সময়টা ১৯৫২ ৷ সেলুলয়েড দুনিয়ায় জার্নি শুরু করেন রমা সেনগুপ্ত ৷ শেষ কোথায় ছবির মাধ্যমেই তাঁর অভিনয় জীবনের শুরু। যদিও ছবিটি মুক্তি পায়নি ৷ পরের ছবি সাড়ে চুয়াত্তর ৷ ইতিহাস তেরি করে নির্মল দের এই ছবি ৷ এই ছবিতেই প্রথম জুটি বাঁধেন উত্তম-সুচিত্রা ৷ বাঙালির মনে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নেয় মহানায়িকা ৷ শাপমোচন, সবার উপরে, অগ্নিপরীক্ষা, সাগরিকা, হারানো সুর, পথে হল দেরি, দীপ জ্বেলে যাই, ওরা থাকে ওধারে, শিল্পী, ইন্দ্রাণী, সপ্তপদী, সাত পাকে বাঁধা, উত্তর ফাল্গুনী, আলো আমার আলো, গৃহদাহ, ফরিয়াদ, চাওয়া পাওয়া, হার মানা হার, কমললতা, দেবী চৌধুরানি, দত্তা তাঁর অভিনীত এক একটি ছবি জনপ্রিয় ছবি৷
১৯৫৫ সালে বিমল মিত্রের দেবদাস (হিন্দি) ছবিতে পার্বতীর ভূমিকায় সুচিত্রার অভিনয় গোটা দেশের দর্শকের মন ছুঁয়ে যায় ৷ এরপর ১৯৫৭ সালে তৈরি হল উত্তম-সুচিত্রা জুটির কালজয়ী ছবি হারানো সুর ৷ এর দু’বছর পর ১৯৫৯ সালে তৈরি হয় অসিত সেনের ছবি দীপ জেলে যাই ৷ নার্স রাধার চরিত্রে তাঁর অভিনয় তাঁকে বাঙালির মনের আরও কাছাকাছি এনে দিয়েছিল ৷ সপ্তপদীর রীণা ব্রাউন ও কৄষ্ণেন্দুর রসায়ন পালটে দিয়েছিল বাঙালির সমস্ত হিসেব ৷ উত্তম-সুচিত্রা জুটি যখন বাঙালির অর্ধেক মনজুড়ে রাজত্ব করছে ঠিক তখনই নতুন কিছু করার তাগিদে চির পরিচিত জুটি থেকে বেড়িয়ে ছবি করেন সুচিত্রা। যার প্রমাণ উত্তর ফাল্গুনী ৷ অসিত সেন পরিচালিত এই ছবি পরে হিন্দিতে নির্মিত হয় ৷ মমতা নামের ওই ছবিটিতেও অভিনয় করেন সুচিত্রা ৷ এই ছবিটি তাঁকে এনে দিয়েছিল ফিল্মফেয়ার বেস্ট অ্যাকট্রেস অ্যাওয়ার্ড ৷ গুলজার পরিচালিত আঁধি ছবিটি সুচিত্রার অভিনয়ের মুকুটে আর একটি পালক ৷ ১৯৬৩ সালে প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে তিনি সপ্তপদীর জন্য মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন ৷ ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অবদান স্বরূপ ১৯৭২ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত করে ৷ দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভোগার পর ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি মারা যান মহানায়িকা ৷
সময় পেলে ঘুরে আসতে পারেন
আমি রোহান বিশ্বাস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 5 টিউনারকে ফলো করি।