৩২ বিট ও ৬৪ বিট কম্পিউটার কি

বন্ধুরা আমরা সবাই কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকি। সেই সুবাদে ৩২ বিট ও ৬৪ বিট কম্পিউটার এই ২ টা আমরা খুব ভাল ভাবেই জানি। কিন্তু যেই জিনিস টা জানি না সেটা হচ্ছে আসলে এই গুলো কি? কিভাবে কাজ করে ৩২ বিট ও ৬৪ বিট কম্পিউটার। তাহলে বন্ধুরা আসুন জেনে নিই কিভাবে কাজ করে ৩২ বিট ও ৬৪ বিট কম্পিউটার

৩২ বিট ও ৬৪ বিট কম্পিউটার এর আবিষ্কার

৩২ বিট ও ৬৪ বিট কম্পিউটার
৩২ বিট ও ৬৪ বিট কম্পিউটার

সেই বিশ্বে কোন কিছুই এমনি এমনি আসেনি, সকল কিছুই কেও না কেও আবিষ্কার করেছে তারপরে এসেছে। ঠিক তেমনি ভাবেই এসেছে এই প্রসেসর। ৬৪ বিট প্রসেসর সর্বপ্রথম ২০০৩ সালে এএমডি নিয়ে এসেছিলো কম্পিউটারের জন্য। কিন্তু ২০১৩ সালে এপেল তাদের আইফোন ৫ এস এ ৬৪ বিট প্রসেসর যুক্ত করে এর পরে থেকে প্রায় সকল স্মার্টফোন গুলোতে ৬৪ বিট ব্যবহার করা হয়।

বাকি কথা আর আপনাদের না বললেও বুঝে নিবেন। কেননা এন্ড্রোয়েড কিকক্যাট এর পরে সকল ভার্সনে ৬৪ বিট এর জন্য বানানো হয়েছে।

এখন আসি মূল কথায়, আপনাদের যদি বুঝাতে হয় ৬৪ বিট ও ৩২ বিট কি? তাহলে আপনাদের কিছু উদাহরণ ও পার্থক্য দিয়ে বুঝাতে হবে। তাহলে আসুন জেনে নিই এর কিছু পার্থক্য।

৬৪ ও ৩২ বিট কি?

৩২ বিট ও ৬৪ বিট কম্পিউটার
৩২ বিট ও ৬৪ বিট কম্পিউটার

আমরা আসলে যেটা ভেবে থাকি ৬৪ টা বেশি আর ৩২ টা কম এর মানে হইত ৬৪ বেশি স্পীড সহায়ক হবে। কিন্তু না এটা এমন ভাবার কোন দরকার নেই। কেননা স্পীড নির্ভর র‌্যাম, হার্ড ডিস্ক, ডারইভার এইসব এর ওপরে। ৩২ বিট হচ্ছে এখানে বাইনারি সংখ্যা অথ্যাৎ ১ ও ০ এই ২টি সংখ্যা ৩২ বার বাইনারি রুপে ঘুরে কোন তথ্যকে প্রকাশ করে। বুঝেন নাই বেপার টা? আরেকবার শুনেন, ৩২ বিট কম্পিউটার গুলোতে কোন তথ্য বের করতে গেলে সেই তথ্য বিট আকারে ৩২ বার ১ ও ০ হয়ে প্রকাশ করে।কেননা কম্পিউটার সকল কিছুই ১ ও ০ অথ্যাৎ বাইনারি আকারে প্রকাশ করে।

৬৪ বিট সেই একই ধরণের এখানে কোন তথ্য ৬৪ বার ১ ও ০ আকারে প্রকাশ পাই। তাই মূলত এই কম্পিউটার গুলোতে  র‌্যাম বেশি সার্পোর্ট করে।

এবার আসি পার্থক্যতে।

মেমোরি বা র‌্যাম আড্রেসিং

৩২ বিট ও ৬৪ বিট কম্পিউটার
৩২ বিট ও ৬৪ বিট কম্পিউটার

মেমোরি বা র‌্যাম আ্ড্রেসিং বলতে বুঝানো হয়েছে আপনি ৩২ বিট ও ৬৪ বিট কম্পিউটার গুলোতে কোনটাতে কত র‌্যাম ব্যবহার করতে পারবেন? আপনি যদি ৩২ বিট ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনি র‌্যাম ব্যবহার করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৪ জিবি, তার থেকে বেশি র‌্যাম র‌্যাম আপনি ব্যবহার করেতে পারবেন না। কেননা ৩২ বিট কম্পিউটার গুলোতে বাইনারি ৩২ বার করা হয়। যার ফলে আপনি এর সর্বোচ্চ হিসাবে ৪ গিগাবাইট র‌্যাম পাবেন। অপর দিকে ৬৪ বিট কম্পিউটার গুলোতে আপনি ৩২ বিট এর থেকে বেশি র‌্যাম ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু এটা অনেক বেশি যার পরিমান হচ্ছে ১৬ বিলিয়ন গিগাবাইট। যদিও বিগত কয়েক যুগে এত মেমোরি বা র‌্যাম আমাদের লাগবেনা।

অপারেটিং সিস্টেম

৩২ বিট ও ৬৪ বিট কম্পিউটার
৩২ বিট ও ৬৪ বিট কম্পিউটার

অপারেটিং সিস্টেমের কথাই যদি আসাই যাই তবে সবার চিন্তাই আসবে কোন ধরণের এপ্পস আপনার ফোনে সার্পোর্ট করবে। একটা কথা চিন্তা করে দেখুন আপনি চালাচ্ছেন ৬৪ বিট এর কম্পিউটার তবে আপনার কম্পিউটারকে ৪ গিগাবাইট এর ওপরে র‌্যাম থাকতে হবে। এবার দেখুন আপনার ফোনে বা কম্পিউটারে ৬৪ বিট এর অনেক এপ্পস পাওয়া যাবে না। বিশেষ করে এন্ড্রোয়েড ফোন গুলোতে তো পাওয়া খুবই কম যায়। এবার আপনি তাহলে কি করবেন? কিন্তু আপনি একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন যে, যেই কোম্পানি ৬৪ বিট এর এপ্পস বানিয়ে থাকে তারা কিন্তু ঠিকই ৩২ বিট এর জন্য এপ্পস বানিয়ে থাকে। আর আপনি ৬৪ বিট এর এপ্পস না পেয়ে থাকলেও ৩২ বিট এর এপ্পস পাবেন এটা ১০০% গ্যার‌্যান্টি।

ক্যালকুলেশন স্পীডে

৩২ বিট ও ৬৪ বিট কম্পিউটার
৩২ বিট ও ৬৪ বিট কম্পিউটার

এটা আসলে খুবই সহজ বিষয় বোঝার জন্য, দেখুন ৬৪ বিটে ৬৪ আলাদা আলাদা বাইনারি গ্রহন করতে পারে। কিন্তু অপর দিকে ৩২ বিটে বাইনারি গ্রহন করতে পারে মাত্র ৩২ টি। সেই হিসাবে ৩২ বিটের থেকে ৬৪ বিটে দ্রুত কাজ করবে বা যেকোন ক্যালকুলেশন দ্রুত করতে পারবে এটাতো হবার কথা।

শেষকথা

বন্ধুরা এবার হইত আপনারা বুঝে গেছেন ৩২ বিট ও ৬৪ বিটের মাঝে পার্থক্য! ৬৪ বিট মূলত কাজ করে ৪ জিবির ওপরে কোন কম্পিউটার চালানোর ক্ষেত্রে। এবার আপনি যদি সকল টুল সাপ্পোর্ট করাতে চান আপনার কম্পিউটার বা মোবাইলএ সেই ক্ষেত্রে আমার সাজেশন হবে আপনি ৩২ বিট ব্যবহার করুন। কিন্তু আপনি যদি ভাল মানের স্পিড বা আপডেট হতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনি ৬৪ বিট ব্যবহার করতে পারেন। কোনটাই কোন কিছুর থেকে খারাপ না। টেকহিলস এর সাথেই থাকবেন।

পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে Bn.Techills.net  এ

Level 2

আমি সাঈদ পাপ্পু। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 10 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

হ্যালো, আমি সাঈদ পাপ্পূ। আপনাদের মাঝে এসেছি কিছু শিখতে এবং শিখাতে। আমি টেকনোলজি ও টেকনিউজ পড়তে ও লিখতে খুব ভালোবাসি তাই আপনাদের মাঝে এসেছি। আমার নিজেরও ব্লগ আছে http://bn.techills.net


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাল, উপকারী পোষ্ট

টেকটিউনস থেকে আপনার টিউনের নীতিমালা ভঙ্গের বিষয় সংশোধন করে দেওয়া হলো। আপনার টিউনটি লক্ষ করুন এবং খেয়াল করুন কোন কোন বিষয় সম্পাদনার মাধ্যমে আপনার টিউনটিকে টেকটিউনস নীতিমালার অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে। আপনার পরবর্তী সকল টিউনে টেকটিউনস নীতিমালা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হল।

টেকটিউনস দ্বারা সংশোধিত অংশ পুনরায় পরিবর্তন করে আবার নীতিমালার ভঙ্গের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হলে এবং আপনার পরবর্তী টিউনে এ বিষয়ের পুনরাবৃত্তি হলে পুনরায় কোন প্রকার সতর্ক বিজ্ঞপ্তি না দিয়েই টিউন অপসারণ/মুছে ফেলা এবং বারংবার নীতিমালা ভঙ্গের জন্য টিউনারশীপ সাময়িক বা স্থায়ি ভাবে বরখাস্ত করা হতে পারে।

এক অসাধারণ টিউন। এইরকম নতুন টিউনের অপেক্ষায়…

    ধন্যবাদ,
    টেকটিউন ও টেকহিলস এর সাথে থাকুন।
    ইনশাল্লাহ আরো ভালো কিছু টিউন উপহার দিব আপনাদের।

nice

ভাই আমার একটা বেপারে জানার দরকার ছিলো সেইটা হচ্ছে
আমার pc হচ্ছে 4th gen core i3 (3.50ghz)
আর কিছু দিন আগে আমার একটা ফ্রেন্ড লাপ্টপ কিনছে 6th gen core i3 (2.30ghz)
র‍্যাম ২টারি 4 জিবি । এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে কইটাতে স্পিড ভালো দিবে কাজের দিক থেকে ?