আমার প্রিয় টিটির টেকি ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম আশাকরি সবাই ভাল আছেন। আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব মস্তিস্কের এন্টিভাইরাসের কথা।
প্রথমেই বলে নিচ্ছি আমার এই পোষ্টটি কোন এন্টিভাইরাস নির্মাতা কোম্পানিকে আদেশ/নির্দেশ/পরামর্শ বা হেয় প্রতিপন্য করার জন্য নয়।
কম্পিউটারের এই যুগে ভাইরাস ও এন্টিভাইরাস কি মোটামুটি সবাই জানে। তারপরও কয়েকটি কথা বলছি ...
ভাইরাস এমন একটি প্রোগ্রাম/ফাইল/ডকুমেন্ট যার মাধ্যমে আপনার কম্পিউটার/মোবইলের ক্ষতি সাধিত হয়।
ভাইরাসকে সনাক্ত করে ধ্বংস করাই যার কাজ।
যখন এন্টিভাইরাস ছিলনা তখন সেটি ছিল কম্পিউটারের কোন অকেজো প্রোগ্রাম।যা নিরবে ক্ষতি করে যেত আপনার পিসির।
এন্টিভাইরাস তৈরি করার সময় কিছু প্রোগ্রামের সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো। বলাহলো যে, এইগুলো কম্পিউটারের প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম। সে তা মনে রেখে অপিরিচিত প্রোগ্রাম দেখলে সেটা অপারেটরকে ভাইরাস বলে শনাক্ত করে দেখাল। আবার ঐ এন্টিভাইরাসকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম/ভাইরাসের সাথে আর তাকে শিখিয়ে দেয়া হলো এগুলো শক্তিশালী ভাইরাস ঠিক সেই কাজটিই এন্টিভাইরাস করলো ঐ প্রোগ্রাম দেখার সাথে সাথে বলল এটি শক্তিশালী ভাইরাস। এবার বলতে পারেন যে নিত্য নতুনভাবেতো অনেক ভাইরাস তৈরী হচ্ছে, হ্যাঁ যখন নতুন কোন ভাইরাস তৈরী হল তখন পূর্বের সেই এন্টিভাইরাসটিকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হল নতুন ভাইরাসের সাথে আর সেই এন্টিভাইরাসের নাম হয়ে গেলো আপডেট ভার্সন। গ্রাহকদেরকে জানানো হলো আমাদের আপডেট ভার্সন নিয়ে নিন নাহলে নতুন ভাইরাস আপনার পিসিকে এটাক করতে পারে। আর গ্রাহকরা তখন নিয়ে নেয় নতুন আপডেট ভার্সন।
এতক্ষন এন্টিভাইরাসের সংক্ষিপ্ত কিছু কথা বললাম।
কম্পিউটারের ন্যায় মস্তিস্কে আলাদাবাবে এন্টিভাইরাস ইনস্টল দেয়া লাগবে না। এটা ইনস্টল করা আছে শুধু মাত্র সঠিকভাবে স্ক্যান করার প্রয়োজন।আসুন বিস্তারিত জেনে নেই।
মস্তিস্কে মানুষের স্মরন শক্তি রহিত। আমরা যা করি যা শিখি মস্তিস্ক তা ধরে রাখে। আর তা থেকে তৈরী হয় শিক্ষা শক্তির এক অনন্য এন্টিভাইরাস। ব্রেইন এপর্যন্ত যা শিখেছে তা ধরে রেখেছে যা শিখতে পারেনি তা ধরে রাখতে পারেনি। যেমন আমরা কুসংস্কার শব্দটির সাথে সবাই পরিচিত। এবার ধরা যাক কুসংস্কার একটি ভাইরাস এখন আপনার মস্তিস্ক কিভাবে এটাকে ভাইরাস হিসাবে শনাক্ত করবে? দেখুন। আপনি কম্পিউটার সম্পর্কে জানেন যে কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া চলেনা। বিশেষ কাজের জন্য সফ্টওয়্যার দরকার হয়। এখন কেউ যদি আপনাকে বলে যে অলৌকিকভাবে সকাল থেকে কম্পিউটারকে যে কোন প্রশ্ন করলে সে উত্তর বলে দিচ্ছে তখন আপনি নিশ্চয়ই বলবেন এটা কুসংস্কার? আর এই কুসংস্কারকে সনাক্ত করল আপনার ব্রেইন। আপনার ব্রেইন এই কথাটিকে যাচাই করার জন্য যে শক্তিটা ব্যবহার করল তা হলো আপনার মস্তিস্কের এন্টিভাইরাস।
আরেকটি উদাহরণ দেয়া যাক নিচের এই ছবিটি দেখুন
এবার চিত্রসহ দেখুন কিভাবে আপনার মস্তিস্ক এটিকে স্ক্যান করছে।
আর রেজাল্ট হবে আপনার এন্টিভাইরাসের ক্ষমতানুযায়ী। আপনার যদি আকাশের মেঘ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ধারনা থাকে তখন ক্রমিক নং-৪ স্ক্যান রেজাল্ট দিবে একথাটি একটি ভাইরাস। কারন আপনার ব্রেইন যানে এটি মেঘের নিয়ম। অবিশ্বস্য এই কথাটি তখন আপনার ব্রেইন ভাইরাস হিসেবে চিহ্নিত করল। আপনি কোন কথা শোনার পর তা আপনার ব্রেইনের ধারন ক্ষমতা মোতাবেক ভাইরাস ও ননভাইরাস প্রমাণ করে।
এবার অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে উক্ত এন্টিভাইরাস কে আপডেট করতে হলে শিক্ষার বিকল্প নেই?
অনেক বড় একটি পোষ্ট করে ফেললাম। ভূল হলে ক্ষমা করবেন। ফেসবুকে আমাকে পেতে এখানে ক্লিক করুন।
আমি রেজাউল বি এন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 16 টি টিউন ও 87 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ভাই সব কিছু বিজ্ঞান দিয়ে হয় না । বিজ্ঞান সব সময় সঠিক ফলাফল দিতে পারেনা । লজিক দিয়েই সব সঠিক প্রমান করা যায় না ।