আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। আশা করি সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন। কম্পিউটারের স্পীড বাড়ানোর জন্য ইতিপূর্বে বিভিন্ন টিপস দেয়ার মাধ্যমে আপনাদের সহযোগীতা করার চেষ্টা করেছি। আজ আলোচনা করবো কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার বিষয়ে এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান এর পথ নিয়ে। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি।
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার- এক কথায় কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইস ও আউটপুট বিভাইসসহ অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সকল যন্ত্রংশকে একসাথে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বলা হয়।
কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের প্রয়োজনীয় বিষয় সমূহ-
পিসিআই স্লট, আইএসএ স্লট, এজিপি ও এক্সপ্রেস স্লট
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এর ক্ষেত্রে এসেম্বলিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চলুন জেনে নিই ১টি কম্পিউটার এ্যাসেম্বলিং করার পদ্ধতি-
প্রথমে কস্পিউটারের ক্যাসিং এর নিচে পিন বসিয়ে সেখানে মাদারবোর্ড বসাতে হবে। এরপর সতর্কতার সাথে প্রসেসর লাগাতে হবে। প্রসেসর লাগানোর পর যথাযথভাবে লক সেট করতে হবে। তারপর হিট সিঙ্ক সম্বলিত কুলিং ফ্যান বসাতে হবে। এখন র্যাম লাগাতে হবে স্লট ও নচ অনুসরণ করে। বিভিন্ন প্রকার র্যাম আছে, মাদারবোর্ড অনুযায়ী র্যাম পরিবর্তন হয়। এসডি র্যাম, ডিডিআর-১, ডিডিআর-২, ডিডিআর-৩ ইত্যাদি। এখন যদিও এসডি র্যাম বিলুপ্ত প্রায় তবুও পুরনো পিসিগুলো এখনো সরকারী কিছু অফিস আদালতে গেলেই পাবেন। পুরনো পিসির ক্ষেত্রে এজিপি ও সাউন্ড কার্ড স্লট অনুযায়ী আলাদা লাগাতে হতো। এখনকার পিসি গুলোতে এজিপির পরিবর্তে এক্সপ্রেস স্লট ব্যবহার হলেও, এজিপি এবং সাউন্ড বিল্ট ইন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাই এই দুইটি ডিভাইস নিয়ে বাড়তি ঝামেলা করতে হয় না। পাশাপাশি নেটওয়ার্কের জন্য ল্যান কার্ডও বিল্টইন অবস্থায় এখনকার সকল মাদারবোর্ডে পাওয়া যায়। কোন কারণে ল্যান পোর্ট নষ্ট হলে সেক্ষেত্রে নতুন ল্যান কার্ড সংযোজনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
যাইহোক, প্রয়োজনীয় ডিভাইস স্লট অনুযায়ী লাগিয়ে তারপর আইডিই ক্যাবল কিংবা সাটা ক্যাবল সে ডিভাইসের সাথে সংযোগ করতে হয়। একপ্রান্ত ডিভাইস (হার্ড ডিস্ক, ডিভিডি রম) এবং আরেক প্রান্ত মাদারবোর্ডে লাগিয়ে পাওয়ার সংযোগ দিতে হবে। পাওয়ার সংযোগও দুই রকম পাবেন। সাটার জন্য একরকম এবং আইডিইর জন্য আরেকরকম। আইডিই বিলুপ্ত প্রায় হলেও এখনকার কিছু কিছু মাদারবোর্ডে অন্তত একটা আইডিই পোর্ট দেয়া থাকে। পাওয়া ক্যবল লাগানেরা ক্ষেত্রে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পাওয়ার ক্যাবল ও আইডিই ক্যাবল এর লাল প্রান্ত দুটি অবশ্যই পাশাপশি থাকে। সাটা ক্যাবল এর ক্ষেত্রে এরকম কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। লক অনুযায়ী যথাযথভাবে লাগালেই কাজ করবে। বায়োসের ব্যাটারী লাগানো আছে কিনা দেভুন, না থাকলে নতুন একটি ব্যাটারী লাগান। অতপর সকল ডিভাইস লাগানোর পর ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস সংযোজন করুন এবং বায়োস কনফিগার করে পাওয়ার অন করে দেখুন, ডিসপ্লে আসলেই আপনি সফল হয়েছেন বলা চলে। এখন বায়োস সেটিং করে প্রথম বুট ডিভাইস সিডি/ডিভিডি নির্ধারণ করে উইন্ডোজ সেটআপ দিয়ে দিন। নিজে নিজে করতে গেলেই আপনার অনেক কাজ সহজ হয়ে যাবে, সমস্যা ফেস করলে সমাধানও খুজে পাবেন। কোন কাজ না ধরলে সেটা সবসময় সমুদ্রই মনে হবে, আর ধরলে পুকুর এর চেয়েও সহজ মনে হতেই পারে।
এবার চলুন ট্রাবলশ্যূটিং নিয়ে একটু আলোকপাত করি।
ট্রাবলশ্যুটিং কি : কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান সংক্রান্ত বিষয়কেই এক কথায় ট্রাবলশুটিং বলা হয়।
কম্পিউটার এসেম্বলিং এর পর বাকী কাজ উইন্ডোজ সেটআপ দেয়া। এজন্য আপনাকে ক¤িপউটার অন করা মাত্রই কীবোর্ড থেকে এফ টু অথবা ডিলিট একসাথে প্রেস করতে হবে। কোন কোন মাদারবোর্ডে এসকেপ অথবা এফ টেন দিয়ে বায়োসে ঢুকতে হয়। অপারেটিং সিস্টেম এর ক্ষত্রে উইন্ডোজ ৯৮ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখন এক্সপিও বিলুপ্ত হওয়ার পথে। চলুন অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ নিয়ে আরো একটু বিশদ আলোচনা করি।
প্রথমে কম্পিউটার অন করতে হবে। ডিসপ্লে আসার সাথে সাথে কীবোর্ড থেকে ডেল (ডিলীট) অথবা এফ টু অথবা এফ টেন অথবা এসকেপ প্রেস করতে হবে বায়োস ওপেন কারর জন্য। বায়োস এ গিয়ে বুট ডিভাইস প্রায়োরিটি অথবা ফার্স্ট বুট ডিভাইস সিলেক্ট করতে হবে। ফার্স্ট বুট ডিভাইস Page Up অথবা Page Down অথবা যোগ বা বিয়োগ চিহ্ন দিয়ে সিডি ডিভিডি নির্ধারণ করতে হবে। অতপর কীবোর্ড থেকে F10 দিয়ে Save করতে হবে। তারপর সিডি/ডিভিডি রমে উইন্ডাজ এক্সপি সিডি ডিভিডি অথবা উইন্ডোজ সেভেন অথবা উইন্ডোজ এইট এর সিডি ডিভিডি দিতে হবে। অতপর কম্পিউটার রিস্টার্ট হলে সিডি/ ডিভিডি থেকেই বুট হবে। এন্টার কিংবা যে কোন কী প্রেস করলে সেটআপ চালু হবে। একটির পর একটি স্টেপ অনুসরণ করে সেটআপ কন্টিনিউ করতে হবে। আর সিরিয়াল কী, নাম ও অন্যান্য সেটিং দিয়ে সেটআপ শেষ করতে হবে। আপনি বিভিন্ন স্টেপ দেখলে নিজেই বুঝতে পারবেন কি করা লাগবে।
১। কম্পিটারের ডিসপ্লে আসছে না, পাওয়ার অন করলে মনিটর মিট মিট করে কিংবা পাওয়ার আসে কিন্তু কিছুই দেখা যায় না।
সমাধান- এর প্রধান সমস্যা হতে পারে এজিপি কার্ড, এজিপি কার্ড না থাকলে মাদারবোর্ডের বিল্ট ইন এজিপি পোর্ট। এজিপি কার্ড বা পিসিআই এক্সপ্রেস কার্ড যদি থাকে সেটি প্রথমে খুলে অন্য পিসিতে লাগিয়ে টেস্ট করেতে হবে। যদি ভালো হয় তাহলে র্যাম চেক করতে হবে, র্যাম এ সমস্যা হলে বীপ পাওয়া যাবে। র্যাম চেক করার পরও ডিসপ্লে না আসলে প্রসেসর টেস্ট করেত হবে। সর্বশেষে টেস্ট করতে হবে মাদারবোর্ড। তবে তার আগে আপনার পাওয়ার সাপ্লাই ঠিকমত কাজ করছে কিনা তাও নিশ্চিত হয়ে নিতে পারেন। এভাবে সব টেস্ট করার মাধ্যমে মূল সমস্যা বের করা সম্ভব হবে।
২। কম্পিউটারের উইন্ডোজ ওপেন হচ্ছে না। ডেস্কটপ আসার আগেই রিস্টার্ট হয়।
সমাধান- এর প্রধান সমস্যা কোন কারণে অপারেটিং সিস্টেম এর ফাইল মিসিং হয়েছে। এক্ষেত্রে বারবার রিস্টার্ট হয়ে থাকে। এজন্য নতুন করে ইউন্ডোজ সেটআপ কিংবা রিপেয়ার দিয়ে সমাধান করতে হবে।
৩। যে কোন প্রোগ্রাম ওপেন করলে কম্পিউটার রিস্টার্ট হয়, কন্ট্রোল প্যানেল কিংবা কনফিগারেশন ওপেন করা যায় না এবং ফোল্ডারের ভিতরে একই ফোল্ডারের সেম কপি তৈরী হয়।
সমাধান- সম্পূর্ণ ব্যপারটি হয় ভাইরাস জনিত কারণে। এজন্য ক্যাসপারস্কাই বা ভালো কোন এন্ট্রিভাইরাস ইন্সটল করে দেখতে পারেন সমাধান না হলে নতুন করে উইন্ডোজ সেটআপ দিতে হবে। সেটআপের পরপরই এন্টিভাইরাস দিয়ে কাজ করতে হবে।
৪। কম্পিউটারের উইন্ডোজ ওপেন হচ্ছে না। ডেস্কটপ আসার আগেই এরর মেসেজ আসে।
সমাধান- এর প্রধান সমস্যা কোন কারণে অপারেটিং সিস্টেম এর ফাইল মিসিং হয়েছে। এক্ষেত্রে বারবার রিস্টার্ট হয়ে থাকে। এজন্য নতুন করে ইউন্ডোজ সেটআপ কিংবা রিপেয়ার দিয়ে সমাধান করতে হবে।
৫। কম্পিউটার অন করলেই কিছু লেখা এসে রিস্টার্ট হয়ে যাচ্ছে।
সমাধান- এর প্রধান সমস্যা কোন কারণে আপনার র্যাম। র্যাম ঠিকমত কাজ না করলে, বাস স্পীড এর সমন্বয় না থাকলে এক্ষেত্রে বারবার রিস্টার্ট হয়ে থাকে কিংবা কম্পিউটার চালু হয়ে হ্যাং হয়ে থাকে। এজন্য র্যাম পরিবর্তন করুন।
৬। কম্পিউটারের ডিসপ্লে আসার পর আর কিছু আসে না।
সমাধান- কম্পিউটারের বিভিন্ন ডিভাইসের ডাটা ক্যবল চেক করে দেখতে হবে। সমাধান না হলে সকল সংযোগ চেক করে দেখতে হবে। তারপরও না হলে ধরে নিতে হবে আপনার হার্ডডিস্ক নষ্ট হয়েছে কিংবা সংযোগ পাচ্ছে না।
৭। কম্পিউটারে এমএসওয়ার্ডে বাংলা লেখা যাচ্ছে না।
সমাধান- সম্ভবত আপনার পিসিতে কন্ট্রোল প্যানেলের ফন্ট অপশনে বিজয় ফন্ট ইন্সটল করা নেই। পাশাপাশি বিজয় সফটওয়ার ইন্সটল করে কাজ করে দেখতে পারেন। এজন্য বিজয়ের সিডি থেকে সুটন্নি এমজে ফন্ট কন্ট্রোল প্যানেলের ফন্টের মধ্যে কপি পেস্ট করতে হবে।
৮। কম্পিউটার কোন গেম ওপেন হচ্ছে না।
সমাধান- আপনার গেমগুলো আবার ইন্সটল করতে হবে, গেমের ফাইল মিসিং হলে এমন হতে পারে। তাছাড়া কোন গেইম না চললে উক্ত গেমের রিজিস্ট্রেশন ফাইলটি ওপেন করে ইয়েস দিতে হবে। প্যাচ ফাইলটি সি ড্রাইভে পেস্ট করে েিপ্লস করেতে হবে। পাশাপাশি এজিপি সহ সকল রিকোয়ারমেন্ট পূরণ হয়েছ কিনা তাও দেখার বিষয়। সবকিছু ঠিক থাকলে তাহলে গেইমটি ওপেন হবে নিশ্চিত। আর গেম চলার জন্য প্রয়োজনীয় সিস্টেম রিকোয়রম্যান্টও আছে কিনা চেক করুন।
৯। কম্পিউটারে কাজের মাঝখানে হ্যাং হয়ে থাক, আর কিছু আসে না।
সমাধান- এজন্য আপনাকে ঠিক হ্যাং অবস্থায় প্রেস করতে হবে Alt+Ctrl+Del, একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। সেখানে টাস্ক ম্যানেজারে লগ অফ সিলেক্ট করে ইয়েস দিতে হবে। লগ অফ হয়ে আবার অন হলে কম্পিউটারের ডেস্কটপে সবকিছু আসবে।
১০। কম্পিউটার চালু হলে অনেক সময় লাগে ? ষ্টার্টআপে বা ডেস্কটপে একের পর এক প্রোগ্রাম ওপেন হতে থাক।
সমাধান- আপনার পিসিতে ভাইরাস জনিত সমস্যা আছে কিংবা অতিরিক্ত ফাইল অনেক জমে গেছে। সমাধানের জন্য অতিরিক্ত ফাইল মুছে ফেলুন। আর সাময়িকভাবে সমাধান চাইলে Start এ ক্লিক করে Run এ ক্লিক করুন টাইপ করুন msconfig এবং এন্টার প্রেস করুন। একটি ডায়ালগ বক্স আসবে সেখানে Startup সিলেক্ট করে সবগুলো অপশন ডিজেবল করে দিন এবং ওকে ক্লিক করুন। রিস্টার্ট করুন এবং রিস্টার্ট হওয়ার পর ডেস্কটপে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে সেখানে টিক চিহ্ন দিয়ে ওকে করুন। সমাধান নিশ্চিত।
১১। কম্পিউটার অধিক স্লো হয়ে গেছে, যে কোন প্রোগ্রাম ওপেন হতে অনেক সময় লাগে।
সমাধান- এজন্য আপনি অপ্রয়োজনীয় কিছু প্রোগ্রাম কন্ট্রোল প্যানেল এর Add/Remove অপশন থকে রিমুভ করুন। এছাড়া সি ড্রাইভে, যেখানে ইউন্ডোজ ইন্সটল করা আছে সেখানে ইউন্ডোজ ফোল্ডার থেকে টেম্প ফাইলের সকল ফাইল ডিলীট করুন। এছাড়াও প্রিফেচ এবং হিডেন ফাইলের আইএনএফ এর সকল ফাইল ডিলীট করুন। আর সার্চ এর মাধ্যমে সকল folder.htt, desktop.ini, autorun ফাইলসমূহ ডিলীট করুন,তবে অবশ্যই Shift+Delete দিতে হবে। আশা করি আপনার পিসি অনেক ফার্স্ট হবে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ফাইলগুলোও মুছে দিন। আরো অধিক পারফরম্যান্স পেতে র্যাম বাড়াতে পারেন। আপাতত ভার্চুয়াল মেমরী বাড়িয়ে রাখুন।
১২। কম্পিউটারে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করার মাঝখানে কম্পিউটার বারবার রিস্টার্ট হয় কিংবা সেটআপ অর্ধেক হয়ে আটকে থাকে।
সমাধান- এর প্রধান কারণ হচ্ছে র্যাম। আপনাকে র্যাম চেঞ্জ করতে হবে। র্যামের বাস স্পীড সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে ইউন্ডোজ সেটআপ হবে না।
১৩। কম্পিউটার চালু হতে বেশী সময় লাগে এবং এরর ম্যাসেজ আসে।
সমাধান- আপনার সমস্যা সমাধানের জন্য র্যাম বাড়াতে পারেন। এছাড়াও অন্যান্য ডিভাইস জনিত সমস্যা থাকতে পারে। সবগুলো চেক করে দেখুন। বায়োস থেকে পাওয়র অন সেলফ টেস্ট ডিজেবল করে দিন। অতপর সেভ করুন।
১৪। কম্পিউটার অন হওয়ার পর একের পর এক এরর ম্যাসেজ আসে। কোন প্রোগ্রাম ওপেন করা যাচ্ছে না।
সমাধান- এরর মেসেজ Disable করে রাখুন, অতিরিক্ত ফাইল মুছে ফেলুন, অপ্রয়োজনীয় সফটওয়ার রিমুভ করুন। স্টার্টআপের পোগ্রাম অফ করুন। তাতে কাজ না হলে আবার উইন্ডোজ দিন। এরর মেসেজ Disable কিভাবে করবেন তা পূর্বের লেখায় আলোকপাত করা হয়েছে।
১৫। কম্পিউটারের উইন্ডোতে Folder Option নেই। কনফিগারেশন ফাইল ওপেন করলে কম্পিউটার রিস্টার্ট হয়।
সমাধান- আপনার পিসিতে ভাইরাস আক্রমণ করেছে। এজন্য আপনাকে অপারেটিং সিস্টেম রিপেয়ার সেটআপ না দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন করে সেটআপ দিতে হবে।
১৬। কম্পিউটার অন হওয়ার পর ডিভাইস লোড হয়না, টিভি কার্ড বা ল্যান কার্ড কাজ করছে না। সমাধান- আপনার পিসিতে Driver.sys ফাইলটি মিসিং হয়েছে। এজন্য আপনি কম্পিউটার অন হওয়ার পর স্ক্যান ডিস্ক চালু করুন। যা করতে হবে, সি ড্রাইভের রাইট বাটন ক্লিক করে প্রপার্টিজ এ যান। একটি ডায়ালগ বক্স আসবে সেখানে Scan এ ক্লিক করুন, Check Now ক্লিক করুন। রিস্টার্ট করে স্ক্যান এর জন্য সময় দিন। আশা করি সমাধান হবে। না হলে উইন্ডোজ ইন্সটল ছাড়া উপায় নেই।
১৭। কম্পিউটার-এ কোন পেন ড্রাইভ পায় না।
সমাধান- আপনার পিসিতে পেন ড্রাইভের ড্রাইভার ফাইল মিসিং হয়েছে। মিসিং ফাইলটি আবার কপি করুন কাজ না হলে উইন্ডোজ ইন্সটল ছাড়া উপায় নেই।
১৮। কম্পিউটারের ইউ এস বি পোর্টে পেন ড্রাইভ লাগালে নিউ হার্ডওয়্যার ফাউন্ড, পেন ড্রাইভ পায় না। আর পেলেও ওপেন করতে গেলে স্টার্ট আপে একটি নোটপ্যাড অন্য ভাষায় ওপেন হয়ে যায়। পেন ড্রাইভ ওপেন করলে ডাটা এডমিনিসট্রেটরসহ এক্সট্রা ফোল্ডার দেখায়।
সমাধান- আপনার পিসিতে ইউএসবি ড্রাইভার ফাইল মিসিং হয়েছে, অপারেটিং সিস্টেম রিপেয়ার করতে হবে। আর স্টার্টআপে একটি ফাইল তেরী হওয়া এখন সাধারণ ব্যাপার সকল পেন ড্রাইভ এর ক্ষেত্রেই। এটি একটি ছোট খাট ভাইরাসের মত। তবে এ থেকে রেহায় পেতে হলে সবসময় পেনড্রাইভ ওপেন না কের এক্সপ্লোর করুন। রাইট বাটন ক্লিক করে Expand এ ক্লিক করুন। এক্সট্রা ফাইল সবই ভাইরাস এর অন্তর্ভুক্ত। সবচেয়ে ভালো হবে এক্সট্রা ফাইলগুলো ওপেন না করে সাথে সাথে ডিলীট করাটাই, তবে অবশ্যই Shift+Delete দিতে হবে।
১৯। কম্পিউটারে পেন ড্রাইভ লাগিয় ওপেন করলে সব শর্টকাট হয়ে যায়।
সমাধান- উইন্ডোজ সেটআপ দিয়ে এ সমস্যা সমাধান যোগ্য। এ সমস্যাটি এখন সবচেয়ে বেশী লক্ষণীয়। এক্ষেত্রে ফোল্ডার অপশন থেকে ভিউ থেকে শো হিডেন ফাইল সিলেক্ট করে আপনার সকল ফাইল দেখতে পারেন আর বাকী শর্টকাটগুলো মুছে ফেলুন। আরো বিস্তারিত সমাধান আমার পূর্বের লেখায় আছে।
২০। কম্পিউটারে পেন ড্রাইভ লাগিয়ে ওপেন করলে সব ফাইল হিডেন দেখায়।
সমাধান- উইন্ডোজ সেটআপ দিয়ে এ সমস্যা সমাধান যোগ্য। এক্ষেত্রে ফোল্ডার অপশন থেকে ভিউ থেকে শো হিডেন ফাইল সিলেক্ট করে আপনার সকল হিডেন হওয়া ফাইল দেখতে পারেন। আইরিসেট নামক সফটওয়ার দিয়ে হিডেন ফাইল এর এট্রিবিউট পরিবর্তন করতে পারেন। আরো বিস্তারিত সমাধান আমার পূর্বের লেখায় আছে।
কম্পিউটারের সমস্যার কথা সব বলে শেষ করা যাবে না, অপারেটিং সিস্টেম ভেদে, কনফিগারেশন ভেদে কম্পিউটারের সমস্যাও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে কোন কঠিন সমস্যা সংক্ষেপে ঠিক করা গেলেও আবার কোন কোন সহজ সমস্যা অনেক জটিলতার পরও সমাধান করা কঠিন হয়ে পড়ে। আপাতত দৃষ্টিতে একরকম সমস্যা মনে হলেও অভ্যন্তরীণভাবে সেটা ভিন্ন রকম সমস্যাও হতে পারে, আবার সে সমস্যার সমাধানও ভিন্ন পথে করা যেতে পারে। তাই এ বিষয়ে যেমন বিতর্ক
তৈরী হতে পারে, তেমনি অন্ত নাও থাকতে পারে গবেষণা শুরু করা হলে। যে পথেই হোক কোনভাবে সমাধান করতে পারাই মূল লক্ষ্য। আর সে মূল লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা হিসাবে কিঞ্চিত লেখা নিবেদন করলাম আপনাদের সৌজন্যে। আশা করি ভালো না লাগলেও খারাপ লাগবেনা।
আরো বিচিত্র সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আরেকদিন হাজির হবো, সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমি ওবায়েদ উল্লাহ আইমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 107 টি টিউন ও 350 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Computer Science & Engineering www.facebook.com/aimanbd
great tune !!!