অনেকের ধারণা সাপকে কিছুটা আঘাত করে চলে গেলে সাপ লোকটাকে চিনে রাখে এবং রাতে সাপ ওই আঘাতকারী লোকের বাড়ি গিয়ে দংশন করে। মূলত: সাপের স্মৃতি শক্তি খুবই কম এবং ঘরে গিয়ে দংশন করার প্রশ্নই আসে না।
কোথাও সাপ দেখলে তাকে চলে যাওয়ার সুযোগ দিন, কোনো সমস্যা হবে না।
ঘরে সাপ থাকার সম্ভাবনা থাকলে বিশেষ করে ইঁদুরের গর্ত থাকলে শুকনা মরিচ গর্তের মুখে দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিন। মরিচের ঝাঁঝ আর গন্ধে সাপ টিকতে পারবে না।
এছাড়া বাজারে কার্বোলিক এসিড পাওয়া যায়। এই এসিড বাড়িতে এনে বোতলসহ ঘরের মধ্যে রাখুন, সাপ চলে যাবে।
কাউকে সাপে দংশন করলে ওঝা বা বুদ্ধের কাছে না গিয়ে ১০০০ টাকা দিয়ে সাপের এন্টিভ্যানম ইনজেকশন দিন। সুস্থ্য হবে নিশ্চিত।
দংশিত ব্যক্তির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সাহস দেয়া। প্রয়োজনীয় সাহস না দিতে পারলে, রোগী হার্ট এটাকে মারা যাবে।
সাপে দংশন করার পর ৭/৮ ঘন্টা পর্যন্ত রোগী বেঁচে থাকে, তাই ধৈর্য্য ধারণ করে দ্রুত ইনজেকশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
কোন সাপে কামড় দিয়েছে সেটার পরিচয় জানা গেলে চিকিৎসায় কিছুটা সুবিধা হয়, তবে খেয়াল রাখতে হবে এতে যেন বেশি সময় নষ্ট না হয়।
বাংলাদেশের বিষাক্ত প্রায় সকল সাপের বিষ নষ্ট করার ইনজেকশন আবিস্কার হয়েছে। শুধুমাত্র রাসেল ভাইপার বা শংখচুড় সাপের টিকা আবিস্কারের চেষ্টা চলছে। আর এই সাপ বাংলাদেশের রাজশাহী ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না।
মনে রাখতে হবে, ওঝা বৈদ্য নয় সচেতনতাই পারে অনেকের জীবন বাঁচাতে।
গ্রীষ্মে সাপেরা ঠান্ডা বাতাসের জন্য বেশি বিচরণ করবে, তাই এ সময়ে মানুষ বেশি দংশিত হয়।
আমি মিলন সরকার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।