বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যে জিনিসটির নাম হয়তো আমরা অনেকেই শুনেছি কিংবা অনেকেই আমরা পরিচিত। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট মানুষের কি কি কাজে লাগতে পারে এবং মানুষের জীবনকে কতটা দুর্বিষহ করে তুলতে পারে?
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বা এআই, যেটি সাধারন স্মার্টফোনের অ্যাপ থেকে শুরু করে স্মার্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট, সেলফ ড্রাইভিং কার, ডিপফেক ভিডিও থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায় এটি জায়গা করে নিয়েছে। এভাবে করে ভবিষ্যতে এর সংখ্যা আরো বাড়তে চলেছে যেখানে সকল জায়গায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট কে আরো অধিক পরিমাণে ব্যবহার করা হবে। তো এবার আমাদের মাথায় এটা চলে আসতে পারে যে, কি এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এবং এটি কিভাবে কাজ করে বা কোন কাজে ব্যবহার হয়?
তো বন্ধুরা, এই টিউন এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে, কি এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট, ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট পৃথিবীকে কিভাবে পরিবর্তন করে দিতে পারে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কি কি ভালো দিক রয়েছে এবং কি কি খারাপ দিক রয়েছে ইত্যাদির সমস্ত কিছুর বিস্তারিত বর্ণনা। এজন্য সম্পূর্ণ টিউনটি অবশ্যই দেখুন।
এখানে Artificial এর অর্থ হচ্ছে কৃত্তিম, Intelligence এর অর্থ হচ্ছে বুদ্ধি বা বুদ্ধিমত্তা। যেখানে দাঁড়ায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সম্পূর্ণ অর্থ কৃত্রিম বুদ্ধি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট কি এটি আপনাকে সহজ ভাবে বোঝানোর জন্য আপনাকে অন্য ভাবে বোঝাতে হবে।
তো দেখুন, পৃথিবীতে এত এত জীব রয়েছে এবং তাদের মানুষই কেন এত বেশি উন্নতি করতে পারল? এর পিছনে কারণ হচ্ছে বাকি যে সমস্ত জীব জন্তু গুলো রয়েছে তাদের বুদ্ধির অভাব, যেখানে একমাত্র মানুষেরই তাদের চাইতে বেশি বুদ্ধি রয়েছে এবং মানুষই একমাত্র বিচার এবং বিবেচনা করতে পারে। যেখানে মানুষ বাদ দিয়ে অন্যান্য জীব জন্তু গুলো নিজের বিবেককে কাজে লাগাতে পারে না এবং তার জ্ঞান দ্বারা কোন কিছু অতিরিক্ত চিন্তা করেনা বা করতেই পারে না। এখানে মানুষের উন্নতি করার পেছনে কারণ হচ্ছে মানুষের বুদ্ধি। অন্যদিকে যদি একটি কম্পিউটারের কথা বিবেচনা করা হয় তবে এক্ষেত্রে তার বুদ্ধি বলতে তার প্রসেসিং পাওয়ার রয়েছে।
একটি প্রসেসর সেকেন্ডের মধ্যেই হাজার হাজার ক্যালকুলেশন করতে পারে। যেখানে কম্পিউটারের কাছে বেশি প্রসেসিং পাওয়ার রয়েছে, কিন্তু তার বুদ্ধি নেই। এখানে কম্পিউটার নিজে থেকে কোনো চিন্তা করতে পারেনা এবং নিজে থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কম্পিউটার শুধুমাত্র সেটুকুই করে যেটুকু তাকে করতে বলা হয়েছে। এখানে কম্পিউটার নয়তো তার বেশি করবে নায়তো তার কম করবে।
এখানে কম্পিউটারের নিজে থেকে কিছু না করার বৈশিষ্ট্যটিই হচ্ছে কম্পিউটার এবং মানুষের মধ্যে পার্থক্য। যেখানে সেই কাজটি কম্পিউটার প্রতিনিয়ত করেই যাবে কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে এর বিপরীত টি হতে পারে। কোন একজন মানুষকে যদি একটি কাজ দেওয়া হয় এবং সে যদি সেই কাজটি 10 হাজার বার ধরে করে তবে সেই মানুষটির ক্ষেত্রে সেই কাজটি করতে করতে সেই কাজে অনেক দক্ষতা অর্জন হবে। এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি প্রথমে সেই কাজটি যেভাবে করেছে, পরবর্তীতে সে আরো কম সময়ে সেই কাজটি আরো নিপুণতার সঙ্গে সম্পাদন করতে পারবে। অর্থাৎ এখানে সেই ব্যক্তি পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে আরো কিভাবে ভালো করা যায় সেই বিষয়টি জেনে গিয়েছে এবং সে চাইবে পূর্বের চাইতে বর্তমানের কাজটি আরো ভালোভাবে করার।
অন্যদিকে যদি একটি কম্পিউটার কে একটি কাজ 10 হাজার বার ধরে করানো হয় তবে সে ক্ষেত্রে কি ঘটবে? এক্ষেত্রে সেই কম্পিউটারটি প্রথম কাজের বেলায় যে সময়টি নিয়েছিল দশ হাজার বারে গিয়ে আবার সেই সময়ই নেবে এবং কম্পিউটারের কাজ ও একই হবে। কেননা এখানে কম্পিউটারের কোন নিজস্ব বুদ্ধি নেই, এখানে কম্পিউটারটি সেটুকুই করছে যেটুকু তাকে করতে বলা হয়েছে। এখানে কম্পিউটারটি নাতো তার বেশি করবে নাতো তার কম করবে।
কিন্তু সেই কম্পিউটারের যদি মানুষের মতো বুদ্ধি থাকতো, তবে সে মানুষটির মতো করে কাজটি করে দিতে পারতো। এখানে কম্পিউটারটির যদি নিজের বুদ্ধি থাকতো তবে সে পারতো সেই কাজটি কীভাবে আরও নিপুণতার সঙ্গে এবং কম সময়ে করা যায়। এটি মূলত আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যেখানে কম্পিউটার ও মানুষের মতো চিন্তা করতে পারবে এবং মানুষের মত বিচার বিবেচনা করতে পারবে। মানুষকে যেমন বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে নতুন নতুন কিছু শেখা সম্ভব সেরকম ভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে কম্পিউটারকেও নতুন নতুন বিষয় শেখানো সম্ভব।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সবচেয়ে তে পুরনো পার্থক্য হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হচ্ছে এমন একটা প্রোগ্রাম যেটা সেই সমস্ত কাজ করতে সক্ষম যেগুলোকে কমপ্লিট করতে মানুষের দরকার। এখনই বিষয়টি দ্বারা কি বুঝানো হচ্ছে এটি নিয়ে আপনাকে একটি উদাহরণ দেয়া যাক।
যেমন ধরুন, কম্পিউটারে ফটো এডিটিং সফটওয়্যার রয়েছে, কিন্তু এখানে কম্পিউটার কিন্তু আপনার ফটোটি অটোমেটিক এডিট করে না। যেখানে আপনাকে ফটোটি নিজেকেই এডিট করতে হবে এবং এখানে মানুষের দরকার। কম্পিউটারে ফটো এডিটিং সফটওয়্যার রয়েছে, কিন্তু সেই ফটো এডিটিং কোন না কোন মানুষকে করতে হয়। যেখানে আপনার কম্পিউটারে থাকা সফটওয়্যার টি অটোমেটিক এডিটিং করতে সক্ষম নয়। কিন্তু এখানে যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত করে দেয়া হতো সেই সফটওয়্যারে এবং সেখানে বলা থাকত যে সেই ফটো টি ইমপোর্ট করার পর কিভাবে এডিট করতে হবে, যেমনটি একটি মানুষকে বলা হয়।
যেখানে মানুষকে কোন বিষয় সম্পর্কে শেখানো হয় যে, কিভাবে এডিট করলে একটি ভাল আউটপুট পাওয়া যাবে, কোন বিষয়গুলো বাদ দিতে হবে এবং কি কি বিষয় গুলো যোগ করতে হবে ইত্যাদি। এভাবে করে একটি কম্পিউটারের সফটওয়্যারে ও যদি এরকম ভাবে কোডিং করা হয়, তবে সেই সফটওয়ারটি ও আপনার ফটোটি অটোমেটিক এডিট করে দিতে পারবে। যেখানে আপনাকে আর ফিজিক্যালি সেই সফটওয়ারটি দিয়ে ফটো এডিট করতে হবে না, অর্থাৎ এখানে মানুষের কোন দরকার নেই। এটি হচ্ছে সাধারণভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এমন একটি মাধ্যম, যেটি দিয়ে এমন এমন কাজ করা সম্ভব যা পূর্বে মানুষ দিয়ে করানো হতো কিংবা মানুষের দ্বারা ও সম্ভব হতো না।
এ পর্যন্ত উপরের বর্ণনায় আপনাদের মধ্যে একটি সাধারণ ধারণা এসেছে যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট কি। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার এবং এটি কিভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে।
মনে করুন, আপনি কোন একটি ফটো তুলেছেন যেখানে একটি পাখির ছবি রয়েছে। এবার আপনি যদি কোন ফটো এডিটিং সফটওয়্যার গিয়ে সেই ফটোটা এডিট করতে চান তবে সেখানে আপনাকে সেই পাখিটিকে রিমুভ করার জন্য মেনুয়ালি তা করতে হবে। কিন্তু এখানে যদি এমন কোন প্রোগ্রাম বানানো হয় যেখানে সেই পাখির ছবিটিকে অটোমেটিক ডিটেক্ট করতে পারবে এবং সেটিকে রিমুভ করে দিতে পারবে। যদি এমন একটি সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম বানাতে হয় তবে পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ প্রজাতির পাখি রয়েছে, যেখানে পৃথিবীর এসব সমস্ত প্রজাতির পাখি গুলোর ডিটেলস গুলো প্রোগ্রামের ভিতরে দিতে হবে। এছাড়া সেই পাখিগুলোর বৈশিষ্ট্য ও প্রোগ্রামের ভেতরে থাকতে হবে, যাতে করে কম্পিউটারটি স্ক্যান করে সেই ফটোটি দেখে বলতে পারে যে এটি একটি পাখি এবং সেই পাখিটি কে চিনতে পারে।
কিন্তু এভাবে করে যদি পৃথিবীর সমস্ত প্রজাতির পাখির বৈশিষ্ট্যগুলোকে কোন সফটওয়্যার এর ভিতরে লিখতে হয় তবে লক্ষ লক্ষ প্রোগ্রামিং কোড লিখতে হবে। যেখানে সেই প্রোগ্রাম টিকে কোডিং করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে যায়। এভাবে করে যদি অন্য কোন পাখি সেই সফটওয়্যার টিকে দেয়া হয়, তবে এক্ষেত্রে সেটি নাও ডিটেক্ট করতে পারে। কেননা সেই পাখিটি কে আগে দেখেনি এবং সেই পাখিটির যদি বৈশিষ্ট্য একটু ভিন্নও হয়, তবুও কম্পিউটার এখানে পাখিটিকে ডিটেক্ট নাও করতে পারে। তবে এখানে বিকল্প হবে যদি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট কে ব্যবহার করা হতো এবং সফটওয়্যার টিকে এভাবে কোডিং করা হয় যে, এটি একটি পাখি; যেমনটি আমরা ছোটবেলায় পাখি দেখে শিখেছি।
বর্তমানেও আমরা হয়তোবা সব পাখির নাম জানিনা, কিন্তু আমরা যদি কোন পাখিকে দেখি তবে সেটিকে চিনতে পারি যে, এটি একটি পাখিই। এখানে আমাদের শুধু পাখির বৈশিষ্ট্য মনে রয়েছে যে, পাখি এরকম হয়, পাখি উড়তে পারে ইত্যাদি ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য। যেখানে আমাদের ছোটবেলা থেকেই চিন্তাধারায় এটা ছিল যে পাখি দেখতে কেমন হয়। এখানে আমাদেরকে সেই পাখিটির নাম জানা কোন জরুরী বিষয় ছিল না। ঠিক একই রকমভাবে কম্পিউটার ও পাখিকে দেখে শিখতে পারবে যে, এটি একটি পাখিই।
যেখানে যদি শুধুমাত্র পাখির বৈশিষ্ট্য গুলোর কোডিং করা হয় তবে সে সফটওয়্যার বা প্রোগ্রামটি সেই পাখিটির বৈশিষ্ট্য গুলোর সঙ্গে মিলেই সেটিকে শনাক্ত করতে পারবে। এখানে সেই সফটওয়ারটি অটোমেটিক শিখে যাবে যে এটি একটি পাখি এবং তাকে যদি কোনো নতুন ফটো দেওয়া হয় তবে সেটির বৈশিষ্ট্য গুলোর সঙ্গে মিলিয়ে তা সে ডিটেক্ট করতে পারবে। এটি হচ্ছে মূলত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে এমন এমন কাজ করা সম্ভব যা পূর্বে করা সম্ভব ছিল না। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক বর্তমান সময়ে আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট কে কোন কোন কাজে ব্যবহার করছি।
আপনার স্মার্টফোনে আপনি যে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করছেন সেটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর একটি অংশ। এটি হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এছাড়া আপনি হয়তোবা কোনো অপরিচিত জায়গা বা আপনার কোন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য গুগল ম্যাপ কে ব্যবহার করেছেন। যেখানে গুগল ম্যাপে ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট কে ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে আপনি যদি আপনার কোন গন্তব্য লিখে সার্চ করেন এবং সেখানে যাবার জন্য যদি প্রস্তুতি নেন তবে গুগল ম্যাপ আপনার জন্য সব থেকে কাছের রাস্তাটি খুঁজে বের করে।
গুগল ম্যাপের সাহায্যে আপনি সবচাইতে কম সময়ে এবং কম ট্রাফিক যুক্ত রাস্তাটিকে আপনার সার্চ রেজাল্টে খুঁজে পান। যেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ব্যবহার করে আপনার লোকেশন থেকে কাছের রাস্তা গুলোকে খুঁজে বের করা হয়। অ্যামাজনের অ্যালেক্সা রয়েছে সেটিও একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট। এছাড়া আপনি সেলফ কার ড্রাইভিং সম্পর্কে তো অবশ্যই শুনে থাকবেন। তো, এই সেলফ ড্রাইভিং কার গুলোতেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়েছে পুরো গাড়িকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।
এছাড়া বর্তমানে আমরা যে সকল অ্যাপ্লিকেশনগুলো মোবাইলে ব্যবহার করি সেসকল অ্যাপ্লিকেশন গুলোতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার রয়েছে। আর বর্তমান সময়ের অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে যদি আপনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার না দেখতে পেতেন তবে আপনি হয়তোবা এত বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন না। কেননা আমরা যে ফেসবুক এবং ইউটিউব ব্যবহার করি সেখানে আমাদের পছন্দমত ভিডিওগুলিই আমরা দেখতে পারি। যেখানে ইউটিউব এবং ফেইসবুক আমাদের চাহিদা অনুযায়ী আপনার জন্য একটি অ্যালগরিদম সাজায়। যেখানে আপনি কোন ভিডিও গুলোতে বেশী লিখতে পারছেন এবং কোন ভিডিওতে Like, Comment, Share করছেন সেগুলো বিবেচনা করে আপনাকে এই সমস্ত ভিডিও গুলোই সাজেস্ট করা হয়।
এক্ষেত্রে এই সব জায়গায় যদি আপনাকে আপনার চাহিদার বিপরীতে হোমপেজে ভিডিওগুলো সাজেস্ট করা হতো, তবে আপনি হয়তোবা বেশি সময় ধরে ইন্টারনেট ব্যবহার ই করতে না। এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় ভিডিওটি হয়তোবা আপনি সেখানে সার্চ করে নিতেন এবং সেটি দেখেই আপনি বেরিয়ে আসতেন। কিন্তু তারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ব্যবহার করার জন্য আপনার চাহিদা অনুযায়ী বিবেচনা করে ভিডিও দিচ্ছে। যেখানে আপনি যদি নিউজ দেখতে পছন্দ করেন তবে শুধুমাত্র আপনাকে সর্বশেষ নিউজ গুলো কে বেশি পরিমাণে দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনি হয়তোবা বেশি পুরনো নিউজ গুলো দেখতে পাচ্ছেন না।
কোন নিউজ দেখার ক্ষেত্রে আপনাকে যদি সবসময় পুরাতন নিউজ গুলো দেখানো হতো তবে আপনি এক্ষেত্রেও সেটি আর দেখতে চাইতেন না। ঠিক এভাবে করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনাকে আপনার চাহিদা অনুযায়ী বিচার-বিবেচনা করে ভিডিওগুলো সবসময় সাজেস্ট করা হচ্ছে। আরে ভাবে করে আপনি ইন্টারনেটে পরে রয়েছেন ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে। এখানে এটি একটি কিন্তু ছোট্ট উদাহরণ। একই রকম ভাবে আপনি যদি গুগলে কিছু সার্চ করেন, তবে তারাও আপনার পছন্দসই সার্চ রেজাল্টে এনে দিচ্ছে।
গুগলে কিংবা ইউটিউবে কোন বিষয় লিখে সার্চ করলে যে ফলাফলগুলো পাচ্ছেন সে সমস্ত ফলাফলগুলো কিন্তু সকল ব্যবহারকারীকেই দেওয়া হয় না। বরং এখানে ভিন্ন ভিন্ন লোকের কাছে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় গুলোকে উপস্থাপন করা হয়। আর এটি করার জন্য ব্যবহার করা হয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যেখানে আপনি প্রতিনিয়ত গুগলে সার্চ করেই চলেছেন এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট আপনাকে প্রতিনিয়ত আপনার পছন্দসই সার্চ রেজাল্ট এনেই দিচ্ছে।
আজকের দিনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গুলোকে খুবই ছোট ছোট কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত মানুষ দিয়ে যেসব কাজগুলো করা সম্ভব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট দিয়ে এসব কাজগুলো করা সম্ভব নয়। কেননা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট গুলোর আরো অনেক কাজ শেখা বাকি রয়েছে। কিন্তু তবুও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনধারা কে পাল্টে দিয়েছে। এভাবে করে যতদিন ধরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে ব্যবহার করা হবে ততই এর উন্নতি ঘটতে থাকবে।
যেখানে দিন যাবার সঙ্গে সঙ্গে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিজে থেকে শিখতে পারবে এবং তার কাজ গুলোকে আরো উন্নতি করতে পারবে। যেখানে এমন একটি পর্যায় আসবে যে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের চাইতেও ভালো কাজ করে দিতে সক্ষম হবে। আর তখনই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আমাদের গোটা পৃথিবীকেই বদলে দেবে। আমরা আজকের দিনে যেমনভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কে ব্যবহার করছি, তখন সে ধারণা পুরোপুরিভাবে বললে যাবে। আজকের দিনে আপনি হয়তোবা অনেক মুভি দেখতে পাবেন যে, সেসব সিনেমার মধ্যে রোবটগুলো একদম মানুষের মতো ব্যবহার করে এবং মানুষের মতো কথাবাত্রা বলে; এগুলো মূলত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর একটি উদাহরণ।
আমরা উপরের আলোচনায় এতক্ষণ তো শুধুমাত্র আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর গুনোগান করেই গেলাম। কিন্তু এটি যে শুধুমাত্র আপনার উপকার করতে পারে তা নয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আপনার জীবনকে অনেক দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। চলুন তবে এবার জেনে নেওয়া যাক যে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কি কি ভাল দিক আছে এবং কি কি খারাপ দিক রয়েছে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেমনভাবে আমাদের জীবনকে অনেক সহজ এবং সহজতর করে তুলেছে ঠিক তেমনি ভাবে এটি আমাদের অনেক ক্ষতিও হতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে আমরা অনেক অসম্ভব কাজগুলোকে সম্ভব করতে পারি। যেখানে সেই কঠিন কাজটি সম্পূর্ণ হয়ে থাকে ভাল কাজের ভিতর। চলুন তবে, এবার জেনে নেওয়া যাক যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি কি ভালো কাজে লাগে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভালো দিকঃ আমরা যারা মানুষ, তাদের ক্ষেত্রে অনেক কাজের ক্ষেত্রে অনেক সময় অনেক ভুল হতেই পারে। কিন্তু কম্পিউটারের ক্ষেত্রে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এবার এখানে যদি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট কে ব্যবহার করা হয় তবে সেখানে ভুল হবার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না। যেহেতু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বা এআই মানুষের চাইতেও বেশী কাজ করতে সক্ষম, সেহেতু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট কে ব্যবহার করে কোন কাজকে আরও দক্ষতার সঙ্গে করা সম্ভব। এখানে মানুষের মতো সেই মেশিনটি নাতো ক্লান্ত হবে, নাতো বিরক্তি বোধ করবে; যেখানে তারা নিরন্তর ২৪ ঘন্টায় কাজ করতে সক্ষম।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট কে ব্যবহার করে কৃষি থেকে শুরু করে চিকিৎসা খাতে ও ব্যাপক পরিবর্তন আসতে চলেছে। এছাড়া বর্তমানে আমরা যেসব স্মার্টফোন ব্যবহার করছি সেগুলো তেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার রয়েছে। যেমনভাবে উপরে আমি একটি উদাহরণ দিলাম আপনার মোবাইলে ব্যবহৃত গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর ব্যাপারে। যেখানে ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনটিকে পরিচালনা করতে পারছেন। যেখানে লাগছে না কোন ধরনের হাতের ছোঁয়া।
এছাড়া বর্তমানে আপনার ব্যবহৃত স্মার্টফোনের ক্যামেরাতেও হয়তোবা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার হয়েছে। যে ক্যামেরা টি ব্যবহার করে আপনি যখন কারো ছবি তুলছেন, তখন তার ফেস ডিটেক্ট করছে সেই ক্যামেরাটি। এছাড়া আপনি যদি আপনার মোবাইলের ক্যামেরা সেটিং থেকে এআই মোডে ছবি তোলেন তবে সেক্ষেত্রে আপনার মোবাইলের ক্যামেরা টি কিভাবে ছবি তুলবে তা নিজে থেকেই সেট করে নেয়। এছাড়া একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আরো অনেক কাজে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার রয়েছে।
তাছাড়া আমরা যে আমাদের ফোনে ফেস আনলক সুবিধাটি ব্যবহার করি এটিও কিন্তু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এরই একটি অংশ। যেখানে আপনি ব্যতীত অন্য কাউকে দিয়ে ফোনটি আনলক করা সম্ভব নয়। এমনকি আপনি যদি ঘুমন্তও থাকেন এবং আপনার ফেস আনলকের জায়গায় যদি চোখকে ঝাপটানোর অপশন দেওয়া থাকে তবে এক্ষেত্রে কিন্তু মোবাইলের লকটি আর খোলে না। যেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে আপনার ফোনের ক্যামেরা টি ঠিকই ডিটেক্ট করতে পারে যে, আপনি ঘুমন্ত অবস্থায় রয়েছেন। যেখানে আপনাকে কেউ ধোঁকা দেবার চেষ্টা করলেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ঠিকই সেটি ধরতে পারছে এবং আপনাকে নিরাপদ রাখছে। আর এখানে এটি কিন্তু সম্ভব হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জন্যই।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর খারাপ দিকঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যেমন ভাবে আমাদের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে এটি আমাদের ক্ষতিও করতে পারে। তবে চলুন, এবার তেমনই কিছু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর খারাপ দিক দেখে নেওয়া যাক।
তো এবার প্রশ্ন আসতে পারে যে; আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট যেহেতু মানুষের মতো চিন্তা করতে পারে, তো এটি যদি ভবিষ্যতে মানুষকে শত্রু ভেবে নেয় তবে আমাদের মতো মানুষদের জন্য এটি অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে এটি অসম্ভব, কেননা যে জিনিসকে মানুষ তৈরি করেছে সেটি মানুষের বিরুদ্ধে চলে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যেখানে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি উপায় অবশ্যই রয়েছে।
তবে এটি নিয়ে অনেকেরই ধারণা করেছে যে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যেহেতু দিন দিন উন্নতি হয়ে যাচ্ছে এবং এটি মানুষের চিন্তা ধারাকে নিজে থেকে করছে সেজন্য ভবিষ্যতে এটি মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে যেতে পারে। যেখানে হয়তোবা তারা মানুষের কথাগুলোকে শুনবেনা। যেমনভাবে আমরা কোন রোবটিক সিনেমাতে দেখে থাকি। তবে কথা যাইহোক, একটি প্রযুক্তিকে যতই উন্নতি করা হোক না কেন সেটির নিয়ন্ত্রণক্ষমতা অবশ্যই মানুষের কাছে রয়েছে। কেননা মানুষই হচ্ছে একমাত্র সৃষ্টির সেরা জীব।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর আরো একটি খারাপ দিক হচ্ছে ডিপ ফেক ভিডিও। আপনারা হয়তোবা অনেকেই দেখতে ডিপ ফেক ভিডিও সম্বন্ধে জেনে থাকবেন। আপনি যদি এখনও ডিপ ফেক ভিডিও সম্বন্ধে না জেনে থাকেন তবে এখানে আমি সংক্ষেপে একটু এটি সম্পর্কে বলে নিচ্ছি।
ডিপ ফেক ভিডিও হলো এমন একটি ভিডিও যেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে আপনার কথা বলা, অঙ্গভঙ্গি এবং চলাফেরার মত করে ভিডিও তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে আপনি যদি সেই জায়গায় উপস্থিত হয়ে কোন বক্তব্য নাও দেন, তবুও ডিপফেক ভিডিওর মাধ্যমে সেটি করা সম্ভব। এখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে ব্যবহার করে আপনার যেকোন ভিডিও সংগ্রহ করা হবে। এরপর আপনার কথা বলার ধরন, আপনার অঙ্গভঙ্গি এবং কন্ঠ গুলোকে সেই ডিপফেক সফটওয়্যার টি নিজের মধ্যে নিয়ে নিবে এবং সে গুলোকে এনালাইসিস করতে থাকবে। এরপর যদি আপনার একটি নকল ভিডিও তৈরি করার প্রয়োজন পড়ে তবে অন্য একজন মানুষের সঙ্গে আপনার ভিডিওগুলো কে জুড়ে দেওয়া হবে।
এখানে সেই ভিডিওটিতে আপনার চেহারার মত হুবহু চেহারা এবং আপনার কথা বলার ধরন এবং কন্ঠ অনুযায়ী কন্ঠ তৈরি করা হবে। যেখানে খালি চোখে দেখে বোঝার উপায় নেই যে কোনটা আসল আর কোনটা নকল। বর্তমানে এরকম অনেক বহু তারকা এবং বহু লোক ডিপফেক ভিডিওর শিকার হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত হয়েই যাচ্ছে। ডিপ ফেক ভিডিও এমন একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে আপনি যদি কোনো কাজ নাও করে থাকেন তবে এক্ষেত্রে আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করা যেতে পারে। যেখানে আপনি কোন জায়গায় উপস্থিত না হওয়ায় ও আপনার সেই জায়গায় উপস্থিত হওয়ার ভিডিও তৈরি করা সম্ভব।
এখানে সেই ডিপফেক সফটওয়্যারটি আপনার পূর্বের ভিডিওগুলো নিজের মধ্যে নিয়ে নিবে এবং সেগুলোকে সে এনালাইসিস করে বর্তমানের জন্য ভিডিও তৈরি করবে। যেখানে ব্যবহার করা হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট কে। এখানে এই সফটওয়্যারটি আস্তে আস্তে তার কাজ করার দক্ষতাকে ও বাড়িয়ে দিবে। কেননা এখানে প্রতিনিয়ত একজন ব্যক্তির আসল ছবিগুলোকে যুক্ত করা হচ্ছে, যেগুলোকে সে এনালাইসিস করে নিজের মধ্যেই রেখে দিচ্ছে যাতে করে ভবিষ্যতের ভিডিওগুলো কে আরো সুন্দরভাবে সাজানো যায়। যেখানে এটি একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিডিও।
বর্তমানে এরকম অনেক মানুষই ডিপফেক ভিডিও এর শিকার হচ্ছে, এর মধ্যে বেশিরভাগ গুলোই হচ্ছে পর্ন ভিডিও তৈরি করার ক্ষেত্রে। যেখানে কেউ পর্ন ভিডিও না তৈরি করেও নিজেকে পর্ন তারকা এরমধ্যে নাম লেখাচ্ছে। তো আপনি এখানে এই বিষয়টিকে কি বলবেন, যেখানে কোন ব্যক্তি পর্ন ভিডিও না তৈরি করেও সে একজন পর্ন তারকা হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে? যেখানে এটি কিন্তু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমেই হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার উত্তর হবে যে, নিঃসন্দেহে এটি অনেক অপরাধমূলক কাজ।
কিন্তু এক্ষেত্রে যাদের পর্ন ভিডিও তৈরি করা হয়েছে তারি কি করবে? যেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কারণে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের আর কিছুই করার নেই। যেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের জীবনকে অনেক সহজ করে তুললেও অনেক ক্ষেত্রে এটি মানুষের জীবনকে অনেক দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। যেমনভাবে আপনারা উপরের একটি উদাহরণে দেখতে পেলেন।
যদিও আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার খারাপ দিকে ব্যবহার করার চাইতে ভাল দিকেই বেশি ব্যবহার করতে দেখতে পারি। যেখানে প্রত্যেকটি সফটওয়্যারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করার মাধ্যমে এটি আমাদের স্মার্টফোন এবং কম্পিউটার ব্যবহার করার অভিজ্ঞতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। যেখানে প্রত্যেকটি প্রযুক্তির ভালো দিক রয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে সেই প্রযুক্তিটির কোন না কোন খারাপ দিকও হয়ে থাকতে পারে। তবে এটি আমাদের নির্ধারণ করা দরকার নিজের বিবেক দ্বারা যে, আমারা এটি কোন কাজে ব্যবহার করব।
এখানকার এই টিউনে আমি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্বন্ধে সহজভাবে আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি, যেখানে এর ব্যবহার অনেক ব্যাপক বিস্তৃত। যদিও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যাপারটি অতটা সহজ নয়। তো, যদি আপনার কাছে আজকের টিউনটি ভালো লেগে থাকে তবে টিউনটিতে একটি জোসস করবেন এবং সেইসঙ্গে টিউনমেন্ট করে আমাকে জানাবেন কেমন লাগলো। সেইসঙ্গে যদি আপনার কাছে আজকের টিউনটি ভালো লেগে থাকে তবে আমার পরবর্তী টিউন দেখার জন্য আমাকে অবশ্যই ফলো করে রাখবেন এবং আপনাদের বন্ধুদের কে জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।
দেখা হবে তবে আগামীর কোনদিন ইনশাআল্লাহ। ততক্ষণ পর্যন্ত টেকটিউনস এর সঙ্গে থাকুন এবং দেখতে থাকুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক অসংখ্য টিউন। আসসালামু আলাইকুম।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)