আলিবাবা ক্লাউড কি আলিবাবা কি ক্লাউড কম্পিউটিং এ রাজত্ব করতে চলেছে?

আলিবাবা গ্রুপ এর সাবসিডিয়ারি আরেকটি কোম্পানি হল আলিবাবা ক্লাউড। এমাজন ওয়েব সার্ভিসেস বা AWS এর ৩ বছর পর আলিবাবা তাদের এই আলিবাবা ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস শুরু করে। আমেরিকার সেরা ইকমার্স কোম্পানি অ্যামাজন এর ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসায় ব্যাপক সাফল্য দেখে আলিবাবা ২০০৯ সাল থেকে আলিবাবা ক্লাউড এর যাত্রা শুরু করে।

চাইনিজ তথা সারা বিশ্বের এই ইকমার্স জায়ান্ট আলিবাবা বর্তমানে এই আলিবাবা ক্লাউড এর উপর ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছে। তারা একে আরো এগিয়ে নিতে চায়। আলিবাবা ক্লাউড সার্ভিস প্রথমত চীন, পরবর্তীতে হংকং এ প্রচার প্রচারনা চালিয়ে; সে সব অঞ্চলে আলিবাবা ক্লাউড এর মার্কেট বেশ শক্তপক্ত করে নিয়েছে।

বিগত কয়েক বছরের মধ্যে অ্যামাজন ও আলিবাবা তাদের ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসা এর অগ্রগতি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এখানে অ্যামাজন এর তুলনায় আলিবাবা এর বৃদ্ধি তাড়াতাড়ি। অ্যামাজন ও আলিবাবা বিশ্বব্যাপি ক্লাউড কম্পিউটিং ও এরূপ অবকাঠামো অংশ তে যা বিনিয়োগ করেছিল; তারা তা এই কয়েকবছরে সফলভাবে তুলে আনতে পেরেছে। আলিবাবা ক্লাউড এর বিস্তৃতি অ্যমাজন এর মত না হলেও; নাম্বার ওয়ান অনলাইন রিটেইল এর ক্লাউড সার্ভিস অল্প সময়ে অ্যামাজন এর সমমানে চলে এসেছে।

সংগতিপূর্নভাবেই, আলিবাবা ক্লাউড এর আয় অ্যামাজন ক্লাউড এর আয়ের থেকে কম। কেননা তারা প্রথম প্রথম এবং বর্তমানেও ছোট ছোট ক্লায়েন্ট এর মার্কেটে প্রবেশ করে তাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা ছড়ানোর কাজ করছে। বাংলাদেশ থেকে একজন সাধারন ওয়েব ডেভেলপার আলিবাবা ক্লাউডে বাংসরিক সর্বনিম্ন ৯০০ টাকা থেকে শুরু করে ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা পেতে পারে। তাই, নি:সন্দেহে আলিবাবা ক্লাউড সাধারন ব্যবহারকারী পর্যায়ে তাদের পরিচিতি বাড়াতে সক্ষম হয়েছে।

যাই হোক, আলিবাবা আমাদের ভাবনার থেকে অারো বড় কিছু করতে পারে। "সাইনার্জি রিসার্স গ্রুপ" এর তথ্যমতে বিশ্বের ক্লাউড কম্পিউটিং জায়ান্টদের মধ্যে অ্যমাজন (AWS), গুগল, মাইক্রোসফট এগুলোর সাথে টেক্কা দিয়ে আলিবাবা ৬ তম স্হানে আছে।  তাই এই স্হান থেকে ঝাপ দিয়ে উপরে ওঠা আলিবাবার জন্য সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

আলিবাবা ক্লাউড এর বৃদ্ধি বর্তমান সময় থেকে আরও থেকে বড় হবে সেটা বিভিন্ন "টেকনোলজি বিজনেস রিসার্স" থেকে উঠে আসছে। উন্নত বাজারের তুলনায়, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে আলিবাবা ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস এর ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।  এই অঞ্চলে পূর্নরূপে কাজ শুরু করলে আলিবাবা ক্লাউড এখানে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস বা AWS কেও ছাপিয়ে যাবে। এরই প্রচেষ্টা স্বরূপ আলিবাবা জাপানের টেলিকমিউনিকেশন ও ইন্টারনেট প্রোভাইডার "সফটব্যাংক" এর সাথে একটি এগ্রিমেন্ট সই করেছে; জাপানে আলিবাবা ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিসেস এর কার্যক্রম বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে।

আলিবাবা এর ডাটাসেন্টার সমূহঃ

ইতিমধ্যে এশিয়া ও দক্ষিন এশিয়ায় তাদের কার্যক্রম আরও বাড়াতে তারা ভারতের মুম্বাই ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ডাটা সেন্টার বসানোর পরিকল্পনাও করে ফেলেছে। বর্তমানে আলিবাবা ক্লাউড এর ৬ টি ডাটা সেন্টার রয়েছে মূল চায়নাতে এবং বাকি ৮ টি ডাটাসেন্টার রয়েছে সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। এদের মধ্যে চায়নায় :

  • কিংডাও
  • বেইজিং
  • জ্যাংযিয়াকউ
  • হ্যাংযউ
  • সাংহাই
  • সিনযেন

এইসব শহরে ডাটা সেন্টারগুলি রয়েছে। আর অন্যান্য দেশের মধ্যে :

  • হংকং
  • দুবাই
  • সিংগাপুর
  • সিডনি
  • টোকিও
  • ভার্জিনিয়া
  • সিকিকন ভ্যালী
  • ফ্র্যঙ্কফ্রুট

এ তাদের ডাটা সেন্টার অবস্হিত।

Level 12

আমি Touhidur Rahman Mahin। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 326 টি টিউন ও 88 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।

ভালোবাসি প্রযুক্তি নিয়ে লিখতে, ভালবাসি প্রযুক্তি নিয়ে ভাবতে।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

বাংলা সাইট এর এশিয়ান ট্রাফিকের জন্য আলিবাবা ভালো হবে। ডাটা সেন্টার গুলো এশিয়াতে হওয়ার জন্য ভালো স্পীড পাওয়া যাবে, সিডিএন লাগবে না!