হ্যালো” প্রিয়” রিডার! আপনাদের সবাইকে TechZoa.com এ পক্ষ থেকে আপনাদের স্বাগতম। কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটু সচেতন হওয়াটা খুব জরুরী। বেশিরভাগ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কাছে থেকে একটি অভিযোগ পাওয়া যায় সেটি হচ্ছে কমর ব্যাথা, ঘাড় ব্যাথা সহ আরও অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ স্থায়ীভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে যেতে পারে।
নিম্নে কম্পিউটার ব্যবহারজনিত কয়েকটি শারীরিক সমস্যার কারণ ও সমাধানের উপায় সমূহ আলোচনা করা হলো:
সমস্যা: ঘাড় এবং কাধঁ ব্যথা
কারন:
১. ব্যবহারকারীর আসন কম্পিউটার থেকে দূরে হওয়া।
২. সঠিক উচ্চতায় মনিটর স্থাপন না করা।
৩. সামনের দিকে ঝুঁকে কাজ করা।
৪. কী-বোর্ডের তুলনায় মাউস অধিক উচ্চতায় রাখা।
৫. ঘাড়ে এবং কানের কাছে টেলিফোন ধরা অবস্থায় কম্পিউটারে কাজ করা।
৬. মাথা কাত করে বা পিছনে হেলান দিয়ে কাজ করা।
সমস্যা: মাথা ব্যথা
কারন:
১. মনিটর ব্যবহারকারীর খুব কাছাকাছি স্থাপন করা।
২. মনিটরের কনট্রাস্ট নিম্নমানের বা রিফ্রেশরেট কম হওয়া।
৩. মনিটরের আকৃতি খুব ছোট হওয়া।
৪. মনিটরের আলো বা অন্য কোন কিছুর প্রতিফলন হওয়া।
৫. ফ্রন্ট সাইজ খুব ছোট হওয়া।
৬. কক্ষের আলো খুব কম বা বেশি হওয়া।
কিভাবে এটিএম মেশিন কাজ করে? এটিএম কার্ড স্কিমার!
সমস্যা: হাঁটু, গোড়ালি এবং পায়ের পাতা ব্যথা
কারন:
১. বেশি নরম বা বেশি উচ্চতার গদি বা ফোম যুক্ত চেয়ার ব্যবহার করা।
২. অধিক উচ্চতা সম্পন্ন কিংবা কম উচ্চতাসম্পন্ন চেয়ারে বসে কাজ করা।
৩. সিস্টেম ইউনিট ডেস্কের নিচে রাখার ফলে আরাম ভাবে পা না রাখতে পারা।
৪. বিরতিহীন ভাবে দীর্ঘক্ষন বসে কাজ করা।
সমাধান:
উপরের সমস্যা দুর করে স্বাচ্ছন্দ্য ভাবে কম্পিউটার ব্যবহার করতে হবে।
সমস্যা: হাত, কনুই এবং কব্জি ব্যথা
কারন:
১. কী-বোর্ড সরাসরি ব্যবহারকারীর সামনে না রেখে একপাশে রাখা বা একপাশ থেকে কাজ করা।
২. কী-বোর্ডের অবস্থান সঠিক না হওয়া। কী-বোর্ড অধিক দূরে বা অধিক নিচে বা উচ্চতায় স্থাপন করা।
৩. কনুইতে ভার দিয়ে কাজ করা।
৪. কী-বোর্ডের তুলনায় মাউস অধিক উচ্চতায় রাখা।
৫. মাউস, কি-বোর্ড, ক্যলকুলেটর ইত্যাদি বেশি ব্যবহার করা।
৬. মাউস সেট-আপ ঠিক না থাকা। অর্থাৎ বামহাতি ব্যবহারকারী ডানহাতের মাউস ব্যবহার করা।
৭. কব্জি সঠিক অবস্থানে না থাকা মানে উপরে, নিচে কিংবা একপাশে থাকা।
৮. শক্ত বাটনবিশিষ্ট কী-বোর্ড, পয়েন্টিং ডিভাইস বা লাইট পেন ব্যবহার করা কিংবা বিরতিহীন ভাবে কম্পিউটারের টাইপ করা।
৯. শরীর থেকে হাতের কনুই অধিক দূরত্বে রাখা।
১০. হিসাব-নিকাশ কাজের জন্য নিউমেরিক প্যাড কী অথবা সংখ্যাবিশিষ্ট পৃথক কী-বোর্ড ব্যবহার না করা।
১১. হাতের তালুর গোড়ার অংশে চাপ দিয়ে কিংবা টেবিলের প্রান্তে বা কোণায় হাত রেখে কাজ করা।
প্রিয় ব্লগ৭১ এর টিউনার এবং পাঠকবৃন্দ আমার এই পোষ্টটি আপনাদের কেমন লাগল তা অবশ্যই জানাবেন। আর আপনাদের যদি আমার এই পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আবারও নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
আমি মো শিমুল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।