্নের পদ্ধতিগুলি ফলো করবেনঃ
এই পদ্ধতিগুলি ফলো করলেই যে আপনি স্পাইয়িং থেকে বেঁচে যাবেন তা কিন্তু নয়। যদি সত্যিই কেউ স্পাইয়িং করতে চায় তবে তারা আপনার কম্পিউটারে স্পাই সফটওয়্যার ইন্সটল করার একটি উপায় বের করে ফেলবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, স্পাই অ্যাপটি আপনার ডেস্কটপে যারা সরাসরি অ্যাক্সেস করতে পারে তারাই এটি ম্যানুয়ালি ইন্সটল করে থাকে।
আপনার ডেস্কটপে যদি স্পাইওয়্যার ইনস্টল থাকে তবে আপনি কয়েকটি পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন। আর সব সমস্যাগুলি সাধারণত একই ধরনের হয় কারণ স্পাই অ্যাপগুলি একই। আপনার কম্পিউটারে সম্ভাব্য যেই সমস্যাগুলি হতে পারে:
আপনার কম্পিউটারে যদি উপরের কোন একটি সমস্যা থাকে তাহলে স্পাই অ্যাপ থাকতে পারে আর স্পাই অ্যাপ খুঁজে বের করা এবং রিমুভ করা খুব সহজ নয় কারণ এগুলি প্রোগ্রাম লিস্টে থাকে না। তারপরেও আপনি চেষ্টা করলে অবশ্যই স্পাই অ্যাপ খুঁজে বের করতে এবং রিমুভ করতে পারবেন।
আমি আগেই বলেছি Malwarebytes অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি খুবই উপকারী একটা সফটওয়্যার, আর এই জন্য উইন্ডোজ এবং macOS ইউজাররা Malwarebytes এর প্রিমিয়াম ভার্সন ডাউনলোড এবং ইনস্টল করবেন। তারপরে উক্ত সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ সিস্টেমটি স্ক্যান করুন। এরপরে আপনার কম্পিউটার'টি সেফ মোডে বুট করুন, তারপরে সম্পূর্ণ সিস্টেম স্ক্যান করুন। স্পাই অ্যাপ নরমাল বুটে লুকিয়ে থাকতে পারে। অন্যদিকে সেফ মোড হচ্ছে লো রিসোর্স ব্যবহার করে বুট প্রসেস যেখানে স্পাই অ্যাপ লুকিয়ে থাকার জন্য খুব কম প্রসেস এবং সার্ভিস ব্যবহার করে পারে।
Malwarebytes @ অফিসিয়াল ডাউনলোড
উইন্ডোজ এবং macOS অপারেটিং সিস্টেমে সেফ মোডে যাওয়ার পদ্ধতি একদমই আলাদা। উইন্ডোজ থেকে কিভাবে সেফ মোডে যেতে চাইলে গুগলে How to Boot in Safe Mode on Windows 10 লিখে সার্চ করুন, আর macOS ব্যবহারকারী হন তাহলে আপনাকে অবশ্যই কুইক গাইড চেক করে জানতে হবে কিভাবে macOS এর বুট মোডে যাবেন।
আপনার স্মার্টফোন বা ডেস্কটপ যদি গুপ্তচরকারী ব্যক্তি অ্যাক্সেস করতে না পারে তবে তারপরিবর্তে তারা আপনার মুভমেন্ট কে ট্র্যাক করতে পারে। তাছাড়া জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইস তুলনামূলকভাবে সস্তায় পাওয়া যায় আর এটা স্থাপন করাও তুলানামুলক ভাবে সহজ। এছাড়াও জিপিএস এর মত ছোট ডিভাইস গাড়ির মতো একটি বড় জিনিসে অনেক সহজে লুকিয়ে রাখা যায়।
কেউ যদি আপনার গাড়ি ট্র্যাক করে তাহলে গাড়ির ভিতরের বেশ কয়েকটি জায়গায় খুজলে তা বের করা সম্ভব। তারপরেও আপনার যদি কোন সন্দেহ হয় যে, আপনাকে কেউ জিপিএস ট্র্যাকার ব্যবহার করে ট্রাক করছে, তাহলে তা চেক করার জন্য নিম্নে কয়েকটি পয়েন্ট উল্লেখ করা হলো:
তাছাড়া জিপিএস ট্র্যাকার আকারে অনেক ছোট হয় বিধায়, আপনি যদি নিজের গাড়ির মধ্যে এটি খুজতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই পুরো গাড়িটি তন্ন তন্ন করে খুজতে হবে।
এছাড়াও আপনি যদি চান তাহলে আপনার গাড়ির On-Board Diagnostics (OBD) পোর্ট চেক করে দেখতে পারেন সেখানে সন্দেহজনক হার্ডওয়ার এর সন্ধান পেতেও পারেন। আর On-Board Diagnostics (OBD) পোর্ট কিভাবে চেক করতে হয় তা যদি আপনি না যেনে থাকেন তাহলে গুগলে সার্চ করলেই অনেক কন্টেন্ট পাবেন।
তাছাড়া আপনি জিপিএস জ্যামিং গ্যাজেট ব্যবহার করে জিপিএস সিগন্যালও জ্যাম করে রাখতে পারেন ফলে কেউ আপনার রিয়েল টাইম লোকেশন জানতে পারবে না। তবে বিভিন্ন কারণে জিপিএস সিগন্যাল জ্যামার ব্যবহার করা আইন সম্মত নয়।
আর এরপরেও আপনি যদি সন্দেহজনক কিছু খুঁজে না পান তাহলে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর ব্যবহার করে খুঁজে দেখতে পারেন।
বর্তমানে জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইসগুলির মতো, স্পাই ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোনও ক্রমাগত আকারে ছোট হচ্ছে। আর একটি হাই স্পেসিফিকেশন এর স্পাই ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন আপনার ঘরের যেকোন যায়গাতে স্থাপন করা যাবে। তাছাড়া লেটেস্ট ক্যামেরাতে অতিরিক্ত অনেক ফিচার থাকতে পারে যেমনঃ নাইট ভিশন, মোশন ট্র্যাকিং, ফেস ডিটেক্টিং, লাইভ স্ট্রিমিং এবং আরও অনেক কিছু।
তাছাড়া হিডেন ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন আকারে ছোট হওয়ার কারণে যেকোন ছোট জায়গাতে এটি সেট করা যায়। আর আপনি যদি সন্দেহ করেন, যে আপনার অফিস, বাড়িতে বা অন্যথায় হিডেন ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন থাকতে পারে তবে নিচের উল্লেখিত জায়গাগুলিতে চেক করুন:
তাছাড়া আপনি আপনার ঘরের দেয়ালে ছোট ছোট ছিদ্র আছে কিনা তা খুঁজে দেখতে পারেন, সেখানে ছোট পিনহোল ক্যামেরা পেলেও পেতে পারেন। এছাড়াও আরেকটি অপশন হল বাসার সমস্ত লাইট অফ করে দিয়ে চেক করা কোথাও কোন আলোর সন্ধান পাওয়া যায় কিনা, তাহলে সেখানেই স্পাই ক্যামেরা স্থাপন করা থাকতে পারে।
এছাড়াও আপনি আপনার ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চেক করে দেখতে পারেন কতটি ডিভাইস আপনার ওয়াইফাই ব্যবহার করছে। যদি হিডেন স্পাই ক্যামেরা আপনার ওয়াইফাই ব্যবহার করে ডাটা আদান প্রদান করে তাহলে সেখান থেকে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন। আর কিভাবে ওয়াইফাই ডিভাইস চেক করতে হয় তা না জেনে থাকেন তাহলে গুগলে সার্চ করলেই জানতে পারবেন কিভাবে তা চেক করতে হয়।
আপনাকে যদি কেউ বেআইনি ভাবে স্পাইয়িং করে আর তা আপনি খুঁজে বের করতে পারেন তাহলে এর অনুভূতি কাউকে বলে বুঝানো যাবে না। তবে গুপ্তচরকে বের করার পরে কি করা উচিৎ তা বিবেচনা করে করতে হবে। কেননা আপনার কাছে উপযুক্ত প্রমান থাকলে সরাসরি পুলিশকে জানানোই সবচেয়ে ভাল অপশন। আর কোন প্রমান ছাড়াই পুলিশকে জানানো অনুচিত।
আর স্পাইয়িং যে কেবল স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ফেস করছে তা কিন্তু নয়। তাছাড়া অ্যান্ড্রয়েড ইউজাররা সতর্ক থাকবেন যাতে করে কেউ আপনাকে স্পাই করতে না পারে। পরিশেষে এই স্পাইয়িং হচ্ছে আমাদের গোপনীয়তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
আমি এরকম নিত্যনতুন কাজের সফটওয়্যার নিয়ে টেকটিউনসে হাজির হবো নিয়মিত। তবে সে জন্য আপনার যা করতে হবে তা হলো আমার টেকটিউনস প্রোফাইলে আমাকে ফলো করার জন্য 'Follow' বাটনে ক্লিক করুন। আর তা না হলে আমার নতুন নতুন টিউন গুলো আপনার টিউন স্ক্রিনে পৌঁছাবে না।
আমার টিউন গুলো জোসস করুন, তাহলে আমি টিউন করার আরও অনুপ্রেরণা পাবো এবং ফলে ভবিষ্যতে আরও মান সম্মত টিউন উপহার দিতে পারবো।
আমার টিউন গুলো শেয়ার বাটনে ক্লিক করে সকল সৌশল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। নিজে প্রযুক্তি শিখুন ও অন্য প্রযুক্তি সম্বন্ধে জানান টেকটিউনসের মাধ্যমে।
আমি রায়হান ফেরদৌস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 182 টি টিউন ও 131 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 73 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
এতদিনে digital spying এর উপর একটি ভালো টিউন পেলাম।