বাংলা ব্যাকরণ-বাংলা বানানের নিয়ম পর্ব – ১

টিউন বিভাগ বাংলা কম্পিউটিং
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো আছেন। আজ থেকে আমি আপনাদের সাথে নিয়মিত বাংলা ব্যাকরণ নিয়ে আলোচনা করব। বিশেষ করে যারা এবার এইচ এস সি পরীক্ষা দিবেন তাদের জন্য এই টিউনগুলো কিছুটা হলেও কাজে দিবে বলে আশা করি।

যা হোক কথা না বাড়িয়ে মুল বিষয়ে আসা যাক, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছেঃ-

বাংলা বানানের নিয়ম-বানান_শুদ্ধিকরন-১_Bangla_Spelling-1

প্রথমেই একটা কথা বলে রাখি যে, আমরা দৈনন্দিন যে বাংলা ব্যবহার করে থাকি বা কথা বলে থাকি তার মধ্যে কিন্তু অধিকাংশ সময় আমাদের বানানের মধ্যে ভুল হয়ে থাকে যা আমরা বলতেও পারি না। এর কারণ হচ্ছে বাংলা বানান সম্মন্ধে ভালোভাবে ধারণা না থাকার কারনে। এটা মনে হতে পারে যে সাধারণ একটা ভুল, কিন্তু না এটি সাধারণ মনে হলেও এটি একটি মারাত্তক ভুল। যেমনঃ- আপনি যখন কারো সামনে নিজেকে উপস্থাপন করে কিছু বলতে যাবেন, তখন যদি আপনার বলার মধ্যে বানানের ভুল হতে থাকে তাহলে দেখুন কি এক নাজেহাল অবস্থার মধ্যে পরে যান। এই জন্যই আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে বাংলা বানানের নিয়ম।

নিম্নে বাংলা বানানের নিয়ম উল্লেখ করা হলোঃ-

আমাদের বাংলা ব্যাকরণ শিক্ষার বইগুলোর মধ্যে বানান সম্পর্কে কিছু উল্লেখ না থাকলেও আমরা যে সন্ধি, সমাস, বা ইত্যাদি যে গুলো পড়ি এগুলো কিন্তু সবকিছু একটা বানানের সিস্টেম। যেমনঃ আপনি যদি মহারাজা শব্দটি এইভাবে লিখেন তাহলে কিন্তু এতা ভুল।
এখন কেন ভুল এটা কিন্তু আপনি কোন বানানের নিয়মে এটা পাবেন না। কারণ সমাসবদ্ধ শব্দে কখনো "রাজা" হয় না, "রাজ" হয়।
তাহলে মহারাজা শব্দটি না হয়ে মহারাজ হবে।

এখন আরেকটা শব্দ কটুক্তি দেখে আপনার মনে হবে এটা মনে হয় সঠিক, কিন্তু না। আপনি যদি শব্দটি ভালোভাবে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে, কটুক্তি শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ হচ্ছে "কটু+উক্তি"। আর সন্ধিবিচ্ছেদ এ উ এর পরে উ হলে তা 'ঊ' হয়ে যায়। তাহলে শব্দটির মুল বানান হবে কটূক্তি

তাহলে মূল বানানের নিয়মে আসা যাক। বানানের নিয়ম অনেক থাকলেও আমি যতটুকু বানানের নিয়ম না জানলেই নয়, তা আলোচনা করবো।

১ঃ)বিদেশী শব্দে কখনোই ণ, ষ, ছ হবে না। । যেমনঃ ফারনিচার, মডারন, সালাম ইত্যাদি।
আপনি যদি শব্দ্গুলো এভাবে লিখেন তাহলে কিন্তু ভুল হবে। যেমনঃছালাম, স্টোর ইত্যাদি।

২ঃ) আলি, আঞ্জলি, আবলি- সর্বদা ই প্রত্ত্যয় যোগে হবে। যেমনঃসোনালি, রূপালি, শ্রদ্ধাঞ্জলি ইত্যাদি।
আপনি যদি শব্দ্গুলো এভাবে লিখেন তাহলে কিন্তু ভুল হবে। যেমনঃসোনালী, রূপালী, শ্রদ্ধাঞ্জলী ইত্যাদি।

৩ঃ)ভাষা ও জাতিবাচক শব্দের শেষে সর্বদা ই প্রত্ত্যয় যোগে হবে। যেমনঃইতালি, আরবি, জাপানি ইত্যাদি।
আপনি যদি শব্দ্গুলো এভাবে লিখেন তাহলে কিন্তু ভুল হবে। যেমনঃআরবী, ইংরেজী ইত্যাদি।
তবে এইখানে একটি কথা আছে, যদি ঈয় প্রত্তয় যোগ হয় তাহলে 'ঈ' হবে। যেমনঃইউরোপীয়, ভারতীয় ইত্যাদি।

তাহলে আজকে এটুকুই, দেখা হবে আগামী পর্বে ইনশা-আল্লাহ, ততক্ষন পর্যন্ত ভালো থাকবেন। আর পোস্টটি কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না কিন্তু! যদি আপনাদের ভালো না লাগে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে নিবেন। কারণ এটিি আমার ব্লগে করা প্রথম টিউন, তাই ভালো নাও হতে পারে।

এছাড়া চাইলে আমার ব্লগ থেকে ঘুরে আসতে পারেন।

আল্লাহ হাফেয

Level 0

আমি আব্দুল করিম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস