ইউটিউব হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট। বর্তমানে ইউটিউব শব্দটার সাথে পরিচিত নন এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। পড়াশোনা থেকে শুরু করে দৈনন্দিন প্রায় সকল প্রকার কাজে ইউটিউব এর ব্যবহার অতুলনীয়।
ধরো, কাল তোমার এক্সাম। পড়তে ভালো লাগছে না? ইউটিউব অন করে দেখে ফেলতে পারো সেই বিষয় সম্পর্কিত টিউটোরিয়ালগুলো।
অথবা স্কুলের কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। টিচাররা বলে দিয়েছেন, শাড়ি পরা বাধ্যতামূলক। কিন্তু শাড়ি কিভাবে পরতে হয়? চিন্তা নেই! আছে ইউটিউব।
রোজকার এরকম আরো অসংখ্য ছোটবড় প্রয়োজনে আলাদীনের দৈত্যের মতোন আমাদের পাশে থেকে সাহায্য করে যাচ্ছে ইউটিউব।
এক নজরে দেখে নেই আমরা কী কী শিখবোঃ
ফ্রি প্রফেশনাল সাইট বানিয়ে ভিডিও র্যাঙ্ক করা ইত্যাদি আরো বিস্তারির আলোচনা করা হবে।
তাই দেড়ী না করে আমার চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে বেল আইকোন টি অন করে দিন যেন। নতুন ভিডিও সবার আগে পেতে পারেন।
YouTube থেকে টাকা আয় করার একমাত্র উপায় হলো, “নিজের YouTube একাউন্ট বা চ্যানেলে video upload করে”।
হে, আপ্নে ঠিকি শুনেছেন। নিজের ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে তাতে ভিডিও আপলোড করে আপ্নে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর, কেবল এক দুই টাকা নয়। লোকেরা ইউটুবে হাজার এবং লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন।
YouTube আসলে এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপ্নে সব রকমের Videos পাবেন। কিছু শিখতে চান যদি “টিউটোরিয়াল ভিডিওস”, সময় কাটানোর জন্য অনেক রকমের “funny videos” এবং অন্য সব রকমের ভিডিও আপ্নে এখানে দেখতে পাবেন।
কিন্তু, কথা হলো যে YouTube ওয়েবসাইটে এই video গুলি কারা দেন। কোথাথেকে এতো লক্ষ লক্ষ ভিডিও YouTube এ আসে। এর জবাব হলো, আপনার আর আমার মতো লোকেরা ইউটুবে ভিডিওস আপলোড করাতে এই লক্ষ লক্ষ video আমরা YouTube ওয়েবসাইট এ গিয়ে দেখতে পারি।
এখন কথা হলো, লোকেরা নিজের সময় নষ্ট করে কেন ভিডিও বানিয়ে বানিয়ে ইউটুবে দেন? তাদের লাভ কি হয়? আপ্নেও তাই ভাবছেন তো?
দেখেন, যারা নিজের YouTube channel বানিয়ে ভিডিও আপলোড করছেন তারা এমনেই এতো কষ্ট করছেনা। তারা নিজের আপলোড করা প্রতি ভিডিও থেকে taka income করেন।
আসলে, YouTube এর এমন একটা প্রক্রিয়া আছে জাকে “Monetization” বলা হয়। আর, এই monetization প্রক্রিয়াটা চালু করার পর আপ্নে নিজের আপলোড করা ভিডিও থেকে আয় করতে পারবেন।
আসলে, monetization প্রক্রিয়া চালু করার পর, আপনার আপলোড করা video তে YouTube এবং Google Adsense এর তরফ থেকে কিছু বিজ্ঞাপণ (advertisement) দেখানো হয়। এই বিজ্ঞাপণ ভিডিও শুরু হবার আগে দেখানো হয়। তাছাড়া, আজকাল ভিডিওর মাঝে মাঝেও বিজ্ঞাপণ দেখানো হয়। আর, যত বার লোকেরা আপনার video দেখবে তাতে যতবার বিজ্ঞাপণ দেখানো হবে ওই হিসাবে আপনার Google adsense account এ টাকা জমা হতে থাকবে।
আর, আপনার YouTube video থেকে আয় করা টাকা আপ্নে Google Adsense থেকে নিজের ব্যাঙ্ক একাউন্টে তুলে নিতে পারবেন।
Note: Google adsense গুগল এবং YouTube এর একটি ভাগ। গুগল এডসেন্স ব্লগার এবং ইউটিউবার দেড় নিজের ব্লগ বা YouTube video তে বিজ্ঞাপণ লাগিয়ে টাকা আয় করার সুযোগ দেয়। গুগল এডসেন্স এর দ্বারা লোকেরা এতটা টাকা আয় করছেন যে আপনি ভাবতে ও পারবেননা। আপ্নি ইউটুবে monetization চালু কোরে নিজের এডসেন্স একাউন্ট সেখানথেকে বানিয়ে নিতে পারবেন।
চলেন এখন আমরা step by step জেনে নেই YouTube চ্যানেল বানিয়ে আমরা কিভাবে টাকা আয় করতে পারবো।
এটা সত্যি যে YouTube এর দ্বারা video আপলোড কোরে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু, তা তখনি সম্ভব যখন আপনি ধোর্য ধরে প্রথমে নিজের YouTube চ্যানেলটি বানাবেন এবং সেট করবেন। চ্যানেল বানানোর থেকে টাকা ইনকাম করা অব্দি আপনার অনেকটা কাজ ধর্য ধরে করতে হবে। তা করতে পারলে আপনি অবশই নিজের চ্যানেল থেকে অনলাইন আয় করা আরম্ভ করতে পারবেন এবং নিজের YouTube চ্যানেল কে একটা business হিসেবে চালাতে পারবেন।
তাহলে চলেন নিচে আমরা ইউটিউব চ্যানেল দ্বারা টাকা কমানোর জন্য কি কি করতে হবে তা স্টেপ বাই স্টেপ জেনে নেই।
সবেরছে প্রথম এবং দরকারি কাজটা হলো, “নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল বানানো“। চ্যানেল বানানোর পর আপনি তাতে নিজের মন মতো videos আপলোড করতে পারবেন। কিন্তু, এখন কথা হলো “YouTube চ্যানেল কিকরে বানাবেন?” তাই তো।
নিজের একটি চ্যানেল বানানোর জন্য আপনার প্রথমে “ইউটিউব ওয়েবসাইটে” যেতে হবে। ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার প্রথমে নিজের Gmail account details (আইডি এবং পাসওয়ার্ড) দিয়ে YouTube এ লগইন করতে হবে। আমি আগেই বলেছি, ইউটিউব Google এর একটি service তাই ইউটুবে লগইন করতে হোলে বা একাউন্ট বানাতে হলে আপনার কেবল জিমেইল আইডি আর পাসওয়ার্ড এর প্রয়োজন হবে।
আজকাল সবাইর একটি জিমেইল একাউন্ট আছেই আর আপনি নিজের সেই জিমেইল আইডি দিয়েই YouTube এ লগইন কোরে নিতে পারবেন। আপনার যদি Google account নেই, তাহলেও আপনি “জিমেইল এর ওয়েবসাইটে” গিয়ে বানিয়ে নিতে পারবেন।
এখন নিজের চ্যানেলে গিয়েই (লগইন কোরে) আপনি ভিডিও আপলোড করতে পারেন। আনার আলাদা চ্যানেল বানানোর কোনো সেরকম প্রয়োজন নেই। কিন্তু, যদি আপনি নিজের একটি আলাদা ইউটিউব চ্যানেল বানানে চান, তাহলে তা অবশই পারবেন।
চ্যানেল বানানোর জন্য আপনার প্রথমে যা আমি বললাম, নিজের ইউটিউব একাউন্টে গিয়ে জিমেইল আইডি দিয়ে লগইন কোরতে হবে।
YouTube এ লগইন করার পর, আপনি ঠিক উপরে দান দিকে শেসে একটি ছোট্টো “icon এর লোগো” দেখবেন। আপনাকে সেই আইকন তাকে কোরতে হবে।
Icon টিতে ক্লিক করার পর আপনি একটি ছোট্ট মেনু দেখবেন। মেনুতে আপনার নাম ও “creator studio” বলে একটি অপসন দেখবেন। আপনি Creator studio অপসন টাতে ক্লিক করুন।
Creator studio তে যাবার পর আপনি নিজের YouTube channel dashboard দেখবেন। এখানে আপনি ওপরে নিজের চ্যানেলের নাম এবং চ্যানেলের সাথে জড়িত সবরকমের অপশনস পেয়েযাবেন।
এখন নিজের চ্যানেল চালু করতে হলে আপনার প্রথমেই একটি কাজ করতে হবে। সেই কাজটি হলো “Verify YouTube channel”. হে, আপনাকে নিজের YouTube চ্যানেলটিকে ভেরিফাই কোরতে হবে আর তারপর আপনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড কোরে টাকা আয় করতে পারবেন।
চ্যানেল ভেরিফাই করার জন্য আপনি এখন, Channel dashboard এ গিয়ে বাম দিকে থাকা অপশনগুলি থেকে “Channel” এ ক্লিক করুন।
Channel অপশনে ক্লিক করার পর আপনি উপরেই “Verify” লিংক দেখবেন। আপনি verify লিংকটিতে ক্লিক করুন এবং নিজের চ্যানেলকে মোবাইল নম্বর দিয়ে ভেরিফাই করেনিন। এরপর আপনি নিজের চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করতে পারবেন আর তাছাড়া ভিডিও তে বিজ্ঞাপণ দেখিয়ে টাকা আয় কোরতে পারবেন।
আপনি যদি অন্য নামের নতুন চ্যানেল বানাতে চান তাহলে ইউটুবে লগইন করে, উপরে ডানদিকে প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করুন। তারপর creator studio অপশনের শেষে “Gear icon” ক্লিক করুন। এতে ইউটুবে Settings page খুলে যাবে যেখানথেকে আপনি “Create a new YouTube channel” অপশনটি পাবেন।
এখন “Create a new YouTube channel” লিংক টিতে ক্লিক করে নিজের মনমতো নাম দিয়ে একটি YouTube চ্যানেল বানিয়ে নিন।
তো আমি আপনাদের নিজের চ্যানেল কিভাবে বানাবেন তা বললাম। চলেন এখন চ্যানেল বানানোর পর কি করতে হবে তা জেনে নেই।
View My Channel: Click Here
আমি মোহম্মাদ আকাশ। Graphic Designer,Web designer,seo,youtuber,blogger, Repto Educations Center, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।