সর্বকালের সেরা মানব আমাদের বিশ্বনবী (সাঃ)। তার প্রতিটা পদক্ষেপে ছিল এক একটি বিজ্ঞানের রিসার্চ এর ফলাফল। তার করা কাজ কে আমরা সুন্নত বলে জানি। আজকে আমি আপনাদের সাথে রাসুল (সাঃ) এর কয় একটি আমল শেয়ার করছি।
১। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি শয়নের সময় অলস্নাহর যিকির করে না, কেয়ামতের দিন সে এজন্য আফসোস করবে। আর যে ব্যক্তি কোন স্থানে বসে আলস্নাহর যিকির না করে, তবে সে কেয়ামতের দিন এজন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হবে। (সুনানে আবু দাউদ, ৫ম খণ্ড, হাদীস নং ৪৯৭৫)
২। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুলস্নাহ (সা.) প্রত্যেক রাতে তাঁর বিছানায় শয়নের আগে নিজের দু’হাতের তালু একত্রিত করতেন, এরপর দু’হাতের তালুতে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে ফুঁ দিয়ে নিজের সমস্ত শরীর, মাথা, চেহারা পুরো শরীর তিনবার মাসাহ্ করতেন (সুনানে আবু দাউদ, ৫ম খন্ড)।
৩। নওফল (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী (সা.) তাকে বলেন, তুমি শোবার সময় সূরা কাফেরুন তেলাওয়াত করবে। কেননা, এ সূরা শিরক থেকে মুক্তকারী। (সুনানে আবু দাউদ ৫ম খন্ড) শিরক থেকে নিজেকে হেফাজতের জন্য সূরা কাফেরুন পড়া।
৪। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, আলস্নাহর নবী (স.) আমাকে রমজানের প্রাপ্ত যাকাত সংরক্ষণ ও হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময় জনৈক ব্যক্তি এসে খাদ্যদ্রব্য চুরি করতে উদ্যত হয়। আমি তাকে ধরে ফেলি এবং বলি, আমি তোমাকে আলস্নাহর নবী (স.)-এর কাছে নিয়ে যাব। অতঃপর পুরো হাদীস বর্ণনা করে লোকটি বলে: “যখন আপনি ঘুমাতে যাবেন, আয়াতুল কুরসী পাঠ করবেন। এর কারণে আলস্নাহর পক্ষ থেকে একজন পাহারাদার নিযুক্ত করা হবে। সে আপনাকে সারারাত পাহারা দেবে এবং ভোর পর্যন্ত শয়তান আপনার কাছে আসতে পারবে না।”
[যখন রাসূল (স.) ঘটনা শুনলেন] তিনি (আমাকে) বললেন, (তোমার কাছে রাতে যে এসেছিল) সে তোমাকে সত্য কথা বলেছে, যদিও সে মিথ্যাবাদী, সে ছিল শয়তান। (সহীহ আল বুখারী, ৪র্থ খন্ড)। সারারাতের নিরাপত্তার জন্য আয়াতুল কুরসী পড়া জরুরী।
৫। আবু মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবী (স.) বলেন, যদি রাতে কেউ সূরা বাকারার শেষ দু’টি আয়াত তেলাওয়াত করে তবে এটাই তার জন্য যথেষ্ট। (সহীহ আল বুখারী, ৪র্থ খন্ড, হাদীস নং ৪৬৩৭)। সূরা আল বাকারার শেষ ২ আয়াত পড়া।
৬। আবু সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়াসালস্নাম বলেন: কোন লোক (শোয়ার জন্য) বিছানাগত হয়ে তিনবার বলে: “আসতাগফিরুলস্না-হালস্নাজী লা ইলাহা ইলস্না হুয়াল হা্ইউল কাইউম ওয়াতুবু ইলাইহি” অর্থাৎ ‘আমি আলস্নাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি, যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। যিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর নিকট তওবা করি।’
আল্লাহ তায়ালা তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেন। যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির সমতুল্য হয়ে থাকে, যদিও তা গাছের পাতার ন্যায় অসংখ্য হয়, যদিও তা টিলার বালি রাশির সমান হয়, যদিও তা দুনিয়ার দিন সমূহের সম সংখ্যক হয়। (জামে আত-তিরমিযী, ৬ষ্ঠ খন্ড, হাদীস নং ৩৩৩৩)। সমস্ত গুনাহ মাফের জন্য আস্তাগফিরুলস্নাহালস্নাযি লা ইলাহা ইলস্নাহুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়াতুবু ইলাইহী-তওবার এ দোয়াটি ৩ বার পড়া।
আজকে তাহলে এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নিউ কোন বিষয় নিয়ে।
আল্লাহ হাফিজ।
আমি কাজী আমিনুল ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 16 টি টিউন ও 24 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।