দীনের ব্যাটে জিকিরের বল। (সাঈদ আনোয়বরের পরিবর্তন কাহিনী)

এটা আমার প্রতম টিউন,দৈনিক ইনকিলাব থেকে সংগ্রহকৃত ঊক্ত টিঊনটি দ্বীনি ঊদ্ধশ্যে পোস্ট করলাম। বাংলা লিখতে সমস্যা হচ্ছে, তাই ভুল হলে কমা করবেন। একদিনের ক্রিকেটে দীর্ঘদিন রেকর্ড হয়ে থাকা ব্যক্তিগত সর্বো”চ স্কোর ১৯৪ রানের অধিকারী বাঁহাতি ওপেনিং ব্যাটসম্যান সাঈদ আনোয়ার। ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮ সালে পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। চার ছক্কায় গ্যালারি মাতানো তুমুল জনপ্রিয় এই পেশাদার ক্রিকেটার এখন একজন খাঁটি মুবাল্লিগ। দ্বীনি দাওয়াতে ছুটে বেড়ান দেশ-দেশান্তর। গত বিশ্ব ইজেতেমায় বাংলাদেশে এসে প্রায় ২৫ দিন ছিলেন। দাওয়াতি কাজে ঢাকার তারা মসজিদে এলে তার বদলে যাওয়াসহ নানা বিষয়ে কথা হয়।

প্রশ্ন : বিখ্যাত ক্রিকেটার হিসেবে আপনার পরিচিতি বিশ্বজুড়ে। মাল-সম্পদেরও কমতি নেই। এসব ছেড়ে দাড়িটুপি রেখে দ্বীনের মুবাল্লিগ বনে গেলেন কিভাবে?

সাঈদ আনোয়ার : সত্যি বলতে কি, আমার পুরো জীবন, ক্রিকেট-জীবনের পৃথিবীব্যাপী ১৫-১৬ বছরের খ্যাতি, সম্পদের প্রাচুর্য, সুখ-শান্তি, আরাম-আয়েশ সবকিছু একদিকে রেখে দ্বীনের প্রতি আগ্রহ এবং তাবলিগি মেহনতের ৫-৭ বছরকে একদিকে রাখলে এগুলোর মোকাবেলায় ওইসব খ্যাতি, সম্মান, প্রসিদ্ধি, সম্পদের প্রাচুর্য, সুখ-শান্তি এবং আরাম-আয়েশ সমুদ্রের এক ফোঁটা পানির সমানও হবে না। তখন সম্পদ, সম্মান, খ্যাতি ছিল, কিন্তু নিজের জীবনে দ্বীন ছিল না। ইসলামের বিধিবিধান মানার কোন পরওয়া ছিল না। হূদয়ে প্রশান্তি ছিল না। চোখে ঘুম ছিল না। জোর করে ঘুমাতে চেষ্টা করলেও চোখ খুলে যেত। সারারাত কষ্টে কাটত। ট্যাবলেট খেয়েও ঘুমাতে পারতাম না। তা কেবল দ্বীনের ওপর না থাকার কারণে।

প্রশ্ন : কোন মহান ব্যক্তির সান্নিধ্য আপনাকে দ্বীনি কাজে জুড়তে সহায়তা করেছে?

সাঈদ আনোয়ার : আমার দ্বীনি কাজে জোড়ার পেছনে মাওলানা তারিক জামিল সাহেবের কথা বলতে হয়। আমাদের এলাকায় তিন দিনের জামাতে এসেছিলেন তিনি। একদিন আমার কাছে এলেন। আমার অশান্তির কথা শুনে বললেন, ‘ভাই! মসজিদে যাও। নামাজ আদায় করো। দ্বীনি মেহনতে সময় লাগাও। দ্বীন মানার মধ্যেই শান্তি এবং কামিয়াবি। এতেই পাবে শান্তি। অনাবিল শান্তি। অফুরন্ত শান্তি।’আমি বললাম, যদি আপনার কথা সত্য হয়, আমি তা-ই করব। তিনি আমাকে তিন দিনের জামাতে পাঠালেন। প্রথম দিন মসজিদে ঘুমাতে গিয়ে যে শান্তি আমি পেয়েছি, আল্লাহর কসম, বিশ বছরেও আমি তা পাইনি! এরপর মুলতানে একটি ম্যাচ খেলতে যাব। একমাত্র আদরের মেয়েকে সুস্থ রেখে গেলাম। খেলা শেষে স্ত্রীর কাঁপা কণ্ঠে শুনতে পেলাম- মেয়ে অসুস্থ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা দেন। এ ঘটনায় খুবই মর্মাহত হই এবং খেলা ছেড়ে দিয়ে এক চিল্লায় আল্লাহর রাস্তায় বের হই।

প্রশ্ন : তাবলিগি মেহনতে দেশ-বিদেশ সফর করছেন, মানুষ এ কাজকে কীভাবে নি”েছ?

সাঈদ আনোয়ার : আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর মেহেরবানি, আমাদের পাকিস্তানি টিম পুেরাটাই এখন জামাতে নামাজ আদায় করছে। মোহাম্মদ ইউসুফের কথা শুনে আমি বিস্মিত হই। তার ওপর আমার ঈর্ষা হয়। একদিন সে আমাকে বলে, ‘সাঈদ ভাই, আল্লাহর মেহেরবানি- ইসলাম গ্রহণের পর ম্যাচ থাকা না থাকা কোন অবস্থায়ই এ পর্যন্ত কোনদিন আমার তাহাজ্জুদ মিস হয়নি।’ তার কথা শুনে নিজেকে অনেক ছোট মনে হয়। মাত্র ক’টা দিন সময় লাগল। এতেই এত অভাবনীয় পরিবর্তন!তাবলিগি সফরে ইনজামামসহ একদিন ইংল্যান্ড গেলাম। দু’জন পৃথকভাবে দাওয়াতি কাজে লাগলাম। ইনজামাম বলল, ‘সাঈদ ভাই, আসুন আমরা একসঙ্গে থাকি। এখানের যে পরিবেশ, একা থাকতে আমার ভয় হয়। এখানে একটি হাসপাতাল নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছি। এ কাজে চারজনের একটি টিম আমার সঙ্গে কাজ করছে। ওরা তাবলিগ পছন্দ করে না। টিভি প্রোগ্রামে কাজ করে। ওরা আমাকে বলে- তুমি টিভি প্রোগ্রামে এসে আমাদের সহযোগিতা করো, আমরা ৩ দিনেই েতামাকে ১৫ লাখ টাকার ব্যবস্থা করে দেব। আমি ভালো-মন্দ চিন্তা না করেই এক প্রোগ্রামে েগলাম। এতে মানুষ ডান হাতে, বাঁ হাতে টাকা বিলাতে লাগল। অল্প সময়েই ১৫ লাখ টাকা উঠে এেলা।’ পরে চিন্তা করে ইনজামাম আমাকে জিজ্ঞেস করল, ‘সাঈদ ভাই! লোকজন যে টাকা দি”েছ, এটা কি আপনি জায়েজ মনে করেন?’ আমি বললাম, ‘কোনো মুফতি সাহেবকে জিজ্ঞেস করো।’ ইনজামাম বলল, ‘আপনার ধারণা কী?’ বললাম, ‘নীতিগতভাবে তো জায়েজ মনে হয় না।’ এ কথা শুনে ইনজামাম ৫ মিনিটের মধ্যেই ১৫ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে। এ কাণ্ড দেখে ওই চারজনের বিস্ময় যেন ধরে না। ওরা এতে প্রভাবিত হয়ে বলে, ‘আমরা এক মাসের মধ্যে এ প্রজেক্ট ক্লোজ করে চল্লিশ দিনের জন্য আল্লাহর রাস্তায় বেরোব। ওই মেহনত আমাদের শিখতে হবে, যে মেহনত ৫ মিনিটে ১৫ লাখ টাকা বিলিয়ে দেয়া শেখায়।’ভারতীয় টিম একবার খেলার জন্য পাকিস্তান এসেছিল। পাকিস্তানি টিমে বয়ান হতে দেখে হারভাজন সিং বসে পড়ল। বয়ান শোনার পর সে বলল, ‘এ সভা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমার কাছে এত ভালো লেগেছে, মনে হয়েছে- যখনই সুযোগ হয় এরকম সভায় বসা উচিত।’একবার আমি ইন্ডিয়া গেলাম। সেখানকার এক সরদারজি [গুর“নানক] আমার কাছে এলেন। তাঁর চমৎকার পাগড়ি দেখে আমি প্রশংসা করলাম। তিনি খুশি হলেন। দশটি পাগড়ি উপহার দিয়ে আমাকে বললেন, এগুলো আপনার জন্য। পাগড়ি আপনিও পর“ন। আমি পরলাম। তার খুশির মাত্রা বেড়ে গেল কয়েক গুণে। কিছুক্ষণ পর তিনি বললেন, ‘আ”ছা, আপনার এ আমূল পরিবর্তন কীভাবে সম্ভব হল। মুখভর্তি দাড়ি রাখলেন। লম্বা জামা পরলেন!’ বললাম, এতে আমার কোন কৃতিত্ব নেই। আল্লাহর দয়ায় সব হয়। আল্লাহ পরাক্রমশীল। বড় দয়ালু। এ পরিবর্তন তিনিই করেছেন।পরে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম- সরদারজি! বই পড়ে জানলাম আপনি হজ করেছেন। তা কীভাবে সম্ভব হল! দুনিয়ার যত বড় নেতাই হোক, কোন দেশের বাদশাই হোক, অমুসলিম কারও পক্ষে তো হজে যাওয়া সম্ভব নয়। হজের সুযোগ তো তাদের দেয়া হয় না। আমার প্রশ্ন শুনে তিনি পেরেশান হলেন। গোপনে মুসলমান হয়েছেন তা ফুটে ওঠে তাঁর অস্থিরতায়। মুখে কিছু বললেন না। আমার হাত ধরে কেবল বললেন, ‘জি, মেরে লিয়ে দু’আ কিজিয়ে।’ইন্ডিয়ায় আরেক জায়গায় এক নামাজের পর ইনজামাম বয়ান করল। সাত-আটজন যুবক বয়ান শুনে আল্লাহর রাস্তায় তাবলিগি মেহনতে বেরোনোর প্রস্তুতি নিল। ওদের নিয়ে আমরা ইংল্যান্ড গেলাম। ইংল্যান্ডে বিভিন্ন সময়ে বয়ান করলাম। সেখানকার একজন বলল, ‘আপনাদের ১০ মিনিটের বয়ান শুনে আল্লাহর মেহেরবানিতে সাড়ে ৪শ’ মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছে। এখন তারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করে। সব প্রশংসার এক”ছত্র মালিক কেবল আল্লাহ। অন্য এক এলাকায় ২০ দিনের মেহনতে বেরিয়েছিলাম। সেখানকার শর্ট-প্যান্ট পরা যুবকরা আমাদের  দেখে দৌড়ে এলো। আলহামদুলিল্লাহ ২০ দিনে তাদের মধ্যেও এলো ব্যাপক পরিবর্তন। তারা বুঝ পেল। কেউ ১ বছর, কেউ ৪ মাস, কেউ ৩ দিন করে প্রত্যেকেই আল্লাহর রাস্তায় বেরোয়। এদের জন্য দোয়া করবেন- আল্লাহ যেন দ্বীনের ওপর এদের ইস্তেকামাত [ধীরতা] দান করেন। এভাবেই তো দ্বীনের কাজ হ”েছ। আল্লাহ করা”েছন।

প্রশ্ন : দাওয়াতে আপনাদের টার্গেট কী, কোন শ্রেণীর মানুষকে বেশি দাওয়াত দি”েছন?

সাঈদ আনোয়ার : আসলে বিশেষ কোন শ্রেণীকে আমরা দাওয়াতের জন্য নির্ধারণ করি না। দ্বীনি কাজে আমরা সবার কাছেই যাই। সাধারণ কর্মজীবীদের মতো উ”চপদস্থদেরও আমরা দাওয়াত করি। মুরব্বি আলেমরা বলেন, ‘উ”চপদস্থদেরও দাওয়াত করো। ওরা দ্বীনের কাজে বের হতে না পারলেও, নিজে নামাজি হবে। হারাম এবং সুদ থেকে বাঁচবে। সম্পদ সঠিক জায়গায় ব্যয় করবে।’ এজন্য তাঁেদরও দাওয়াত করি।

প্রশ্ন : পাকিস্তানি টিমকে নামাজি বানালেন কীভাবে?

সাঈদ আনোয়ার : সে ১৯৯৫ সালের কথা। তখনকার শক্তিশালী দল ইংল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের খেলা ছিল। কিছুদিন আগে তারা নিজের দেশে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করেছে। একই জায়গায় তাদের সঙ্গে আমাদের খেলতে হবে। আমাদের সবাই আতংকে। খেলা শুর“ হওয়ার আগে আমি সবাইকে ডেকে বললাম- ভয় না করে আমরা নামাজ আদায় করি। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি। আল্লাহ আমাদের সাহায্য করবেন। সবাই নামাজ পড়ে, দোয়া করে খেলায় নামল। আল্লাহ সাহায্য করলেন। আমরা জয়লাভ করলাম। পরপর আরও দুটি ম্যাচেও ইংল্যান্ডকে হারালাম। সবাই বিস্মিত- এত দুর্বল দল কীভাবে পরপর তিনবার ইংল্যান্ডকে পরাজিত করল! তখন ইংল্যান্ডের এক সাবেক ক্রিকেটার আমাকে বললেন, এত শক্তিশালী দল ইংল্যান্ডকে কীভাবে আপনারা পরাজিত করলেন? কিছু না বলে আমার সঙ্গে তাকে ড্রেসিংর“মে নিয়ে গেলাম। আমাদের খেলোয়াড় সবাই তখন জামাতে আসর নামাজ আদায় করছিল। দেখিয়ে বললাম- এটাই পাকিস্তান দলের শক্তি। তিনি বললেন- হ্যাঁ, এ শক্তিই বড় শক্তি। এ শক্তির মাধ্যমেই সম্ভব যে কোন শক্তিকে পরাজিত করা। এর পর থেকে পাকিস্তানি টিম গুর“ত্বের সঙ্গে নিয়মিত নামাজ আদায় করে। সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

প্রশ্ন : বাংলাদেশে তো প্রায় পঁচিশ দিন ছিলেন, দীর্ঘ এ সময়ে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের দাওয়াত দিয়েছেন?

সাঈদ আনোয়ার : হ্যাঁ, চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বাংলাদেশী খেেলায়াড়দের দ্বীনি দাওয়াত দিয়েছি। তারা মন দিয়ে শুনেছে। কেউ কেউ দাওয়াতি কাজে বের হওয়ার আগ্রহও প্রকাশ করেছে। আল্লাহ তাদের কবুল কর“ন। আশা করছি তারাও পুরোপুরি দ্বীনের ওপর চলে আসবে। ইনশাআল্লাহ।

প্রশ্ন : আপনার মতো খেলোয়াড়রা মিডিয়ায় মডেল হয়ে কোটি টাকা কামা”েছ, আপনার এমন কোন অফার আসে না?

সাঈদ আনোয়ার : সব সময় অফার আসে। হাজার হাজার ডলারের অফার পাই। আমি যাই না। দুনিয়ার এসব সম্পদ দিয়ে কী হবে! আখেরাতের কামাই-ই প্রকৃত অর্জন। জান্নাত লাভ মুমিনের পরম প্রাপ্তি। শরিয়াবিরোধী কোন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করি। আত্মীয়-স্বজনের বিয়ের অনুষ্ঠানে পুর“ষ-মহিলার জন্য বসার ব্যবস্থা পৃথক না হলে সেখানেও যাই না।

প্রশ্ন : দ্বীনি দাওয়াতকে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বানিয়ে নিয়েছেন?

সাঈদ আনোয়ার : সবার দ্বীনি দাওয়াতে লাগা দরকার। আমরা নবীর উম্মত। এখন নবী (আ.) জীবিত নেই। সব মানুষকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানো মুমিনের নৈতিক দায়িত্ব। পৃথিবীর যে অবস্থা, নিজেকে বাঁচানোই কষ্টকর। দ্বীনি মেহনতে জড়িয়ে না থাকলে যে কোন সময় ফিতনায় পড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। সাথিদের বলতে শুনি- মেয়ে এবং দুষ্টু ছেলেদের ফোনে গুনাহের কাজের দাওয়াত আসে। আমাদের মোহাম্মদ ইউসুফকেও খ্রিস্টান পাদ্রি, ছেলেমেয়েরা দৈনিক ফোন দেয়। খ্রিস্টধর্মে ফিরে যেতে বলে। মোহাম্মদ ইউসুফ তাদের ইসলামের দাওয়াত দিয়ে বলে- সারাজীবন খ্রিস্টধর্ম মেনেছ, এখন ইসলাম ধর্মে এসে দেখো। মুসলিম আলেমদের সঙ্গে মিলে দেখো, ইসলাম ধর্ম এবং খ্রিস্টধর্মের ব্যবধান বুঝে আসবে।

প্রশ্ন : ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাকি মাত্র ক’দিন। ক্রিকেটারদের উদ্দেশে যদি কিছু বলুনঃ

সাঈদ আনোয়ার : খেলা কম-বেশি সবাই দেখে। সেই সুবাদে খেলোয়াড়দের জনপ্রিয়তাও বেশি। তারা এ সুযোগকে দ্বীনি কাজে ব্যবহার করতে পারে। তাদের দেখে অনেকেই দ্বীনি কাজে জুড়বে। গুনাহমুক্ত জীবন লাভে ধন্য হবে। এতে নিজের জীবন আলোকিত হবে। অনন্ত জান্নাত লাভ হবে। দুর্নীতি, সুদ, ঘুষ, পাপাচার বন্ধ হবে। সমাজ, রাষ্ট্র উন্নত হবে। উপকৃত হবে মানুষ।

(তথ্য- দৈনিক ইনকিলাব)

 

Level 0

আমি মনীরুল আমীন আল-মুশতাক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 119 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

এ পার ভেঙ্গে ওপার গড়া এইতো নদীর খেলা, সকাল বেলার ধনীরে তুই ফকির সন্ধা বেলা।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

খেলা শুর“ হওয়ার আগে আমি সবাইকে ডেকে বললাম- ভয় না করে আমরা নামাজ আদায় করি। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি। আল্লাহ আমাদের সাহায্য করবেন। সবাই নামাজ পড়ে, দোয়া করে খেলায় নামল। আল্লাহ সাহায্য করলেন। আমরা জয়লাভ করলাম। পরপর আরও দুটি ম্যাচেও ইংল্যান্ডকে হারালাম। সবাই বিস্মিত- এত দুর্বল দল কীভাবে পরপর তিনবার ইংল্যান্ডকে পরাজিত করল! তখন ইংল্যান্ডের এক সাবেক ক্রিকেটার আমাকে বললেন, এত শক্তিশালী দল ইংল্যান্ডকে কীভাবে আপনারা পরাজিত করলেন? কিছু না বলে আমার সঙ্গে তাকে ড্রেসিংর“মে নিয়ে গেলাম। আমাদের খেলোয়াড় সবাই তখন জামাতে আসর নামাজ আদায় করছিল। দেখিয়ে বললাম- এটাই পাকিস্তান দলের শক্তি। তিনি বললেন- হ্যাঁ, এ শক্তিই বড় শক্তি। এ শক্তির মাধ্যমেই সম্ভব যে কোন শক্তিকে পরাজিত করা—
tahole to cricket practice na koreo shudhu namaj pore champion howoa jabe, tahole to kono coach r dorkar nai,kheloar der eto khoroch kore practice koranor o dorkar nai, tai na vai?
Omuslim ra islam r joto ta khoti kore ,tar chaite beshi khoti hoy eishob bhul fotoar karone, eta ki bojhen bhai? ar ei bhul kotha gulo prochar r karonei aj world r shob jayga te mosulman ra mair khay
Allah subhanuwatayala amader shobaike shothik Islam shekhar toufiq daan koruk , ameen

    আরে ভাই এটাতো আমার পকেট থেকে লিখা নয়। আপনার মত বুঝধার দৈনিক ইনক্বিলাবের সেই সাংবাদিকের সাথে যোগাযোগ করলে দ্বীনের কতযে লাভ হবে,………চাইলে ঊনার আইডিটা দিতে পারি।

      Level 0

      vaia, ami to apnake likhar bepare kichhu bolinai, ami bolechhi eishob prochar korchhen keno apni? jar ja ichha likhte pare ,bolte pare, sheta tar gyan r obhab, kintu apni boddhiman manush hoe shei vul tottho prochar korben keno? tao abar TT r moto technological site e.
      ar amar kotha te apni kosto pea thakle khoma kore diben karon karon islam khoma r shikkha dey

monirul Vai this is a great tune. apni please ai dhoroner tune future e chaliye jaan. nindukera/munfik/mushrikra na na kotha bole apnake ai dhoroner tune theke biroto rakhar chesta korbe……r atai shavabik……Islamer sotru je shudu kafir mushrikra ta na !! borong shoyong musolman nami kisu lokra rao chaibe Islamer bistrito na hok (like this top commentor). He has no Idea What is the power of Islam/ Iman/Akida/. emon o hote pare je future e ai dhoroner tune pore onek bidhormio nijer ecchay muslim hoye jete pare………………Please ai dhoroner tune bondho korben na…………..

    Level 0

    Mithun bhaijan, ami ki islam r biruddhe kichhu bolechhi? ami ki emon kichu bolechi je islam r bistar rodh hoe jabe? age amar comment ta valo kore poren,tarpor laaf paren
    ami bolechhi shudhu ekta nirdisto ongsher kotha, jekhane bola hoeachhe namaj porle cricket match jeta jay, apni e bolen, ei kotha ta jodi shotti hoy, tahole ki shakib ,tamim der khelano uchit? amader national team e tahole shudhu hujur der khelano uchit, ri8?tahole amra match r pore match na here ek r pore ek jite world champion hoe jabo,lol
    Islam ke bujhte hobe bhai, eibhabe bhul imani josh r naam e mosulman der shontrashi banano hochhe, tar proman asha kori dite hobena, amader chokh r shamnei onek kichhu ghoteche

    @মিথুন ভাই উত্সাহ প্রদানের জন্য অসংখ ধন্যবাদ। ইনশাআল্লা চালিয়ে যাব,অপনারা দোয়া করবেন। যেন দ্বীনের সঠিক বোঝ আল্লাহ আমাদেরকে দান করেন।

Level 0

avabe diner kotha bole manuske sottekarer din theke soriye niben na. bashi bashi kore koran porun ortho shoho, nije je din palon korchen ta clear hoye jabe. doya kore manuske gumrahir pothey theley thiben na.

    ভাই মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত পড়লাম, ইনশাআল্লাহ আর পড়ব।

Level 0

Good tune. Carry on.

Level 0

অনেক অনেক সুন্দর হয়েসে………………………………।
এরকম আরও পোস্ট দরকার……………………।।

Level 0

দুয়া করবেন ভাই , চ্চিল্লায় যাব ইন সাআল্লাহ………।

tanx for share .

তাকে অনেক মিস্ করছি।