টিউনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছেঃ http://www.hamwap.com এ
কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ শনাক্তের উপায়
সমাধান: কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সম্পর্কে ধারণা পেতে হলে আগে আপনাকে কেসিং খুলেতে হবে। এজন্য কেসিং এর পেছনের দুইটি স্ক্রু খুলে ভেতরে তাকান।
1. মূল যে বড় সার্কিট বোর্ডটি দেখছেন তাই মাদারবোর্ড। আর পাওয়ার সাপ্লাই থাকে কেসিং এর উপরে পেছন দিকে। পাওয়ার সাপ্লাই থেকে অনেকগুলো লাল, হলুদ, কালো বা নীল তার বের হয়ে আসে। এর কিছু সংযুক্ত মাদারবোর্ডে আর কিছু সরাসরি অন্য হার্ডওয়্যারে যেমন- সিডি ড্রাইভ, ফ্লপি ড্রাইভ, হার্ডডিস্ক।
2. মাদারবোর্ডে প্রসেসর কোনটি তা বুঝতে এর কুলিং ফ্যান খুঁজে বের করুন। সাধারণত এটি মাদারবোর্ডের উপরে কিছুটা বামে থাকে। প্রসেসর ফ্যানের জন্য সরাসরি দেখা সম্ভব নয়।
3. র্যাম সাধারণ প্রসেসরের ডানপাশে থাকে। মডেলভেদে ২-৪টি স্লট,লম্বাকৃতির।
4. সাউন্ডকার্ড কোনটি বুঝতে হলে খুঁজে বের করুন স্পিকারের ইনপুট জ্যাক কোথায় লাগে সেই ডিভাইসটি।
5. একইভাবে মনিটরের ক্যাবল দিয়ে জানতে পারবেন কোনটি আপনার গ্রাফিক্স কার্ড।
6. একই উপায়ে মডেম (টেলিফোনের তার), ল্যান কার্ড (ব্রন্ডব্যান্ড ইন্টারনেটের তার) খুঁজে বের করতে পারবেন আপনি।
7. চিকন চিকন লাল, হলুদ, কাল বা নীল তারগুলো পাওয়ার ক্যাবল। সাদা বা লাল চওড়া ক্যাবলগুলো ডাটা ক্যাবল।
8. সাধারণ একটি পিসিতে কেসিং-এর পেছনে পাওয়ার কর্ড, মনিটর কর্ড,মাউস ও কী-বোর্ড, স্পিকার ইনপুট এগুলো প্রাথমিক অনুসঙ্গ যা সব পিসিতেই আছে।
বিভিন্ন ক্যাবল আলাদা রকমের হওয়াতে সবচেয়ে বড় সুবিধা এক ধরনের কানেকশন আপনি ভুল করে চাইলেও অন্যটিতে লাগাতে পারবেন না।
কম্পিউটারের কেসিং খুলতে
সমাধান: কম্পিউটারের কেসিং খোলার কাজটি খুব সহজ। একটু ভালো করে খেয়াল করলেই আপনি এটি করতে পারবেন। সাধারণত কেসিং-এর পেছনে এটি খোলার ২+২=৪টি স্ক্রু থাকে। কেসিং খোলার আগের পাওয়ার সাপ্লাই অফ করুন। মাদারবোর্ডের পেছন থেকে সব প্লাগ খুলে ফেলুন।
সামনে থেকে কেসিংটাকে দেখলে এর বামপাশের অংশটি খুলতে হয়। এর পেছনে স্ক্রু দুটি খুলতে ভালো চারকোণা স্ক্রু ড্রাইভার লাগবে আপনার। খোলা স্ক্রু সযত্নে রাখুন।
স্ক্রু খোলা হয়ে গেলে কেসিং-এর পাশ থেকে কভারটি আলাদা করে নিন। সাধারণত কভারটি পেছনদিকে কিছুটা স্লাইড করে খুলতে হয়।
কম্পিউটার চালু না হলে করণীয় কি?
সমাধান: এটিকে একটি পরিচিত সমস্যা হিসেবেই চিহ্নিত করতে চাই। নিয়মিত কম্পিউটার চালু হয় না এমনটা বললে মনে হয় ভুল বলা হবে না। নতুন ব্যবহারকারীদের কাছে এই সমস্যার একটাই সমাধান। তা হচ্ছে বিক্রেতার শরণাপন্ন হয়ে অযথা পয়সা খরচ। নিচের কথাগুলো শুনুন মনোযোগ দিয়ে। আশা করি আপনার চেষ্টা বিফলে যাবে না।
* পাওয়ার সুইচ অন করার পর সিস্টেমের ইন্টারনাল স্পিকার কয়টা আওয়াজ করলো খেয়াল করুন। যদি বীপ সংখ্যা এক হয় তার মানে কম্পিউটার ডিসপ্লে আউটপুট পাচ্ছে না। অথবা কীবোর্ড মাদারবোর্ডের সাথে ঠিকমতো সংযুক্ত না হলেও এমনটা হতে পারে।
# যদি একটি বড় বীপের পর দুটি ছোটো বীপ হয় তারমানে র্যাম পাচ্ছে না আপনার মাদারবোর্ড। র্যাম পরিবর্তন না স্লট পরিবর্তন করে দেখুন।
#যদি একটি বড় বীপের পর তিনটি ছোট বীপ হয় তাহলে বুঝবেন নিশ্চিতভাবেই ডিসপ্লে বা গ্রাফিক্স আউটপুটের সমস্যা।
# আর যদি একটা বড় বীপ তারপর চারটা ছোট বীপ হয় তারমানে আপনার মাদারবোর্ড বা গুরুত্বপূর্ণ কোন হার্ডওয়ার নষ্ট হয়ে গিয়েছে বা ঠিকমতো কাজ করছে না।
# তবে এর জন্য আপনার পিসিতে ইন্টারনাল স্পীকার কিন্তু থাকতে হবে। অনেক মাদারবোর্ডে ইন্টারনাল স্পীকার বিল্ট-ইন থাকে।অন্যগুলাতে আলাদা লাগাবে হয়।সাধারনত কম্পিউটার কেনার সময় বিক্রেতাই এটি দিয়ে দেয় তবে অনেকসময় ভুলে তা ঠিকমতো লাগানো নাও থাকতে পারে।সেক্ষেত্রে আপনার মাদারবোর্ডের বক্সে দেখুন স্পীকার পান কিনা।নইলে সময় করে বিক্রেতার কাছ থেকে নিয়ে আসুন।বুঝতেই পারছেন কেন আমি এটাকে এতো গুরুত্ব দিচ্ছি।
* মনিটরের দিকে তাকান। এটি কি স্লীপ মোডে আছে ? অর্থাৎ এর লেড লাইট কি জ্বলছে নিভছে কিনা খেয়াল করুন। যদি তা না হয় অর্থাৎ লেড লাইট জ্বলেই থাকে এবং মনিটরে কিছু না কিছু দেখা যায় তাহলে আপনাকে অভিনন্দন। আপনার মাদারবোর্ড ও গ্রাফিক্স কার্ড ঠিক আছে।সমস্যাটা ছোটোখাটো।নো টেনশন!
* যদি পাওয়ার অন করাই সম্ভব না হয় তাহলে কেসিং খুলে দেখুন নিঃসন্দেহে আপনার পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা। খোঁজার চেষ্টা করুন সমস্যাটা কোথায়।
* এবারে ধরুন মাদারবোর্ডের পাওয়ার লেড জ্বলছে কিন্তু কেসিংয়ের পাওয়ার বাটন চাপলেও পিসি রেসপন্স করছে না তখন বুঝতে হবে কেসিংয়ের পাওয়ার সাপ্লাইয়ে কোনো সমস্যা হবার কারণে এটি পর্যাপ্ত ভোল্টেজ আউটপুট দিতে পারছে না। এক্ষেত্রে সম্ভব হলে অন্য পাওয়ার সাপ্লাই লাগিয়ে চেষ্টা করে দেখুন।
* এবারেও কাজ হয়নি ? হতে পারে আপনার পাওয়ার সুইচেই সমস্যা। অভিজ্ঞ কাজ জানা ব্যবহারকারীরা সম্ভব হলে মাদারবোর্ডের ম্যানুয়াল দেখে মাদারবোর্ডের পাওয়ার বাটন পিন দুইটি বের করে তা কোনোভাবে কন্টাক্ট করে দেখতে পারেন কাজ হয় কিনা। তবে অনভিজ্ঞরা এই কাজটি না করতেযাওয়াটাই ভালো।
* পাওয়ার সংক্রান্ত সমস্যার আশাকরি সমাধান হলো। এবারও কম্পিউটার চালু হচ্ছে না ? তাহলে বুঝতে হবে র্যামের সমস্যা। র্যামের স্লট পরিবর্তন করে নতুবা অন্য র্যাম লাগিয়ে দেখুন।
* কম্পিউটার বুট হলো ঠিকঠাক কিন্তু উইন্ডোজ লোডিং-এর আগেই আটকে গেছে ? তখন বুঝতে হবে আপনার হার্ডডিস্কের সমস্যা। হার্ডডিস্কের পাওয়ার ও ডাটা ক্যাবলের কানেকশন চেক করুন। সম্ভব হবে মাদারবোর্ডের যে কানেক্টরে ক্যাবলটি লাগানো তা পরিবর্তন করে দেখুন। এছাড়া এমনটি কি হচ্ছে কম্পিউটার ঠিকমতো চালু হচ্ছে হয়তো অপারেটিং সিস্টেমও লোড হচ্ছে তারপর ধুড়ুম করে পিসি বন্ধ হয়ে রিস্টার্ট করছে। এটি সম্ভবত প্রসেসরের কুলিং ফ্যান বা হিটসিংক ও প্রসেসরের কানেকশনের দুর্বলতার কারণে হচ্ছে। চেক করে দেখুন ফ্যান ঠিকমতো ঘুরছে কি-না বা ফ্যানসহ সবকিছু ঠিকমতো টাইট আছে কিনা। পারলে কুলিং ফ্যানসহ হিটসিংক খুলে আবারও লাগান। কুলিং ফ্যান দুইপাশে একসাথে চাপ দিয়ে খুলতে হয়।
আর হঠাৎ করে বন্ধ না হলে মানে একটু সময় নিয়ে সংকেত দিয়ে বন্ধ হওয়া মানে ভাইরাসের আক্রমণের শিকার আপনি।
হঠাৎ বলতে আমি এটা বুঝাচ্ছি যে কম্পিউটার চলার সময় পাওয়ার চলে গেলে যেভাবে বন্ধ হয় সেরকম ঘটনা।
এছাড়াও কোনো না কোনো ক্যাবল লুজ/ নষ্ট হয়ে যাবার কারণেও কম্পিউটার চালু হওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই ব্যাপারটিও খেয়াল রাখবেন।
মনিটরে ছবি আসে না
সমাধান: যদি মনিটরে কোনো ডিসপ্লে না আসে এবং এর লেড লাইট জ্বলে নিভে তখন বুঝতে হবে গ্রাফিক্স/ভিডিও কার্ডে কোনো সমস্যা বা মনিটরের ক্যাবল কানেকশন লুজ হয়ে গেছে। কানেকশন চেক করুন। অনেকসময় র্যামের স্লট পরিবর্তন করলেও এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।বায়োস সেটিংস রিসেট করেও দেখতে পারেন।
গ্রাফিক্স কার্ডের সমস্যা বোঝার উপায় কি?
সমাধান: যদি মনিটর ও পিসির পাওয়ার সুইচ অন করার পর তিনটি শর্ট বীপ শুনতে পান তাহলে বুঝতে হবে গ্রাফিক্স কার্ডে সমস্যা। আপনার গ্রাফিক্স কার্ডটি খুলে অন্য পিসিতে লাগিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন এটি ঠিক আছে কিনা। আর যদি বিল্টইন গ্রাফিক্স হয় তাহলে আলাদা গ্রাফিক্স কার্ড এজিপি স্লটে লাগিয়ে টেস্ট করতে পারেন।ইন্টিগ্রেটেড এজিপির সমস্যা সমাধানে বায়োস সেটিংস রিসেট করে দেখতে পারেন।
মনিটর ঝাপসা বা ছবি কাঁপলে কি করতে পারি?
সমাধান: যদি মনিটর ঝাপসা মনে হয় বা এটি কাঁপতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে মনিটর ও গ্রাফিক্স কার্ডের রিফ্রেশ রেটে অসামঞ্জস্য আছে। যদি উইন্ডোজ লোড হওয়াকালীন এই সমস্যা হয় তাহলে বুঝবেন মনিটরের রিফ্রেশ রেট ভুলভাবে সেটিংস করা হয়েছে। এমতাবস্থায় সিস্টেম বুট হবার পর যখন Starting Windows মেসেজটি দেখবেন তখনই কী-বোর্ডের এফ৮ চেপেসেফ মোডে উইন্ডোজ চালু করুন। এর গ্রাফিক্স/ডিসপ্লে প্রোপার্টিজে গিয়েরিফ্রেশ রেট ঠিক করুন।
মনিটরে অস্পষ্ট কালার ও প্যাটার্ন-এর সমাধান কি?
সমাধান: যদি মনিটরে অস্পষ্ট কালার ও প্যাটার্ন দেখা যায় এবং চালু করতে গেলে মনিটর কাঁপতে থাকে বা চালুই হয় না তখন বুঝতে হবে একহয় আপনার ডাইরেক্ট এক্স পুরাতন অথবা গ্রাফিক্স কার্ডের লেটেস্ট ড্রাইভার নেই। তাই সবসময় লেটেস্ট ডাইরেক্ট এক্স ব্যবহার করবেন ও গ্রাফিক্স কার্ড ড্রাইভার আপডেটেড রাখবেন। এরপরও সমস্যা থাকলে বুঝতে হবে আপনার ভিডিও কার্ড ও উইন্ডোজের মধ্যে কম্পাটিবিলিটিতে সমস্যাআছে। এমতাবস্থায় অভিজ্ঞ কাউকে দেখান অথবা বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করুন।
সিডি ড্রাইভ থেকে সিডি ঠিকমতো বের হয় না
সমাধান: সিডি যদি ড্রাইভের Eject বাটন চাপার পরও বের না হয় তখন বুঝতে হবে সিডিটি এখনও রান করছে। তাই অপেক্ষা করুন। তবে নিয়মিত এই সমস্যাটি হলে বুঝতে হবে সিডি ড্রাইভের মেকানিজমে সমস্যা। বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করুন।
কীবোর্ডে উলটা পালটা শব্দ আসছে
সমাধান: কী-বোর্ডে যে সমস্যাটি বেশি ঝামেলায় ফেলে তা হচ্ছে কী-বোর্ডের যে বাটনে যেটি আসার কথা তা না এসে অন্যটি আসা। এ সমস্যার সমাধান করা জানা থাকলে খুবই সহজ।
* কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে Regional and Language অপশনে যান।
* Keyboard and Language ট্যাব থেকে Change Keyboard-এ ক্লিক করুন।
* সেখান থেকে United States International সিলেক্ট করে Apply, Ok করুন।
কম্পিউটার সিডি ড্রাইভ পাচ্ছে না
সমাধান: যদি মাই কম্পিউটারেই সিডি ড্রাইভ খুঁজে পাওয়া না যায় তখন দেখুন এর পেছনের ডাটা ক্যাবল ও পাওয়ার ক্যাবল লুজ হয়ে গিয়েছে কিনা। তারপরও কাজ না হলে বায়োসে ঢুকে দেখতে পারেন আসলেইমাদারবোর্ড ড্রাইভটিকে ডিটেক্ট করতে পারছে কি-না। এখানে বুট ডিভাইসলিস্টে ড্রাইভটি দেখা গেলে বুঝা যাবে যে উইন্ডোজের সমস্যা। সেক্ষেত্রেডিভাইস ম্যানেজারে গিয়ে ড্রাইভের ড্রাইভারটি আনইন্সটল করুন। ড্রাইভের ডাটা ক্যাবল খুলে আবার লাগান। উইন্ডোজ এবার নতুন করে ড্রাইভার ইন্সটল করবে।
কম্পিউটার ইন্টারনেট মডেম খুঁজে পাচ্ছে না
সমাধান: কম্পিউটার আপনার ডায়াল আপ বা জিপিআরএস/এজ মডেম কোনো কারণে খুঁজে না পেলে সেটি অন্য স্লটে /পোর্টে লাগিয়ে দেখুন। কম্পিউটার রিস্টার্ট দিয়ে আবার চেষ্টা করে দেখুন।
পিসি মডেম পাচ্ছে কিন্তু ইন্টারনেট নেই
সমাধান: ডায়াল আপে মডেমের ক্ষেত্রে-
• ফোনের ডায়াল টোন আছে কিনা দেখুন।
• মডেম ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা জানার জন্য ডিভাইস ম্যানেজারে গিয়ে চেক করুন।
• মডেমের ড্রাইভার নতুন করে ইন্সটল করে দেখুন।
এজ/জিপিআরএস মডেমের ক্ষেত্রে-
• মোবাইলের নেটওয়ার্ক চেক করুন।
• সীমে ইন্টারনেট এক্টিভেট আছে কিনা দেখুন।
• নতুন করে ড্রাইভার ইন্সটল করে দেখুন।
মডেম নো সার্ভিস/ নো নেটওয়ার্ক
সমাধান: জিপিআরএস বা এজ মডেমের এই সমস্যা হলে-
1. সীমটি ট্রে থেকে খুলে আবার লাগিয়ে কানেক্ট দিন। অনেকসময় মডেম ঠিকমতো সীম কানেকশন না পাবার কারনেও নেট সমস্যা করে থাকে।
2. ড্রাইভার নতুন করে ইন্সটল করে দেখুন।
ইন্টারনেট মডেম-এ নেটওয়ার্ক সমস্যা হচ্ছে
সমাধান: জিপিআরএস বা এজ মডেমে নেটওয়ার্কের এই সমস্যা হলে-
1. মডেম সবসময় উন্মুক্ত স্থানে রাখুন। কেননা এর উপর নেটওয়ার্ক নির্ভর করে।
2. সীমটি ট্রে থেকে খুলে আবার লাগিয়ে কানেক্ট দিন। অনেকসময় মডেম ঠিকমতো সীম কানেকশন না পাবার কারনেও নেট সমস্যা করে থাকে।
3. ড্রাইভার নতুন করে ইন্সটল করে দেখুন।
4. মডেম কেনার সময় ভাল করে জেনে নিন এই মডেম উইন্ডোজ এক্সপি,ভিসতা,সেভেন বা লিনাক্স সাপোর্ট করে কিনা এবং সংশ্লিষ্ট সব ড্রাইভার সাথে দেয়া আছে কিনা।
হার্ডওয়্যার আপডেটিংজনিত সমস্যা
সমাধান: উইন্ডোজের আপডেটিং-এর মাধ্যমে অকেজো হার্ডওয়্যারের ড্রাইভার ডাউনলোড করে তা যেমন সচল করা যায় তেমনি উল্টোটাও হতে পারে। আপডেট করার পর দেখলেন যে ডিভাইসটি আর কাজকরছে না। তখন কি করতে হবে তাই বলছি এখন-
* কম্পিউটারে রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজ> ডিভাইস ম্যানেজারে যান। এক্সপিতে মাই কম্পিউটারে রাইট ক্লিক তারপর প্রোপার্টিজ>হার্ডওয়্যার>ডিভাইস ম্যানেজার।
* যে ডিভাইসটি সমস্যা করছে সেটিকে এক্সপান্ড করে রাইট ক্লিক করেপ্রোপার্টিজ>ড্রাইভারে যান। ভাগ্য ভালো থাকলে ‘রোল ব্যাক ড্রাইভার’ অপশনদেখলে তা সিলেক্ট করলে কাজ হয়ে যাবে। ভাগ্যের কথা বলছি কেননা সব সময় এই অপশনটি পাবেন না।
* এতে কাজ না হলে একই ড্রাইভার ট্যাব থেকেই আনইনস্টল সিলেক্ট করে আবার নতুন করে আগের ড্রাইভার ইন্সটল করুন। কাজ হয়ে যাবে।
আর আমার পরামর্শ হচ্ছে যদি ডিভাইসটি ঠিকমতো কাজ করতে থাকে তাহলে একমাত্র গ্রাফিক্স কার্ড বাদে কোনোটাই ড্রাইভার আপডেট করা থেকে বিরত থাকবেন। অনাকাঙ্খিত ঝামেলা থেকে রেহাই পাবেন এতে।
কম্পিউটারের কনফিগারেশন জানার উপায়
সমাধান: কম্পিউটারের বেসিক কনফিগারেশনগুলো জানার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। মাই কম্পিউটারে রাইট ক্লিক করে প্রোপ্রার্টিজে গিয়ে জেনারেল ট্যাব থেকে জেনে নিতে পারবেন প্রসেসর, র্যাম ও অপারেটিং সিস্টেম সংক্রান্ত তথ্য। গ্রাফিক্স বা ডিসপ্লে প্রোপ্রার্টিজে গিয়ে ইনফরমেশন থেকে জানতে পারবেন গ্রাফিক্সকার্ড সংক্রান্ত তথ্য। আর অনেকক্ষেত্রেই কম্পিউটার কেনার ক্যাশমেমোতেই এসব বিস্তারিত লিখা থাকে। আরেকটি কাজ করতে পারেন। কোনো অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীর সহায়তায় জেনে নিতেপারেন তথ্যগুলো। যেভাবেই যাই জানুন না কেন তা ভালোভাবে লিখে যত্নসহকারে রেখে দিন, পরবর্তীতে কাজে আসতে পারে এসব তথ্য।
কম্পিউটারের বিল্ট ইন ডিভাইস মানে কি?
সমাধান: এখন প্রায় সব কম্পিউটারেই বিল্টইন কিছু না কিছু থাকেই। যেমন- এজিপি কার্ড, সাউন্ড কার্ড, ল্যান কার্ড ইত্যাদি। বিল্টইন অর্থ এই হার্ডওয়্যারটি আপনার মাদারবোর্ডে দেয়াই আছে। আপনি আলাদা না কিনে এটি দিয়েই কাজ চালাতে পারেন। পারফরমেন্সে বিল্টইন হার্ডওয়্যারটি কখনই স্বতন্ত্র হার্ডওয়্যারের সমকক্ষ হতে পারে না। তবে যারা সাধারণ বা মাঝারি মানের ব্যবহারকারী তাদের জন্য বিল্টইন সাউন্ড বা এজিপি কার্ডই যথেষ্ঠ। আর বিল্টইন সাউন্ড কার্ড বা এজিপিতে সমস্যা হলে তা বেশ বিড়ম্বনাকর। অনেকক্ষেত্রে মাদারবোর্ডের উপরই চাপটা পড়ে বেশ জটিলাকার ধারণ করে। তবে মনে রাখবেন, বিল্টইন এজিপি মানেই এটি আপনার সিস্টেম থেকে র্যাম শেয়ার করে। তাই বিল্টইন এজিপি ব্যবহার করলে বাড়তি র্যাম লাগানোটাইভালো। নাহলে সিস্টেম স্লো হয়ে যাওয়া বা হ্যাং করাসহ অনেক সমস্যাই হতে পারে আপনার। আর বিল্টইন ল্যান কার্ড দিয়ে সমস্যা ছাড়াই কাজ চালাতে পারেন।
কম্পিউটারের পাওয়ার সাপ্লাই সম্পর্কে জানতে চাই
সমাধান: কম্পিউটারের অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ অংশ এই পাওয়ার সাপ্লাই। কম্পিউটারের ভেতরের যাবতীয় হার্ডওয়্যার চলে ডিসি পাওয়ারে। এসি ২২০ ভোল্ট পাওয়ারকে পাওয়ার সাপ্লাই ডিসি ৩.৫ ভোল্ট, ৫ ভোল্ট ও ১২ ভোল্টে রূপান্তর করে মাদারবোর্ডে সরবরাহ করে। ফলে সিপিইউর ভেতর যে কারেন্ট থাকে তা বিপদজনক নয়। তবে যদি পাওয়ার অন করে কখনও কাজ করতে হয় তখন খেয়াল রাখবেন যেন শর্টসার্কিট না হয় এবং আপনার পায়ে যেন শুকনা জুতা থাকে। পাওয়ার সাপ্লাই-এর কারণে অনেক সমস্যাই হতে পারে। অস্থিতিশীল ভোল্টেজ সাপ্লাই আপনার মূল্যবান হার্ডওয়্যারের মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। সেজন্য ভালোমানে ইউপিএস ব্যবহার করাটা জরুরি।
কম্পিউটারের আর্থিং কি?
সমাধান: ভালোমানের আর্থিং কম্পিউটারের জন্য অতীব প্রয়োজনীয়। আর্থিং করা থাকলে বৈদ্যুতিক শক খাবার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। এটি মূলত বিদ্যুতকে নিরাপদ পথে ভূমিতে নিয়ে যেতে ব্যবহৃত হয়। কোনো ইলেকট্রিশিয়ানকে ডেকে আপনার বাড়ির আর্থিং ঠিক আছে কিনা তাচেক করে নিতে পারে। আর্থিং না থাকার কারণে অনেক সময় কোনো কোনো হার্ডওয়্যার ঠিকমতো কাজ নাও করতে পারে। মনিটর কাঁপতে পারে, কেসিং-এর বডি শক করতে পারে; এমনকি মাদারবোর্ড বা হার্ডডিস্কের ক্ষতি পর্যন্ত হতে পারে।
বিদ্যুতের কারণের পিসির রিস্টার্ট সমস্যা
সমাধান: যদি ভোল্টেজের উঠানামার জন্য পিসি রিস্টার্ট দেয় তাহলে ইউপিএস ব্যবহার ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। আরেকটি সমস্যা অনেকসময় দেখা যায়। কম্পিউটারের উপর যখন বেশি চাপ পড়ে তখন সেটি রিস্টার্ট দিতে পারে। পিসি যখন হাইএন্ড গেম বা এপ্লিকেশন রান করতে যায় তখন পিসি রিস্টার্ট করে। এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে অপর্যাপ্ত পাওয়ার সাপ্লাই। অর্থাৎ কাজের সময় আপনার পাওয়ার সাপ্লাই মাদারবোর্ডে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে না। এক্ষেত্রে আপনাকে পাওয়ার সাপ্লাইটিপরিবর্তন করতে হবে।
ল্যাপটপ ব্যাকআপ কম দিচ্ছে
সমাধান: আপনার ল্যাপটপটি যদি ভালো ব্রান্ডের না হয়ে থাকে তাহলে এটি কেনার কিছুদিন পর থেকেই এই ব্যাকআপ টাইম কমতে পারে। এখানে আসলে করার কিছু নেই। এজন্য কেনার সময়ই ভালো ব্রান্ডের জিনিস বেছে নিন। আর ল্যাপটপ যখন চার্জ দিবেন তখন টানা চার্জ দিবেন। বারবার চার্জ থেকে এটিকে খুলবেন না। এতে ব্যাটারির আয়ু কমে যায়। ব্যাটারি দিয়ে ব্যবহার করলে চার্জ যখন একেবারে শেষের দিকে চলে আসবে তখন আবার নতুন করে চার্জ দিবেন। তার আগে নয়।
ইউপিএস স্টার্ট হচ্ছে না
সমাধান: ইউপিএস-এর সুইচ যদি চালু হয় এবং বাতি জ্বলে কিন্তু তাও আউটপুটে পাওয়ার না পাওয়া যায় তবে বুঝতে হবে যে সমস্যা ইউপিএস এর সার্কিটে। তবে সবার আগে পরীক্ষা করে নিন ইউপিএস এরফিউজ ঠিক আছে কিনা। যদি ফিউজ ঠিক থাকার পরও পাওয়ার না আসে তাহলে অভিজ্ঞ কোনো টেকনিশিয়ানের সাহায্য নিন।
ইউপিএস ব্যাকআপ দিচ্ছে না
সমাধান: অনেকসময়ই দেখা যায় বিদ্যুৎ চলে গেলেই ইউপিএস চালু থাকলেও কম্পিউটার রিস্টার্ট দেয় কিংবা ইউপিএস ১/২ মিনিটের বেশি ব্যাকআপ দিচ্ছে না। এমন হলে বুঝতে হবে ইউপিএস এর ব্যাটারি পুরাতন হয়ে গেছে। এই অবস্থায় নতুন ব্যাটারি লাগালেই সমস্যার সমাধান হবে।
ইউপিএস থাকার পরেও কম্পিউটার রিস্টার্ট হয়
সমাধান: অনেকসময়ই দেখা যায় বিদ্যুৎ চলে গেলেই ইউপিএস চালু থাকলেও কম্পিউটার রিস্টার্ট দেয়। বেশ কয়েক কারণে এমন হতে পারে-
• ইউপিএস এর সার্কিটে সমস্যার কারণে এমন হতে পারে।
• ইউপিএস-এ চার্জ কম থাকলে।
• ইউপিএস-এ লোডের চেয়ে বেশি পাওয়ারের যন্ত্র লাগানো থাকলে।
যদি চার্জ ফুল থাকার পরও কারেন্ট চলে গেলে ইউপিএস থাকা সত্ত্বেও পিসিরিস্টার্ট দেয় তাহলে পিসির সাথে সিপিইউ আর মনিটর বাদে অন্য অতিরিক্তযন্তাংশ খুলে তারপর আবার পরীক্ষা করুন। যদি তখনও একই সমস্যা হয় তাহলে ইউপিএসটি টেকনিশিয়ানকে দেখান।
মাউস কাজ করছে না
সমাধান: সাধারণত রোলার বলবিশিষ্ট মাউসগুলোর ভেতর ময়লা ও ধুলাবালি জমে প্রায়ই সমস্যা তৈরি করে। এজন্য উচিত নিয়মিত মাউস পরিষ্কার করা। প্রথমে মাউসটি হাতে নিয়ে উল্টো করে নিচের অংশ গোলাকৃতি চাকতিটি হাতের আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরে বামদিকে ঘুরিয়ে ফেলুন। ভেতরের রোলার বলটি বের করুন। এবার মাউস হোলের ভেতরে তাকান। সেখানে বেশ কিছু রোলার দেখতে পাবেন। ময়লা-ধুলাবালি সেখানেই জমে। চিমটা বা হাতের নখ দিয়ে ময়লাগুলো আলগা করে মাউস উল্টে বাইরে ফেলে দিন। এবার মাউসের বলটি পরিষ্কার কাপড় বা টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। সব কাজ শেষ হলে বলটি ভেতরে রেখে চাকতিটি নিয়ে বিপরীত দিকে ঘুরিয়ে বন্ধ করুন।
অপটিক্যাল মাউস নিয়ে বলার কিছু নেই। কেননা বেসিক ইলেকট্রনিক সার্কিট,সোল্ডারিং, মাল্টিমিটার এর সাথে যাদের পরিচয় নেই তারা আসলে নতুন মাউস কেনা ছাড়া কিছুই করতে পারবেন না।
ল্যাপটপ পাওয়ার পাচ্ছে না
সমাধান: ল্যাপটপ কম্পিউটার যদি পাওয়ার না পায় তাহলে বুঝতে হবে সেটা এডাপ্টারের সমস্যা। আপনার কারেন্টের সকেট এবং এডাপ্টার ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করুন। সব ঠিক থাকার পরও যদি ল্যাপটপ চার্জ না নেয় তাহলে সেটা ল্যাপটপের সমস্যা। অভিজ্ঞ কোনো টেকনিশিয়ানের সহায়তা নিন।
ল্যাপটপের ডিসপ্লে আসছে না
সমাধান: ল্যাপটপ ছাড়ার পর যদি ডিসপ্লে না আসে তাহলে সেটা বেশ চিন্তার বিষয়। বায়োসের স্ক্রীণ আসলে বুঝতে হবে স্ক্রীণ এবং কানেকশন ঠিক আছে। অপারেটিং সিস্টেমের সমস্যার কারণে এমনটা হচ্ছে।
আর একদমই মনিটর কালো হয়ে থাকলে সেটা অভিজ্ঞ কাউকে দেখান। ল্যাপটপের ব্যাটারী খুলে আবার লাগিয়ে দেখতে পারেন।
:-P:-P আজ এখানেই শেষ করলাম :-P:-P
এই ধরনের আরও টিউন পেতে জয়েন করুনঃ http://www.hamwap.com এ
আমি হুজাইফা হ্যাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 29 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।