আজ আবারও হাজির হলাম "এসো কম্পিউটার শিখি এর অপারেটিং সফটওয়্যার" পর্ব নিয়ে।
আশা করি সবাই ভালো আছেন?
আমি আপনাদের দোয়াই ভালোই আছি।
আর কিছু বলবনা কাজে চলে যাই।
আগের পর্ব গুলোঃ
কম্পিউটার কি? পর্বঃ ০১
কম্পিউটারের ইতিহাস। পর্বঃ০২
কম্পিউটারের গঠণপ্রণালী। পর্বঃ০৩
কম্পিউটারের ব্যবহার। পর্বঃ ০৪
কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে? পর্বঃ ০৫
আজকের আলোচনা শুরু করলাম
কম্পিউটার চালাতে গেলে শুধু হার্ডওয়্যার দিয়ে কাজ হবেনা বা চলবে না, এর সাথে চাই উপযুক্ত সফটওয়্যার। কম্পিউটারকে প্রাথমিকভাবে চালু করার জন্য বেশ কয়েকটি সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।
তবে তার মধ্যে যে সফটওয়্যারটি সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত সেটার নাম হচ্ছে ডিস্ক অপারেটিং সিষ্টেম বা সংক্ষেপে ‘ডস’।মাত্র কয়েক বছল আগেও এই ডস-এর সাহায্যে কম্পিউটার ওপেন করে ডস ভিত্তিক সফটওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটারে প্রয়োজনীয় কাজ করতে হতো। কিন্তু আমরা ভাগ্যবান,কারণ আধুনিক বিজ্ঞানের প্রচেষ্টায় আমরা এমন একটি সফটওয়্যার পেয়েছি যেটা ডসের সাহায্যে চালু হলেও পরবর্তীতে এই সফটওয়্যারটি ডসের মতই কাজ করতে পারে। এর অধীনের চমৎকার সব অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারগুলো খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়। এই সফটওয়্যারটির নাম হচ্ছে ‘উইন্ডোজ’।
আমেরিকার সর্ববৃহৎ ও বিখ্যাত সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট কর্পোরেশন এর আবিষ্কর্তা। উইন্ডোজ হচ্ছে এক ধরণের অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম বা অপারেটিং সফটওয়্যার। তবে এর সাথে সিষ্টেম সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ডাটা থাকে বলে একে অন্য কথায় সিষ্টেম সফটওয়্যারও বলা হয়ে থাকে। এর অধীনে রয়েছে অসংখ্য অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার।
সর্বপরী উইন্ডোজের রয়েছে এক চমৎকার যাদুকরী কার্যক্ষমতা।মাইক্রোসফট কর্পোরেশন নামের প্রতিষ্ঠানটি সর্বপ্রথম ১৯৮৫ সালে উইন্ডোজের একটি প্রাথমিক প্রোগ্রাম তৈরি করে বাজারে ছাড়ে। সে সময় ঐ প্রোগ্রামের ছিল অনেক বাধ্যবাধকতা। সেজন্য ওটা জনপ্রিয় হতে পারেনি। পরবর্তীতে উক্ত সফটওয়্যারটি কিছু পরিমার্জন করে নতুন ভার্সন হিসেবে ১৯৮৭ সালে বাজারে আসে উইন্ডেজ ২.০১ ভার্সন। তারপর ১৯৯০ সালে উইন্ডোজ ৩.০ ভার্সন, ১৯৯২ সালে ৩.১ ভার্সন, ১৯৯৩ সালে ৩.১১ ভার্সন। এভাবে একের পর এক ভার্সন বদলে উইন্ডোজের কর্মক্ষেত্র হয়ে উঠলো বিশাল আর স্বাচ্ছন্দময়। কিন্তু তখনও উইন্ডোজ প্রোগ্রামটি সরাসরি কম্পিউটারে চালানো যেত না।
প্রথমে ডস এর মাধ্যমে কম্পিউটার ওপেন করে তারপর উইন্ডোজ চালু করতে হতো। ১৯৯৫ সালে ঘটে যায় শতাব্দীর সেরা ঘটনা। সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের নির্মাতা বিল গেটস নামের এক বিজ্ঞানী উইন্ডোজের সম্পূর্ণ নতুন ভার্সন বাজারে ছাড়লেন, নাম দিলেন উইন্ডোজ ৯৫। এই সফটওয়্যারটির বৈশিষ্ঠ্য হলো এটাকে চালতে ডসের প্রত্যক্ষ সহায়তা লাগে না।কম্পিউটার প্রাথমিকভাবে ডস চালু করবে বটে তবে সেটা অনেকটা প্রচ্ছন্নভাবে, মূল কাজটা করবে উইন্ডোজ।সুতরাং ব্যবহারকারী কম্পিউটার ওপেন করলেই সরাসরি উইন্ডেজের ডেস্কটপে উপস্থিত হতে পারবে।
আর এর অধীনের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারেও আনা হলো বেশ কিছু পরিবর্তন। ফলে একজন সাধারণ বা নতুন কোন ব্যবহারকারীর পক্ষেও কম্পিউটারে কাজ করার পরিবেশে কোন সমস্যা থাকলো না।
উইন্ডোজ ৯৫ ভার্সন নিয়ে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন তার সফল যাত্রা শুরু করলেও প্রায় প্রতিবছরই পুরাতন উইন্ডোজের ভার্সনকে আরও কিছু সুবিধা যোগ করে নতুন নতুন ভার্সন বাজারে আসতে থাকে। তবে যে ভার্সনই থাকুক না কেন, অপারেটিং সিষ্টেমে কোন পরিবর্তন হয় না। অর্থাৎ যে ব্যবহারকারী যে ভার্সনই ব্যবহার করুক না কেন, ব্যবহারকারীর কাজের কোন অসুবিধা হবে না।
বর্তমানে বাজারে উইন্ডোজের অনেক আপগ্রেড ভার্সন পাওয়া যাচ্ছে এবং তা জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য উইন্ডোজ এক্সপি, ভিস্তা, উইন্ডোজ সেভেন, এইট ইত্যাদি। ভাবতেও অবাক লাগে, শুধু এই উইন্ডোজ সফটওয়্যার বিক্রি করেই বিশ্বের সেরা ধনীদের একজন মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের মালিক বিল গেটস।
আজ আর না, ৭ম পর্বে আলোচনা করব "কম্পিউটার ব্যবহার বা পরিচালনার" সম্পর্কে।
খোদা হাফেজ।।
আমি হুজাইফা হ্যাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 29 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।