কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বর্তমান বিশ্বের অন্যতম আলোচিত ও জনপ্রিয় প্রযুক্তি। এটি বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবর্তনের সূচনা ফেলছে। আর এই কারণেই বর্তমানে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ও AI এর প্রভাব ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় দিকেই লক্ষ্য করা যায়। একদিকে, এটি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে, অন্যদিকে কিছু কাজের ক্ষেত্রে মানুষের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দিচ্ছে।
বর্তমানে বিভিন্ন শিল্প ও সেক্টরে AI এর ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে উৎপাদন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যাংকিং থেকে শিক্ষা, প্রতিটি ক্ষেত্রে AI এর অভাবনীয় পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। এই পরিবর্তনের ফলে কর্মীদের Skill Development প্রয়োজনীয়তা আগের তুলনায় বেড়ে যাচ্ছে।
অনেকেই AI এর কারণে ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান নিয়ে বিভিন্ন মতামত ও পূর্বাভাস দিয়ে থাকেন। কেউ কেউ মনে করেন যে, এটি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাবে, আবার কেউ কেউ এটিকে চাকরির অনিশ্চয়তার কারণ হিসেবে দেখছেন। এ ধরনের পরিস্থিতিতে, আমাদের অবশ্যই বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট গুরুত্ব অনেক বেশি। কেননা, ভবিষ্যতে AI এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ ও চাহিদা মেটাতে হলে আমাদেরকে ও সময়োপযোগী প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও ট্রেনিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।
এই আর্টিকেলে আমরা AI এর কাজের ধাপ, এটির ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব, বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে এর ব্যবহার, এবং কর্মীদের স্কিল ডেভেলপের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করব।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI হলো এমন একটি প্রযুক্তি, যা কম্পিউটার ও মেশিনকে মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা প্রদান করে। যেখানে, AI সিস্টেমগুলি অনেক বড় পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে সক্ষম। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি বিভিন্ন অ্যালগরিদম ও ডেটা মডেলের মাধ্যমে কাজ করে, যা এই মেশিনকে আরো শিখতে এবং সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
AI মূলত তিনটি প্রধান উপাদানের উপর ভিত্তি করে কাজ করে থাকে। এগুলো হলো ডেটা, অ্যালগরিদম এবং কম্পিউটিং পাওয়ার। প্রথমে, AI সিস্টেম গুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বিশাল পরিমাণ ডেটা সংগ্রহ করা হয় এবং বিশাল ডেটা সেটে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই ডেটা গুলোর মধ্যে হতে পারে, বিভিন্ন টেক্সট, ইমেইজ, ভিডিও বা অন্যান্য ধরনের তথ্য। এরপর, অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ডেটা বিশ্লেষণ করা হয়।
এআই এর ক্ষেত্রে, অ্যালগরিদম হল কিছু নিয়ম বা সূত্র, যা এআই মেশিনকে Data Processing মাধ্যমে সঠিক রেজাল্ট প্রদান করতে কাজ করে। সবশেষে, এই প্রসেস সম্পাদনের জন্য শক্তিশালী কম্পিউটিং পাওয়ারের প্রয়োজন হয়, যা মেশিনটিকে Fast এবং Efficient এর সাথে কাজ করতে সহায়তা করে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ডেভলপের ফলে বিভিন্ন শিল্প ও কর্মক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে। যেমন: ডেটা সায়েন্স, মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি। এর পাশাপাশি, বর্তমানে কিছু প্রচলিত চাকরিতে ও এআই এর রিপ্লেস ঘটছে। এসবের মধ্যে যেমন প্রোডাকশন ও ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
AI এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব, বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে এর ব্যবহার, এবং এটির কারণে কর্মক্ষেত্রের পরিবর্তন নিয়ে পরবর্তী পয়েন্টগুলোতে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন সুবিধা দিচ্ছে, তেমনি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ও নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করছে। প্রযুক্তির এই অগ্রগতির ফলে বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে, যার ফলে নতুন ধরনের কাজের সৃষ্টি হয়েছে এবং পুরানো কাজগুলোতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
প্রথমত, AI এর Innovations এবং Development সাথে সাথে প্রযুক্তিগত কাজের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেটা সায়েন্টিস্ট, মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার, রোবোটিক্স এক্সপার্ট এবং AI গবেষকদের প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। যার ফলে, প্রযুক্তিগত শিক্ষার গুরুত্বও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা এই নতুন পেশাগুলির প্রতি আগ্রহী হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, AI প্রযুক্তি বর্তমানে নতুন নতুন স্টার্টআপ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যেখানে অনেকেই উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন ব্যবসা শুরু করছে। উদাহরণস্বরূপ, স্বয়ংক্রিয় কাস্টমার সার্ভিস এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রযুক্তি এর মত নতুন স্টার্টআপগুলি বাজারে প্রবেশ করছে। এই নতুন উদ্যোগ গুলো নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে এবং উদ্যোক্তাদের জন্য সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র তৈরি করছে।
তৃতীয়ত, AI বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে কাজের ধরন পরিবর্তন করছে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে। স্বাস্থ্যসেবা, প্রোডাকশন, ব্যাংকিং এবং শিক্ষা খাতে AI এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পদ্ধতি উন্নত করার জন্য AI ব্যবহার করা হচ্ছে, যা নতুন কাজের সৃষ্টি করছে।
সব মিলিয়ে, AI এর ইতিবাচক প্রভাব কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। আর সেই সাথে, এআই প্রযুক্তির কারণে নতুন নতুন পেশা ও ব্যবসার উদ্ভবের মাধ্যমে কর্মীদের আরো নতুন দক্ষতা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে এবং কর্মক্ষেত্রে তাদের আরো অগ্রগতি সম্ভব হচ্ছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI কর্মক্ষেত্রে যেমন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে, তেমনি চাকরির ক্ষেত্রে কিছু নেতিবাচক প্রভাবও ফেলছে। AI এর কারণে চাকরির অনিশ্চয়তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। AI এর কারণে অনেক ট্রেডিশনাল কাজ প্রতিস্থাপিত হওয়ার কারণে কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রথমত, AI এর কারণে অনেক প্রচলিত কাজ অটোমেটিক হয়ে গেছে। প্রোডাকশন ও ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে রোবটিক্স এবং স্বয়ংক্রিয় মেশিনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এর ফলে, প্রচুর সংখ্যক ম্যানুয়াল কাজ কমে গেছে এবং কর্মীদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি বেড়েছে। বর্তমানে AI পরিচালিত মেশিন ও সিস্টেমগুলি মানুষের চেয়ে দ্রুত ও নির্ভুলভাবে কাজ করতে পারে, যা বর্তমানে নিয়োগ কর্তাদের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
দ্বিতীয়ত, AI এর কারণে সেবা খাতেও চাকরির অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে। Automated Customer Service, চ্যাটবট এবং AI চালিত কল সেন্টারগুলি মানুষের সেবার প্রয়োজনীয়তা আগের তুলনায় অনেক অংশ কমিয়ে দিয়েছে। যার ফলে, এই খাতে কাজ করা কর্মীরা চাকরি হারানোর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিশেষত, কাস্টমার সাপোর্ট, টেলিমার্কেটিং এবং ব্যাক অফিস সাপোর্টের মতো কাজে AI এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তৃতীয়ত, AI এর কারণে হাই স্কিল সম্পন্ন চাকরির ক্ষেত্রেও কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। AI এর Progress এবং Automation এর ফলে কিছু Technical কাজ যেমন ডেটা এন্ট্রি, বেসিক ডেটা Analysis এবং ছোটখাটো সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কাজগুলো AI দ্বারা সম্পন্ন করা হচ্ছে। ফলে, এই ধরনের কাজের চাহিদা কমে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে পূর্বে যারা এ ধরনের কাজগুলো করতো তারা যদি নিজেদের দক্ষতা না বাড়ায়, তাহলে এ ধরনের কাজ থেকে তাদের বাদ পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।
এক্ষেত্রে, পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য বর্তমান কর্মীদের দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
উৎপাদন ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব উল্লেখযোগ্য। AI প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়া অটোমেশনের ফলে উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রোবোটিক্স ও অটোমেশন সিস্টেমের ব্যবহারের ফলে, উৎপাদন খরচ কমানো এবং উৎপাদনের গুণগত মান আগের তুলনায় অনেক উন্নত করা সম্ভব হচ্ছে। AI এর মাধ্যমে প্রেডিকটিভ মেইনটেন্যান্স এবং প্রোডাকশন প্রসেসের রিয়েল-টাইম মনিটরিং করে উৎপাদন স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।
স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা খাতে AI একটি বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। AI ভিত্তিক ডায়গনস্টিক টুল ও ইমেজিং প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা প্রক্রিয়া আগের তুলনায় এখন আরো দ্রুত ও নির্ভুল করা সম্ভব হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, AI এর মাধ্যমে ক্যান্সারের প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্তকরণ, রেডিওলজি ইমেজ বিশ্লেষণ এবং রোগীর ব্যক্তিগত চিকিৎসা প্ল্যান তৈরি করা যাচ্ছে। এছাড়াও, টেলিমেডিসিন এবং ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করে রোগীদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্স সেক্টরে AI এর ব্যবহার বহুমুখী। AI ভিত্তিক সিস্টেমগুলি Risk Analysis, Fraud Detection এবং Customer Service উন্নত করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি চ্যাটবট এবং ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করে গ্রাহকদের সাথে সময়মতো কানেকশন রক্ষা করছে এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। এছাড়াও, AI এর মাধ্যমে Personal Investment Advice ও পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সেক্টরে AI এর ব্যবহার শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান পূর্বের তুলনায় এখন উন্নত করেছে। AI ভিত্তিক শেখার পদ্ধতি গুলো শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুযায়ী পাঠদান করতে সহায়তা করছে। যেখানে, ভার্চুয়াল টিউটর, ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম এবং ইন্টেলিজেন্ট কন্টেন্ট তৈরি করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রক্রিয়া সহজ ও কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের কর্মক্ষেত্রের বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তন করে দেওয়ার কারণে, সময়ের সাথে সাথে এটির সাথে আমাদের খাপ খাওয়ানো অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রে সফল হতে হলে কর্মীদেরকে AI এবং এর বিভিন্ন প্রয়োগ সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে। এজন্য প্রথমেই প্রয়োজন প্রযুক্তিগত শিক্ষার উপর জোর দেওয়া।
প্রথমত, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর বর্তমান ট্রেন্ড এর সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য কর্মীদের নতুন দক্ষতা অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। AI এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে, কর্মীদেরকে তাদের বিদ্যমান দক্ষতাকে উন্নত করতে হবে এবং নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে শিখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, প্রোগ্রামিং, ডেটা এনালিটিক্স, মেশিন লার্নিং এবং রোবোটিক্সের উপর জোর দিয়ে ট্রেনিং প্রোগ্রাম তৈরি করা যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কারণে প্রভাবিত প্রতিষ্ঠান গুলোকে তাদের কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে এবং AI এর সঙ্গে কাজ করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আর সেই সাথে কর্মীদেরকে AI এর সুবিধা সম্পর্কে জানানো এবং এর সঙ্গে কাজ করার জন্য তাদেরকে উৎসাহিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
সবশেষে বলতে গেলে, কর্মক্ষেত্রে AI এবং মানবকর্মীদের সমন্বয় তৈরি করতে হবে। যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আসলে মানুষের কাজ সহজ করতে এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক করার কাজ করবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত বিকাশ ও বিস্তার কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিশাল পরিবর্তন এনে দিচ্ছে। AI প্রযুক্তির কারণে বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, প্রোডাকশন ও ম্যানুফ্যাকচারিং, স্বাস্থ্যসেবা, ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্স, এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে AI নতুন চাকরির বাজার সৃষ্টি করছে।
তবে, AI প্রযুক্তির বিস্তারের কারণে চাকরির অনিশ্চয়তা ও কর্মহীনতার সম্ভাবনাও তৈরি করেছে। বিশেষ করে, যেসব কাজ অটোমেশনের মাধ্যমে সহজে সম্পন্ন করা যায়, সেইসব ক্ষেত্রে চাকরি হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। এজন্য Skill Development এবং Retraining প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, যাতে মানুষ নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রে AI-এর সঙ্গে খাপ খাওয়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ এই খাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। নতুন কর্মসংস্থানের চাহিদা ও উদাহরণ অনুসরণ করে, তরুণ প্রজন্মকে AI-নির্ভর কর্মক্ষেত্রে যোগ্য করে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি।
সর্বশেষে, বলতে হয় যে AI প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ও প্রয়োগ আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানে একটি স্থিতিশীল ও উন্নতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)