যতোবেশি র‍্যাম = ততো ফাস্ট পিসি? আপনার পিসির জন্য কতোটুকু র‍্যাম প্রয়োজনীয়? -মেগাটিউন!

টিউন বিভাগ কম্পিউটিং
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

মার কাছে ডেইলি প্রায় ১০০টার মতো প্রশ্ন আসে “ভাই অমুক কাজের জন্য পিসি বিল্ড করতে চাই কতো জিবি র‍্যাম লাগাবো?”। আমি জানি, আপনারা যারা নতুন পিসি তৈরি করার কথা ভাবেন কিংবা নতুন ল্যাপটপ কেনার কথা ভাবেন, সবচেয়ে প্রথমে মাথায় প্রশ্ন আসে—র‍্যাম কতোটুকু লাগবে? অনেকের পিসি স্লো হয়ে গেলে র‍্যাম আপগ্রেড করার কথা ভেবে থাকেন, কেনোনা আমরা প্রায় সবাই জানি যে, যতোবেশি র‍্যাম হবে ততোই বেশি ফাস্ট হবে কম্পিউটার! সত্যিই? আজকের টিউনে র‍্যাম নিয়ে সবচাইতে আলোচিত বিষয় গুলোর উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করবো, যেমন- আপনার নির্দিষ্ট কাজের জন্য আপনার পিসিতে কতোটা র‍্যাম থাকা জরুরী, র‍্যাম আপগ্রেড করবেন নাকি বেশি র‍্যাম যুক্ত করবেন, বেশি র‍্যাম পিসি ফাস্ট করতে কতটা ভূমিকা পালন করে? -ইত্যাদি। তো চলুন আরেকটি অসাধারণ আর্টিকেল পড়া শুরু করা যাক…

র‍্যাম

র‍্যাম আপগ্রেড

র‍্যাম কি, কীভাবে কাজ করে ইত্যাদি বিষয়ের উপর আগে থেকেই কিছু আর্টিকেল লিখেছি (চাইলে আমার ব্লগ থেকে চেক করে নিতে পারেন)। তারপরেও আজকের টিউনকে হট করে তোলার জন্য র‍্যামের কাজ সম্পর্কে হালকা আলোচনা করে নিচ্ছি। দেখুন র‍্যাম হলো আপনার কম্পিউটার বা আপনার কম্পিউটিং ডিভাইজের এমন একটি মেমোরি যা অনেক ফাস্ট হয়ে থাকে এবং এর কাজ হলো সকল কাজের ফাইল গুলোকে প্রসেসর পর্যন্ত খুবই দ্রুত সার্ভ করা। এখন নিশ্চয় প্রশ্ন করবেন, “তাইলে হার্ডড্রাইভ কি মুখ দেখতে আছে?” —ব্যস্তবিকভাবে হার্ডড্রাইভ কখনোই র‍্যামের গতির সাথে পাল্লা দিতে পারে না। আপনি যখন কম্পিউটারে কোন টাস্ক করতে আরম্ভ করেন, আপনার প্রসেসর সর্বদা একের পর এক ডাটা রিকোয়েস্ট করতেই থাকে, আর এই ডাটা গুলো যতো দ্রুত প্রসেসরে পাঠানো সম্ভব ততোই ভালো। বর্তমানের আধুনিক র‍্যাম ১২,৮০০ মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ড পর্যন্ত স্পীড সমর্থন করতে পারে, যেখানে আজকের সর্বাধুনিক হার্ডড্রাইভ থেকে কেবল ১৫০ মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ড স্পীড পাওয়া যায়। তো গতির পার্থক্যটা বুঝতে পারলেন? সুতরাং র‍্যাম বাদে যদি হার্ডড্রাইভ কাজে লাগিয়ে প্রসেসরে ডাটা পাঠানো হয় তবে কচ্ছপ গতিতে প্রসেসরে ফাইল ট্র্যান্সফার হবে এবং সর্বোপরি আপনার সম্পূর্ণ সিস্টেম কচ্ছপ হয়ে যাবে (মনে রাখবেন, শুধু গল্পেই কচ্ছপ জেতে, আসল জীবনে নয়!)।

তো এতক্ষণে নিশ্চয় টের পেয়ে গেছেন যে কেন আপনার সিস্টেমে র‍্যাম থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যারা বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে পেনড্রাইভকে র‍্যাম হিসেবে ব্যবহার করতে চান কিংবা ফোনের মেমোরি কার্ডকে র‍্যাম হিসেবে ব্যবহার করতে চান তারা সব সময়ই একটি কথা মনে রাখবেন, “আপনার পেনড্রাইভ বা যেকোনো ফ্ল্যাশ ড্রাইভ কখনোয় অ্যাকচুয়াল র‍্যামের স্পীড দিতে পারবে না”। তো “How To Increase My RAM Using Pen Drive” বা “How To Increase Phone RAM Using SD Card” লিখে গুগল আর ইউটিউব সার্চ করা বন্ধ করুন।

আপনি যখন সর্বপ্রথম আপনার কম্পিউটার অন করেন—আপনার পিসি তার অপারেটিং সিস্টেম লোড করতে কিছু র‍্যাম দখল করে নেয়। অপারেটিং সিস্টেমের খাওয়া দাওয়া শেষ হলে বাকি র‍্যাম টুকু জমা থাকে আপনার পিসিতে ইন্সটল থাকা অন্যান্য সফটওয়্যার গুলোর জন্য।

কতটুকু র‍্যাম প্রয়োজনীয়?

দেখুন এটি এমন একটি প্রশ্ন যার কমন উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণ রূপে নির্ভর করে আপনার ব্যবহারের উপর। তবে আমাকে কেউ বেসিক পিসি বিল্ড করার প্রশ্ন করলে আমি সর্বনিম্ন ৮ জিবি র‍্যামের আবশ্যকতা ব্যক্ত করি। কারণ আমি জানি, আপনি যতোই বেসিক কাজের জন্য পিসি কিনে থাকুন না কেন—হালকা পাতলা ফটোশপ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, দুই একটা ভিডিও এডিট করার প্রয়োজন পড়বেই। আর নতুন ব্রাউজার, সাথে ক্রোম বা ফায়ারফক্স নিজেরায় র‍্যাম খাওয়ার ওস্তাদ। সাধারন ইন্টারনেট ব্রাউজিং এ সাথে ৫-৬ ট্যাব ওপেন থাকতেই ব্রাউজার গুলো ৫০০ এম্বি+ (কখনো ১ জিবি পর্যন্ত) র‍্যাম গিলে ফেলে। আর ফটোশপ বা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলো তো একেক জনেই ২ জিবি করে র‍্যাম খেতে পছন্দ করে। সুতরাং আপনি যতোই বেসিক পিসি বিল্ড করুন না কেন অবশ্যই আপনার সর্বনিম্ন ৮ জিবি র‍্যাম লাগবেই। ওহ… বলতে তো ভুলেই গেছিলাম… আপনার অপারেটিং সিস্টেম নিজেই মোটামুটি ২ জিবির মতো র‍্যাম বুক করে রাখে।

কতটুকু র‍্যাম প্রয়োজনীয়

এখন আসি ব্যবহার অনুসারে সাজেশনে। দেখুন বেসিক পিসির কথা তো উপরেই উল্লেখ্য করলাম। তবে এখানে আরেকটি বিষয়—অনেকে আমার কাছে কোন নির্দিষ্ট ল্যাপটপের মডেল জানিয়ে জিজ্ঞেস করে, “ভাই এটা কেনা যায় কিনা?”। আমি তদন্ত করে দেখি, ঠিক আছে, বাজেট অনুসারে সবকিছুই ঠিক ঠাক, ব্যাট র‍্যাম ৪ জিবি! হ্যাঁ, এখনকার মিড বাজেটের প্রায় সকল ল্যাপটপ গুলোতে ৪ জিবিই র‍্যাম দেখতে পাওয়া যায় (জানিনা প্রস্তুতকারী কোম্পানিরা কি ভেবে তৈরি করে!)। এই অবস্থায় বলতে গেলে, “হ্যাঁ ভাই আজ থেকে ২-৩ বছর আগে ৪ জিবি ঠিকঠাক ছিল” কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সকল সফটওয়্যার গুলো আপডেট হচ্ছে এবং আগের চেয়ে সবসময়ই বেশি খুদার্ত পেটে হাজির হচ্ছে। আচ্ছা ভাবুন, আপনি ৪ জিবি র‍্যাম ওয়ালা একটি ল্যাপটপ কিনলেন। আজকের দিনে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অবশ্যই উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করবেন আর না হলে নিশ্চয় উইন্ডোজ ৭। এখন ধরুন আপনার পিসি অন হওয়ার সাথেই ১.৫ জিবি র‍্যাম অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে নিল আর বাকি থাকলো ২.৫ জিবি র‍্যাম। এতোটুকু র‍্যামে ইন্টারনেট ব্রাউজারে কয়েকটি ট্যাব ওপেন রাখলে আর সাথে কিছু মিডিয়া প্লে করার জন্য উপযোগী হতে পারে। কিন্তু ধরুন ফটোশপ ওপেন করতে হলো কোন কাজে, তখন? হ্যাঁ, তখনও চলবে কিন্তু চলতে চলতে উইন্ডোজ থেকে ম্যাসেজ আসবে “আপনার সিস্টেমের মেমোরি লো, দয়াকরে ফটোশপ ক্লোজ করে দিন” (ব্যস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বললাম)। তো এখন কি করবেন? ১) আগে আরেকবার চেক করে দেখুন আপনার বাজেটের মধ্যে ৮ জিবি র‍্যামের ল্যাপটপ হচ্ছে কিনা। ২) যদি না হয়, তবে যে মডেলটি কিনতে চাচ্ছেন সেটাতে ৮ জিবি র‍্যাম লাগানো যাবে কিনা দেখে নিন (বেশিরভাগ সময়ই লাগানো যায়)। আশা করি উত্তরটি পেয়ে গেছেন।

এখন আসি প্রফেশনাল পিসি বিল্ড করার কথায়। আপনি যদি হেভি টাস্ক করার জন্য পিসি বিল্ড করতে চান তবে অবশ্যই ১৬ জিবি থেকে ৩২,৬৪ জিবি যতোবেশি র‍্যাম লাগাতে পারেন ততোই ভালো। কেনোনা ফটোশপ, ভিডিও এডিটিং প্রোগ্রাম, আফটার ইফেক্টস, ভার্চুয়াল মেশিন ইত্যাদি আপনার র‍্যাম খেয়েই বেঁচে থাকে। যতোবেশি র‍্যাম হবে ততোই স্মুথ কাজ করা যাবে। আবার শুধু যে ক্যাপাসিটির কথা ভেবে যেকোনো র‍্যাম লাগিয়ে নেবেন সেটা কিন্তু নয়। কারণ মার্কেটে বিভিন্ন টাইপের র‍্যাম রয়েছে, ডিডিআর২, ডিডিআর৩, ডিডিআর৪ ইত্যাদি। এ নিয়ে আলাদা একটি আর্টিকেলে আমি বিস্তারিত বর্ণনা করেছি, আমার ব্লগ থেকে দেখে নিতে পারেন। তবে এতোটুকু জেনে রাখুন ডিডিআর এর পরের সংখ্যা যতো বেশি হবে র‍্যাম কোয়ালিটি ততোই বেশি ভালো হবে এবং বেশি স্পীড সমর্থন করবে। সুতরাং এই দিকেও খেয়াল রাখা জরুরী।

র‍্যাম আপগ্রেড

র‍্যাম আপগ্রেড করা আর বেশি র‍্যাম যুক্ত করা কিন্তু এক ব্যাপার নয়। ধরুন আপনার বর্তমান সিস্টেমে ৮ জিবি ১,৩৩৩ মেগাহার্জের ডিডিআর২ র‍্যাম রয়েছে। এখন যদি আপনার মাদারবোর্ড সমর্থন করে তবে একই স্লটে আপনি ১,৬০০ মেগাহার্জ স্পীডের র‍্যাম লাগাতে পারেন কিংবা ডিডিআর৩ র‍্যাম লাগাতে পারেন। এটা হবে র‍্যাম আপগ্রেড করা-এতে আপনি সেম ক্যাপাসিটির র‍্যামেই বেশি স্পীড পেটে সক্ষম হবেন। বেশি র‍্যাম যুক্ত করা আরেকটি ব্যাপার। হতে পারে আপনি আরো ২-৩টা র‍্যাম স্টিক যুক্ত করলেন। র‍্যাম লাগানোর ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় আমি সর্বদায় উল্লেখ্য করি যে, ধরুন আপনি ৮ জিবি র‍্যাম লাগাবেন, এক্ষেত্রে একটি স্লটে ৮ জিবির একটি স্টিক না লাগিয়ে দুইটি স্লটে ৪x২ জিবি করে দুইটি স্টিক লাগানো বেস্ট হবে। একে ডুয়াল চ্যানেল বলে হয়ে থাকে।

যতোবেশি র‍্যাম = ততো ফাস্ট পিসি?

দেখুন এই প্রশ্নের এক কথায় উত্তর হচ্ছে, ‘জি না’। পিসি ফাস্ট বা স্লো হওয়া শুধু র‍্যামের উপর নির্ভর করে না। আপনি কোন প্রসেসর ব্যবহার করছেন, কোন জিপিইউ ব্যবহার করছেন, প্রসেসরে এবং র‍্যামে ক্যাশ মেমোরি কতটুকু রয়েছে ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের উপর খেয়াল করার পরে একটি পিসির স্লো বা ফাস্ট হওয়া নির্ভর করে। অনেক সময় আপনার পিসির হার্ডড্রাইভ পরিবর্তন করে এসএসডি লাগানোর ফলে আপনার পিসির পারফর্মেন্স এবং স্পীড দুইই বৃদ্ধি পেয়ে যেতে পারে—অবশ্যই সেম র‍্যাম ব্যবহার করেই। আগেই বলেছি হার্ডড্রাইভ কেবল ১৫০ মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ড স্পীড দিতে পারে যেখানে আজকের মর্ডান এসএসডি ৫০০ থেকে কয়েক হাজার মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ড পর্যন্ত স্পীড দিতে পারে।

আপনার বেসিক পিসি ব্যবহারে কখনোই ৮ জিবির বেশি ব্যামের প্রয়োজন পড়বে না। তবে আপনি একই সাইজের র‍্যামে জাস্ট টাইপ আপগ্রেড করে কিংবা বেশি মেগাহার্জের র‍্যাম লাগিয়ে বেশি স্পীড পেতে পারেন। তাই বেশি র‍্যাম থাকলেই যে পিসি বেশি ফাস্ট হবে এটা ভুল ধারণা। তাছাড়া ঠিক কোন আপগ্রেড গুলোর মাধ্যমে আপনি স্লো পিসি ফাস্ট করতে পারবেন —সেই টিউনটি আমার ব্লগ থেকে পড়ে নিতে পারেন।

শেষ কথা

তো এই ছিল আপনাদের সকল প্রশ্নের জবাব। আশা করছি এই আর্টিকেল থেকে আপনারা অনেক উপকৃত হতে পারবেন। র‍্যাম সম্পর্কিত যতো আলোচনা প্রয়োজনীয় ছিল আমি এই আর্টিকেলে তা ব্যক্ত করবার চেষ্টা করেছি এবং এখন র‍্যাম আপগ্রেড করার সময় কিংবা বেশি র‍্যাম লাগানোর সময় আপনার ধারণা থাকবে যে আপনাকে ঠিক কি করা উচিৎ। যদি কিছু ছেঁড়ে থাকি বা আপনার যদি আরো কোন প্রশ্ন থাকে তবে অবশ্যই আমাকে নিচে টিউমেন্ট করে জানান। সাথে টিউনটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

পূর্বে প্রকাশিত- Techubs.Net

Level 6

আমি তাহমিদ বোরহান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 177 টি টিউন ও 680 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 43 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।

আমি তাহমিদ বোরহান। টেক নিয়ে সারাদিন পড়ে থাকতে ভালোবাসি। টেকটিউন্স সহ নিজের কিছু টেক ব্লগ লিখি। TecHubs ব্লগ এবং TecHubs TV ইউটিউব চ্যানেল হলো আমার প্যাশন, তাই এখানে কিছু অসাধারণ করারই চেষ্টা করি!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

ধন্যবাদ।

আপনার কথার সাথে সম্পূর্ণ একমত হতে পারলাম না। আমার সব গুলো লেপ্তপেই ৪ জিবি করে র‍্যাম আছে। সব গুলোতেই এডোবির কয়েকটা সফটওয়্যার যেমনঃ ফটোশপ, আফটার ইফেক্টস, ইলেস্ট্রেটর ও প্রিমিয়ার প্রো দেয়া আছে। যখন যেখান থেকে প্রয়োজন পড়ে তখন সেখান থেকেই ব্যবহার করি। অপারেটিং সিস্টেম উইন ১০। অফিস ২০১৬ ব্যবহার করি। আমি অলস টাইপের মানুষ। তাই জাঙ্ক ফাইলও পরিস্কার করা হয় না। কিন্তু আমার সব গুলো ল্যাপটপই দারুন চলে। কখন হ্যাং করে না। আর মাঝে মাঝে সব কাজ একসাথে করার সময়ও আধা জিবি র‍্যাম খালি থাকে। তাই বেসিক কম্পিউটারের ক্ষেত্রে ৮ জিবির কথাটা মানতে পারছি না। এখানে উল্লেখ্য যে আমার একটা ল্যাপটপ লেনেভো, একটা ডেল আর অন্য একটা সামসাং

    র‍্যাম কম থাকার কারণে কিন্তু সিস্টেম হ্যাং হয় না, সিস্টেম তখন হ্যাং হয় যখন ডিস্ক ১০০% ব্যবহার হয় বা অপারেটিং সিস্টেম রেসপন্স দিতে পারে না। যাই হোক, যদি বলতেন আপনার ৪ জিবি র‍্যামের সিস্টেমে এক সময়ে একটি সফটওয়্যার রান করান তবে মেনে নেওয়া যেতো। দেখুন আপনার অপারেটিং সিস্টেম (উইন্ডোজ ১০) বুট নেওয়ার পরেই মুটামুটি ১.৫ জিবি র‍্যাম নিয়ে নেয়, তারপর আবার বিভিন্ন ল্যাপটপ বা মেশিন ভিত্তিতে ড্রাইভার গুলো আলাদা হয়ে থাকে, সেগুলোও কিছুটা র‍্যাম দখল করে।
    এখন একজন সাধারন ইউজার হিসেবে হয়তো আপনি ক্রোম বা মিজিলা ওপেন করবেন, বলে রাখি ক্রোমে ৪-৫ টা ট্যাব ওপেন করতেই ৭০০ এম্বি+ র‍্যাম নিয়ে নেবে, যদিও এটি নির্ভর করে আপনি ব্রাউজারে কতোগুলো এক্সটেনশন ইন্সটল করে রেখেছেন, কারণ ব্রাউজার ওপেন করার সাথে সাথে এক্সটেনশন এবং আরো কিছু প্রসেস ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে।
    ফটোশপে সাধারন এইচডি রেজুলেসনের ৪-৫ টা ফটো এবং প্রত্যেকের ৪-৫ লেয়ার নিতেই ৮০০ এম্বির মতো র‍্যাম গায়েব হয়। (ফটোশপ চালাতে সর্বনিম্ন ২ জীব র‍্যাম লাগে তবে ৮ জিবি রেকোমেন্ড করে অ্যাডোবি)

    তো অলরেডি ৩ জিবি র‍্যাম শেষ… কি করে? মাত্র ক্রোম এবং একদম বেসিক ফটোশপ রান করিয়ে, (র‍্যো ইমেজ বা ৪কে বা আরো রেজুলেসনের ইমেজ এডিট করতে গেলে ফটোশপ নিজেই ১ জিবি+ র‍্যাম ব্যবহার করে)।

    প্রিমিয়ারে ১ মিনিটের একটি সাধারন প্রোজেক্ট সাথে টাইটেল, সাউন্ড এবং ইফেক্ট নিয়ে কাজ করতেই ১ জিবি র‍্যাম গায়েব হয়ে যায়। (অ্যাডোবির অনুসারে প্রিমিয়ারের জন্য সর্বনিম্ন ৮ জিবি র‍্যাম প্রয়োজনীয় এবং ১৬ জিবি রেকোমেন্ডেড)…

    জানিনা আপনার সিস্টেমে কীভাবে এতো স্মুথলি চলে একসাথে তাও ৪ জিবি র‍্যামে। আপনার মতো আমার এতো ল্যাপটপ নেই তবে ৪ জিবি র‍্যামের একটি এইচপি আছে সেখানে র‍্যাম ৮ জিবিতে বাড়িয়ে নিয়েছি এবং একটি কাস্টম পিসি আছে যেখানে ১৬ জিবি র‍্যাম আছে।

    বেসিক কাজের জন্য ৪ জিবি র‍্যামেই অনেক ইউজারদের চাহিদা মিটে যায় অনেক সময়, এমনকি আমারো মিটে যেতো একসময়। কিন্তু ৮ জিবি র‍্যাম সিস্টেমে থাকলে খুবই ভালো হয় (তবে ৮ জিবির উপর বেসিক ইউজের জন্য কখনোই র‍্যাম লাগবে না)।

    আশা করি বোঝাতে পেড়েছি 🙂
    আরো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন 🙂
    ধন্যবাদ 🙂

      ডিয়ার বোরহান ভাই, আমিও প্রথমে রুমি ভাইয়ের কমেন্ট পইড়া একটু ঝিম মাইরা ছিলাম,নিজে খুব বেশী বুঝিও না এইসব টিউন ফিউন বা টেক জগতের ভাণ্ডারের বড় বড় নেটওয়ার্কিং/ হার্ডওয়্যার/ সফটওয়্যার রিলেটেড মামলাবাজি… শুধু মাঝে মাঝে খিচ্চা থাকে মেজাজটা,যখন আমার ৬৪ বিটের কোর আই৫ এইচপির প্রো ডেস্ক ৪৯০ জি৩ এমটি বিজনেস পিসিও ফায়ারফক্সের ৪/৫ টা ট্যাব নিয়া কাজ করতে গেলেই কাউমাউ শুধু করে ডিস্ক ফুল, র‍্যামে জায়গা নাই, না শুনলে নিজেই ক্র্যাশ কইরা রিপোর্ট করবো তাই পারমিশন চায় যখন রি ওপেন করি ফায়ারফক্সের আগুন … আসলেই তাইলে কম বুঝি অনেক আমি, রুমি ভাই আসলে কোন দেশের আলাদিনের চেরাগ ব্যবহার করে তিন তিনটা ল্যাপটপ এতো সহজে ৪ জিবি র‍্যাম নিয়াই ( আবার ফটোশপ ছাড়াও নাকি আরও কয়েকটা ঐরকম সফট চালায়, ব্রাউজার ইউজ করে ৩/৪ ট্যাব অ খোলা রাখেন, আবার তারপরেও অর্ধেক র‍্যাম খালি!!!!??? লজিক ভার্সেস এন্টি লজিক….. আপনি কি বলেন? আমি কিন্তু শ্রেফ দর্শক…. আমার ঐরকম একটা পিসি/ ল্যাপটপ লাগবে ভাই, রুমি ভাইকে প্লিজ একটা আমাকে গিফট করতে অনুরোধ করবেন কি?একটা ব্যাপার উনার কথাতে বুঝছি যে আসলেই উনি অলস……….

আমি র‌্যাম চেন্স না করে PCI Express ( গ্রফিক্স কার্ড) লাগাইছি, খুব ভাল চলতেছে, আগের চেয়ে

    র‍্যামের ঘাটতি আর পিসি পারফর্মেন্স স্লো দুইটি কিন্তু দুই বিষয়। আপনার সিস্টেমে যদি আরো র‍্যামের প্রয়োজনীয়তা থাকে তবে র‍্যামই বাড়াতে হবে কিন্তু যদি পিসি পারফর্মেন্স বাড়াতে চান তবে আরো অনেক উপায় রয়েছে।
    হ্যাঁ গ্রাফিক্স কার্ড লাগিয়ে পিসির পারফর্মেন্স বাড়ানো সম্ভব। যখন সিস্টেমের গ্রাফিক্স প্রসেসিং এর জন্য একটি আলাদা ইউনিট থাকে তবে অবশ্যই মেইন প্রসেসর আলাদা কাজ গুলোর দিকে বেশি ফোকাস করতে পারে, ফলে সিস্টেম আগের চেয়ে দ্রুতগামী হয়ে উঠে।
    তবে এসএসডি লাগিয়েও সিস্টেম পারফর্মেন্স বাড়ানো সম্ভব… সাথে প্রয়োজন অনুসারে আরো কিছু আপগ্রেড করিয়ে সিস্টেম দ্রুতগামী করা যেতে পারে।

    আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ রাজু ভাই 🙂

আস সালামু আলাইকুম তাহমিদ ভাই। আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবো আপনি দয়া করে তার উত্তর দিবেন।
ধরুন আমার কাছে একটা মাদার বোর্ড আছে যার র‍্যাম সাপোর্ট করার ক্ষমতা ৩২ গিগাবাইট পর্জন্ত এবং স্লট ২ টি এবং বাংলাদেশে সর্বচ্চ ৮ গিগাবাইট পর্জন্ত র‍্যাম পাওয়া যায়। এখন আমার কোন একটা কাজে ৩২ গিগাবাইট দরকার পরলো তখন আমি কী করবো বা করনীয় কী? এক্সটারনাল র‍্যাম ব্যাবহার করার কোন উপায় আছে?

প্রশ্ন ২ঃ ৩২ বিট এবং ৬৪ বিট এর জন্য কী মাদার বোর্ড আলাদা?

    দেরিতে উত্তর দেওয়ার জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

    প্রথমত আপনার যদি কোন কাজের জন্য ৩২ গিগাবাইট র‍্যামের প্রয়োজন পড়ে তবে অবশ্যই আপনার সিস্টেমে ফিজিক্যালি ৩২ জিবি র‍্যাম থাকা আবশ্যক। বাংলাদেশে একটি সিঙ্গেল স্টিকে ৩২ জিবি র‍্যাম পাওয়া যায় কিন্তু সেটা ডিডিআর৪ র‍্যাম, যেটা আপনার সিস্টেমে সমর্থন করবে না। কারণ ডিডিআর৩ র‍্যাম চলা সিস্টেম ডিডিআর৪ র‍্যাম সমর্থন করে না।

    এখন আসি এক্সটারনাল র‍্যামের কথায়, দেখুন আপনার চাহিদাটা অনেক বেশি, আপনার কাছে ১৬ জিবি র‍্যাম ফিজিক্যালি রয়েছে কিন্তু আপনার প্রয়োজন আরো ১৬ জিবি, যেটা অনেক বড় স্কেল। উইন্ডোজ রেডিবুস্ট ইউজ করে কোন ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভকে র‍্যাম হিসেবে ব্যবহার করা যায় কিন্তু সেটা খুব কম পরিমানের জন্য প্রযোজ্য, যখন আপনার পিসিতে ৫১২ এম্বি বা ১ জিবি র‍্যাম থাকে তখন রেডিবুস্ট ব্যবহার করতে পারেন।

    আরেকটি কথা, এক্সটারনাল কোন র‍্যাম কখনোই মাদারবোর্ডে থাকা র‍্যামের স্পীড অর্জন করতে পারবে না। মাদারবোর্ডের র‍্যাম স্লটকে খুব কম লেটেন্সিতে এবং হাই ব্যান্ডইউথ এ কাজ করার জন্য তৈরি করা হয়। আপনার কাছে এক্সটারনাল ভাবে এমন কোন কানেক্টর নেই যার মাধ্যমে আপনি র‍্যামের আকচুয়াল স্পীড পাবেন। ইউএসবি ২.০ তে সর্বউচ্চ ৬০ মেগাবাইট/সেকেন্ড এবং ইউএসবি ৩.০ তে সর্বউচ্চ ৬০০ মেগাবাইট/ সেকেন্ড পাওয়া সম্ভব। যেখানে ডিডিআর ২ একটি পুরাতন র‍্যামের স্পীড ৩২০০ মেগাবাইট/সেকেন্ড এবং ডিডিআর৩ সবচাইতে দুর্বল র‍্যামের স্পীড ৬৪০০ মেগাবাইট/সেকেন্ড।

    “প্রশ্ন ২ঃ ৩২ বিট এবং ৬৪ বিট এর জন্য কী মাদার বোর্ড আলাদা?”

    উত্তর- আসলে মাদারবোর্ড ৩২/৬৪বিট হয়না, প্রসেসর হয়। তবে আপনার মাদারবোর্ডে ৬৪ বিট প্রসেসর সমর্থন করার ক্ষমতা থাকতে হবে। আপনি যেহেতু বললেন আপনার সিস্টেমে ৩২ জিবি পর্যন্ত মেমোরি সমর্থন করে অতএব অবশ্যই এটি ৬৪ বিট সিস্টেমে চলে, কেনোনা ৩২ বিট সিস্টেম শুধু ৩-৪ জিবি র‍্যামই সমর্থন করতে পারে।

    আশা করি আপনার সকল উত্তর পেয়ে গেছেন, আরো কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে কমেন্ট করতে পারেন, অথবা বেটার হয় আমার ব্লগে কমেন্ট করতে পারেন, ধন্যবাদ 🙂

Level New

৪ জিবি রেম যথেষ্ট যদি, অ্যাডোব সফটওয়্যার ও গেম খেলা না হয়। এমনকি উইন্ডোজ ১০ ও স্লো হয় না।

    Level New

    good tune

    হ্যাঁ, অ্যাডোবি সফটওয়্যার মানে ফটো, ভিডিও এডিটর ইউজ না করলে ৪ জিবিতেই কাজ চলে যাবে এবং খুব ভালো করে কাজ হয়ে যাবে। তবে খুব কম পিসি ইউজার আছে যারা এগুলো সফটওয়্যার ছাড়া থাকতে পারে 🙂

      Level New

      ভাই যদি সম্ভব হয় তাহলে কম্পিউটার এর সাউন্ড সিস্টেম এর (হোমে থিয়েটার, ৫.১, থ্রিডি, ইত্যাদির) উপর একটা টিওন করবেন।

        অবশ্যই চেষ্টা করবো 🙂

        হোম থিয়েটার নিয়ে অলরেডি পোস্ট করে ফেলেছি 🙂 এখানে লিঙ্ক দিলাম না, ব্যাট আমার ব্লগ থেকে চেক করে দেখতে পারেন 🙂

Level 0

thanks for your tun Bos

ভাই আমার ২ জিবি র‍্যাম ১৩০০ mhz এর ! এখন ১৬০০ mhz এর এক্সট্রা ২ বা ৪ জিবি র‍্যাম লাগালে প্রব্লেম হবে কি ? শুনেছি দুটো স্লটে আলাদা mhz এর র‍্যাম লাগালে প্রব্লেম হয় ! ?

    দুইটি স্লটে আলাদা স্পীডের র‍্যাম লাগালে সিস্টেম সর্বনিম্ন স্পীডটাই ক্যাচ করে কাজ করবে। মনে করুন একটি র‍্যাম ১৩০০ এবং আরেকটি ১৬০০ তবে সিস্টেম দুইটাতেই ১৩০০ হিসেবে কাজ নেবে। একই ফ্রিকোয়েন্সি র‍্যাম থাকাটা ভালো!

ভাইয়া, আপনি ধৈর্যসহকারে সবার প্রশ্নের উত্তর এত স্ববিস্তারে দিয়ে গেছেন যেটা দেখে তো আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না। আর আপনার বোঝানোর ধরণটা আমার একদম হ্নদয় ছুঁইয়ে গেছে।

যদি কিছু মনে না করেন, আপনার ফেবু আইডিটা কি পেতে পারি?

একটা প্রশ্নও ছিল; আমিও জানি যে ডিক্স ১০০% হয়ে গেলে সিস্টেম হ্যাং করে। বাট পুরো ব্যাপারটা বুঝি না। যেমন ধরুন আমার ফায়ারফক্স এখন ৭০০ মেগাবাইটের মত র‍্যাম দখল করে আছে যাতে ডিক্স স্পেস ০.১ মেগাবাইট পার সেকেন্ড দখল করেছে। আর টোটাল ডিক্স স্পেস দখলের পরিমাণ মাত্র ৩%। এটা আসলে কিভাবে ক্যালকুলেট করা হয়। আসলে ডিক্সস্পেস জিনিসটা কি এটাই ঠিকমত বুঝি না (যদিও CSE’র স্টুডেন্ট আমি)। আবার যখন ভিডিও এডিটিং এর কাজ করি, তখন হুট করেই ডিক্স স্পেস ১০০% হয়ে যায়। এবং উইন্ডোজ তখন আর ঐ সফটওয়্যারটিকে সাপোর্ট দেয় না। ফলে প্রোগ্রাম ক্লোজ করে দিতে হয় বা হয়ে যায়। (আমি উইন্ডোজ ১০ ৬৪ বিট ইউজ করি, পেন্টিয়াম R সিরিজের ২.৯০ গিগাহার্জের প্রসেসর এবং র‍্যাম ৪ জিবি ডিডিয়ার থ্রি ১৩৩৩ মেগাহার্জের)

    আপনার অসাধারণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ 🙂

    আসলে ট্যাস্ক ম্যানেজারে যে ডিস্ক পারসেন্ট শো করে সেটা ডিস্ক স্পেস নয় বরং ডিস্ক রীড এবং রাইট কতটা হচ্ছে তার উনুপাত প্রদর্শিত করে। কোন প্রোগ্রাম র‍্যামের উপর চললেও প্রোগ্রামটি সফলভাবে চলার জন্য মেইন ডিস্ক ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যেমন ধরুন টেম্প ফাইল অ্যাক্সেস করার জন্য ডিস্ক রীড করে এবং নতুন টেম্প তৈরি করার জন্য ডিস্ক রাইট করে।
    যাইহোক, ডিস্কের স্পীড নির্ভর করে আপনার হার্ডড্রাইভে কতোগুলো ডিস্ক রয়েছে এবং কতো রপিএম এর ড্রাইভ আপনার। মনে করুন একটি ৫০০ জিবি হার্ডড্রাইভ যেটা ৭২০০ আরপিএম এ চলে তবে সেটা সেকেন্ডে ৬০ এম্বি থেকে ১৫০ এম্বি পর্যন্ত স্পীড দিতে পারে। আর এই স্পীড এর উপর নির্ভর করেই আপনার অপারেটিং সিস্টেম একটা শতকরা শতাংশ প্রকাশ করে। অন্যান্য প্রোগ্রাম বেশি ডিস্ক স্পীড ইউজ করলে সাধারনত পিসি স্পীড কমে যায়।
    আপনার ডিস্ক ১০০% হওয়ার সম্ভবত মূল কারণ হচ্ছে আপনার পিসিতে র‍্যমের ঘাটতি। যখন কোন প্রোগ্রাম অনেক বেশি র‍্যাম ব্যবহার করে তখন উইন্ডোজে ডিফল্টভাবে একটি প্রোগ্রাম চালু হয় “System And Compressed Memory” নামে যেটা পুরাতন ক্যাশ ফাইল গুলোকে কমপ্রেস করে নতুন র‍্যাম স্পেস ফাঁকা করার চেষ্টা করে, আর এই উইন্ডোজ প্রসেস নিজেই অনেক র‍্যাম খতম করে।
    র‍্যাম বাড়িয়ে নিন, প্রবলেম শেষ হয়ে যাবে, তবে ভার্চুয়াল র‍্যাম বাবহার করে পারফর্মেন্স খানিকটা উন্নতি করতে পারেন।

    ধন্যবাদ 🙂
    আরো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন 🙂
    আমার ফেসবুক আইডি- facebook/borhan.azmin

    আপনার অসাধারণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ 🙂

    আসলে ট্যাস্ক ম্যানেজারে যে ডিস্ক পারসেন্ট শো করে সেটা ডিস্ক স্পেস নয় বরং ডিস্ক রীড এবং রাইট কতটা হচ্ছে তার উনুপাত প্রদর্শিত করে। কোন প্রোগ্রাম র‍্যামের উপর চললেও প্রোগ্রামটি সফলভাবে চলার জন্য মেইন ডিস্ক ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যেমন ধরুন টেম্প ফাইল অ্যাক্সেস করার জন্য ডিস্ক রীড করে এবং নতুন টেম্প তৈরি করার জন্য ডিস্ক রাইট করে।
    যাইহোক, ডিস্কের স্পীড নির্ভর করে আপনার হার্ডড্রাইভে কতোগুলো ডিস্ক রয়েছে এবং কতো রপিএম এর ড্রাইভ আপনার। মনে করুন একটি ৫০০ জিবি হার্ডড্রাইভ যেটা ৭২০০ আরপিএম এ চলে তবে সেটা সেকেন্ডে ৬০ এম্বি থেকে ১৫০ এম্বি পর্যন্ত স্পীড দিতে পারে। আর এই স্পীড এর উপর নির্ভর করেই আপনার অপারেটিং সিস্টেম একটা শতকরা শতাংশ প্রকাশ করে। অন্যান্য প্রোগ্রাম বেশি ডিস্ক স্পীড ইউজ করলে সাধারনত পিসি স্পীড কমে যায়।
    আপনার ডিস্ক ১০০% হওয়ার সম্ভবত মূল কারণ হচ্ছে আপনার পিসিতে র‍্যমের ঘাটতি। যখন কোন প্রোগ্রাম অনেক বেশি র‍্যাম ব্যবহার করে তখন উইন্ডোজে ডিফল্টভাবে একটি প্রসেস চালু হয় “System And Compressed Memory” নামে যেটা পুরাতন ক্যাশ ফাইল গুলোকে কমপ্রেস করে নতুন র‍্যাম স্পেস ফাঁকা করার চেষ্টা করে, আর এই উইন্ডোজ প্রসেস নিজেই অনেক র‍্যাম এবং ডিস্ক স্পীড খতম করে।
    র‍্যাম বাড়িয়ে নিন, প্রবলেম শেষ হয়ে যাবে, তবে ভার্চুয়াল র‍্যাম বাবহার করে পারফর্মেন্স খানিকটা উন্নতি করতে পারেন।

    ধন্যবাদ 🙂
    আরো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন 🙂
    আমার ফেসবুক আইডি- facebook/borhan.azmin

আস সালামু আলাইকুম তাহমিদ ভাই। আমি আপনার OCR এবং নিউরাল নেটওয়ার্ক এর উপর লেখা পোস্ট গুলো পরেছি। এক কথায় অসাধারণ। কিন্তু আপনি যদি মেশিন ট্রান্সলেটর কিভাবে কাজ করে তার উপর কোন পোস্ট না দেন তাহলে আমি আহত হব। 🙂 🙂 🙂
আমি আশা করি আপনি আমার অনুরোধ রাখবেন।

ভাই, আমার ল্যাপটপের দুটি স্লটের একটি স্লটে ২ জিবি র‍্যাম। অন্যটি খালি। এখন অন্যটিতে ৪ জিবি র‍্যাম সেটআপ করতে চাচ্ছি। পারা যাবে বা কি করলে ভালো হয়?

xp চালাই ১ জিবি র‌্যাম, আজ ১০ বছর উপর বেশ ভালই আছি।